আজ থেকে পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদন শুরু করেছে।

পরীক্ষামূলকভাবে কেন্দ্রটির ৬৬০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিট বুধবার (২৬ আগস্ট) বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিট থেকে উৎপাদন শুরু করে।

এর আগে ১৪ মে কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়।

প্রথম ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাণিজ্যিকভাবে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু হয়েছে।

কয়লা চালিত আলট্রা সুপার ক্রিটিকাল থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের মধ্যে এই কেন্দ্রটি প্রথম বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে আসলো।

প্রকল্প পরিচালক শাহ আব্দুল মাওলা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ৩টা ৪৫ মিনিটে আমাদের দ্বিতীয় ইউনিট চালু করা হয়েছে। এখন পরীক্ষামূলকভাবে কেন্দ্রটি চালানো হবে।

এখন ১০০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। পরে আস্তে আস্তে বাড়িয়ে এই ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট সরবরাহ করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (বাংলাদেশ) ও সিএমসি (চীন) এর যৌথ উদ্যোগে গঠিত বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) পটুয়াখালীর পায়রায় ৬৬০ মেগাওয়াট করে দুইটি ইউনিটে মোট এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লা চালিত তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়ন করছে।

পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পটুয়াখালী সদর হয়ে গোপালগঞ্জ জেলার মকসুদপুর উপজেলায় নবনির্মিত ৪০০/২৩০ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রে যুক্ত হয়ে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ আসবে।

তবে এখনও সঞ্চালন লাইন তৈরি না হওয়াতে কেন্দ্রটি পূর্ণাঙ্গ বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে না। এখন দুটি ইউনিটকে অর্ধেক লোডে চালানো হবে।

আগামী বছরের শেষ নাগাদ সঞ্চালন লাইন তৈরি হলে ঢাকায় এই বিদ্যুৎ আনা সম্ভব হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

//মাহফুজ আলম