পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়
যেসব প্রতিষ্ঠান তথা বিশ্ববিদ্যালয় বাজেট এর জন্য সরকারের উপর নির্ভরশীল সেগুলো হলো পাবলিক প্রতিষ্ঠান বা বিশ্ববিদ্যালয়।
পাবলিক প্রতিষ্ঠানে সরকার পরোক্ষ ভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশনের মতামত ও হস্তক্ষেপ এবং সিদ্ধান্ত রাখেন।
[হস্তক্ষেপ রাখার উদাহরণ জানতে পড়ুন]
সরকার অনেকটা কখনো উপদেষ্টা কখনো সিদ্ধান্ত দাতা হিসেবে কাজ করেন।
সুতরাং যেসব প্রতিষ্ঠানে বা বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের পরোক্ষ হস্তক্ষেপ রয়েছে সেগুলো পাবলিক প্রতিষ্ঠান বা বিশ্ববিদ্যালয় বলে।।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ
- বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
- বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়
- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
- বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস
- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
- বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
- চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়
- কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
- ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
- যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
- খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
- সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
- সূত্রঃ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, বাংলাদেশ।
(সর্বশেষ হালনাগাদ-২০১৮,১লা আগস্ট)
তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আরো রয়েছে যা পরবর্তী অনুমোদন হয়েছে।
🌐সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
যে সকল প্রতিষ্ঠানের সব কিছু সরকার পরিচালনা , নিয়ন্ত্রণ , হস্তক্ষেপ করে সে গুলো হলো সরকারি। সরকারের অধীনেই পরিচালিত হয় । অর্থাৎ সরকারি প্রতিষ্ঠানে সরকারের প্রত্যক্ষ প্রভাব বিদ্যমান। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে সরকারই প্রধান বিষয়টা এমন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ,শিক্ষক প্যানেল সরকারের আমলা হিসেবে কাজ করে থাকেন।।
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলো যেমন:-
•বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল
বিশ্ববিদ্যালয়
•বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
•রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ
•রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
•শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়
•সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
…ইত্যাদি। আরো রয়েছে।।
🌐স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়
যে সকল প্রতিষ্ঠান বা বিশ্ববিদযালয় পরিচালনা , নিয়ন্ত্রণের জন্য নিজস্ব রুলস ও রেগুলেশন রয়েছে। তাদের জন্য আলাদা অধ্যাদেশ রয়েছে।
এবং এগুলোতে সরকার সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে না সে গুলো হলো স্বায়ত্তশাসিত।
এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রশাসন দেশের মধ্যেই সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার হিসেবে কাজ করে। এখানে মূল ক্ষমতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ।
স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো বা বিশ্ববিদযালয়গুলো তাদের বাৎসরিক বিভিন্ন খাতের বাজেটের জন্য সরকারের উপর নির্ভরশীল হতেও পারে, নাও পারে।
তবে সরকারই বলা যায় তাদের মূল অর্থের যোগান দিয়ে থাকেন।।
♻️স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় হলো চারটি:-
১.ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
২.রাজশাহী বিশ্ববিদযালয়।
৩.জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
৪.চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
লেখক : মো: ইসমাইল হোসেন
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়