ছবিঃ কুমিল্লার একটি গ্যাসক্ষেত্রে গ্যাস উত্তোলন বিষয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।

কুমিল্লার মুরাদনগরের শ্রীকাইল গ্যাস ফিল্ডের ৪নং কূপের নতুন স্তর থেকে প্রায় ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (২০ নভেম্বর) বিকালে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পর গ্যাসফিল্ড ইনচার্জ প্রকৌশলী মো. শাহজাহান বলেন, “৪নং কূপটির ওপরের স্তর থেকে আগেই ৬-৭ মিলিয়ন ঘনফুট করে গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছিল।

এখন নতুন করে আরও গভীরে খননের মাধ্যমে ২০ মিলিয়ন ঘটফুট গ্যাস উত্তোলনের নিশ্চয়তা দেখা গেছে। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে এই গ্যাস জাতীয় গ্রিডেও যুক্ত করা সম্ভব হবে।”

এই কূপে থেকে ২০১৩ সালের জুন মাসে সর্বপ্রথম গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। এখন ওই স্তরটি বন্ধ করে নতুন স্তর থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হবে।

শাহজাহান আরও বলেন, “বিদেশ থেকে এখন আমাদের বিপুল পরিমাণ এলএনজি গ্যাস আমদানি করতে হয়। এই নতুন কূপের গ্যাস যদি এলএনজির খাতে ব্যবহার করা যায় তাহলে প্রচুর রাজস্ব আয় সম্ভব হবে। এই কূপটি সম্পূর্ণ বাংলাদেশি প্রযুক্তিতে খনন করে গ্যাস উত্তোলন করা হবে।”

মার্চে আবিষ্কার হওয়া শ্রীকাইল ইস্ট-১ গ্যাস ক্ষেত্রটি মুরাদনগর উপজেলায় অবস্থিত। নতুন আবিষ্কার হওয়া এ ক্ষেত্রটি দেশের ২৮তম।

সূত্র জানায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবর গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন শুরু করে বাপেক্স। দীর্ঘ চার মাস খনন কাজের পর মঙ্গলবার (৩রা মার্চ) রাত ৮টার দিকে গ্যাস স্তরের বিষয়ে নিশ্চিত হন বাপেক্সের প্রকৌশলীরা।

প্রায় দুই বছর পর দেশে নতুন কোনও গ্যাস কূপের সন্ধান পাওয়া গেল।

নতুন এ ক্ষেত্রে বর্তমানে গ্যাসের চাপ দুই হাজার পিএসআর, যা অন্যান্য ক্ষেত্রের তুলনায় বেশি।

খনন কাজের ইনচার্জ মহসিনূর আলম সেসময় জানিয়েছিলে , ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তিন হাজার ৬৫ মিটার গভীরে অবস্থিত এ গ্যাস ক্ষেত্র থেকে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে। কাছাকাছি প্রসেস প্লান্ট রয়েছে। শুধু ১০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’