১৮৫৬ সালের ১০ জুলাই, এক ভয়াল ঝড়বৃষ্টি আর বজ্রপাতের রাতে টেসলার জন্ম।

পরিবেশের ভয়াবহতা দেখে কুসংস্কারাচ্ছন্ন ধাত্রী বলেছিলো, “এ বাচ্চা হবে অন্ধকারের সন্তান” কিন্তু সদ্যোজাত টেসলার ফুটফুটে মুখটার দিকে তাকিয়ে তার মা বলেছিলেন, “না, এ হবে আলোর সন্তান।” প্রকৃতই এই সন্তান পরিণতকালে গোটা বিশ্বে আলো ছড়িয়ে দিয়েছিলো।

টেসলার জন্ম বর্তমান ক্রোয়েশিয়ার মিলজান নামক স্থানে।বাবা ছিলেন একজন ধর্মযাজক। নানাও ছিলেন তাই।

৫ ভাই বোনের মধ্যে ছিলেন চতুর্থ। বড় ভাই মারা গিয়েছিলেন ঘোড়া থেকে পড়ে গিয়ে। তার বাবার ইচ্ছে ছিল নিকোলা-ও বড় হয়ে প্রিস্ট হবে তার মত।

ছোট থেকেই তাকে সেটা নিয়ে চাপ দিতেন। কিন্তু নিকোলা সেটা চাইতেন না, একদমই না।১৮৬১-তে প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হন নিকোলা, শেখেন জার্মান ভাষা, গণিত আর ধর্মতত্ত্ব।

১৮৭০ সাল। ক্রোয়েশিয়ার এক স্কুলে ম্যাথ ক্লাস চলছে।

আজকের টপিক ইন্টিগ্রেশন। বেশ কটা ক্লাসের পর আজকে কঠিন কঠিন ইন্টিগ্রেশন শুরু।

বোর্ডে কতগুলো অঙ্ক লিখে টিচার ফিরলেন সবাই অঙ্ক করছে কিনা দেখতে। সবাই মনোযোগ দিয়ে করছে। কিন্তু একজন বসেই আছে। স্যার তার দিকে এগিয়ে গেলেন। “তুমি কেন করছ না?”

১৪ বছরের সেই ছেলেটা বোর্ডের সবগুলো অংকের উত্তর বলে গেল।
স্যার ভাবলেন ছেলেটা উত্তর হয়ত মুখস্ত করে এসেছে।

তিনি বানিয়ে কয়েকটা দিলেন। ছেলেটা এবারও সবগুলোর নির্ভুল উত্তর বলে দিল! একবারও খাতা কলম হাতে নিল না।
টিচার বুঝতে পারলেন, এইছেলে ভয়ঙ্কর মেধাবী।
কিন্তু এই ভয়ঙ্কর মেধাবীকে আমরা ছোটবেলা থেকে চিনে আসি না। যতটা না চিনি নিউটন আইন্সটাইন কিংবা থমাস আল্ভা এডিসনকে।

ছেলেটির নাম ছিল নিকোলা টেসলা।
এটাও আমরা জানি না, আজকের IEEE এর এক সময়ের ভাইস প্রেসিডেন্টও ছিলেন তিনি।

ইতিহাসের পাতায় অবহেলিত এক EEE Engineer টেসলা। এ লিখাটা তার প্রতি একটা ট্রিবিউট।
১৮৫৬ সালের ১০ জুলাই টেসলার জন্ম।

ক্রোয়েশিয়ার এক গ্রামে। বাবা ছিলেন একজন ধর্মযাজক। নানাও ছিলেন তাই।
৫ ভাই বোনের মধ্যে ছিলেন চতুর্থ। বড় ভাই মারা গিয়েছিলেন ঘোড়া থেকে পড়ে গিয়ে।

তার বাবার ইচ্ছে ছিল নিকোলা-ও বড় হয়ে প্রিস্ট হবে তার মত। ছোট থেকেই তাকে সেটা নিয়ে চাপ দিতেন। কিন্তু নিকোলা সেটা চাইতেন না, একদমই না।

১৮৬১-তে প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হন নিকোলা, শেখেন জার্মান ভাষা, গণিত আর ধর্মতত্ত্ব।
১৮৭০ সালে হাই স্কুলে পড়ছিলেন তিনি, যখন সেই ইন্টিগ্রেশনের ঘটনাটা ঘটে। তখনই তার আসল মেধাটা ধরা পড়ে।

চার বছরের পড়া তিন বছরেই শেষ করে গ্র্যাজুয়েট করে ফেললেন তিনি ১৮৭৩ এ।

সে বছরই ফিরে গেলেন নিজের গ্রামে। এসে কলেরার প্রকোপে পড়লেন। খুব ভয়ংকর অবস্থা। নয় মাস ছিলেন শয্যাশায়ী।কয়েকবার মৃত্যুর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন।

নিকোলার বাবা অসহায় হয়ে তাকে কথা দিলেন, সুস্থ হলে তাকে সবচেয়ে ভাল ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলে পড়তে পাঠাবেন। আর বলবেন না যাজক হতে। টেসলা সুস্থ হয়ে উঠলেন এক সময়।

১৮৭৪ সালে নিকোলা আর্মিতে ভর্তি হওয়া থেকে বাঁচতে পালিয়ে গেলেন। পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরলেন। টেসলা পরে বলেছিলেন,প্রকৃতির সাথে এই নৈকট্যটা অনেক দরকার ছিল তার। বসে বসে মার্ক টোয়েন পড়তেন তিনি।

১৮৭৫ এ টেসলা ভর্তি হলেন অস্ট্রিয়ান পলিটেকনিকে। তাঁর স্বপ্ন।

ফার্স্ট ইয়ারে তিনি একটা লেকচারও মিস করেন নি। সবগুলোতে ছিল হায়েস্ট গ্রেড। ডিনের থেকে লেটার পেয়েছিলেন তার বাবা, “আপনার ছেলে প্রথম শ্রেণীর স্টার।”

প্রতিদিন রাত ৩টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত টানা খাটতেন তিনি। কোন ছুটির দিনও বিশ্রাম নিতেন না। ১৮৭৯ তে বাবা মারা যাবার পর বাবার পুরনো চিঠি ঘাটতে গিয়ে দেখলেন সেখানে তার প্রফেসরদের কাছ থেকে চিঠি আছে, “আপনার ছেলেকে এখুনি স্কুল থেকে সরিয়ে নিন। নাহলে খাটতে খাটতে মারাই যাবে।”

সেকেন্ড ইয়ারে “কমুটেটর দরকার কি দরকার না” সেটা নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন প্রফেসরের সাথে। সে বছরই জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েন নিকোলা আর স্কলারশিপ বাতিল হয়ে যায় তার।

থার্ড ইয়ারে তিনি তার সব সম্পদ জুয়ায় উড়িয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন। কিন্তু জুয়া খেলেই সব আবার earn back করেন। পরে তার বিলিয়ার্ড খেলার নেশা ধরল।

এক্সাম টাইম আসার পর, টেসলা আবিষ্কার করলেন তিনি কিছুই পড়েন নি। তিনি পিএল বাড়াতে চাইলেন। কিন্তু তার দাবি অগ্রাহ্য করা হল। তিনি গ্র্যাজুয়েট করতেই পারলেন না। লাস্ট সেমিস্টারের কোন গ্রেডই তার ভাগ্যে জুটল না। হয়ে গেলেন একজন ড্রপ-আউট। (সূত্র)

১৮৭৮ এর ডিসেম্বরে টেসলা চলে গেলেন। নিজের পরিবারের সাথে সব রকম সম্পর্ক ছিন্ন করলেন, তারা যেন টের না পায় যে টেসলা এখন একজন ড্রপ আউট।

স্লোভেনিয়াতে চলে গেলেন তিনি, সেখানে মাসে ৬০ ফ্লোরিন এর বিনিময়ে ড্রাফটসম্যান এর কাজ করতেন, আর বাকি সময়টা কার্ড খেলে কাটাতেন রাস্তায় রাস্তায় মানুষের সাথে।

৭৯ সালের মার্চে তার বাবা তাকে সেখানে খুঁজে পেলেন, হাত জোড় করলেন বাড়ি ফিরতে, কিন্তু নিকোলা ফিরলেন না। এ সময়টা তিনি নার্ভাস ব্রেকডাউনে পড়েন।

৭৯ সালেই তিনি ফিরে আসেন আর বাবাও মারা যায় স্ট্রোক করে। সেখানে তার পুরনো স্কুলে পড়াতে লাগলেন টেসলা।

১৮৮০ সালে চাচাদের টাকায় প্রাগ-এ পড়তে যান টেসলা। কিন্তু দেরি হয়ে গিয়েছিল। ভার্সিটিতে রেজিস্ট্রেশন টাইম শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাছাড়া, ভার্সিটির requirements ছিল যে গ্রিক আর চেক ভাষা জানতে হবে, তিনি এ দুটো তখনও পারতেন না।

৮১ সালে বুডাপেস্টে যানতিনি। সেখানে এক টেলিগ্রাফ কোম্পানিতে কাজ করতে লাগলেন। এখানেই টেসলা তার প্রথম সায়েন্টিফিক কাজ করেন, তিনি টেলিফোনের অ্যামপ্লিফায়ার পারফেক্ট করে তুলেন। (সূত্র)

Nikola Tesla

Nikola Tesla

কিন্তু কোনদিন সেটার পেটেন্ট নেন নি।
৮৪ সালে থমাস আল্ভা এডিসনের কোম্পানিতে কাজ করতে যান, স্বয়ং এডিসন তাকে হায়ার করেন। নিউ ইয়র্কে।

প্রথম প্রথম তার কাজ ছিল সিম্পল ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং আর এরপর ধীরে ধীরে কঠিন সব প্রব্লেম আসতে থাকে।

তার কাজ দেয়া হল ডিসি জেনারেটর রিডিজাইন করা। ১৮৮৫ সালে টেসলা বললেন, “আমি এটা আরো ভাল করে বানাতে পারব।”

এডিসন বললেন, “পারলে তোমাকে ৫০ হাজার ডলার দেব।”

মাসের পর মাস কাজ করার পর টেসলা আসলেই কাজটা পারলেন। এডিসনকে তখন তিনি পেমেন্ট দিতে বললেন।

হাসিমুখে এডিসনের উত্তর ছিল,

“আরে টেসলা, তুমি দেখি আমেরিকান হিউমর বোঝোই না।”

টেসলার বেতন কেবল ১৮ডলার/উইক থেকে ২৮ ডলার করে দিলেন এডিসন, এই ছিল তার পুরস্কার। কিন্তু টেসলা সেটানিতে অস্বীকার করলেন। তিনি কোম্পানি থেকে রিজাইন করলেন।

১৮৮৬তে তিনি নিজের “টেসলা ইলেক্ট্রিক লাইট অ্যান্ড ম্যানুফেকচারিং” কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করলেন। সেখানে তিনি ডায়নামো ইলেকট্রিক মেশিন কমুটেটর বানালেন, যেটা ছিল তার প্রথম পেটেন্ট।
কিন্তু টেসলার নতুন নতুন জিনিসে ইনভেস্টররা আগ্রহ পেতেন না।

টেসলা হয়ে পড়লেন কপর্দকহীন। এক পর্যায়ে তার পেটেন্টগুলোও হাতছাড়া হয়ে যায়। টাকার জন্য তিনি রিপেয়ার জব করে বেড়ালেন, এমনকিদিনে দুই ডলারের বিনিময়ে গর্ত খোঁড়ার কাজও করলেন। ১৮৮৬/৮৭ সালের সেই শীতকালে তিনি ভাবছিলেন,

“কী লাভ হল আমার এত পড়াশুনা করে!?”

৮৭ সালে টেসলা দুজন ব্যবসায়ীর সাথে মিলে একটা কোম্পানি করলেন। প্রথমবারের মত সেই ল্যাবে টেসলা এসি কারেন্ট দিয়ে চলা ইন্ডাকশন মোটর চালান, আজকের ইলেকট্রিক দুনিয়ার শুরু সেই ল্যাবেই, টেসলার হাতে।

রোটেটিং ম্যাগনেটিকফিল্ডের ধারণাও টেসলা দেন প্রথম, ১৮৮২ সালে।
১৮৮৮ সালে এসি কারেন্ট প্রদর্শন করেন টেসলা। IEEE তে দেখালেন তিনি। সবাই ব্যাপারটা দেখে অবাক হল, ভালভাবেই নিল এই প্রথম। এমনকি ৬০০০০ ডলারের অফার পেলেন পর্যন্ত।

কিন্তু এতে এডিসনের মাথা গরম হয়ে গেল, টেসলার এসি কারেন্ট বাজার পেয়ে গেলে এডিসনের ডিসি কারেন্ট যে মার খেয়ে যাবে।

এডিসন এসি কারেন্টকে নামদিয়েছিলন “ডেথ কারেন্ট”; এডিসন লোকাল ছেলেদের পার হেড ২৫ সেন্ট করে দিলেন জীবিত কুকুর আর বিড়াল এনে দেবার জন্য।

সেই কুকুর বিড়াল আর একটা হাতি পর্যন্ত পাব্লিকলি এডিসন “টেসলার” এসি কারেন্ট দিয়ে ইলেক্ট্রোকিউট করে মারেন।সবাইকে বোঝানোর জন্য যে, এসি কারেন্ট বিপজ্জনক।

কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও পারলেন না। ১৮৯২ এর মধ্যে নিজের কোম্পানির হেড পদটাও হারিয়ে ফেললেন এডিসন।

১৮৯৪ সালে টেসলা কাজ শুরুকরলেনঅদৃশ্য তরঙ্গ নিয়ে। কিন্তু সেটার পেটেন্ট বা কিছুই নেন নি। ১৮৯৫ সালে উইলিয়াম রঞ্জেন সে অদৃশ্য তরঙ্গের নাম দেন এক্স-রে। তখন টেসলা বলেন, তিনি এটা নিয়ে কাজ করছিলেন।

১৮৯৫ সালে, তার ল্যাবের সব কিছু (প্রায় ৫০ হাজার ডলারের জিনিস) আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে যায়। তাই তার এক্স-রের কোন কাজ তিনি দেখাতে পারেন নি। আবার নতুন করে শুরু করেন।
রঞ্জেন যখন এক্সরে নিয়ে কাজ করলেন, তখন মানুষ ভেবেছিল এক্সরে-র বুঝি হিলিং ক্ষমতা আছে।

তথ্যঃ https://www.biography.com/people/nikola-tesla-9504443
https://www.pbs.org/newshour/science/5-things-you-didnt-know-about-nikola-tesla

কিন্তু টেসলা বললেন, এই তরঙ্গ ডেঞ্জারাস। এটা যেন মেডিকালে ব্যবহার করা না হয় এখনও।
কিন্তু কে শোনে কার কথা।টেসলার এক্সরে নিয়ে ইন্টারেস্ট শুনে এডিসন লেগে গেলেন এক্সরে নিয়ে। একদম মেডিকাল কাজে। তার এক এমপ্লোয়ি ক্ল্যারেন্স ডালি এত বেশি এক্সরে-তে এক্সপোজড হন যে, তারহাত কেটে বাদ দিতে হয়েছিল। তাতেও লাভ হয়নি।

ক্যান্সারে মারা যান তিনি।
তাছাড়া নিজেও নিজের উপর এক্সরে নিয়ে কাজ করলেন, চোখে বারবার এক্সরে মারতে লাগলেন। প্রায় অন্ধই হয়ে গিয়েছিলেন।১৯০৩ সালে এক্সরে নিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “খবরদার আমার সাথে এক্সরে নিয়ে আলাপ করবে না। আমি ভয় পাই এক্সরে।”

আমরা জানি যে ইতালির মারকোনি রেডিও আবিষ্কার করেন। কিন্তু জানি না যে তার কাজগুলো ছিল টেসলার কাজের উপরভিত্তি করে!!

মারকোনি প্রথম রেডিও মেসেজ পাঠানোর সংবাদ পাবার পর টেসলা বলেছিলেন,“মারকোনি লোকটা ভাল আছে। ওকে কাজ করতে দাও। ও আমার ১৭টা পেটেন্ট ব্যবহার করছে।”

আমরা জানি, ১৯৩৫ সালে রবার্ট ওয়াটসন ওয়াট আবিষ্কার করেন রাডার। অথচ, ১৯১৭ সালেই সেটার থিওরি দিয়ে যান টেসলা। প্রশ্ন জাগতেই পারে কেবল থিওরি দিয়েই শেষ কেন? করে দেখালেন না কেন?

জি না।তিনি করতে গিয়েছিলেন। তখন প্রথম মহাযুদ্ধ চলছিল। ইউ এস নেভির জন্য এই টেকনোলোজি প্রস্তাব করেছিলেন।
কিন্তু… কিন্তু, ইউনেভির রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এর প্রধান ছিলেন কে জানেন? এডিসন।
তিনি টেসলা নাম দেখেই অফার রিজেক্ট করে দেন। মারা গেল এই টেকনোলোজি।

আপনি কি জানেন, হাইড্রোইলেক্ট্রিসিটির প্রথম ধারণা দেন টেসলা? তিনিই নায়াগ্রা ফলস থেকে প্র্যাক্টিকাল এনার্জি সোর্স বানানোর কথা বলেন।
ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনিয়ারিং উদ্ভাবনের অর্ধ শতক আগেই সেটা নিয়ে কাজ করছিলেন নিকোলা টেসলা!

ট্রাঞ্জিস্টর বানানোর উপকরণগুলোর পেটেন্ট কিন্তু টেসলারই ছিল। আজকের কম্পিউটার আসতই না এটা ছাড়া।

বহির্বিশ্ব থেকে প্রথম রেডিও ওয়েভ ধরেন কে জানেন? টেসলা।

কে পৃথিবীর রেজোন্যান্ট ফ্রিকুয়েন্সি আবিষ্কার করেন? টেসলা। [৫০ বছর পর বিজ্ঞানীরা সেটা বিশ্বাস করেন,আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে টেস্ট করে]

টেসলা একটা ভূমিকম্পযন্ত্র উদ্ভাবন করেন। সেটা চালু করার পর নিউ ইয়র্কের একটা নেইবরহুড প্রায় ধ্বংসই হয়ে যায়!
বল লাইটনিং বলে একটা জিনিস আছে। মাটির কয়েক ফিট উপরে ভেসে থাকে। এটাও সেই ১৮৯০ এর দশকে টেসলা করে দেখিয়েছিলেন।
রিমোট কনট্রোল কে আবিষ্কার করেন? টেসলা।
নিওন লাইট কে উদ্ভাবন করেন? টেসলা।
আজকের ইলেকট্রিক মোটর?টেসলা।

এমনকি আজকের তারহীন প্রযুক্তিও কিন্তু টেসলারই আবিষ্কার।

এটা নিয়ে একটা মজার ঘটনা মনে পড়েছে। ১৮৯৮ সালে wireless tech দিয়ে তিনি একটা নৌকা চালিয়ে দেখিয়েছিলেন দূর থেকে। ম্যাডিসন স্কয়ারের পাব্লিক প্রদর্শনী। লোকজন তো সেটা দেখে আকাশ থেকে পড়ল।

এমনকি “জাদু”,“টেলিপ্যাথি”, “ভিতরে কোন বানর চালাচ্ছে”- এগুলো বলতেও থামেনি।
টেসলা রেডিও কনট্রোল টর্পেডো দিতে চেয়েছিলন ইউএস নেভিকে।

তারা ইন্টারেস্ট দেখায়নি তখন।
টেসলা কথা বলতে পারতেন আটটা ভাষায়। সারবিয়ান, ইংলিশ্ জার্মান, চেক, ফ্রেঞ্চ, হাঙ্গেরিয়ান, ইতালিয়ান আর লাতিন।
টেসলা কৃত্রিম বজ্রপাত produce করেছিলেন।

সেটারশব্দ এত জোরে হয়েছিল যে ১৫ মাইল দূরে কলোরাডো থেকেও শোনা গিয়েছিল। ১৩৫ ফিট লম্বা মিলিওন ভোল্টের বজ্র।

রাস্তায় হেঁটে যাওয়া মানুষ দেখল তাদের পায়ের আশপাশে স্ফুলিঙ্গ বয়ে যাচ্ছে। পানির লাইন থেকে লাইনে স্ফুলিঙ্গ খেলা করছে। ঘোড়া ছোটাছুটি করছে। প্রজাপতিরা ইলেক্ট্রিফাইড হয়ে যায়, তারা উড়ছে আর তাদের চারপাশে নীলাভ আলোজ্বলছে।

টেসলা দাবি করেছিলেন তিনিচাইলে পৃথিবীতে এমন ভূকম্পন সৃষ্টি করতে পারবেন যে পুরো মানবজাতি ধ্বংস হয়ে যাবে।এমনকি পুরো পৃথিবীকে দুইভাগে স্লাইস করে ফেলতে পারবেন।

মারকোনি নোবেল প্রাইজ পেলেও টেসলা কোনদিন নোবেল পাননি। খুশির কথা, এডিসনও পাননি।
১৯২৮ সালে তিনি প্লেন বানান যেটা vertically উড্ডয়ন করতে পারত! এটাই ছিল তার লাস্ট পেটেন্ট।

নিকোলা টেসলার শেষ বয়সের শখ ছিল কবুতরকে খাওয়ানো। ১৯৩৭ সালের শরতে, মধ্যরাতে তিনি নিউ ইয়রকার হোটেল থেকে ক্যাথিড্রাল আর লাইব্রেরির আশপাশের কবুতরদের খাওয়ানোর জন্য বের হন।

এমন সময় রাস্তায় এক ট্যাক্সিক্যাব তাকে ধাক্কা দেয়। তিনি পড়ে যান। তার মেরুদণ্ডে প্রচণ্ড আঘাত পড়ে। তিনটা পাঁজরের হাড় ভেঙ্গে যায়।
টেসলা সারাজীবন ডাক্তার দেখান নি, এটা তার একটা জেদ ছিল।

এবারও তিনি ডাক্তার দেখাবেন না বলে জেদ করলেন।তাই তার আসলে কী কী ক্ষতি হয়েছিল আমরা জানি না।

টেসলা জানতেও চাইলেন নাকে তাকে ধাক্কা দিল, কেবল একটা ক্যাব ডেকে তাকে হোটেলে নিয়ে যেতে বললেন। কয়েক মাস শয্যাশায়ী। তার দুঃখ ছিল যে, তিনি কবুতর খাওয়াতে পারছেন না।
১৯৩৮ সালের বসন্তে টেসলা দাঁড়াতে পারলেন।

আবার শুরু করলেন কবুতরদের খাওয়ানো।
এই হোটেলেরই ৩৩২৭ নাম্বার রুমে ১৯৪৩ সালের ৭ জানুয়ারি মারা যান এই “পাগল বিজ্ঞানী”।

দুই দিন আগে “DO NOT DISTURB” সাইন টানিয়ে দিয়েছিলেন দরজায়। সেই সাইন উপেক্ষা করে হোটেলের মেইড অ্যালিস ভিতরে ঢুকে পড়েন।ঢুকে লাশ আবিষ্কার করেন। করনারি থ্রম্বসিস ছিল তার মৃত্যুর কারণ।

মারা যাবার দুদিন পর এফবিআই তার সব সম্পদ জব্দ করে। এক এমআইটি প্রফেসরকে দিয়ে তার গবেষণার জিনিসপত্র চেক করিয়ে নেয়। প্রফেসর রিপোর্ট করেন যে, ডেঞ্জারাস কিছুই নেই।

টেসলার শেষ কাজটা ছিল কীজানেন? একটা টাওয়ার বানানো যেটা থেকে মানুষ ফ্রি ওয়্যারলেস এনার্জি পাবে। তার স্বপ্ন ছিল একদিন সারা বিশ্ব এভাবে ফ্রি এনার্জি পাবে।

কিন্তু সেই টাওয়ার বানানো শেষ করার পর যখন নির্মাতা জানতে পারলেন এটাতে তার আর্থিক লাভ নাই, তখন তিনি টাওয়ার শাট ডাওন করে দিলেন। পুরো বাজেট লস।

Nikola Tesla ©জ্যোতির্বিদ্যা ও সৃষ্টিতত্ত্ব পেজ

Nikola Tesla

টেসলা মারা যান দরিদ্র আর ঋণী অবস্থায়। দুধ আর নাবিস্কো বিস্কুট খেয়েই শেষ দিনগুলো পার করছিলেন সেই হোটেলে।

শেষ বয়সে এক ইন্টার্ভিউতে তিনি বলেছিলেন, এক আহত কবুতর প্রতিদিন তার কাছে আসত। তিনি ২০০০ ডলার খরচ করে সেইকবুতরের জন্য একটা ডিভাইস বানিয়েছিলেন তাকে heal করার জন্য। ধীরে ধীরে সেই কবুতরের পাখা আর হাড় ঠিক হয়ে আসে।

সারা জীবন অবিবাহিত ছিলেন টেসলা। কোন নারীর সাথে ঘনিষ্টতাও দেখা যায় নি কোনদিন। তার ধারণা ছিল এটা তার কাজের ক্ষতি করবে। অথচ অনেক নারী তার জন্য পাগল ছিল, কী না করেছে তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য।

কিন্তু টেসলার পাত্তা পায়নি। তিনি বলেছিলেন,

“I do not think you can name many great inventions that have been made by married men.”

পৃথিবীতে খুব কম মানুষের ফটোগ্রাফিক মেমোরি আছে। টেসলা তার একজন। পুরো বই তিনি মুখস্ত বলতে পারতেন!

হাজার হাজার ডিজাইন তিনিসম্পূর্ণ মনের মধ্যে করে ফেলতে পারতেন। কোনদিন হাতে লিখতেন না। আঁকতেন না। মেমোরি থেকেই সব করে ফেলতেন।

কোন ডাইমেনশন কত হবে সব হিসেব নিকাশ মাথাতে করে ফেলতে পারতেন।

১৮৯২ থেকে ১৮৯৪ সাল পর্যন্ত নিকোলা টেসলা IEEE (তখন ছিল AIEEE) এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

মধ্য বয়সে তিনি লেখক মার্ক টোয়েনের বন্ধু হয়ে যান। অনেকটা সময় তারা একসাথে কাটিয়েছেন। মার্ক তার ইন্ডাকশন মোটর দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন।

১৯৩১ সালে এডিসন মারা যাবার পর, নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় শত শত স্তুতিবাক্যের ভীড়ে এডিসনের নামে একমাত্র নিন্দাটা ছিল টেসলার।

সারা জীবনের ক্ষোভ তিনি সেখানে মিটিয়ে নেন বটে।

টেসলা কোনদিন দু ঘণ্টার বেশি ঘুমাতেন না। তবে মাঝেমধ্যে “ঝিমাতেন”, তার মতে এটা নাকি তার “ব্যাটারি রিচারজ করে”; স্কুলে থাকতে ৪৮ ঘণ্টা টানা বিলিয়ার্ড খেলেছিলেন। একবার ল্যাবে ৮৪ ঘণ্টা একটানা কাজ করে বের হয়েছিলেন। কিছুই হয়নি তার।

তার সম্মানে ম্যাগনেটিক ফ্লাক্স ইন্টেন্সিটির এসআই একক রাখা হয় “টেসলা”।

জুলাই এর ১০ তারিখ নিকোলা টেসলা দিবস। এডিসন আইনস্টাইনকে সকলে মনে রাখলেও টেসলাকে কজন স্মরণ করে? ভুল সময়ে জন্মানো এক কিংবদন্তী তিনি। তাঁর প্রতি রইল শ্রদ্ধা।

“Let the future tell the truth, and evaluate each one according to his work and accomplishments. The present is theirs; the future, for which I have really worked, is mine.”

“It is paradoxical, yet true, to say, that the more we know, the more ignorant we become in the absolute sense, for it is only through enlightenment that we become conscious of our limitations.” – Nikola Tesla

তথ্যঃ
https://livescience.com/45950-nikola-tesla-biography.html

(আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদ)

সতর্কতা

নিকোলা টেসলা একজন মহান ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। তিনি অনেক কিছু আবিষ্কার করেছেন, কিন্তু আবিষ্কারগুলো অনেক ক্ষেত্রেই টেসলার একক আবিষ্কার না।

কি কি আবিষ্কার টেসলার নামে প্রচলিত, কিন্তু তার আগেই অন্য কেউ আবিষ্কার করে গেছেন, তার একটা লিস্ট দিচ্ছি।

লিস্টে বিজ্ঞানীদের নাম ইংরেজিতে দিচ্ছি, যাতে গুগোল করতে পারেন।

আর্টিকেলের উদ্দেশ্য, আমরা যাতে সবাইকে যার যার প্রাপ্য সম্মান দিতে পারি সেদিকে লক্ষ রাখা।

১। AC জেনারেটরঃ ১৮৩২ সালে Hippolyte Pixii হস্তচালিত AC জেনারেটর আবিষ্কার করেন।
https://en.wikipedia.org/wiki/Hippolyte_Pixii
১৮৭০ এর দশকে ইউরোপে সিঙ্গেল ফেজ জেনারেটর প্রচলিত ছিল। single phase ac generator inventor লিখে গুগল করলে Hippolyte Pixii র নাম আসবে।
১৮৮০ সালের দিকে ৫ জন আবিষ্কারক স্বতন্ত্রভাবে ৩ ফেজ AC জেনারেটর আবিশার করেন।

তাদের নামঃ Galileo Ferraris, Mikhail Dolivo-Dobrovolsky, Jonas Wenström, John Hopkinson and Nikola Tesla.
https://en.wikipedia.org/wiki/Three-phase_electric_power

২। ট্রান্সফর্মারঃ ট্রান্সফর্মারের আবিষ্কারক গুগল করলে নাম আসবে হাঙ্গেরিয়ান বিজ্ঞানী অটো ব্লেথির।

আরও কিছু তথ্যসূত্রে তিনজন আবিষ্কারকের নাম পাওয়া যায়ঃ Otto blathy,Miska Deri, Karoly Zipernowsky.
William stanley ১৮৮৫/৮৬ সালে প্রথম বাণিজ্যিক ট্রান্সফর্মার তৈরি করেন।
https://www.quora.com/Who-invented-the-transformer

হাঙ্গেরির Ganz কোম্পানির এই আবিষ্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।
https://en.wikipedia.org/wiki/Ganz_Works#Power_plants,_generators_turbines_and_transformers

৩। ইন্ডাকশন কয়েলঃ মাইকেল ফ্যারাডের আবেশ সঙ্ক্রান্ত গবেষণার পর ১৮৩৬ সালে Nicholas Callan ইন্ডাক্সন কয়েল আবিষ্কার করেন।
https://en.wikipedia.org/wiki/Induction_coil
১৮৯১ সালে টেসলা উচ্চ বিভবের, অল্প বিদ্যুতের টেস্লা কয়েল আবিষ্কার করেন।
https://en.wikipedia.org/wiki/Tesla_coil

৪। লাউডস্পিকারঃ বর্তমানে যে ধরনের লাউড স্পিকার ব্যবহার করা হয় তার আবিষ্কারক Edward W. Kellogg and Chester W. Rice.
https://en.wikipedia.org/wiki/Loudspeaker

তবে, ১৮৬১ সালে আলেক্সয়ান্ডার গ্র্যাহাম বেল প্রথম লাউড ইলেকট্রিক স্পিকারের আবিষ্কার করেন।
https://www.thoughtco.com/history-of-loudspeaker-4076782

৫। Fluoroscent বাতি : ১৮৫৯ সালে আলেকজ্যান্ডার বেকেরেল প্রথম প্রতিপ্রভা আবিষ্কার করেন।
https://www.pinoytechnoguide.com/2012/12/did-agapito-flores-invent-fluorescent.html
Peter Cooper Hewitt ১৯০১ সালে পারদ বাষ্প ব্যবহার করে প্রথম এই বাতি ব্যবহারযোগ্য করেন।

কিছু অবদানঃ

6.Tesla Coil :

বর্তমান যুগের Wifi technology মূলত টেসলার এসব আবিষ্কার থেকেই বিবর্তিত হয়ে এসেছে । তাঁর আবিষ্কার সম্পর্কে লিখে শেষ করতে পারব না । আরও কয়েকটি উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার যেমন :

7.Violet Ray

8.TeleForce

9.Neon Lamp

10. Wireless Telegraphy

11. Three phase Electric power

12.Tesla Turbine

13.Tesla valve

14.Vacume Variable Capacitor

15.shadowgraph

16. Free Energy ***

17. Tesla Experimental

18. Tesla’s Columbus

19. Resonant inductive coupling

20 .Polyphase system

21. Rotating magnetic field

22. Radio control

23. Plasma globe

30Violet rayp

25. Carbon button lamp

26. Telegeodynamics

27.Teleoperation

28. Torpedo

29. Vacuum variable capacitor

30. VTOL

আর লিখতে মন চাচ্ছে না। রাডার, মাইক্রোয়েভ এগুলোর আবিষ্কারকের নাম একটু ঘাটাঘাটি করলে পাবেন।

কিছু জিনিসের আবিষ্কার মূলত Nikola Tesla ই করেছিলেন । কিন্তু আবিস্কারক হিসাবে তাঁর ক্রেডিট নাই এবং কিছু আবিষ্কার নাক্কার জনক ভাবে কিছু বিজ্ঞানী চুরি করে নিজের নামে করেছিলেন ।

1.Radio
2. X-ray
3.Hidro Electric Power
4.Rader System
ইতাদি ইতাদি ……

এডিসন বৈদ্যুতিক বাল্ব আবিস্কারের অনেক আগেই নাকি নিকোলা টেসলা ল্যাবে বাল্ব জালিয়ে কাজ করতেন ।

Nikola Tesla এর কয়টি অতি বিস্ময়কর এবং ভয়ঙ্কার আবিষ্কার

Nikola Tesla এর কিছু আবিষ্কার ছিল যে গুলো পৃথিবী ধংসের ক্ষমতা রাখতে পারতো । কিন্তু মানব কল্যাণের স্বার্থে তিনি নিজের হাতেই তৈরি করেই টা নষ্ট করেছিলেন । আর কয়টি আবিষ্কার তিনি

অর্থাভাবে করতে পারেন নি ।

1. Earthquake Machine :

1893 সালে নিকোলা টেসলা এমন একটি মেশিন তৈরি করেন যা দিয়ে বড় মাত্রার ভুমিকম্প তৈরি করে ফেলেছিলেন । এটি মূলত ছিল একটি Oscillator । যার নাম দিয়েছিলেন Tesla Oscillator.

এবং তিনি অনুভব করেছিলেন তাঁর যন্ত্রটিকে যদি খুব বড় পরিসরে তৈরি করা হয় পুরা পৃথিবীতে ভুমিকম্প সৃষ্টি করা যেতে পারে ।
মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করে তিনি নিজের হাতে হাতুরি দিয়ে ভেঙ্গে ফেলেছিলেন । এবং আবিষ্কারটিও হারিয়ে যায় ।

2.Artificial Tidal Wave :

সমুদ্রে বিশাল ক্রিত্তিম ঢেউ তৈরির প্রযুক্তি আবিষ্কার করে ফেলেছিলেন যা সুনামি তৈরি করতে সক্ষম ছিল এবং যা দিয়ে শত্রু পক্ষের জাহাজকে সেই ঢেউতে ডুবিয়ে দিতে পারতো ।

3. Thought Camera :

নিকোলা টেসলা সেই সময়েই এমন একটি ক্যামেরা তৈরির কথা বলেছিলেন যা মানুষের চিন্তা শক্তি থেকে ডাটাতে কনভার্ট করে সেই গুলোকে দেখা যাবে একটি স্ক্রিনে, এমন একটি প্রোজেক্ট । কিন্তু তিনি আর্থিক কারনে প্রোজেক্ট করতে পারেননি । সম্ভব হলে মানুষের কোন কিছুই আর গোপন থাকতো না ।

4.Electric-Powered Supersonic Airship :

তিনি এমন একটি Airship এর কথা বলেন যার গতি হবে এতই বেশি মাত্র ৩ ঘণ্টায় New York City এ যেতে London পারবে । কিন্তু এই আবিষ্কারটির সমস্ত মডেল , ডকুমেন্ট মৃত্যুর পরে হারিয়ে যায় ।

5.Philadelphia Experiment / Project Rainbow / teleportation

এটি ছিল Warld War 2 এর সময়ের একটি প্রোজেক্ট । আমেরিকার নৌবাহিনী জাহাজ অদৃশ্য করে শত্রু বাহিনীর চোখ ফাকি দিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই প্রোজেক্ট এর দায়িক্ত দেয়া হয়েছিলো নিকোলা টেসলাকে ।

সেই প্রোজেক্ট এ নিকোলা টেসলার অধীনে আলবার্ট আইন স্টাইনকেও টিম মেম্বার করা । নিকোলা টেসলা ছোট একটি boat এর ক্ষেত্রে সার্থক হয়েছিলেন । নিকোলা পুরোপুরি অদৃশ্য করে ফেলেন সেটিকে ।

কিন্তু এই পরীক্ষাটি করে সফল হওয়ার পর কিছু ভয়াবহ অভিজ্ঞতার পর নিকোলা টেসলা প্রোজেক্ট থেকে অব্যাহতি নেন এনং তিনি নিষেধ করেছিলেন আইনস্টাইন সহ বাকি যে মেম্বরদেরকে যাতে এই বড় জাহাজ এর ক্ষেত্রে এই পরীক্ষাটি না করা হয় ।

কিন্তু তাঁর পরেও পরীক্ষাটি করা হয়েছিলো জাহাজে কয়েকজন স্ক্রুসহ । পরে জাহাজটি অদৃশ্য হয়েছিল ঠিকই কিন্তু জাহাজে অবস্থিত স্ক্রুদের বিগলিত লাশ, কেউ কেউ মানুষিক ভারসাম্যহীন , এবং কাউকে জাহাজের দেয়ালে অর্ধেক শরীর ঢুকে থাকা অবস্থায় পাওয়া যায় ।

নিকোলা টেসলা কিন্তু আগে থেকেই এর ভয়াবহতা কল্পনা করেছিলেন ।

6.Anti Gravity Flying Matching :

১৯১১ সালে New York এর একটি মাগাজিনকে বলেন নিকোলা টেসলা আরও একটি Flying Matching নিয়ে কাজ করছিলেন যেটি দেখতে (UFO) এর মত হবে এবং যেকোন দিকে যেকোন গতিতে ছুটতে পারবে ।এটি আকাশে ওড়ার সময় গ্রাভিটি শুন্য হয়ে পড়বে ।

এবং বাতাসে স্থির অবস্থায় রাখা যাবে । কিন্তু এই মেশিনটিতে না থাকবে কোন পাখা না থাকবে কোন উইংস ।

7.Time Matchine :

নিকোলা টেসলা একমাত্র বিজ্ঞানী যিনি time machine নিয়ে কাজ করেছিলেন সবার প্রথম । অনেকেই মনে করেন তিনি টাইম মেশিন তৈরি করে ফেলেছিলেন ।

8.Death Ray/ Death Beam :

Nikola Tesla এর যে কয়টি ভয়াবহ আবিষ্কারের কথা বলে ছিলেন তাঁর মধ্যে একটি ছিল Death Ray . এটি এমন একটি যন্ত্র যা ২৫০ মাইল দূর থেকে ১০ হাজার যুদ্ধ বিমানকে এক সাথে ধংস করে দেয়ার ক্ষমতা রাখতে পারতো এবং যে কোন যুদ্ধকে শেষ করে দিতে পারতো ।

অনেকে বলেন তিনি এই যন্ত্রটি তৈরিও করে ফেলেছিলেন । কিন্তু এটি দিয়ে মানুষ পৃথিবী ধ্বংস করে দেবে চিন্তা করে এই যন্ত্র টিকেও তিনি নষ্ট করে ফেলেন ।

তাঁর লাবে একাধিকবার আগুন লেগে অনেক আবিষ্কারের ডকুমেন্টই পুরে গেছিলো ।

নিকোলা টেসলা তাঁর জীবনের অর্জিত সমস্ত সম্পদ আবিষ্কারের পেছনে ব্যয় করেছিলেন ।

পৃথিবী আজ নিকোলা টেসলাকে প্রায় ভুলে গেছে । কিন্তু পৃথিবী মানুষ গুলো খুব ভাগ্যবান যে এমন একজন জ্ঞানী পৃথিবীতে এসে সব কিছু আলোকিত করে দিয়েছিলেন ।

” হ্যাঁ তিনিই নিকোলা টেসলা, যাকে সম্মানকরি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ Engineer হিসেবে” 💜

সবশেষে, আবারো
আর্টিকেলের উদ্দেশ্য, আমরা যাতে সবাইকে যার যার প্রাপ্য সম্মান দিতে পারি সেদিকে লক্ষ রাখা।

লেখাগুলো বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংগ্রহীত।

আমাদের বিজ্ঞান গ্রুপ