১৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । এরপর কী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তা এখনো অজানা৷ হয়তো বিশ্ববিদ্যালয় গুলো খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত আসতে পারে। যদি তাই হয়, তাহলে কেমন হবে সেটা?

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল ইঞ্জিনিয়ার’স ডায়েরি’র ক্যাম্পাস প্রতিনিধিদের কাছে। তাদের মতামত নিয়েই আমাদের আজকের এ আয়োজন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে মহামারির বিস্তার জ্যামিতিক হারে বাড়তে পারে।

আসন্ন ১৫ই জুন কে কেন্দ্র করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হলে মহামারির আকার জ্যামিতিক হারে বাড়তে পারে।কারণ একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট কোন এলাকার ছাত্র-ছাত্রী পড়াশুনা করেনা,সারা দেশের প্রত্যেকটি এলাকা থেকেই কোন না কোন ছাত্র-ছাত্রী পড়াশুনা করে।করোনার প্রকোপ দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমতাবস্থায় যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়,দেশের সকল এলাকা থেকে ছাত্র-ছাত্রী ক্যাম্পাসে আসা শুরু করবে।এর মধ্যে যদি একজন শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত থাকে তার মধ্য থেকে সর্বোচ্চ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।কারণ বিশ্ববিদ্যালয় এর মত জায়গায় সবসময় ছাত্র-ছাত্রীদের বিচরণ থাকে।এটি খুব সহজেই ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে করোনা আক্রান্তের হার বৃদ্ধি করবে।সুতারাং এই সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলাটাই ভালো হবে।

মোঃ আব্দুল্যাহ আল মামুন
গ্রীন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।

আগামী ১৫ তারিখের পর বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার প্রসঙ্গে….

প্রথমত বলে রাখা ভাল,যেখানে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া উচিত না সেখানে শিক্ষা প্রতিঠ্ঠান খুলে দিয়ে মুর্খতার পরিচয় দেওয়াটা খাল কেটে কুমিড় ডেকে আনার সমান।১৫ তারিখের পর শিক্ষা প্রতিঠ্ঠান খুলে যেই সব সমস্যার মুখে পড়তে হবে তা হলো:

১.যেখানে পুরো বিশ্ব করোনার কবলে থাবা পড়ে গেছে সেখানে বাংলাদেশ ত তুচ্ছ বিষয়।😊😊

২.যেখানে বিশ্ব স্বাস্হ্য স্পস্ট করে বলে দিয়েছে টেস্ট টেস্ট আর টেস্ট।সেখানে উন্নত রাষ্ট্রে সবার জন্য কিট থাকলেও বাংলাদেশে দৈনিক পরীক্ষা হচ্ছে ১০ হাজার।যাতে করে এই ১৬ কোটি জনসংখ্যার পরীক্ষা করতে ৪৫ বছর সময় লাগবে।😊😊

৩.যেখানে প্রায় প্রতিটা শিক্ষা প্রতিঠ্ঠানে ৪০% হতদরিদ্র পড়ালেখা করে তাদের পক্ষ্যো এই করোনার চিকিৎসা করার মতো সেই সার্মথ্য আছে?সেটা ত সময়ই বলবে।😊😊

৪.অফিস,আদালত,কলকারখানা বন্ধ থাকলে অর্থনীতির উপর প্রভাব পড়বে কিন্তু শিক্ষা প্রতিঠ্ঠান বন্ধ থাকলে মনে হয় না কোন প্রভাব পড়বে।😊😊

৫.যেখানে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষার্থীকে গনরুমে থাকতে হয় সেখানে ১৫ জুনের পর শিক্ষা প্রতিঠ্ঠান খুলে দিয়ে সকলের জীবন ঝুকির মুখে ফেলে দেওয়ার কোন কারন আছে বলে আমি মনে করি না।😊😊

৬.যেখানে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষার্থীকে গনহারে ডাইনিং এ বসে খেতে হয় সেখানে ১৫ জুনের পর শিক্ষাপ্রতিঠ্ঠান খুলে দিয়ে সকলের জীবন ঝুকির মুখে ফেলা টা কি বোকামি হবে না?😊😊

৭.যেখানে অনেক শিক্ষা প্রতিঠ্ঠানে করোনা থেকে বাচার জন্য তেমন কোন সুরক্ষা ব্যাবস্হা নেই সেখানে ১৫ জুনের পর শিক্ষা প্রতিঠ্ঠান খুলে দেওয়াটা মূর্খামী ছাড়া আর কিছু না।😊😊

৮.আজকের শিক্ষার্থী আগামি দিনের ভবিষ্যত সেখানে কোন যুক্তিকতা আছে তাদের জীবন ঝুকির মধ্যো ফেলে দেওয়ার?😊😊

৯.১৫ জুনের পর শিক্ষা প্রতিঠ্ঠান খুলে দেওয়ার ফলে যখন অধিকতর শিক্ষার্থী আক্রান্ত হবে তখন এর দায় কে নিবে?😊😊

১০.যেখানে করোনা থেকে বাচতে আমাদের সামাজিক দুরত্ব কঠোর ভাবে মেনে চলা উচিত সেখানে অধিকতর শিক্ষা প্রতিঠ্ঠানে অনেক শিক্ষার্থীকে একে অপরের সঙ্গে বসে ক্লাস করতে হয় সেখানে কি তাদের জীবন ঝুকির মধ্যো ফেলাটা কি উচিত হবে?😊😊

আমি একজন শিক্ষার্থী হওয়াতে ১৫ জুনের পর শিক্ষা প্রতিঠ্ঠান খুলে দেওয়া পুরোপুরি অযৌক্তিক ও মূর্খামি ছাড়া আর কিছু বলে মনে করি না।যারা দেশের ভবিষ্যত তাদের জীবন ঝুকির মধ্যো ফেলাটা কোন ভাবেই যৌক্তিক বলে মনে করি না।

তন্ময় দত্ত
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

লকডাউন ও এক বর্বর জাতির শিকার শিক্ষার্থীরা

লকডাউন দিয়ে কি লাভ হয়েছে ?
সরকার লকডাউন দিয়েছে , যাতে করে সাধারণ মানুষ সুস্থ ও নিরাপদ থাকতে পারে। লক ডাউন সফল করার জন্য সরকার অনেক প্রশংসনীয় উদ্যোগ ও গ্রহণ করেছে। আসলে এতো ছোট দেশ আর এতো বেশি জনসংখ্যা এবং অন্যদিকে নড়বড়ে অর্থনীতি নিয়ে কত সময় এই অদৃশ্য শক্তির সাথে লড়াই করা যায় ??? এতো বেশি জনসংখ্যাকে কিভাবে বসিয়ে খাওয়ানো যায় ??? কিন্তু তিনি চেষ্টার ত্রূটি রাখেন নাই। কিন্তু আমরা কি করেছি ???

আমরা লকডাউন কে ঈদ এর ছুটি মনে করে আনন্দ করেছি , যেখানে ঘর থেকে বের হওয়া নিষেধ। সেখানে আমরা ঘরে থেকেছি কতসময় ??? এইসব কথা বাদ , যা বলতে এসেছি।…..

আসলে আমাদের এতো ছোট দেশ , এতো বেশি জনসংখ্যা , নড়বড়ে অর্থনীতি এবং এমন অবুঝ জাতি নিয়ে আর কত সময়ই বা লক ডাউন দিয়ে রাখা যায় ??? তাই আমাদেরকে এখন ভিন্ন পথ অবলম্বন করা উচিৎ। যেহেতু সবাই কে বসিয়ে খাওয়ানো যাবে না ( বাস্তবে যা সম্ভব না ) ।

যেহেতু বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের ঘর থেকে বের হতেই হবে এবং অন্যদিকে অনেক শিল্পকারখানা চালু রয়েছে এবং ৩১/০৫/২০ তারিখ থেকে লক ডাউন উঠিয়ে নেয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে , তা ঠিক ই করেছে। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলা এতো তাড়াতাড়ি না খোলা ই ভালো।

একটা বছর পড়া লেখা না করলে কোনো জাতিই ধ্বংস হয়ে যাবে না। আর যদি সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলা খুলে দেয়, তাতে কোনো সমস্যা নেই। আপনারা আপনাদের পরিবার এর কথা আগে ভাবুন এবং বাচ্চাদেরকে মাদ্রাসা , স্কুল ,কলেজ , ভার্সিটি যাওয়া বন্ধ করে দেন ।

তাই এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন তা হলো নিজে সচেতন থাকা নিজের পরিবারকে সাবধানে রাখা এবং সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখা।
সর্বোপরি মহান আল্লাহ সুবাহানাতাওয়ালার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা।

মোঃ আশিকুর রহমান
তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক্স কৌশল বিভাগ
নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি , খুলনা।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে মহামারী পৌঁছাতে পারে চরম পর্যায়ে

করোনার প্রাদুর্ভাবে গোটা বিশ্ব যেখানে অচল সেখানে বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে আমরা কতটুকুই বা সচেতনতা মেনে চলতে পারছি!

কোভিড ১৯ এর কোন প্রতিষেধক বা নির্দিষ্ট চিকিৎসা এখনো নেই, এখন সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাই মহামারী প্রতিরোধের একমাত্র উপায়।

এমতাবস্থায় আগামি ১৫ জুনের পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা চলছে। এই দুঃসময়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হলে মহামারী চরম রুপ নিতে হবে।

স্কুল কলেজ খোলা হলে শিক্ষার্থীদের সংক্রমণের সংখ্যা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে, সেই সাথে তাদের সম্পূর্ণ পরিবার আক্রান্ত হবার ঝুঁকিতে থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রুপ নিতে পারে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীরা এক‌ইসাথে এক‌ই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে।

এক এক জেলার করোনা পরিস্থিতি এক এক রকম হ‌ওয়ায় সকল শিক্ষার্থী একসাথে হলে সংক্রমণের মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে, মহামারী ঠেকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে উঠবে। বর্তমানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যে অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রমে শুরু হয়েছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে না দিয়ে এভাবেই শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা উপযুক্ত সিদ্ধান্ত হবে। এতে শিক্ষার্থীদের কিছুটা ক্ষতি হলেও তারা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে এবং দেশের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।

সাজিয়া আফরিন মুনিয়া
পুরকৌশল বিভাগ, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

ভুলের সমাহার!

দ.কোরিয়ায় কোভিড পরিস্থিতি পুনরায় খারাপের দিকে যাওয়ায় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার বন্ধ করে দিচ্ছে।আর এদিকে আমাদের দেশ পরিস্থিতির পিকটাইমে সব খুলে দিচ্ছে যা অবশ্যই অবশ্যই খারাপ হতে চলেছে।

যেহেতু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গাদাগাদি, অবাধ মেলামেশা,ঘিঞ্জি হল-হোস্টেলে সামাজিক দুরত্ব-হাইজিন মানা হবে ইত্যাদি- এমন কথা হবে পাগলের বুলি আওড়ানোর মতন!!

এমন পরিস্থিতিতে যদি একটা প্রাণের নষ্টও হয় তবে তা হবে জাতির জন্য বিরাট ক্ষতির কারণ।

পরিকল্পনার অভাব,কার্যকর পদক্ষেপের অভাব,আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ইত্যাদি বাংলাদেশে দৈনন্দিন জিনিস হয়ে গেছে,এর মধ্যে এমন পদক্ষেপ হবে হতাশাজনক ও বিদ্ধংসী!

Minhazul Abedin
RMSTU

সিদ্ধান্তঃশিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা
পরিণতিঃলাশের মিছিলের অপেক্ষা

চারদিকে হাহাকার,করোনার প্রভাবে বিত্তশালী থেকে শুরু করে বিত্তহীন পর্যন্ত সবার অবস্থা অচলপ্রায়।দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে উপর্যুপরি দুরাবস্থার সামাল দিতে একপ্রকার ব্যর্থ আমাদের দেশের স্বাস্থ্যসেবা।

এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত শুধু ভুল না বরং হুমকিস্বরূপ হতে পারে।দীর্ঘদিনের লকডাউনে,দেশের প্রান্তে প্রান্তে আছে শিক্ষার্থীরা,তাই অনেকাংশে নিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতি কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলার পর এই পরিস্থিতি হয়তো একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে,তখন হয়তো লাশের মিছিল শুরু হতে বেশি সময় লাগবে না;কারণ সংক্রমণ সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়তে থাকবে জ্যামিতিক হারে।

তাই এই অবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে সমস্যা বড় না করাই শ্রেয়

মিলন বণিক
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়

আগামী ১৫ তারিখের পর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সম্ভাব্য অসাধারণ কিছু বোনাস 😁😁😁

১) আক্রান্তের সংখ্যা চক্রবৃদ্ধিহারে বাড়ার অসাধারণ পরিবেশ সৃষ্টি হবে।

২) বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোকে আবাসস্থল থেকে হসপিটালের পরিণত করার দারুণ সুযোগ এসে যাবে।

৩) ক্লাসরুমগুলো কিছুদিন জমজমাট থাকলেও বিরানভূমি হয়ে যাবে হইতো কিছুদিনের মধ্যে।
৪) শিক্ষকগণের দেশ ছেড়ে বিদেশে স্কলারশিপ নিয়ে পাড়ি দেওয়ার প্রবণতা বাড়বে।
৫) বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলো হয়ে পড়বে এম্বুল্যান্স।

উপরের সম্ভাব্য কিছু বোনাস কেবল এ করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় খোললেই পাওয়া সম্ভব……

এখন সিদ্ধান্ত উচ্চমহলের…. সুন্দর ও নিরাপদ বিশ্ববিদ্যালয় চান নাকি বিরান ক্যাম্পাসভূমি চান??

মোঃ ফাহাদ হোসেন হৃদয়
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পক্ষে….

জীবন না শিক্ষা

অবশ্যই বলবো জীবন আগে।তবে জীবনকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আমাদের স্বাস্থসুরক্ষা মানতে হবে।করোনা ভাইরাসের জন্য লকডাউন কোনো সমাধান বয়ে আনতে পারে না বরং গৃহবন্দী জীবন ভিটামিন ডি এর অভাবে ইমিউন সিস্টেম ফল করে।এখানে হার্ড ইমিউনিটি বলে এক ব্যাপার আছে।

সেটা দুই ধরনের।প্রথমত প্রাকৃতিক ও দ্বিতীয়ত কৃত্রিম (ভ্যাক্সিন দ্বারা)।ভ্যাক্সিন কথা চিন্তা করলে বলবো এটি তৈরি অনেক সময় লাগবে পূর্বেও এমনটাই হয়েছে।

তাই এর আশা করে বসে থাকা বোকামি ছাড়া কিছুই নয়।এখন আমাদের নির্ভর হতে হবে প্রাকৃতিক উপায়ের দিকে।সুইডেনের কথা চিন্তা করি। তারা সফল, মৃত্যুহারের দিকে ৮ম যদিও তারা লকডাউন দেন নি।(https://www.worldometers.info/coronavirus/) তবে বিশেষ সর্তকতা বয়ষ্ক লোকদের বাসায় থাকা উচিত। সেক্ষেত্রে তরুনদের হার্ড ইমিউনিটি ক্ষমতা বেশি।

যা দিয়ে ভাইরাসের বিরুদ্ধ যুদ্ধ সম্ভব। এক্ষেত্রে প্রতি তিনজন আক্রান্ত হয়ে অন্য দুজনকে রক্ষা করে।সেক্ষেত্রে মনে রাখবেন খুব ক্রিটিক্যাল অবস্থা না হলে অধিকাংশের এমনিই ভালো হয়ে যায় করোনা ভাইরাস।

আমি বলবো ১৫ই জুনের পর বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়ে স্বাস্থ সুরক্ষার মাধ্যমে স্াভাবিক জীবনে ফিরে আসা ।

এর জন্য আতঙ্ক নয়,সচেতনতা ও মনোবল দরকার। ভ্যাক্সিন আসা মানে ২-৩ বছর লকডাউন,তা কী সম্ভব?

একটি কথা যোগ করি সাথে যে আমাকে গালি দেওয়ার আগে বিশ্ব রাজনীতির দিকে নজর দিয়েন,আপনি যা দেখছেন সেটা নয় বরং যেটা হচ্ছে সেদিকে।।

মোঃ ইসমাইল হোসেন
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া এখন সময়ের দাবি

গত ১৮ ই মার্চ সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী বন্ধ ঘোষনা করা হয় বশেমুরবিপ্রবি ক্যাম্পাস। আজ ৩০শে মে, প্রায় দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে বশেমুরবিপ্রবি সহ বন্ধ রয়েছে দেশের ১ম শ্রেনীর সকল বিদ্যাপীঠ ।

লকডাউন বিজ্ঞান সম্মত কোনো উপায় হতে পারে না, দেশের অর্থনীতি ও রাষ্ট্র কাঠামোর জন্য হুমকি স্বরুপ ও বটে। কালের পরিক্রমায় পরিবেশের সাথে যুদ্ধ করেই মানুষ এ পর্যন্ত টিকে রয়েছে। পরিপার্শ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মাধ্যমে আমাদের কে করোনা নিয়ন্ত্রনের কৌশল রপ্ত করতে হবে,ইমিউনিটি বাড়াতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা করার জায়গা, এমন মাহামারীতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখলে গবেষণায় আত্ন নিয়োগ করবে কারা,করোনা সম্পর্কে যতটুকু তথ্য এ পর্যন্ত পেয়েছি সেটা দিয়ে রণ ক্ষেত্র জয় করা সম্ভব নয়।

গবেষণার মাধ্যমে ভাইরাসটি সম্পর্কে আরো বেশ তথ্য উদ্ভাবন করতে হবে,তবেই কেবল করোনা জয় সম্ভব। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়ে কোভিড-১৯ রিসার্চ ফোরাম গঠন করলে করোনা প্রতিরোধে ব্যাপক পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে ।

বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সর্বোচ্চ মেধাবীদের জায়গা, এখানে কাউকে মাস্ক পড়া,২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধৌত করা, ভীর এরিয়ে চলাসহ করোনা সচেতনেতার উপদেশ দিতে হবে না, নিজে থেকেই এরা সব কিছু জানে এবং মেনে চলে।

বছরের শুরুতে মহামারী হানা দেওয়ায় শতকরা ৯০ ভাগ বিশ্ববিদ্যলয়ের প্রথম সেমিষ্টার পরীক্ষার কোর্স সমাপ্তীকরন পক্রিয়া স্হগিত রয়েছে।

এভাবে চলতে থাকলে সেশন জট ভয়াবহ আকার ধারন করতে পারে, যেখানে সকল ধরনের সরকারি বেসরকারি অফিস আদালত সহ যোগাযোগ ব্যাবস্হা সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হয়েছে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখা নেহায়াত নির্বুদ্ধিতার পরিচয়।

আমি মনে করি ১৫ ই জুন দেশের সকল বিশ্ববিদ্যলয় খুলে দেওয়া দরকার এবং এটা সময়ের দাবি।

নজরুল ইসলাম সুজন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,গোপালগঞ্জ
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।

বর্তমান করোনা পরিস্থিতি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

দেশে চলমান করোনার এ পরিস্থিতিতে ১৫ জুন পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে এবং ১৫ জুনের পর তা স্বাস্থ্য বিধি মেনে খুলে দেয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

কিন্তু একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমার মনে হয়, এখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার উপযুক্ত সময় এসে পৌঁছে নি।বন্ধ রাখার স্বপক্ষে নিচে ২/৩ টি যুক্তি সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম-

১.দিনকে দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দেশে লকডাউন,স্যোসাল ডিসটেন্সিং সহ বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্যেও যেখানে ব্যপক হারে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে, সেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে পাঠ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। কারণ, দেশের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসন স্বল্পতার কারণে একই সাথে অনেক কে গাদাগাদি করে বসতে হয়, যা করোনার ঝুঁকিকে অনেকাংশে বাড়িয়ে দেবে।

২.আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার ৬০% মানুষের বয়স ২৫ বছর থেকে নিচে,যাদের সিংহভাগই কোন না কোন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহণের সাথে সম্পৃক্ত। এই সিংহভাগ জনসংখ্যাই জাতির ভবিষ্যৎ। তাই জাতির এই ভবিষ্যতদের কোনভাবেই স্বাস্থ্য বা জীবন ঝুঁকির দিকে ঠেলে দেয়া উচিৎ হবে না।

৩.অফিস-আদালত, কল-কারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ থাকলে অর্থনীতির চাকা থেমে যাবে,মানুষ অর্থাভাবে মারা পড়বে। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে এসব ঘটার সম্ভাবনা খুব একটা নেই বল্লেই চলে।বরং, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার সুরক্ষিত থাকবে।

সাম্প্রতি ফ্রান্স তাদের কিছু সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পর পরই ৭০ জন নতুন আক্রান্ত পায়।তাই, আমরা চাইনা এই মুহূর্তে আমাদের দেশেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে যাক বা আমাদেরও এরকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হোক।

আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ
ইংরেজি বিভাগ,
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়,বাংলাদেশ।

বিশ্ববিদ্যালয় খোলা উচিৎ না

আমি মনে করি ১৫ তারিখের পর বিশ্ববিদ্যালয় খোলা উচিত নয় । কারণ হচ্ছে আমাদের দেশে এখন করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে গাণিতিক হারে।

যদি ১৫ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হয় তাহলে তা আমাদের জন্য অনেক বিপদজনক। প্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রা এখন বিভিন্ন স্হানে অবস্হান করছে এবং তারা যেখানে আছে সেখানের অবস্থা হয়ত ভালো অথবা খারাপ।

যখন খুলে দেওয়া হবে তখন তারা ক্যাম্পাসে যাবে যা তাদের জন্য বিপদজনক। এর ফলে তারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে।

এই কারণে ১৫ তারিখের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের না খুলে দেওয়া ভাল আমি মনে করি

সৌরভ হোসেন
শহীদুল চৌধুরী ইন্জিনিয়ারিং কলেজ
পুরপ্রকৌশল বিভাগ

হলগুলো হবে মৃত্যু পুরি

১।  খুব অদ্ভূতভাবে লক্ষ করছি সরকার কিছু একটা ক্ষেত্রে লকডাউন শিথিল করলেই আমরা সব জায়গা থেকে লক ডাউন তুলে দেয়ার জন্য গুঞ্জন শুরু করে দিই।

ব্যাপারটা এমন যে লকডাউন তুলে দেওয়ার অর্থ এই যে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক। অথচ এটা দিন দিন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে।

আমরা যদি গ্রাফের দিকে তাকাই, দিন দিন আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার ওপরেই উঠছে, নিচে নামছে না। এই অনিরাপদ পরিস্থিতিতে আমার মনে হয় ক্যাম্পাস না খোলাই উচিৎ।

আমি যদি একটু বলতে যাই, ধরি খুলে দেওয়া হলো। এবার কি ঘটবে। প্রথমত, ব্যাতিক্রম ছাড়া কোন পাবলিক ক্যাম্পাসই পুরোপুরি আবাসিক না। তো যারা ক্যাম্পাসের ভেতরে হলসমূহে থাকছে তারা যেটুকু নিরাপদ থাকতে পারতো, অনাবাসিকদের জন্য সেটা সম্ভব হবে না।

কারণ, তারা বিভিন্ন মেস, ভাড়া বাসায় থাকছে। কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের বড় একটা আশঙ্কা থেকেই যায়। আর ভার্সিটি বাদ দিলে নিচের লেভেলের প্রায় অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনাবাসিক।

তো এখানে করোনা বিস্তার কিভাবে রোধ করা যাবে? অথবা, যদি স্টুডেন্টদের মধ্যে কেউ সাসপেক্ট থাকে বা লক্ষণ প্রকাশ পায় তার ব্যাপারে প্রতিষ্ঠান কি পদক্ষেপ নেবে? অ্যাটেন্ডেন্স এর জন্য কি আলাদা রুলস বানাবে?

সুতরাং, সার্বিক বিবেচনায় করোনা পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আসার আগ পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খোলাই মঙ্গল বলে মনে করছি।

নাজমুস সাকিব
পুরকৌশল বিভাগ

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

২। যেখানে অনেক শিক্ষার্থীকে হলের গন রুম গুলোতে অনেক টা প্রতিকূলতার সাথে থাকতে হয়, সেখানে সত্যিই কী ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব! ৬০ জনকে এমনিতেই ঠাঁই দিতে যখন ক্লাসগুলো হাঁপিয়ে ওঠে , সেখানে স্বাস্থ্য বিধির প্রয়োগ সম্ভব? বাকি সব বাদ দেই ,ল্যাবগুলোর ইনস্টুমেন্ট গুলোকে কী করবেন ?

পিপিই , মাস্ক , গ্লোবস পরে কি এসি ছাড়া রুম গুলোতে কাজ চালানো যাবে? সাথে ৬ ফুট দূরত্ব! যদি পারা যায় তবে খুলে দিন বিশ্ববিদ্যালয়। নাহলে দয়া করে নতুন করে কারো জন্য করোনা ফাঁদ তৈরি করবেন না 🙃।

নাজমুল হাসান আনান
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়