পরিসংখ্যান বিভাগ (বিজ্ঞান অনুষদ)
.
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগের যাত্রা শুরু হয় ১৯৬৮ সালে গণিত বিভাগের একটি অংশ হিসাবে । ১৯৭০ বিখ্যাত পরিসংখ্যানবিদ ড.এম জি মুস্তাফার নেতৃত্বে পরিসংখ্যান বিভাগ স্বাধীন বিভাগ হিসাবে এর পদচারণা শুরু করে ।
.
এই বিভাগে রয়েছে সমৃদ্ধ সেমিনার লাইব্রেরী , ফ্রি ওয়াই ফাই জোন , শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কম্পিউটার ল্যাব সহ উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সকল সুবিধা ।
.
জনসমাজে আর্টসের সাবজেক্ট নামে পরিচিত হলেও পরিসংখ্যান বিজ্ঞান অনুষদের একটু উপরের লেভেলর সাবজেক্ট । উপরের লেভেল কারণ এই নই যে এটি বিজ্ঞান অনুষদের ৪র্থ তলায় অবস্থিত কারণ বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন বিষয়ের মধ্যে পরিসংখ্যান একটি ।
একটু নিচের দিকে যাদের মেধা-ক্রমে তারাই হয়তো পরিসংখ্যান নেই । অনেকে ভাবে এ আবার কি সাবজেক্ট ??
.
৯০% মানুষ ই পরিসংখ্যানের ব্যাপারে ভালো করে জানে না । আরও খারাপ অবস্থা হয় যখন টিউশনের গিয়ে শুনতে হয় – “ Statistics , এইটা তো আর্টসের সাবজেক্ট ?? “ । তখন মনে হয় এ কেমন বিচার 😭 !! এত কষ্ট করে সায়েন্স পড়ে এ কি শুনতে হয় ।
(মানবিকের শিক্ষার্থীদের উপর পূর্ণ সম্মান রেখে)
কিন্তু মজার ব্যাপার হলে বর্তমান বিশ্বে অন্যতম সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন সাবজেক্ট হল পরিসংখ্যান ।
.
#কি_কি_বিষয়_পড়ানো_হয় :
Basic Statistics , Probability, Sampling , Demography , Stochastic process , Forecasting , Research Methodology , Bio-statistics , Operation Research , Game theory , Design of experiment , Industrial statistics , Actuarial Science , econometrics, SPSS , R – programming etc. এর পাশাপাশি math , economics এর কিছু বিষয় ও পড়ানো হয় ।
.
#সেশন_জট:
সব বিভাগেই কম বেশি সেশন জট থাকে । এই বিভাগেও আছে । তবে এখন তা অনেক কম । বর্তমান ফাইনাল ইয়ারের স্টুডেন্টদের জট ৭-৮ মাস । জুনিয়রদের জট তেমন একটা চোখে পড়ার মত লক্ষনীয় না। সামনে আশা করা যায় কোন সেশন জট থাকবে না ।
.
#রেজাল্ট :
পড়াশোনায় যথেষ্ঠ আগ্রহী ও পরিশ্রমী না হলে ভাল সিজিপিএ তোলা কঠিন। প্রতি বছর কিছু ইয়ার ড্রপ যেমন দেখা যায়, ফার্স্ট ক্লাসও উঠছে অনেক শিক্ষার্থীর।
.
#চাকরির_ক্ষেত্র :
IT থেকে শুরু করে economics , pharmacy company , psycology , marketing ,public health , biology এমনকি প্রতিটি ইন্ডাস্ট্রিতে product development , manufacturing, quality control এ পরিসংখ্যানের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা ।
বিসিএস প্রফেশনাল ক্যাডারে কলেজে শিক্ষকতা করা ছাড়াও প্রতি থানায় একজন পরিসংখ্যানবিদের পদ আছে ।
বিসিএস – সাধারণ , বিসিএস – পরিসংখ্যান , প্রভাষক – পরিসংখ্যান এই তিন ক্ষেত্রে পরিসংখ্যানের ছাত্ররা বিসিএসে এপ্লাই করতে পারে ।
প্রাইভেট ব্যাংক গুলো তে পরিসংখ্যানবিদের চাহিদা অনেক ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এডি ( সাধারণ ) এর পাশাপাশি এডি ( পরিসংখ্যান ) ও এডি ( রিসার্চ ) এ পরিসংখ্যানের ছাত্ররা আবেদন করতে পারে ।
যেকোনো গবেষণা-ধর্মী প্রতিষ্ঠান মানেই পরিসংখ্যানের ছাত্রদের চাহিদা । ICDDR,NIPORT,AC Neilson এর মত প্রতিষ্ঠানে পরিসংখ্যানের ছাত্রদের ব্যাপক চাহিদা আছে । এছাড়া IMF,WB এর মত প্রতিষ্ঠান গুলোতে ও চাকরির সুযোগ রয়েছে ।
সরকারি বেসরকারি ব্যাংক , ইনস্যুরেন্স , আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও পরিকল্পনা প্রতিষ্ঠানে পরিসংখ্যানের ছাত্রদের চাকরির সুযোগ রয়েছে ।
বিদেশে উচ্চশিক্ষায় পরিসংখ্যান , ডাটা সায়েন্সের অনেক সুযোগ রয়েছে ।
.
.
লিখেছেন :
অম্লান দাশ
পরিসংখ্যান বিভাগ (চবি), ২০১২-১৩ সেশন।