পাতাল রেলের পরিকল্পনা আর কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ থাকছে না। এবার সেটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে এবং সেটি এই সরকারের আমলেই হবে। সরকারের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। তারা জানাচ্ছেন, সরকারের এই মেয়াদেই পাতাল রেল প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।

সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, ঢাকার মহাসড়কের ১০০ বাসে ঘণ্টায় ধারণক্ষমতা ১০,০০০ যাত্রী। অন্যদিকে, পাতাল রেল হলে ঘণ্টায় ৬০,০০০ যাত্রী চলাচল করতে পারবে

রাজধানীর যানজট পরিস্থিতি সহনীয় করতে এবার মাটির নিচ দিয়ে রেল চলাচলের বিশাল পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ঢাকার মোট ১১টি রুটকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

রাজধানীকে যানজট ও বাসবাসের উপযোগী করতে মেট্রোরেল এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ের পাশাপাশি এবার সাবওয়ে নির্মাণের পথ উন্মুক্ত করতে যাচ্ছে ঢাকা গণপরিবহন কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারিত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের দিক থেকে সাবওয়ে প্রকল্পট বাস্তবায়নের অর্থায়ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শনিবার (১৪ নভেম্বর) তৃতীয় বাংলাদেশ-কোরিয়া যৌথ পিপিপি বৈঠকে টঙ্গী থেকে সদরঘাট রুটের প্রস্তাবটি উপস্থাপন করে সেতু কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশের পিপিপি কর্তৃপক্ষ ও কোরিয়া ইনফ্রাস্ট্রাকচার এন্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (কেআইএনডি) ভার্চুয়াল বৈঠকটি আয়োজন করেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার ল্যান্ড, ইনফ্রাস্ট্রাকচার এন্ড ট্রান্সপোর্ট (এমওএলআইটি) মন্ত্রী কিম হ্যান-মি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বৈঠকে যুক্ত হয়েছিলেন।

বাংলাদেশকে একটি উন্নতি দেশে রূপান্তরের ধারায় সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

সেতু বিভাগ সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসাইন বলেন, “আমরা ঢাকায় একটি সাবওয়ে নেটওয়ার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা করছি এবং টঙ্গী-সদরঘাট সাবওয়ে লাইন তারই একটি অংশ। আমরা আশা করি কেআইএনডি এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবে।”

তিনি বলেন, সাবওয়ে প্রকল্পটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যেন নির্মীয়মাণ মেট্রোরেলের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয়।

তিনি বলেন, “আমরা ইতোমধ্যেই এবিষেয়ে ডিএমটিসিএল-এর সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছি যেন এই দুই বিষয়ে সবরকম দ্বিধা-দ্বন্দ্ব পরিষ্কার হয়ে যায়।”

জানা গেছে, গত জুলাইয়ে ঢাকায় পাতাল রেল (সাবওয়ে) নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের অনুমোদন দেয় সরকার। স্প্যানিশ প্রতিষ্ঠান টিপসা এ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করছে। ২২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকায় পাতাল রেল রুট নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই করবে ওই প্রতিষ্ঠানটি।

সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, মাটির ২০ থেকে ৪০ মিটার গভীরে পাতাল রেলপথ নির্মাণ করা হবে। অত্যাধুনিক টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম) ব্যবহার করা হবে এ কাজে।

তাই প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় জনদুর্ভোগ হবে না। মাটির ওপরে খোঁড়াখুঁড়ি করতে হবে না।

সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, ঢাকার মহাসড়কে ১০০ বাসে ঘণ্টায় ধারণক্ষমতা ১০,০০০ যাত্রী। অন্যদিকে, পাতাল রেল হলে ঘণ্টায় ৬০,০০০ যাত্রী চলাচল করতে পারবে। এছাড়া, উড়াল সেতুর সম্ভাব্য আয়ুষ্কাল ৫০-৭৫ বছর আর সাবওয়ের স্থায়িত্বকাল ১০০ থেকে ১২৫ বছর।

লন্ডনের শতবর্ষী পাতাল রেল এখনো সচল রয়েছে। যানজট নিরসনে লন্ডন ছাড়াও নিউইয়র্ক, সানফ্রান্সিসকো, বাগোটার মতো শহরে উড়ালসড়ক, ফ্লাইওভার, ভায়াডাক্ট অপসারণ করে সাবওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে।

মোট ২৫১ কিলোমিটার দীর্ঘ সাবওয়ে নির্মাণ করা হবে। প্রাথমিকভাবে ৯০ কিলোমিটার বাস্তবায়ন করা হবে।

এই প্রকল্পের সমীক্ষা যাচাইয়ের সঙ্গে যুক্ত পরামর্শক কমিটি সম্ভাব্য ১১টি রুট চিহ্নিত করে সম্প্রতি সেতু বিভাগে রুটের তালিকা পাঠিয়েছে।

রুট ‘বি’

রুট ‘বি’ হিসেবে গাবতলী-ভোলাব ইউনিয়ন রোড ৩০.৫১ কিলোমিটার দীর্ঘ সাবওয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। রুটগুলো হচ্ছে- গোলারটেক, তুরাগ সিটি, জাতীয় চিড়িয়াখানা, মিরপুর-১১, কালশি মোড়, মাটিকাটা রোড, বিমানবাহিনী সদর দপ্তর, বারিধারা ডিওএইচএস, ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা ব্লক-ডি, বসুন্ধরা ব্লক আই অ্যান্ড জে, বসুন্ধরা সাউথ, বসুন্ধরা ব্লক-এম, বসুন্ধরা ব্লক-এন, মাস্তুল, ডেলনা, টোলনা, পূর্বাচল সেক্টর-১৫, পূর্বাচল সেক্টর-১৮, পূর্বাচল সেক্টর সেন্ট্রাল, পূর্বাচল সেক্টর-১৯, পূর্বাচল সেক্টর-২১, পূর্বাচল সেক্টর ইস্ট, পূর্বাচল মালুম সিটি ও ভোলাব ইউনিয়ন রোড।

রুট ‘ডি’

হিসেবে কেরানীগঞ্জের ভাওয়াল থেকে ঠুলঠুলিয়া (পূর্ব খিলগাঁও) পর্যন্ত ১৫.৬৮ কিলোমিটার ধরা হয়েছে। সেখানে থাকবে ২৪টি স্টেশন। রুটটি হচ্ছে- আটি ভাওয়াল, চান্দিপুর, আটিবাজার, ভাঙ্গাবাড়ি ব্রিজ, হাজারীবাগ, জিগাতলা, সায়েন্সল্যাব, শাহবাগ, কাকরাইল, রাজারবাগ, বাসাবো, আবদুল আজিজ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ ও ইস্ট নন্দিপাড়া।

রুট ‘জি’

গাবতলী থেকে বসুন্ধরা রিভারভিউ পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার পথের জন্য ১৫টি স্টেশন। এটি রুট জি হিসেবে চিহ্নিত। রুটগুলো হচ্ছে- গাবতলী, আদাবর, মোহাম্মদপুর, নিউ চৌরাস্তা মোড়, শঙ্কর, হাজারীবাগ, শহীদ শেখ রাসেল হাইস্কুল, নবাগঞ্জ পার্ক, লালবাগ, মিটফোর্ড গেট, সদরঘাট, মিল ব্যারাক, শ্মশান ঘাট, বসুন্ধরা ভিউ নর্থ।

রুট জে হিসেবে চিহ্নিত গাবতলী-পূর্বাচল নর্থ। ২৯.৪০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যর এই সাবওয়েতে ২৫টি স্টেশন থাকবে।

প্রস্তাবিত এলাইনমেন্ট- হাজারীবাগ, মোহাম্মদপুর, নবদয় হাউজিং সোসাইটি, রামচন্দ্রপুর, গুলশান, মহাখালী, ফ্যালকন, বিজয় সরণি, কলেজ গেট-১, বাড্ডা, নামাপাড়া, সাঁতারকুল, সানভ্যালি নর্থ, পশ্চিম হারারদিয়া, কায়েমসার, বরুনা, জলসিঁড়ি সেক্টর-৪, জরসিঁড়ি সেক্টর-১৫ সাউথ, জলসিঁড়ি সেক্টর-১৫ নর্থ, জলসিঁড়ি সেক্টর-১০, পূর্বাচল সাউথ, পূর্বাচল সেক্টর-২, পূর্বাচল সেক্টর-১০, পূর্বাচল সেন্ট্রাল।

রুট ‘ও’

সাবওয়ের ‘ও’ রুট হিসেবে বলা হয়েছে টঙ্গী জংশন থেকে ঝিলমিল এলাকাকে। ২৮.৭১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যর এই রুটে ২৭টি স্টেশন থাকবে। টঙ্গী জংশন, টিএসএস, মাছিমপুর, উত্তরা সেক্টর-১০, উত্তরা সেক্টর-১৩, উত্তরা সেক্টর-১৪, নর্থ বাউনিয়া, উত্তরা সেক্টর-১৭, সাগুফতা নিউ রোড, কালশী মোড়, পলাশনগর, ভাসানটেক সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, কচুক্ষেত, রজনীগন্ধা মার্কেট, রাওয়া, মহাখালী, বিজিপ্রেস, হাতিরঝিল, রমনা, কাকরাইল, গুলিস্তান, নয়াবাজার, সদরঘাট, খেজুরবাগ, মুসলিমনগর, তেঘরিয়া বাজার ও ঝিলমিলের নেটওয়ার্ক।

রুট ‘পি’

হচ্ছে শাহকবির মাজার, গাওয়ার, এয়ারপোর্ট, কুর্মিটোলা, আজিজ মার্কেট, মাটিকাটা রোড, ভাসানটেক বাজার, লেকভিউ পার্ক, গুলশান-২, গুলশান-১, পুলিশ প্লাজা, রামপুরা, তালতলা, বাসাবো, মুগদা, কমলাপুর, গোলাপবাগ, সায়েদাবাদ, মুরগীতলা সদরঘাট। শাহকবির মাজার রোড থেকে সদরঘাট পর্যন্ত িই রুটের দৈর্ঘ্য ২২.৯৯ কিলোমিটার। এতে স্টেশন থাকবে ২০টি।

রুট ‘এস’

নাম দেওয়া হয়েছে কেরানীগঞ্জ থেকে সোনাপুর সাবওয়ের। ১৯.৫০ কিলোমিটার এপথেও থাকবে ২০টি স্টেশন। কেরানীগঞ্জ, কামরাঙ্গীরচর, শহীদনগর, লালবাগ, চকবাজার, নয়াবাজার, দয়াগঞ্জ, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, ধনিয়া, রায়েরবাগ, মাতুয়াইল, সাইনবোর্ড, সানারপাড়, মৌচাক, চিটাগাং রোড, কাঁচপুর ও সোনাপুর হচ্ছে এর রুট।

রুট ‘টি’

হিসেবে থাকবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত। ৪৭.৫৪ কিলোমিটার এপথে ৪৪টি স্টেশন থাকবে। রুটগুলো হচ্ছে- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, আদর্শনগর, কলমা, আকুপাড়া, আশুরিয়া মডেল টাউন ওয়েস্ট, আশুলিয়া মডেল টাউন সেন্ট্রাল, আশুলিয়া মডেল টাউন ইস্ট, বিনোদপুর, উত্তরা সেক্টর-১৬, উত্তরা নর্থ, উত্তরা সেক্টর-১২, উত্তরা সেক্টর-১৩, আযমপুর রোড, আযমপুর কাঁচাবাজার, শাহকবির মাজার রোড, নোয়াপাড়া (দক্ষিণখান), নদ্দাপাড়া (দক্ষিণখান), বরুয়া নর্থ, বরুয়া সাউথ, পিওএইচএস, বসুন্ধরা ব্লক কে অ্যান্ড এল, বসুন্ধরা সাউথ, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, মেরুল ব্রিজ, সানভ্যালি নর্থ, আফতাবনগর নর্থ, আফতাবনগর ইস্ট, ওয়েস্ট নন্দীপাড়া, গ্রিন মডেল টাউন, মাতুয়াইল উত্তরবন্দ, মাতুয়াইল উত্তরপাড়া, শনিরআখড়া, রায়েরবাগ, ইস্ট মোহাম্মদবাগ, আদর্শনগর, শিবু মার্কেট, ডিসি অফিস নিউ কোর্ট ও চাষাঢ়া।

রুট ‘ইউ’

ধরা হয়েছে তেঘরিয়া বাজার-নারায়ণগঞ্জ। ১৩ দশমিক ৮৩ কিলোমিটারের এই রুটে আটটি স্টেশন থাকবে। তেঘরিয়া বাজার, স্টেশন (এসটি) ০২, বসুন্ধরা রিভারভিউ সাউথ, এসটি০৪, এসটি০৫, এসটি০৬, নারায়ণগঞ্জ ও এসটি০৮। রুট ভি হচ্ছে টঙ্গী জংশন থেকে কোনাবাড়ী। ১০ স্টেশনের এই রুটের দৈর্ঘ্য ১০ কিলোমিটার। টঙ্গী জংশন, চেরাগআলী মার্কেট, এসটি০৫, এসটি০৬, এসটি০৭ ও কোনাবাড়ী।

রুট ‘ডব্লিউ’

গাবতলী থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ১৫.৫২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এই রুটে ছয়টি স্টেশন থাকবে। রুটগুলো হচ্ছে- গাবতলী, এসটি০২, এসটি০৩, এসটি০৪, এসটি০৫, এসটি০৬, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও এসটি০৮। প্রসঙ্গত, ‘এসটি’ তথা স্টেশন লেখা গন্তব্যে এখনো স্টেশন চূড়ান্ত হয়নি। তাই এসটি লিখে রাখা হয়েছে।

সরকারের সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (আরএসটিপি) অনুযায়ী এমআরটি লাইন-১ (নদার্ন), এমআরটি লাইন-৫ (সাউদার্ন) ও এমআরটি লাইন-৬ এর অ্যালাইনমেন্টের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সাবওয়ে নেটওয়ার্ক তৈরির সিদ্ধান্ত হয়।

টানেল ও স্টেশনের মাটি নিয়ে জটিলতা

এদিকে, ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় মাটি ফেলার জায়গা না পেয়ে জটিলতার মুখে পড়েছে মেট্রোরেল বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ। ঢাকার বিভিন্ন রুটে প্রস্তাবিত পাঁচটি মেট্রোরেলের নির্মাণ অগ্রগতি পর্যালোচনা বৈঠকে বিষয়টি উঠে আসে।

এতে জানানো হয়, ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রোরেল (পাতাল) নির্মাণে সবচেয়ে জটিলতা হবে মাটি অপসারণ ও তার ব্যবহার নিয়ে।

সংশ্লিষ্ট তথ্যমতে, ঢাকায় পাতাল রেল হবে সড়কের ১৫০ থেকে ২০০ ফুট নিচে। আর স্টেশনগুলোর আকার হবে কয়েক হাজার বর্গফুট ও তিন-চার তলাবিশিষ্ট।

এতে পাতাল রেলের টানেল ও স্টেশন থেকে প্রচুর মাটি অপসারণ করতে হবে। ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় এত পরিমাণ মাটি ফেলার মতো পর্যাপ্ত নিচু জমি নেই। কিছু স্থানে নিচুজমি বা খাল থাকলেও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় সেখানে মাটি ফেলা সম্ভব নয়।

তাই মেট্রোরেলের মাটি ফেলার জন্য একাধিক বিকল্প নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকার জন্য প্রস্তাবিত পাতাল রেলের মাটি অপসারণ ও তা ফেলতে যে ব্যয় হবে, তা দিয়ে উড়ালপথে আরেকটি মেট্রোরেল নির্মাণ সম্ভব। পুরো প্রক্রিয়াটি বেশ সময়সাপেক্ষও।

তাই কম ব্যয়ে ও সাশ্রয়ী সময়ে কীভাবে মাটি অপসারণ করা যায়-তা নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট সব মহলের মতামত চাওয়া হয় বৈঠকে। এক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উদাহরণও বিবেচনা করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, মাটি ফেলার জন্য সর্বশেষ বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা বিভিন্ন আবাসন প্রকল্প।

এসব প্রকল্পের জন্য নিচু জমি ভরাটে প্রচুর বালি ও মাটি দরকার হবে। এক্ষেত্রে আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রোরেলের মাটি সরবরাহ করা যায় কি না, তা বিবেচনা করা হচ্ছে। এজন্য আবাসন কোম্পানিগুলোর সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।