সকলকে পাই(π) দিবসের শুভেচ্ছা।।
পাই(π) নিয়ে লিখার অনেক ইচ্ছা ছিলো। কিন্তু যার মান-ই অসীম,তাকে নিয়ে লিখার মতো যোগ্যতা কি আমার এখনো হয়েছে?

উত্তরটা নাবোধক হওয়ায় পাই নিয়ে লিখার আগে পাই নিয়ে জানার আগ্রহ আরো বেড়ে গেলো ।।।
কিন্তু,  একটা কথা মাঝে মাঝে চিন্তা করি আমাদের আর বিখ্যাত ব্যাক্তিদের মাঝে পার্থক্য বুঝা যায় এই পাই(π) দিয়েই।

আমরা পাই এর মান বের করতে সাধারণত পরিধি/ব্যাস ব্যবহার করি। π=পরিধি/ব্যাস।
এই পরিধিকে জ্ঞানের পরিধি, ব্যাসকে আমাদের বুঝার ক্ষমতা, আর পাই-কে আমাদের Output ধরলে,
Output =(জ্ঞানের পরিধি/বুঝার ক্ষমতা)

আমাদের বুঝার ক্ষমতা সবারই থাকে।কারো কম আর কারো বেশি।  কিন্তু মজার বিষয় হলো সকল বিখ্যাত ব্যাক্তিদের জ্ঞানের পরিধি ছিলো অসীম। আর অসীমকে যা দিয়েই ভাগ করা হোক না কেনো আউটপুট অসীম-ই থাকে।। তাইতো তারা যুগে যুগে অমর হয়ে থাকবেন তাদের কাজের দ্বারা।

সমস্যা হলো আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে নিয়ে। আমাদের জ্ঞানের পরিধি তো আর নিউটন আর আইনস্টাইন এর মতো অসীম না।

কিন্তু আমাদের মহৎ হবার রাস্তাও এই রহস্যময়ী পাই(π) দিয়ে গেছে।।
পাই এর মান নির্ণয়ের সবচেয়ে সহজ formula হলো গ্রেগরি-লিবনিজ ধারা।

এই ধারা মতে…
π=(4/1)-(4/3)+(4/­5)-(4/7)+(4/9)-(4/­11)+……………..­………….

এই ধারা থেকে আমাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়ানোর সহজ উপায় দেখা যায়।

ডানপাশে লবে 4 হলো ধ্রুবক ;একে আমাদের জীবনের লক্ষ্য ধরতে পারি।

‎আর প্লাস(+),মাইনাস(-) দ্বারা আমাদের অনুকূল আর প্রতিকূল সময় এবং হরে ১,৩,৫,৭…. এভাবে বৃদ্ধিকে ছোট ছোট পদক্ষেপ বললে আমরা আমাদের জ্ঞানের পরিধিকে তখনই বাড়াতে পারবো যখন আমরা

‎….★আমাদের লক্ষ্য ঠিক করতে পারবো।
‎….★আমাদের লক্ষ্যে অটুট থাকতে পারবো।
‎….★সকল ঘাত-প্রতিঘাত (প্লাস or মাইনাস)উপেক্ষা করে (১,৩,৫,৭,…)এরকম ছোট ছোট পদক্ষেপের সাথে ওই লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হবো।

আর কেবল তখনই আমাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়বে আর আমরাও ভালো কিছু করতে পারবো।

তুরীয় সংখা(যেমন: π) যেরকম অনন্য আমাদের সবার চিন্তাধারাও তেমনি অনন্য করার চেষ্টা করতে হবে।

পাই দিবসে শ্রদ্ধা জানাই সকল গণিতবিদের যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আমরা আজকে পাই নিয়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছি।।।

সবার জীবন পাই(π)-এর মানের মতো অসীম হাসি-খুশিতে ভরপুর থাকুক।

Munsi Nahid Md. Rahi
EEE’17
RUET