মিলিয়ন কংগ্রাচুলেশন “মাহপারা তাসনীম ও মাশরুর তাহমিন” 🥰🥰

এরা দুইজন আপন ভাই বোন। দুজনই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। দুজনই সুস্থ হয়েছেন। সুস্থ হওয়ার পরপরই জানতে পারলেন তাদের শরীরের প্লাজমা দিলে অন্য করোনা রোগী ভালো হয়ে যাবে। এমন খবর শুনে আর দ্বিতীয়বার চিন্তা করেন নি তারা।

সাথে সাথে প্লাজমা দিতে রাজি হয়ে যান, এবং দুজন অপর দুজন করোনায় আক্রান্তকে প্লাজমা প্রদান করেন। তারা দুজনও এখন সুস্থ হওয়ার পথে।

প্লাজমা কী এবং কিভাবে কাজ করে:

রক্তের জলীয় অংশকে প্লাজমা বলে। কোনো ব্যক্তি ভাইরাস–ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হলে ৫ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে তার শরীরে জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি হয়। ফলে তার রক্তে এক ধরনের অ্যান্টিবডি তৈরি হয় এবং ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াকে নিষ্ক্রিয় করে তোলে ও এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়।

কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাওয়া ব্যক্তির রক্তের প্লাজমায় এই অ্যান্টিবডি রয়েছে, যা সংগ্রহ করে কোভিড আক্রান্ত রোগীর শরীরে দিলে সাময়িক প্যাসিভ ইমিউনিটি তৈরি হয়। এই অ্যান্টিবডি সার্চ করোনা-২ ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে এবং রোগী সুস্থ হতে থাকে।’

কাজেই প্লাজমা থেরাপি খুবই কার্যকরী একটি থেরাপি। এতে প্লাজমা দানকারীর বিন্দুমাত্র ক্ষতি হয় না। শুধু প্রয়োজন এক্টু সদিচ্ছার। তাই যারা বয়সে যুবক এবং করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন, তারা দয়া করে এগিয়ে আসুন। সবাই নিজের প্লাজমা দান করে আরেকজনকে সুস্থ করে তুলুন।

শুধু একবার চিন্তা করুন: আপনার শরীরের জলীয়কণার বিনিময়ে বেঁচে যেতে পারে সম্ভাব্য মৃত্যুমুখী একজন যাত্রী। এর চেয়ে ভালো অনুভূতি আর কি হতে পারে! সারা জিবন এই অনুভূতিটা থাকবে আপনার।

লেখকঃ অজ্ঞাত