রুয়েটে আসার পর একটা কথা খুব শুনতাম, “রুয়েট আমাকে একটা সার্টিফিকেট আর নানান যন্ত্রনা ছাড়া আর কি দিয়েছে?” একদিন সত্যিই চিন্তা করতে বসলাম, রুয়েট আমাকে কি দিয়েছে?
.
খোলাচোখে দেখলে রুয়েট একটা সার্টিফিকেট ছাড়া আর কিছুই দেয় না। বিনিময়ে প্রতিনিয়ত ল্যাবের যন্ত্রনা, ব্যাকলগ, বোর্ড ভাইভায় হয়রানি আরো নানান যন্ত্রনা প্রতিনিয়ত সহ্য করতে হয়।
.
কিন্তু একটু অন্যভাবে চিন্তা করলে অন্য দৃশ্য দেখা যায়। রুয়েট আমাদের দিয়েছে বড় স্বপ্ন দেখার সাহস, আর স্বপ্ন সত্যি করার প্রেরণা।
.
এখানে এসে সবচেয়ে যেটা বেশি পেয়েছি তা হলো যেকোন কিছুকে বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখার শিক্ষা। পেয়েছি অনেক জ্ঞানী মানুষ, যাদের সংস্পর্শে থাকতে পারাও ভাগ্যের ব্যাপার, যাদের প্রত্যেকটা কথাই একেকটা লাইফ লেসন।
.
সর্বোপরি রুয়েট আমাদের দিয়েছে একটা প্লাটফর্ম, একটা পরিচয়। কোন প্রয়োজনে যে কোনো অফিস- ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানে গেলে আমাদের আলাদা নজরে দেখা হয়। যেকোন ক্ষেত্রে বিবেচিত হই দেশের সম্পদ হিসেবেই।
.
সকল ভার্সিটিই আসলে প্রকৃতির মতো। আলো দেয়, বাতাস দেয়, দেয় আমাদের জীবনীশক্তি। কিন্তু আমরা মনে রাখি আমাদেরই ভুলে বা নতুনভাবে সাজিয়ে নেয়ার তাগিদে যে দুর্যোগগুলো আসে সেগুলোর জন্য। ভার্সিটি আমাদের নিজে হাতে টাকা পয়সা-বাড়ি গাড়ি দিবে না। কিন্তু তা অর্জন করার প্ল্যাটফর্ম, স্বপ্ন সত্যি করার রাস্তা দেখাবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন সত্যি করার রাস্তায় নামতে হবে আমাদেরই…
.
.
শুভ জন্মদিন রুয়েট। শত সহস্র বছর ধরে পথ দেখিয়ে যাও স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের, বাংলাদেশকে উপহার দাও এক সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ, প্রকৃতির মতই সবার ভালো করে যাও সকলের অলক্ষে। কেউ না কেউ একদিন ঠিক ভালোবেসে বলবে, “Proud to be a RUETian. My Life is RUET!!”
.
.

#LIFE_is_RUET

লেখাঃ Pallob Bakhtiar
ছবিঃ Shafiul Sayef
1