তৃতীয়_পর্ব (তিন পর্বের)
#আলবার্ট সাধারন আপেক্ষিকতা তত্ত্ব দিয়ে দ্বিতীয় মহাদ্বন্দর অবসান করে তৃতীয় মহাদ্বন্দে জড়িয়ে পড়েন। নিলস হেনরিক ডেভিড বোর Niels Henrik David Bohr (১৮৮৫–১৯৬২) ও আলবার্ট আইনস্টাইনের Albert Einstein (১৮৭৯–১৯৫৫) সাথে হালকা তিক্ত সম্পর্ক ছিল, সে কথা জানেন নিশ্চয়ই? সাধারণ আপেক্ষিকতা বনাম কোয়ান্টাম্ মেকানিক্স। ১৯ শতকের শুরুর দিকে যখন মহাবিশ্বের ক্ষুদ্রতর দুনিয়ার ধর্ম-কর্মর সাথে তখনকার পদার্থবিদ্যার ধারণা খাপ খাচ্ছিল না, অনেকগুলো স্পষ্ট সমস্যা তৈরি হচ্ছিল। তখন ৩ দশকের চেয়েও বেশী সময় ধরে বিজ্ঞানীরা নতুন এই শাখায় বিপ্লব ঘটায়। কোয়ান্টাম্ মেকানিক্স নতুন নতুন তত্ত্ব আবিষ্কার করে ক্ষুদ্রতর স্কেলের জগৎ সম্পর্কে আমাদের ধারনা দেয়।
. নিখুতভাবে বাঁকা জ্যামিতিক মহাকাশের যে ধারনা সাধারণ আপেক্ষিকতা আমাদের দেয়, কোয়ান্টাম্ মেকানিক্সের হিংস্র-এলোমেলো ও নাটকীয় আচরণের কাছে তা একেবারে নির্বুদ্ধিতা। যদি আপনি নিলস বোরের মাইক্রোস্কোপিক মহারাজ্যে জন্মাতে পারতেন, তাহলে আপনাকে কোন রাস্তা পাড় হতে ডানে বায়ে তাকাতে হত না। আপনি চোখ বন্ধ করে তা করতে পারতেন। কারন কোন গাড়ীর সাথে আপনার সংঘর্ষ হলেও অদ্ভুতভাবে গাড়ী আপনাকে ভেদ করে চলে যাবে, আপনার গায়ে একটু আঁচড়ো লাগবে না; হাড়-গোড় ভাঙ্গা তো দুরের কথা। তবে আপনি বরফের টুকরো দেওয়া, এক গ্লাস শরবত খেতে গেলে ঝামেলায় পড়বেন। কারনের বরফের টুকরো কাঁচের গ্লাসের তলা ভেদ করে নিচে পড়ে যাবে। অবশ্য অন্য নতুন কোন গ্লাস আপনাকে কিনতে হবে না। এইবারও অদ্ভুতভাবে গ্লাসের এতে কিছুই হবে না, কোন ক্ষতি না করে বরফ এমনি গ্লাসের শক্ত স্তরের মধ্যে দিয়ে পাড় হয়ে যাবে। আমাদের প্রাকৃতিক বাস্তবতাকে বৃদ্ধা-আঙ্গুলী দেখিয়ে। বোরের মাইক্রোস্কোপিক মহারাজ্য নিয়ে চিন্তা করতে গিয়ে সবার মত আপনার মাথায়ও ঘূর্নিরোগ সৃষ্টি করছে তো?
. যদিও চিরায়ত পদার্থবিদ্যার যুক্তি মোতাবেক মহাশূন্যের বায়ুশূন্য স্থানে মহাকর্ষের পরিমান ‘০’ জিরো। কিন্তু কোয়ান্টাম্ মেকানিক্স দেখায় গড় মহাকর্ষ শূন্য হলেও, কোয়ান্টাম্ ফ্লাক্-চিউয়েশনের ফলে নির্দিষ্ট স্থানে এটি উঠা নামা করে ‘০’ থাকে না। অনিশ্চয়তা নীতি অনুসারে মহাশূন্যের যত ছোট থেকে ছোটতর স্থানের দিকে আপনি ফোকাস নির্দিষ্ট করবেন, এই উঠা নামা তত বেশী বাড়তে থাকবে। ফলে স্থান মহাকর্ষীয় বল দ্বারা নিখুঁতভাবে না বেকে, ফ্লাক্-চিউয়েশন তরঙ্গের অবিরত উঠা নামার জন্য এবড়োখেবড়ো, দুমরানো-মোচরানো হয়ে যাবে।
. আলবার্ট নিজের জীবনের শেষ ভাগটা এ দ্বন্দ সমাধানের পিছনে ব্যয় করে ব্যর্থ হন সাথে ব্যর্থ নিলস বোরও। দ্বন্দ চলতে থাকে 1980 সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত। যতক্ষন না স্ট্রিং থিওরি একটি মীমাংসা প্রস্তাব করে যে কোয়ান্টাম্ মেকানিক্স এবং সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদ নির্মিত স্থান এবং সময় সম্বন্ধে আমাদের নিজস্ব ধারণার গুরুতর উন্নতিসাধন করা প্রয়োজন। আমাদের অধিকাংশই মেনে নেই যে আমাদের মহাবিশ্বের তিনটি স্থানিক মাত্রা আছে। কিন্তু স্ট্রিং তত্ত্ব অনুযায়ী আমাদের মহাবিশ্বের এর চেয়েও অনেক বেশি মাত্রা রয়েছে, যা আমাদের চোখের মাপকাঠির মাপে ঘনীভূত নয়। মানে এই মাত্রাগুলো দৃষ্টিগোচর নয়। স্ট্রিং তত্ত্ব এখন পর্যন্ত ১১ মাত্রার মহাবিশ্বের সাথে আমাদের পরিচয় করিয়েছে। সত্যিকার অর্থে, স্ট্রিং তত্ত্ব আইনস্টাইনের পর থেকে স্থান এবং সময়ের নতুন গল্পের সূচনা করে।
. স্ট্রিং তত্ত্ব, সাধারণ আপেক্ষিকতা ও কোয়ান্টাম্ মেকানিক্সের দাবি মাঝামাঝি পর্যায়ে একটা সমঝোতা করে দেয়। এ তত্ত্ব আলবার্টকে বলে মহাশূন্য এত নিখুঁতভাবে বাকে না মহাশূন্য কিছুটা দোমরানো-মোচরানোও বটে এবং বোরকেও বলে মহাশূন্য আবার এতটাও দোমরানো-মোচরানো না অনেকটা নিখুঁতভাবেই বাঁকা। মানে মহাশূন্য কিছুটা নিখুঁতভাবে বাঁকা ও কিছুটা দোমরানো-মোচরানো। আজ বেচে থাকলে দুইজনর মুখেই হয়ত বিজয় ও পরাজয়ের শয়তানি মুচকি হাসি দেখা যেত। ধন্যবাদ। (সমাপ্ত)
সম্পূর্ণ আর্টিকেলের লিংক কমেন্টে।
.
#এম_এন_মাহমুদ
#হ্যাপি_রিডিং
(পেজের লেখা বা সেবা যদি ভালো লাগে অথবা কোনভাবে আপ্নারা উপকৃত হন, তাহলে ৫* রিভিউ দিয়ে মতামত জানান। এটা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। পেজের লেখাগুলো সবার আগে পেতে ফলোয়িং অপশনে গিয়ে সী ফার্স্ট সেট করুন। নিয়মিত লাইক না দিলে লেখা আ[পনার সামনে যাবেনা। কমেন্ট এ লেখা সম্পর্কে আপনার মতামত জানান। গুরত্বপূর্ণ লেখাগুলো শেয়ার করে নিজের টাইমলাইনে রাখুন) Write Review here – https://www.facebook.com/pg/EngineersDiary16/reviews/?ref=page_internal join our Community group https://www.facebook.com/groups/CEESBD/ Science Study- https://www.facebook.com/groups/ScienceStudy.EngineersDiary/ Join for admission Query https://www.facebook.com/groups/EMV17/ visit our website- https://engineersdiarybd.blogspot.com/ )