বর্তমানে বাংলাদেশে গণহারে সরকারী বড় কর্মকর্তাদের পিএইচডি নেবার একটা হিড়িক পড়েছে। এই জন্য পিএইচডি কি এবং কেন , কিভাবে নেয়া হয়, তা নিয়ে শর্টে একটু বলতে চাই।

পিএইচডিতে মূলত: কিভাবে আপনি রিসার্চ করে নতুন কিছু ইনোভেশন করবেন তা শিখানো হয়। রিসার্চ-ইনোভেশন এমন কিছু নয়, যে আপনি চাইলেই পেয়ে যাবেন। একই সাথে কিভাবে রিসার্চ করবেন, সেটা আপনাকে জানতে হবে, সেটা কোর্সওয়ার্ক না করলে হয়না।

সাথে সাথে একাধিক বিষয়ে আপনি রিসার্চ করে করে নিজের জন্য একটা বিষয় ঠিক করে আপনি ‘পিএইচডি ডিসারটেশন’ লিখা শুরু করবেন।
রিসার্চ করে কি পেলেন? এটা কেন ‘সামথিং নিউ; ? কিভাবে এক্সিসটিং লিটারেচারকে আপনার রিসার্চ সমৃদ্ধ করবে ?

— তা আপনি কমিটির সামনে ডিফেন্ড করবেন। ডিসারটেশন জমা দিবেন, যেটা প্রায় ৩-৫ টি জার্নালের সমতুল্য কাজ। কমিটিতে ৩-৫ জন অলরেডি পিএইচডি করা প্রফেসর/ইন্ডাস্ট্রিয়ালীস্ট থাকবেন, তারা প্রত্যেকে এগ্রি করতে হবে যে আপনি পিএইচডি সঠিকভাবে করেছেন। একজন বেকে গেলেই শেষ।

আপনি অবশ্যই ল্যাব এক্সপেরিমেন্ট, ডেটা / মডেলিং, পারফরম্যান্স মেজার করে নিজের হাইপোথিসিস প্রমান করতে হবে। কিভাবে প্রমান করবেন, সেটা কোর্সওয়ার্ক করে শিখবেন।

একই সাথৈ আপনি যা নতুন তৈরী করেছেন, তাকে ‘টপ/মাঝারি’ জার্নালে পাবলিশ করতে হবে, জার্নাল পেপার হিসেবে। পিয়ার রিভিউড জার্নাল হতে হবে। কনফারেন্স পাবলিকেশনে হয়না। মিনিমাম একটা জার্নাল পেপার না হলে কমিটি পিএইচডি দিতে চায়না। যদিও এটা বাধ্যবাধকতানা।

পিএইচডি করতে হলে আমেরিকান ভার্সিটিগুলোতে মোটামুটি ৪০ থেকে ৫২ ক্রেডিট পর্যন্ত কোর্স ওয়ার্ক করতে হয়। ( ভার্সিটি টু ভার্সিটি ভ্যারী করে )। ইউরোপীয়ান বা কানাডিয়ান ভার্সিটি ৩০-৩৬ ক্রেডিটে হয়।

এখানে পিএইডি লেভেলের কোর্সগুলো আন্ডারগ্র্যাড লেভেলের মতন শিশুতোষ নয়। আন্ডারগ্র্যাডে একটা বই হয়তো ১২ ক্রেডিট করে পড়ায়, পিএইচডি তে সেই একই বই মাত্র ৩ ক্রেডিটে শেষ করে দেয়। কারন পোলাপাইন বুড়া হয়ে গেছে। সুতরাং পিএইচডি লেভেলের ৩০-৩৬ ক্রেডিট কোর্সও অনেক ‘এডভান্সড’ এবং কমপ্লেক্স কোর্স হয়।

পিএইচডিতে কমপ্রিহেসনিভ এক্সাম হয়। বা কোয়ালিফাইং এক্সাম। ভার্সিটি টু ভার্সিটি ভ্যারী করে, বাট এটা খুব কঠিন পরীক্ষা। অনেকে ফেল করে , তখন ভার্সিটি চেঞ্জ করে অন্য ভার্সিটিতে চলে যেতে হয়, মাস্টার্স ডিগ্রী নিয়ে। কোয়ালিফাইং ছাড়া পিএইচডি হয়না। একটা কোয়ালীফাইং এক্সাম এটেন্ড করা = ২ টা জার্নাল লিখার সমান কাজ। জান বের হয়ে যায়।

অনেক টপ স্টুডেন্ট ২-৩-৪ ফার্স্ট অথার পেপার পাবলিশ করে পিএইচডিতে , এরা বেশী ব্রিলিয়ান্ট বা রিসার্চ এমন বিষয়ে করছে যেখানে স্কোপ বেশী, ভাল রেজাল্ট পেয়েছে; অথবা একই পেপার ঘুরিয়ে পেচিয়ে ৩ টা জার্নালে প্রকাশ করেছে। বাট ইটস ওকে।

কোয়ালিফাইং পাশ + ৪৪ ক্রেডিট কোর্সওয়ার্ক ( এডভান্সড ) + ১ টা জার্নাল মিনিমাম পাবলীশড ( বেশী হলে ভাল , তবে লাইনে অনেকগুলো থাকে) + কমপক্ষে ৪-৬ বছরের খাটাখাটুনি, কপাল খারাপ হলে ৮-১০ বছরও লাগতে পারে + ছুটিহীন বছরের পর বছর কাজ (মাঝে মাঝে সামারে ছুটি হতে পারে) + আর এ / টি এ ওয়ার্ক ( সপ্তাহে ২০ ঘন্টা) + _এসাইনমেন্ট _প্রজেক্ট _হোমওয়ার্ক _ কুকিং _ফেবুকিং_বাসা_টেইক কেয়ার_ + প্রফেসরের সাথে ঝগড়াঝাটি_মুহাব্বাত _এর সাইন_ওয়েভ ::: এইসব কাজ একসাথে টানা ৪-৬-৮ বছর করে (বিএস/এমএস এর পর) তারপর শতকরা ৫০% বা তারও কম ছেলেপেলে পিএইচডি পায়।

বাকি ৫০% বা তারও বেশী ছেলেপেলে পিএইচডি করতে গিয়ে ঝরে পড়ে। মাস্টার্স করে জবে ঢুকে পড়ে। মনে রাখবেন, যারা পিএইচডিতে ঢুকে তারা অলরেডী টপ / বেটার স্টুডেন্ট, তারপরও পারেনা। কিন্তু এত ঝামেলা বছরের পর বছর কষ্ট।

অনেকে পিএইচডি করতে গিয়ে আত্মহত্যা করে, ডিপ্রেশনে ভুগে। কারন এত চাপ নেয়া কষ্ট, আর বিদেশে পরিবারপরিজনও তো পাশে থাকেনা।

তবে ইউরোপ-জাপান :: এখানে কোর্সওয়ার্ক কম হওয়ায়, সময় কম লাগে ৩_৪ বছর মিনিমাম টাইমে হয়। কিন্তু আমেরিকায় ৪ বছরের আগে পিএইচডি অসম্ভব, (এভারেজ ৫-৬ বছর, অনেকেই ৮ – ১০ বছর পার করে, কিন্তু ফান্ডিং সাধারনত: এতদিন থাকেনা)।

৪ বছরের আগে আমেরিকায় কেউ পিএইচডি করলে সে সুপারম্যান / ফাকিবাজ: যে কোন একটা।

তারমানে বুঝতেই পারছেন, পিএইচডি করা একটি খুব ঝামেলার কাজ। নিতান্ত বাধ্য না হলে কেউ করেনা, দরকারও নেই সবার।

বাংলাদেশে গ্র্যাজুয়েশনের পর ভাল চাকরি না পাওয়ায়, ছেলেপেলে বিদেশৈ পিএইচডি করতে আসে, মূলত: ভাল ক্যারিয়ার গড়ার ধান্ধায়, নামের আগে ড. লাগানোর জন্য না।

কারন টাকা খুব কম দেয়, আর বেশ কষ্ট। একটা ড. লাগানোর জন্য এত কষ্ট পুষায় না। ডিগ্রী হলে ভাল জব পাওয়া যায়, এজন্য।

সমস্যা হল বাংলাদেশকে নিয়। এখন দেশে সরকারী কর্মকর্তারা তো গ্র্যাজুয়েট অনলী। কিন্তু অনেক বড় বড় পদে বসে আছেন। কিন্তু বিদেশে অনেকে পিএইচডি করে বসে আছে। বিদেশীদের সাথে চলতে একটু কষ্ট হয়। এত বড় পদে এত বড় স্যার, কিন্তু ___।

এজন্য প্রেডিটারী জার্নালে, একটা ফেইক পেপার পাবলিশ করে তারা নিজেদের আগে ড. বসায়। বলতে পারেন, মোটামুটি দশ ঘন্টার মধ্যে এরকম একটি ছোট পেপার তৈরী করা যায়, যেটা প্রেডিটারী জার্নাল পাবলীশ করে।

১-২ হাজার ডলার ফি দিবেন, ১-২ দিনে পাবলীশ করে দিবে। আর ফেইক ইউনি কে ৩-৪ লাখ টাকা দিবেন আরকি।

এরপর নামের আগে ড. লাগাবেন। নিজের ফেবু প্রফাইলে নামের আগে ড. লাগিয়ে নিজেকে হাসির পাত্রে পরিনত করবেন। পত্রিকায় নিউজ হবে, মানুষ আপনাকে নিয়ে হাসবে।

এরকম হাসছেও। কারন অন্য কেউ ১ লক্ষ ঘন্টা কাজ করে ৫-৬ বছরে পিএইচডি করেছৈ, আর আপনি ১০ ঘন্টা কাজ করে করেছেন।

সত্যিকারের পিএইচডি ফেবুতে নামের আগে ড. লাগায়না, মনে রাখবেন। কোথাও গিয়া বলেনা, এই আমি ডক্টরেট, আমারে ড. বলোনাই কেন? ( একমাত্র যেখানে দরকার সেখানে ছাড়া উল্লেখ করা হয়না )

কাজেই বাংলাদেশে এখন যে সরকারী বড় কর্মকর্তাদের পিএইচডিগুলো হচ্ছে, সেগুলো অধিকাংশক্ষৈত্রে সম্ভবত: ফেইক। কারন একই সাথে সরকারী কাজ করা এবং পিএইচডি করা : এটা অসম্ভব। কখন কোর্সওয়ার্ক করবেন? কখন রিসার্চ করবেন?

কখন রিসার্চ মিটিং করবেন: প্রতিসপ্তাহে ১-২ টা ৩-৫ ঘন্টা মিটিং হবেনা? কখন পেপার লেখবেন? কখন কোয়ালিফাইং দিবেন? কখন করবেন এসাইনমেন্ট_ প্রজেক্ট _ ফাইনাল এক্সাম _ কুইজ ? মানে দিন তো ৪৮ ঘন্টা না, মাত্র ২৪ ঘন্টা, সবার জন্যই। পিএইচডি নিজেই একটা হাই স্ট্রেস জব : একসাথৈ ৩ টা জবের সমান কাজ।

সরকারী কাজ করে আবার পিএইচডি করে কিভাবে? তাহলে তো ৫০ বছর লাগবে। কাজ থেকে ছুটি নিয়ে ভার্সিটিতে ভর্তি হলে তাহলে কিছুটা সম্ভব।

আসলে এজন্য সরকারী কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন বাহিনীর ‘স্যার’ রা যে পিএইচডি নিচ্ছেন ,এগুলো তদন্ত করে দেখা দরকার এবং সরকারের একটি ক্রাইটেরিয়া করা দরকার: যে এগুলো ফুলফীল না হলে পিএইচডি হয় নাই।

এতে সমস্যা হল, দেশে যারা প্রকৃত পিএইচডি করছেন, তারা বিপদে পড়ছেন, কারন দেশী পিএইচডি র ভ্যালূ কমে যাচ্ছে।

কারন কোন নিয়ম কানুন নাই, কোনটা আসল কোনটা নকল মানুষ কেমনে বুঝবে? কাজেই মানুষ সবগুলো নকল মনে করছে। যদিও দেশে কিছু কিছু ভার্সিটির কিছু কিছু প্রফেসর সত্যিকারের পিএইচডি করাচ্ছেন, কিন্তু তারাও মূল্য হারাচ্ছেন।

এক্সপ্লেইন করলাম, যাতে মানুষ বুঝতে পারেন, ফেইক পিএইচডি কোনটা। সাধারনত: সরকারী প্রভাবশালী কর্মকর্তারা যদি চাকরিরত অবস্থায় পিএইচডি করেন, বুঝবেন ফেইক। কাউকে কেউ খুশী করার জন্য দিচ্ছে। এরা মূলত: ড. গান্ডূ, হাসির পাত্র।

তবে এইসব ফেইক ড. গান্ডূদের সাথৈ ৫ মিনিট কথা বললেই বুঝা যায়, যে সে ফেইক ড. গান্ডূ। হাসির পাত্র। এরা বুঝেওনা, যে তাদের ড. ডিগ্রী তাদের অসম্মানিত করেছে, হাসির পাত্রে পরিণত করেছে। কারন তারা গান্ডূ।

ওকে, টেইক ইট ইজি। তবে ড. হওয়ার জন্য এত পাগল হবার কিছু নেই। আসল হল কাজ, সেটা করতে পারলেই হল। অনেকে পিএইচডি করেও করতে পারেনা, অনেকে না করে , করে ফেলে।

সফলতা আর সম্মান কি পিএইচডি ডিগ্রীর সাথে?

আসুন কিছু উদাহরন দিয়ে ব্যাপারটা খোলাসা করি। মনে করুন , নাসা। এখানে কাজ করা একটা সম্মানের ব্যাপার। কত হাজারো পিএইচডি নাসাতে কাজ করে। অথচ গত ৫০ বছর নাসা চেষ্টা করেও তাদের রকেট কে ভার্টিকাল ল্যান্ডিং করাতে পারেনি। কারন কাজটা খুব কমপ্লীকেটেড।

কিন্তু ইলন মাস্কের স্পেস- এক্স ভার্টিকাল ল্যান্ডিং করে দিছে, মাত্র ৩-৪ বছরের কাজ। আপনারা নিশ্চয়ই ভিডিও দেখেছেন। অথচ ইলন মাস্ক টেনে টুনে একটা ফিজিক্স পাশ করা লোক যে পিএইচডিতে ভর্তি হয়েই বের হয়ে গেছে: ড্রপআউট হইছে।

দেখেন ইলন মাস্ক কে, হাজারো পিএইচডি যা করতে পারেনি, ইলন মাস্ক তা করে দেখিয়ে দিয়েছে। কারন সে একজন উদ্যোক্তা, সে একজন এনট্রূপ্রূনার, সে একজন ব্যবসায়ী। সে জানে ম্যানেজমেন্ট কিভাবে করতে হয় , সে জানে লীডারশীপ কি জিনিস। ( এগুলো পিএইচডি অলাদের কমতি থাকা খুব স্বাভাবিক। )

কাজেই, পিএইচডি করে নামের আগে ড. বসালেই আপনি সম্মানিত তা নয়। বরং আপনার কাজই আপনার কর্মই আপনাকে সম্মানিত করবে।

খেয়াল করে দেখুন, স্টিভ জবস, বিল গেটস, জাকারবার্গ , ট্রাভিস কালানিচ ( উবার ) __ এই চার জন লোক পৃথীবীকে প্রায় ৪-৫ ট্রিলিয়ন ডলার বিজনেস দিয়েছেন, দুনিয়ার টেকনোলজিকে চেঞ্জ করে দিয়েছেন: কিন্তু এরা কেউ ইভেন গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লীট করতে পারেন নি।

এরা আসলে ইন্টার পাশ। জেফ বেজোস তো টেনে টুনে বিএস. আর ইলন মাস্ক বিএস. আর একমাত্র গুগলের সের্গেই ব্রিন / ল্যারী পেজ পিএইচডি, যেটা ব্যতিক্রম।

তার মানে টেনে টুনে ইন্টার পাশ করেই দুনিয়া সফল হওয়া যায় (আগেকার যুগে সেটাও দরকার ছিলনা)। বিএস ও দরকার নাই। রাইট? সফলতা এবং সম্মান আসে কাজের মাধ্যমে।

এবং মূলত সততা-নৈতিকতা, ম্যানেজমেন্ট করার দক্ষতা, ইমোশনাল ইনটেলিজেন্স, অপরকে এমপ্যাথি করার ক্ষমতা এবং লীডারশীপ থাকলে মানুষ পৃথিবীতে সফল হয়। ডিগ্রী দিয়ে এগুলো মাপা যায়না।

লোকে বলে বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নাকি ইন্টার পাশ। ঠিকআছে মানলাম। কিন্তু জিয়া ইন্টার পাশ করে বাংলাদেশকে গার্মেন্টস সেক্টর – বিদেশী শ্রমিক একপ্যাট্রিয়ট সেক্টর- ওষুধ সেক্টর স্টাবলিশড করেছে, ব্যাংকিং ক্ষেত্রকে বাচিয়েছে।

দেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করেছে। অথচ পিএইচডি করে ড. আবুল বারাকাত জনতা ব্যাংকের ৫০০০ কোটি টাকা চুরি করার ব্যবস্থা করেছে।
তাহলে পিএইচডি করে লাভ নাই যদি ….. কেউ চোর হয়…… ইন্টার পাশই যথেষ্ঠ।
আসলে মানুষ কাজ/কর্মের মাধ্যমে সম্মানিত হয়, ডিগ্রীর মাধ্যমে নয়।

বাংলাদেশে আজ সরকারী প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তারা গণ – পিএইচডি অর্জন করেছেন। কিন্তু প্রতিটা মন্ত্রণালয় ভঙ্গুর, কোন কাজই করতে পারেনা। অথচ ইন্টার পাশ জিয়া কতকিছু করে গেছে। তাহলে পিএইচডি করে কি লাভ বলেন?

(যদিও সরকারী কর্মকর্তাদের ড. অবশ্য ফেইক পিএইচডি ) । এজন্যই আজ নাসা ইলন মাস্কের পিছে পিছে ঘুরছে। ১৭০ বিলিয়ন ডলার ইনকাম করে ইলন মাস্ক আজ আরো কয়েক ট্রিলিয়ন বানানোর ফন্দি করছে।

তাহলে আসুন, ডিগ্রীকে এত ভ্যালু না দি। বরং নিজের কাজের দিকে তাকাই। কাজের মাধ্যমে নিজেকে গড়ি। ডিগ্রী দরকার, কিন্তু এতনা। আসলে দরকার কাজ। আমল। আমল করতে না পারলে ডিগ্রী কইরেও আপনি বেকার থাকবেন, বা কাজে আসবেনা।

অকারন ফেইক পিএইচডি ডিগ্রী নিয়ে নিজেকে হাসির পাত্রে পরিণত না করে আসুন কাজে মনোযোগ দি। ইনশাআল্লাহ দেশ ও জাতির উন্নতি হবে।

পুনশ্চ: ডিগ্রী দরকার আছে। কিন্তু নৈতিক স্ট্যান্ডার্ড মেইন্টেইন করেই হতে হবে। তবে চরমভাবে ডিগ্রী প্রেমিক না হই। অকারন ডিগ্রী না নি। পেশাজীবী দক্ষতাকে সবোর্চ্চ গুরুত্ব দিতে হবে, ডিগ্রীকে নয়। একটা দেশে সবার পিএইচডি হবার দরকার নেই।

০.০০০০১% অব পপুলেশন হবে পিএইচডি, আর ১% মাস্টার্স, ৫% বিএস, আর ৯৪% ক্লাস এইট থেকে ইন্টার পাশ কিন্তু হাতের কাজে দক্ষ। এটা হল গুড ডিসট্রিবিউশন। এমন দরকার।

লেখকঃ মোহাম্মদ রেজাউল করিম ভুইঞা
পুরকৌশল, বুয়েট
গ্রাজুয়েট রিসার্চ এসিস্ট্যান্ট, ইউনিভার্সিটি ওব লুসিয়ানা