এসএসডি একটি ইংরেজি শব্দ এর পূর্ণরূপ হলো Solid State Drive বা স্টোরেজ ডিভাইস। SSD হলো এক ধরনের হার্ডওয়্যার।
যার কাজ হলো সাময়িক বা স্থায়ীভাবে কম্পিউটারে তথ্য সংরক্ষন করা।

এসএসডি (SSD) কী?

এসএসডি হলো একটি ফ্ল্যাশ মেমোরি ডিভাইস। কম্পিউটারে ব্যবহৃত সাধারন হার্ডিক্সের তুলনায় এসএসডির তথ্য সংগ্রহের গতি এবং ক্ষমত অত্যাধিক।এসএসডির সাথে সংযুক্ত ন্যান্ড ফ্লাশ মেমোরি চিপের মাঝে তথ্য সংরক্ষিত থাকে। ন্যান্ড ফ্লাশ মেমোরি চিপকে নিয়ন্ত্রণ করে ফ্ল্যাশ কন্ট্রোলার।ফ্ল্যাশ কন্ট্রোলার এসএসডির তথ্য রিড ও রাইট করে থাকে। এসএসডির তথ্য রিড ও রাইট করার জন্য কন্ট্রোলার থাকায় যে কোন তথ্য অতি সহজেই খুজে পাওয়া যায়।

এসএসডি এর ধরন: বাজারে অনেক ধরেনের এসএসডি থাকলেও সাধারণত এই দুই ধরনের এসএসডি বহুল ব্যবহৃত হয়ঃ

১-SATA: SATA SSD বিশেষত এমন সিস্টেমের হার্ডওয়্যার যা একাধিক স্টোরেজ ড্রাইভ ব্যবহার করে।
SATA SSD
২- NVMe:NVMe এসএসডিগুলি মূলত র‌্যামের মতোই উচ্চ-গতির মেমরি । এই এসএসডিতে ফাইল ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে প্রতি সেকেন্ড স্পিড ও পাওয়া যায় 1GB.
এই এসএসডিগুলি SATA এসএসডি থেকে কার্যক্ষমতা ও ফাইল ট্রান্সফারের দিক দিয়ে অধিক শক্তিশিালী।
এজন্যই NVMe এসডি ব্যবহারের চাহিদা অধিক।

NVMe SSD
এসএসডি কেন ব্যবহার করবেন?

১:এসএসডিতে পাওয়ার সাপ্লাইয়ের প্রয়োজনীয়তা কম থাকায় ল্যাপটপগুলোর ব্যাটারি লাইফ পূর্বের তূলনায় অনেকাংশে বেড়ে যায়।

১: হার্ডডিস্ক এর উপরে চাপ কমনোর জন্য এসএসডি ব্যবহার করা যায়। এসএসডি ব্যবহার করলে পিসি তুলনামূলক ভাবে অনেক গতিশীল হয়ে থাকে।

২: দ্রুত ফাইল ট্র্যান্সফার এর জন্য এসএসডি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

৩: হাই কনফিগারেশন সম্পন্ন অ্যাপ্লিকেশন ল্যাগবিহীন ভাবে ব্যবহার করতে এসএসডি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

৪: গেমিং পিসি তৈরী করার জন্য এসএসডির ব্যবহার করা প্রায় অত্যাবশ্বকীয় উপকরন।

এসএসডি ব্যবহারের সুবিধা : এএসডি থেকে এএসডিতে ফাইল ট্রান্সফার স্পিড একটি হার্ডডিস্ক থেকে আরেকটি হার্ডডিস্ক এ ফাইল ট্রান্সফার স্পিডের ৫ গুণ বেশি। অর্থাৎ এএসডি – হার্ডডিস্কের তুলনায ৫ গুণ শক্তিশালি।

এসএসডি থেকে এসএসডিতে ফাইল ট্রান্সফার স্পিড প্রতি সেকেন্ডে ৪০০-৬০০ মেগাবাইট (MB). অপরদিকেহার্ডডিস্ক থেকে হার্ডডিস্কে ফাইল ট্রান্সফার ট্রান্সফার স্পিড প্রতি সেকেন্ডে ১০০-১৫০ মেগাবাইট (MB).

এসএসডি ব্যবহারের অসুবিধা :এসএসডি ব্যবহারের প্রধান এবং একমাত্র অসুবিধা হলো এর ক্ষীণ আয়ুষ্কাল। হার্ডিস্কের তুলনায় এসএসডি খুবইব কম সময় টিকে। একটি হার্ডিস্ক যদি গড়ে ১০ বছর ব্যবহার করা যার অপরদিকে একটি এসএসডি সর্বোচ্চ ৪ বছর ব্যবহার করা যাবে।

বাজরে সর্বনিম্ন ২০০০ টাকায় এসএসডি পাওয়া যায়। তবে এসএসডির গড় আয়ুস্কাল বিবেচনায় রাখার ক্ষেতে ভালো মান ও ভালো দাম অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। দামের সাথে পাল্লা দিয়ে যেমন মান কম বেশি হয় তেমনি আয়ুষ্কালও কম বেশি হয়।

এসএসডি ড্রাইভের আয়ুকাল বাড়াতে করণীয়:

১. এসএসডিতে ডাটা রাইটের পরিমান নির্দিষ্ট। বড় ফাইল গুলোকে এসএসডিতে না রেখে হার্ড ড্রাইভে রাখা উচিত কারন এতে করে ডাটা রাইটের পরিমান কমে যায়। ডাটা রাইটের পরিমান যত কম হবে এসএসডির আয়ুষ্কাল তত বৃদ্ধি পাবে।

২. পুরোনো উন্ডোজগুলো (উন্ডোজ ৭ এবং এর পূর্বের উন্ডোজগুলো) ব্যবহার থেকে বিরত থাকা। কারণ হার্ড ড্রাইভে যখন কোন ডাটা ডিলিট করা হয় তখন উন্ডোজ কমান্ডে শুধু অ্যাড্রেস ডিলিট হয় কিন্তু ফাইলটি সেখানে থেকেই যায় যতক্ষণ না নতুন ফাইল রাইট করা হয়। বার বার নতুন ফাইল রাইট করার কারনে এসএসডির আয়ু কমে যায়।

Tanjimul Islam Tareq
Comilla Polytechnic Institute
Campus Connector

ইঞ্জিনিয়ার’স ডায়েরি – Engineer’s Diary