যারা ফার্মেসি নিয়ে কমফিউজড তাদের জন্য….
Subject Review :- Pharmacy
ফার্মেসী সাব্জেক্ট টা হলো ওষুধ নিয়ে
পড়াশোনা
ফার্মেসি স্বাস্থ্যবিজ্ঞ্যানের একটি বিশেষ শাখা যা
মূলত
রসায়নের সাথে জীববিজ্ঞ্যানের একটি
যোগসূত্র হিসাবে কাজ করে। মুলত ঔষধ ও
কসমেটিকসের
প্রস্তুতি, ব্যবহার এদের নিরাপদ ও সঠিক বিতরণ ও
পরিবেষণ(Dispensing) ইত্যাদি সবই এর আলোচ্য
বিষয়। আধুনিক যুগের ফার্মাসিস্টদের কাজ হচ্ছে
ঔষধ উৎপাদন ও সংরক্ষণ,ঔষধ সম্পর্কে সঠিক তথ্য
বিতরণ, এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, সঠিক
চিকিৎসাগত প্রয়োগ ইত্যাদি। অতঃপর একজন
ফার্মাসিস্ট হলেন সেই বেক্তি যে এই সকল
বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।
ফার্মেসী এর প্রধান শাখা গুলো হলো-
১- হসপিটালিটি /ক্লিনিকাল ফার্মেসী
২- ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল ফার্মেসী
৩- কমিউনিটি ফার্মেসী
৫-নিউক্লিয়ার ফার্মেসী
৬- অনলাইন ফার্মেসী
৭- ভেটেরিনারি ফার্মেসী
উপরেরে ১ নং টা এদেশের ডাক্তার রা ব্লক করে
রাখছে
২ নং টা পুরুদমে এদেশে চলছে
৬ নং টা হালকা- পাতলা চলে আর কি
৭ নং টা যারা ডিভিএম সম্পন্ন করেন তাদের জন্য
উপরের লেখা থেকে যেটা বুঝা যায় সেটা
হলো
আমাদের দেশের ফার্মাসিস্ট দের মূল কাজ
হলো
indrustry তে।
আমাদের দেশে প্রায় ৩০০+ অনুমোদিত ওষুধ
কোম্পানি আছে। যারা আমাদের দেশের চাহিদা
মিটিয়েও দেশের বাইরে ওষুধ রপ্তানি করছে।
মোট কথা এদেশ ওষুধ এ সয়ংসম্পূর্ণ।
এসব কোম্পানির প্রোডাকশন, প্রোডাক্ট
ম্যানেজম্যান্ট,
প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, কোয়ালিটি
কন্ট্রোল,
ট্রেনিংসহ বিভিন্ন বিভাগে গ্র্যাজুয়েট
ফার্মাসিস্টদের চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষকতা,
গবেষণা এবং দেশের বাইরে কাজ করার সুযোগ
তো আছেই।
হসপিটালিটি ফার্মেসী নিয়ে কিছু ধারণা দেওয়া দরকার
• ওষুধ এবং অন্যান্য চিকিৎসা আনুষাঙ্গিক সংগ্রহ,
সংরক্ষন, প্রস্তুত এবং ওষুধের প্রয়োগ।
• স্টক নিয়ন্ত্রণ, স্টোরেজ, অর্ডার দেয়া ,
লেবেল
লাগানো এবং আর্থিক বাজেট স্থাপনের দায়িত্ব
গ্রহণ
এবং ডিসপেন্সারীর হিসাবরক্ষন।
• ওষুধ সরবরাহ এবং ওষুধের প্রয়োগ যথাযথ ফর্ম
নিয়ে আলোচনা করার জন্য রোগী, ডাক্তারএবং
নার্সদের সাথে সাক্ষাৎ করা।
অনেকেরই ধারণা, ফার্মাসি পড়লে শুধু ওষুধশিল্পে
কাজ করতে হয়। এর বাইরেও তাঁদের জন্য কাজের
নানা ক্ষেত্র রয়েছে। ফার্মাসিস্টদের কাজ শুধু
ওষুধ
কোম্পানিগুলোতে নয়, ওটা তাঁদের কয়েকটি
কাজের
জায়গার মাত্র একটি। এর বাইরে তাঁদের
সরকারি নানা দফতর, সরকারি- বেসরকারি হাসপাতাল ও
ক্লিনিক, কমিউনিটি ফার্মাসি,
শিক্ষকতা, গবেষণাসহ অন্যান্য ক্ষেত্র।
ফার্মাসিস্ট বা ওষুধ বিশেষজ্ঞ হলেন এমন এক
ব্যক্তি
যিনি ফার্মেসি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন
করেছেন
এবং বিধিবদ্ধ সংস্থা বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল
থেকে ফার্মেসি পেশা চর্চার জন্য নিবন্ধন
পেয়েছেন। দেশের হাসপাতালগুলোতে
ডাক্তার,নার্সদের পাশাপাশি ফার্মাসিস্ট থাকার কথা
থাকলেও স্বাধীনতার
৪২ বছর পরও আমরা এ সংস্কৃতিটা চালু করতে পারিনি।
উন্নত বিশ্বের স্বাস্থ্যসেবা সঠিকভাবে সম্পাদন
করেন ডাক্তার, ফার্মাসিস্ট ও নার্স। তাই স্বাস্থ্যবিজ্ঞা
ন ও
স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে
এদেশের ফার্মেসি সেবার মান বাড়ানো অতীব
জরুরি। তা না হলে স্বাস্থ্যসেবা আন্তর্জাতিক মানে
পৌঁছাবে না।
এ দেশের হাসপাতালগুলোতে ফার্মেসি সেবা ব
বাজার থেকে ওষুধ সংগ্রহ করা এবং ব্যবস্থাপত্র
অনুযায়ী রোগীর কাছে হস্তান্তর করা। এটা
খুবই আনন্দদায়ক ও আশার বিষয় যে এদেশের
বেসরকারি হাসপাতাল, যেমন স্কয়ার, ইউনাইটেড,
অ্যাপোলো কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই উন্নত
মানের
ফার্মেসি সেবা দানের জন্য ফার্মাসিস্ট নিয়োগ
করছে।
কিন্তু সেটা যথেষ্ট নয়।
– ফার্মেসী শিক্ষার বিভিন্ন ডিগ্রী রয়েছে
১- ডি ফার্ম (ডিপ্লোমা ইন ফার্মেসি)
২- বি ফার্ম ( ব্যাচেলর অব ফার্মেসী)
৩- ফার্ম ডি ( ডক্টর অব ফার্মেসী)
আমাদের দেশের অনেক গ্রাজুয়েট রাও মাঝে
মাঝে
১ নং ও ২ নং কে মিক্স করে ফেলেন। যাইহোক
আমি একটু এই ব্যাপারে কিছু ধারণা দেই-
১ নং টা হলো ২ বছরের কোর্স এটা শেষ
করলে
২ নং টা করতে পারবেন এবং তার পর -M.pharm
PhD করতে পারবেন
৩ নং টা হলো ৫ বছরের কোর্স যেটা আপনি
HSC পাশ করেই শুরু করতে পারবেন। আর এটা
করলে আপনাকে ২ নং বা M.pharm করতে
পারবেন না
আর phD করারও দরকার নেই আপনি এমনিতেই
নামের আগে Dr লিখতে পারবেন।
৩ নং টা হলো সারা World এ সমান ভাবে গ্রহন
যোগ্য।
আগে বি.ফার্ম করেই আমেরিকাতে যাওয়া যেত।
এখানে আমেরিকার কথা বলছি কারণ ওইদেশে
এদের
প্রচুর ডিমান্ড। আগে তো সবাই একটা কথাই
বলতো
ফার্মেসী পড়ো, আমেরিকাতে উড়ো….
কিন্তু এখন বি.ফার্ম করে আমেরিকাতে যাওয়া যায়না।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে আমাদের দেশে
এই ডিগ্রি টা এখনো চালু হয় নাই।
ঢাবি, জাবি এবং এন এস ইউ এটা খুলতে চাইলেও
ইউসিজি তাদের অনুমুদন দেয় নাই।এখন এইগুলাতে
৫ বছরের বি.ফার্ম প্রোফেশনাল নামের একটা
আলাদা
ক্লিনিকাল ফার্মেসী চালু আছে যা দিয়ে America
তে
NAPLEX. exam এ অংশগ্রহণ করা যায়।
এই দিক দিয়ে আমরা অনেক পিছিয়ে…..
প্রতি বছর ১৫০০+ গ্রাজুয়েট বের হয়.. সো
ফার্মেসী পড়ার আগে অপেক্ষাকৃত ভালো
ইউনিভার্সিটি ছাড়া না পড়াই ভালো।
১৯৯৭ সালে একবার পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে
দেশের বড় ৬টি হাসপাতালে ’হসপিটাল ফার্মেসি’
চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু হাসপাতালের
মধ্যে দ্বৈত প্রশাসন সৃষ্টি হবার ধুয়া তুলে
তৎকালীন
কারো কারো বিরোধিতায় সেটি বাস্তবায়নের
উদ্যোগ
নেয়া হয়নি। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মত
’হসপিটাল ফার্মেসী’ চালুর উদ্যোগ সফল হলে
সার্বিক ওষুধ
শিল্প এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্যই মঙ্গলজনক হবে।
বিশেষজ্ঞ ফার্মাসিস্টরা চিকিৎসার জন্য ওষুধ
ব্যবহার সংক্রান্ত জটিলতার।সমাধান, ওষুধের সুষ্ঠু
ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার
নজরদারি ও প্রতিরোধকরণে বিশেষ পারদর্শী।
সর্বোপরি রোগীর চাহিদা অনুযায়ী ফার্মেসি
সেবা প্রদ
করতে হলে ফার্মাসিস্টের কোনো বিকল্প
নেই।
মোট কথা হলো এই সেক্টর টাই আমাদের
দেশের
ডাক্তাররা ব্লক করে রেখেছে।
আর আমাদের দেশে কয়েক বছর ধরে
ফার্মাসিস্ট দের
রেজিস্ট্রি পরীক্ষাই হচ্ছে না। আশা করি সরকার
দ্রুত
এই সমস্যা গুলোর সমাধান করার চেষ্টা করবেন।
তোমরা যারা ফার্মেসি পড়ছ বা পড়তে চাচ্ছো
তাদের জন্য এক বড় ভাইয়ের কিছু কথা রেখে
গেলাম+-
“”””””””””””””””””””” শুরুটা আনেক মজার হয়। স্বপ্ন,
সত্যি বলতে রঙ্গিন স্বপ্ন
নিয়ে ফার্মেসিতে পড়া শুনা।
আমার ধারনা, কেউ এই ধারনার
বাইরে নই বা ছিলাম না। কিন্তু
বাস্তবতা বড়ই কঠিন এক
পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। ACID BASE
TITRATION এর মতন COLOUR থেকে যেন
মুহূর্তেই COLOURLESS হয়ে যায় পাশ
করে বের হবার পর। কিন্তু আমরা ঠিক
এই সময় টাতে পথ প্রদর্শকের
অভাবে REVERSE REACTION এর
কথাটা ভুলে যাই। যেটা আমাদের
দিতে পারে আবার সেই রঙ্গিন
স্বপ্নের বাস্তব রুপ। আর REACTION সফল
করতে গেলে সামান্য
সময়তো দিতেই হবে। ক্যারিয়ার এর
এই পর্যায় এসে এততুকু তো বলতেই
পারি যে, সঠিক প্রস্তুতি ও
পরিকল্পনা ছাড়া সামান্য TITRATION
REACTION সম্ভব না ক্যারিয়ার
কিভাবে হবে!
আমরা আমাদের চিরাচরিত দোষ
চাপানো অভ্যাস পরিবর্তন
না করা পর্যন্ত এই পরিস্থিতির
উন্নতি বেশ কঠিন। আমাদের দেশের
প্রেক্ষাপট থেকে আনেক কিছুই
করা প্রয়োজন তাই বলে কি সব
হচ্ছে? শুধু ফার্মেসি কাউন্সিল এর
রেজিস্ট্রেশন নয়, প্রেসক্রিপশন
প্রাকটিস, COMMUNITY PHARMA SHOPS, R&D,
RESEARCH APPLICATION IN INDUSTRY, RAW
MATERIAL
PRODUCING IN BANGLADESHএগুলও সমান
ভাবে প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, শুনতে আনেক
বড়ো মনে হলেও আমরা ছোট
আকারে শুরু করতে পারলেও এর
ব্যাপ্তি হবে মাত্র ২-৩ বছরে। কিন্তু
প্রশ্ন হল এই OPPORTUNITY গুল
নিয়ে আমরা ভেবেই সময় কাটাই।
আর সেই
সাথে বাড়তে থাকে আমাদের
হতাশা। ব্যক্তিগত ভাবে আমি খুবই
হতাশ এত OPPORTUNITYএর
কথা আমরা বলি, এত
দাবি দাওয়া আমাদের কিন্তু
উন্নতির
সাথে সাথে কিভাবে বর্তমান
পরিস্থিতিতে আমরা এগিয়ে যাব
কিভাবে আমরা আমাদের
আরো মজবুত করে গড়ে তুলব
সেব্যাপারে মনে হয় আমাদের
মাথা বেথা বেশ খানিকটা কম।
নিজেদেরকে আর একটু
গোছানো প্রয়োজন। ক্যারিয়ার
গড়ে তোলার আগে ক্যারিয়ার
নিয়ে নিজেকে বেশ
খানিকটা প্রস্তুত করে নেয়া ভাল।
আশার
কথা যদি বলি তাহলে আমাকে বলতেই
হবে ফার্মেসি পাশ করার পর
ক্যারিয়ার অপেক্ষা করছে, কিন্তু
জানা দরকার
আসলে আপনি কি চান?
পিছুটান মোকাবেলাঃ
আমার চোখে এই পিছুটান শব্দ টা শুধু
একটা বস্তুর সাথে মিশে সেটা হল
টাকা। কিন্ত এখানেও আমরা ভুল
করি, ভুল করে সোনার ডিম
পাড়া হাঁস টাকে বলি দিয়ে দেই।
আমার মতে সোনার দিম পাড়া হাঁস
টা হল আমাদের প্লানিং (PLANNING)
এবং সেই প্লানিং এর জন্য উপযুক্ত
সময়। এই পিছুটান এর কারনেই
আমরা পথভ্রশ্ত হই। মনে প্রশ্ন
জাগছে তাহলে কি এই টাকার
কথা ভাবা যাবে না ! যাবে,
কিন্তু সেটার জন্য প্রয়োজন সঠিক
ক্যারিয়ার প্লান।
ইচ্ছা থাকলে উপায় হয় কথাটা সবার
জানা কিন্তু আমাদের ইচ্ছে কাজ
করেনা যখন আমরা আমাদের ৪ বছরের
পড়ালেখা শেষ করে বসে থাকি।
এই সময় তার জন্নে এক্তু প্রস্তুত
থাকা ভাল তবে ৪র্থ
বর্ষে পা রাখার সাথেই ভাবা শুরু
করা দরকার আমি কি করব,
কিভাবে আমি আমকে এই
প্রতিজোগিতার জন্য তৈরি করব ?
অপ্রিয় সত্যঃ
৪র্থ বছরের সবচেয়ে বড়ো ভুল হল TOP
PHARMACEUTICALS এ INTERNSHIPএর জন্য
সচিবালয় পর্যন্ত সুপারিশ। সহজ
উপায়ে সঠিক পথে গ্রুপ
করে যেভাবে যেখানে INTERNSHIP
পাওয়া যায় সেখানেই TRAINING
টা সেরে নেয়া ভালো।
সত্যি বলতে INTERNSHIP IN BRAND
PHARMACEUTICAL WILL NOT GIVE ANY GOOD
CAREER OPTION. বাংলাদেশে সদ্য
জনপ্রিয় ফার্মেসি প্রফেশনাল দের
যতো COMMUNITY আছে আমার মনে হয়
অন্য কোন প্রফেশনএ এতটা পথ
এগোতে বেশ খানিকটা সময় পার
করতে হয়েছিলো। এর পর ও
আমরা একে অপরের সাথে পরিচিত
নই। আমার ব্যক্তিগত মতে আনেক
বড়ো একটা খাঁদ
তৈরি হয়েছে এখান থেকে।
আমরা নিজেরাই ব্যস্ত মামা-
চাচা কে নিয়ে কেনই বা দোষ
দেব তাদের ছাড়া কিছু হায়
না কিংবা অন্য কেউ HELP করেনা।
৪র্থ বছরের কার্যক্রমঃ
শুরুটা যেভাবে ভাবতে হবে, আমার
আসলে কোন ভাবে RESEARCH/HIGHER
STUDY এরিয়াতে কাজ করার
POSSIBILITYআছে কিনা? অবাক হবার
কিছু নেই এই কারনে যে ৫০-৬০%
ছাত্র ছাত্রী নিজে থেকেই
ভেবে রাখে সে এই
পথে এগবে না। যদি বিন্দু মাত্র
ইচ্ছা না থাকে তবে ৪র্থ বছরের
শেষে থিসিস নিয়ে ল্যাব এ কাজ
করাটা যুক্তিযুক্ত হবে বলে মনে হায়
না। যারা আনিশ্চিত কিন্তু
ইচ্ছা আছে ভবিষ্যতে পড়া লেখা করার
অথবা RESEARCH
এরিয়াতে অথবা বাংলাদেশেই
R&D/RESEARCH BASE কাজ করার তাদের
উচিৎ শুরু থেকেই নিজ নিজ
DEPARTMENTএ নিজেকে বিভিন্ন
প্রোজেক্ট এ SENIOR দের
সাথে কাজে ব্যস্ত
রাখা এবং থিসিস এ ল্যাব এ
একটা প্রজেক্ট করা।
ফার্মাসিস্ট ক্যারিয়ারঃ
আমাদের সবাই
জানি আমরা বাংলাদেশে এবং দেশের
বাইরে যেসব এরিয়াতে কাজ
করতে পারি। শুরুতে যেটা আমাদের
একটা ভুল ধারনা সেটা হল
ফার্মাসিস্ট মানেই ঔষধ
শিল্পে কাজ করা সেটা হোক
PRODUCTIONঅথবা PMD (PRODUCT
MANAGEMENT
DEPARTMENT). কিন্তু মনে রাখা উচিত
আমি যদি ভেবে নেই যে আমার
শিক্ষা গ্রহন শেষ
তবে সেটা হবে বড়ো ভুল। তাই
দেরি না করে আগে ভাগে মাস্টার্স
শুরু করে দেয়া ভালো। এক
সাথে চাকরি খোঁজা সে দিক
থেকে চিন্তা করলে আমি আরও
১-১.৫ বছর হাতে পেলাম। পরিচিত
একটা কথা ক্লাসে স্যার দের
মুখে শুনতে শুনতে অভ্যস্ত ছিলাম আজ
আমি বলছি – “কেউ
বসে থাকবে না জব হয়ে যাবে”।
তাহলে সময় টাকে মাস্টার্স এ
কাজে লাগান হল
সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। তার উপর
বাংলাদেশি প্রেক্ষাপটে ফার্মেসি তে অনার্স
করার পর ও আমরা জানিনা এই
পেশার ক্ষমতা, পরিধি ও সম্মান।
HOSPITAL OR COMMUNITY PHARMACY
পেশা নিয়েইয়ে অনেক যুদ্ধের পর
এখন বেশ কিছু PRIVATE হাসপাতাল এ এই
পেশার দরজা খুললেও
সেটা প্রয়জনের তুলনায় কম। তুলনায়
কম হলেও মোটামুটি সবগুলো SECTOR ই
ক্যারিয়ার ফোকাস করার জন্য বেশ
মজবুত ভিত্তি।
CONFIDENTএবং দৃঢ় প্রতিজ্ঞা বদ্ধ
যদি কেউ শুধুই INDUSTRY BASE
কাজে নিজের ক্যরিয়ার
গড়তে চান তবে সময় নষ্ট
না করে MASTERS IN PHARMACEUTICAL
SCIENCE/INDUSTRIAL BASIS SUBJECT এ
করে ফেলা ভালো।
এক্ষেত্রে দেশের
বাইরে থেকে শিক্ষা নিতে চাইলে ইউরোপ
এর আওতাভুক্ত দেশ গুল ভালো হয়।
তবে নিজ দেশে ক্যরিয়ার গড়ার
ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত
আপনাকে দেবে আনেক
বড়ো একটা সুযোগ দ্রুত ক্যরিয়ার দাড়
করাতে। এসব ক্ষেত্রে এশিয়ান দেশ
গুলোর জব ADVERTISEMENT এ নজর
রাখলে হয়ত আপনি সেখানেও
সুযোগ হয়ে যেতে পারে আপনার
ক্যরিয়ার এর হাতেখড়ি।
এবার MANAGEMENT / MARKETING SECTOR এর
ক্ষেত্রে আনেকে MBA করবার
জন্নে বললেও আমি বলব
শুরুতে মাস্টার্স
টা করে নেয়া ভালো। তবে M.PHARM
WITH MARKETING/ MANNAGEMENT যদি কোন
সুযোগ
থাকে তাহলে সেটা হবে সবচেয়ে শ্রেয়।
HOSPITAL OR COMMUNITYএরিয়াতে কাজ
করার ইচ্ছে থাকলে M.PHARM WITHHOSPITAL
OR COMMUNITY PHARMACY / PUBLIC HELATH
RELATED SUBJECT এ মাস্টার্স
আপনাকে আনেক সহযোগিতা করবে।
এমন কি এই বিষয়ে বেশ কিছু
দেশে আপনি ফ্রী পড়াশুনার ও
সুযোগ পেতে পারেন যদি আপনার
track record ভাল হয়ে থাকে।
এছাড়া কিছু ডিপ্লোমা করার ও
সুযোগ রয়েছে EUROPE/AUSTRALIA তে।
বাংলাদেশি অথবা ইন্ডিয়ান কিছু
ছাত্র ছাত্রী দের কাছ
থেকে জানতে পেরেছি এই
লেভেলের পড়াশুনা গুলতে বেশ
SCHOLARSHIP পাবার সুযোগ রয়েছে।
তবে হ্যা পড়া শেষ করে এই
এরিয়াতে ক্যরিয়ার গড়ার
ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ
শ্রেয়। কারণে উন্নত দেশ গুলতে এই
এরিয়াতে কাজ করতে প্রয়োজন
হবে সেই নিবন্ধন (REGISTRATION)
বাকি থাকা এরিয়া গুলো অনেক
টাই নিজের ইচ্ছা আর
সামনে পড়াশুনার প্রবল ইচ্ছাই
টেনে নিয়ে যেতে পারে।
তবে সব গুলো ক্ষেত্রেই সময়
টাকে মূল্য দেয়া অনেক প্রয়োজন।

2.Subject Review :- Pharmacy
ফার্মেসী সাব্জেক্ট টা হলো ওষুধ নিয়ে পড়াশোনা 
ফার্মেসি স্বাস্থ্যবিজ্ঞ্যানের একটি বিশেষ শাখা যা মূলত
রসায়নের সাথে জীববিজ্ঞ্যানের একটি যোগসূত্র হিসাবে কাজ করে। মুলত ঔষধ ও কসমেটিকসের
প্রস্তুতি, ব্যবহার এদের নিরাপদ ও সঠিক বিতরণ ও পরিবেষণ(Dispensing) ইত্যাদি সবই এর আলোচ্য বিষয়। আধুনিক যুগের ফার্মাসিস্টদের কাজ হচ্ছে ঔষধ উৎপাদন ও সংরক্ষণ,ঔষধ সম্পর্কে সঠিক তথ্য বিতরণ, এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, সঠিক
চিকিৎসাগত প্রয়োগ ইত্যাদি। অতঃপর একজন ফার্মাসিস্ট হলেন সেই বেক্তি যে এই সকল
বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।
ফার্মেসী এর প্রধান শাখা গুলো হলো-
১- হসপিটালিটি /ক্লিনিকাল ফার্মেসী
২- ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল ফার্মেসী
৩- কমিউনিটি ফার্মেসী
৫-নিউক্লিয়ার ফার্মেসী
৬- অনলাইন ফার্মেসী
৭- ভেটেরিনারি ফার্মেসী
উপরেরে ১ নং টা এদেশের ডাক্তার রা ব্লক করে রাখছে
২ নং টা পুরুদমে এদেশে চলছে
৬ নং টা হালকা- পাতলা চলে আর কি
৭ নং টা যারা ডিভিএম সম্পন্ন করেন তাদের জন্য
উপরের লেখা থেকে যেটা বুঝা যায় সেটা হলো
আমাদের দেশের ফার্মাসিস্ট দের মূল কাজ হলো
indrustry তে।
আমাদের দেশে প্রায় ৩০০+ অনুমোদিত ওষুধ কোম্পানি আছে। যারা আমাদের দেশের চাহিদা মিটিয়েও দেশের বাইরে ওষুধ রপ্তানি করছে।
মোট কথা এদেশ ওষুধ এ সয়ংসম্পূর্ণ।
এসব কোম্পানির প্রোডাকশন, প্রোডাক্ট ম্যানেজম্যান্ট,
প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, কোয়ালিটি কন্ট্রোল,
ট্রেনিংসহ বিভিন্ন বিভাগে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষকতা, গবেষণা এবং দেশের বাইরে কাজ করার সুযোগ তো আছেই।
হসপিটালিটি ফার্মেসী নিয়ে কিছু ধারণা দেওয়া দরকার
• ওষুধ এবং অন্যান্য চিকিৎসা আনুষাঙ্গিক সংগ্রহ,
সংরক্ষন, প্রস্তুত এবং ওষুধের প্রয়োগ।
• স্টক নিয়ন্ত্রণ, স্টোরেজ, অর্ডার দেয়া , লেবেল
লাগানো এবং আর্থিক বাজেট স্থাপনের দায়িত্ব গ্রহণ
এবং ডিসপেন্সারীর হিসাবরক্ষন।
• ওষুধ সরবরাহ এবং ওষুধের প্রয়োগ যথাযথ ফর্ম নিয়ে আলোচনা করার জন্য রোগী, ডাক্তারএবং নার্সদের সাথে সাক্ষাৎ করা।
অনেকেরই ধারণা, ফার্মাসি পড়লে শুধু ওষুধশিল্পে কাজ করতে হয়। এর বাইরেও তাঁদের জন্য কাজের
নানা ক্ষেত্র রয়েছে। ফার্মাসিস্টদের কাজ শুধু ওষুধ
কোম্পানিগুলোতে নয়, ওটা তাঁদের কয়েকটি কাজের
জায়গার মাত্র একটি। এর বাইরে তাঁদের
সরকারি নানা দফতর, সরকারি- বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক, কমিউনিটি ফার্মাসি,
শিক্ষকতা, গবেষণাসহ অন্যান্য ক্ষেত্র।
ফার্মেসী শিক্ষার বিভিন্ন ডিগ্রী রয়েছে
১- ডি ফার্ম (ডিপ্লোমা ইন ফার্মেসি)
২- বি ফার্ম ( ব্যাচেলর অব ফার্মেসী)
৩- ফার্ম ডি ( ডক্টর অব ফার্মেসী)
যার মধ্যে খুবি তে বি ফার্ম ডিগ্রির কোর্স চালু আছে।যার মেয়াদ ৪ বছর।
অনেকের ই প্রশ্ন থাকে ভাইয়া ৫ বছরের কোর্স না করে ৪ বছরের কোর্স করলে কি ক্যারিয়ারে র জন্য সেটা সমস্যা হবে কি না?এর উত্তর অবশ্যই না।৫ বছরের কোর্স করে স্পেশাল কোন সুবিধা বাংলাদেশে পাবা না।বা ৪ বছরের কোর্স এ বিশেষ ক্ষতি হবে না বাংলাদেশে।সো ৫ বছর বা ৪ বছরের কোর্স নিয়ে টেনশন করো না।
খুবি ফার্মেসি পরিবার তোমাদের অপেক্ষায়
মূল লেখা:শাওন ভাই
ফিল ফ্রি টু আস্ক এনি কোশ্চেন এব্যাউট ফার্মেসি ডিসিপ্লিন