সাবজেক্ট রিভিউ : #মনোবিজ্ঞান বিভাগ 
.
বায়োলজিক্যাল সাইন্স ফ্যাকাল্টির প্রথম তলায় যখন পা দিবে, হাতের বাম পাশেই আমাদের ছোট্ট পরিবারটা। ১৭-১৮ সেশন হবে বিভাগের ১৩ তম ব্যাচ। 
.
#কোর্স : কোর্স হিসেবে যদিও সিলেবাস বদলায় কিন্তু কিছু জিনিস থাকবেই। general psychology, educational psychology, sociology, social psychology, experimental psychology, childhood and adolescence development, behavioral neuroscience, basic biochemistry, statistics, computer….. 3rd/4rth ইয়ারের দিকে গেলে abnormal psychology, counseling psychology, psychology of crime, clinical psychology ইত্যাদি।
.
#সেশনজট : খুবই অল্প সেশনজট এই ডিপার্টমেন্টে। ৪-৬ মাসের সেশনজট বর্তমানে। সেটাও আস্তে আস্তে কেটে যাবে। 
.
#রেজাল্ট : রেজাল্ট ভালোই উঠে। সর্বোচ্চ ৩.৮ এর উপরে থাকে। এভারেজ সিজিপিএ ৩.৩-৩.৫ এর মধ্যে থাকে।
.
#জবসেক্টর : হুম, প্রশ্ন করতে পারো- কেন পড়বা সাইকোলজি! মানুষজন, পাড়া প্রতিবেশী, আত্মীয় বলতেই পারে “পাগলের ডাক্তার, পাগল, এই সাব্জেক্টে পড়ে তুমিও পাগল হয়ে যাবা” জাতীয় কথা। 
.
কিন্তু তুমি একারণেই মনোবিজ্ঞানে ভর্তি হবা কারণ বর্তমানে এই ভার্চুয়াল রিয়েলিটির যুগে লোকজন শারীরিক অসুস্থতায় যতটা না ভুগে- মানসিক অসুস্থতা তার প্রায় সমান বা বেশি। নতুন নতুন বিভিন্ন অসুখ এখন মানুষের মনে। হয়ত তুমি তোমার বন্ধুর খুব উন্নতি দেখলা, ফেসবুকের দেয়ালে…..তোমার কষ্ট হল, ডিপ্রেসড হলা, তুমি টুপ করে ঢুকে যেতে পার ভার্চুয়াল ডিপ্রেশনের অতল দুনিয়াতে আর ওখান থেকে হয়ত ক্রনিক কিছুতে? কষ্টের কিছুতে! এখন সলিউশন কার আছে বল? যারা সাইকোলজি পড়েছে, পড়ছে। 😊
.
যাই হোক, আমাদের তো এখন সরকারি ব্যাবস্থা বেশ ভাল। প্রতিটা মেডিকেলে একজন করে সাইকোলজিস্ট নিয়োগ হচ্ছে।
.
আর পড়াশোনার পর শিক্ষক হিসেবে জয়েন করতে পারো, অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এখনো সাব্জেক্ট হিসেবে মনোবিজ্ঞান শুরু করেনি। শুরু করলেই হবে শিক্ষক এর প্রয়োজন। 
.
তারপর আছে কাউন্সেলিং, শুধু কথা বলে আর অল্প থেরাপির মাধ্যমে মানসিকভাবে সুস্থ করে তোলা। 
.
ক্রিমিনাল সাইকোলজির উপর দক্ষ হতে পারলে তুমি গোয়েন্দা বিভাগে ঢুকতে পারছ- এক্ষেত্রে বিসিএস এর প্রয়োজনটা তোমরা বুঝতেই পারছ- আর ক্রিমিনোলজির উপর মাস্টার্স অফার করছে বেশ কিছু ভার্সিটি।
.
মনে রাখবে, দেশে কিন্তু এক্সপার্ট এর খুব ই অভাব। এনজিও তে অবশ্যই প্রফেশনাল সাইকোলজিস্ট নিয়োগ করা হয়।
.
সবচেয়ে আনন্দের কথা কি জানো? কেও তোমার সামনে কোন অদ্ভুত আচরণ করলে ওই আচরণের পেছনের উপযুক্ত ব্যাখ্যা হাসতে হাসতে দিয়ে দিতে পারবা। কারো হাত রাখার ভঙ্গী, তাকানোর ভঙ্গী দেখে বুঝতে পারবা সমস্যাটা কোথায়, ঠিক কোন জায়গায় যন্ত্রণা 🙂 
.
উঁহু! সবাই যে পারে তা না! জানার চেষ্টা করতে হয়, পড়তে হয়! তুমি খাতায় নাম্বার তোলার জন্যও পড়তে পার বা সত্যিকার অর্থে জানার জন্যও। 🙂 আর সত্যি বলতে কি চমৎকার আপন আপন কিছু বড় ভাই বোন পাবা- এ ব্যাপার নিশ্চিত। দিন শেষে, তোমার হাসিমুখে গর্বের সাথে বলতে হবে “আমি চবি, সাইকোলজিতে পড়ি”। যদি এটা পারবা মনে হয় আপু/ভাইয়ারা, চলে এসো। 🙂 আমরা অপেক্ষায় আছি।
.
লিখেছেন:
রুইয়াহ ইসলাম, সাইকোলজি, চবি।
সেশন: ২০১৪-২০১৫
.