বাড়ি ফরিদপুর। ছোটবেলা থেকেই নদীতে সাঁতার কাটার শখ সোমা রায়ের। বুয়েটে পড়তে এসেও সেই শখ রয়ে গেল।

ঢাকার আফতাব নগরের এক পুকুরে নেমে পড়তেন সময় পেলেই। পুকুরটা ভরাট হয়ে যায় একসময়, সোমার সাঁতারে ভাটা পড়ে।

সোমা রায় বললেন, ‘গত বছরের আগস্টে প্রথম শুনি বাংলা চ্যানেলের সাঁতারের কথা। কিন্তু চর্চা করব কোথায়?’ এরপর গুলশান সুইমিং ক্লাবের পুকুরে শুরু হলো তাঁর সাঁতার কাটা। কর্মকর্তারা যথেষ্ট সহযোগিতা করলেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলা চ্যানেলের বাছাইপর্বে উতরে গেলেন। ‘এই সাঁতার হওয়ার কথা ছিল মার্চে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ায় স্থগিত হলো আয়োজন।

হতাশ হলাম। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেল। চলে গেলাম ফরিদপুর। সেখানে শহরের মাঝখানে এক পুকুরে ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে সাঁতরাতাম।’

এভাবেই বুয়েটের সোমা প্রস্তুত হন বাংলা চ্যানেলের জন্য। পাড়ি দিতে সফল হন। ভবিষ্যতে নিজের সময় আরও কমিয়ে আনতে চান তিনি। পাশাপাশি চান বুয়েটে শিক্ষার্থীদের সাঁতার শেখানোর উদ্যোগ আরও বেশি করে নেওয়া হোক।

মা বনশ্রী বোসই বেশি উৎসাহ দেন সোমার সাঁতারে। বাবা সুকুমার রায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব।

থাকেন ফরিদপুরেই।