নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘এটি এখন জীবন বনাম মুনাফা, এমন এক যুদ্ধ।

আপনারা কি চান মানুষ বেঁচে থাকুক নাকি,

বেঁচে থাকতে মানুষ কত টাকা দিতে পারবে তা নিয়ে দর কষাকষি করতে চান?’

উন্নত দেশগুলোর করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন সংরক্ষণের বিষয়ে আল জাজিরার নিউজ আওয়ারকে দেয়া সরাসরি সমপ্রচারিত সাক্ষাৎকারে তিনি এ প্রশ্ন করেন।

কীভাবে বড় ঔষধ কোম্পানি এবং উন্নত দেশগুলোর দরিদ্র দেশগুলোর প্রতি মানবাধিকার প্রদর্শনে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, সে বিষয়ে তিনি আলোচনা করেন।

ড. ইউনূস বলেন, উন্নত দেশগুলো তাদের নাগরিকদের প্রত্যেককে তিন বার করে দেয়ার মতো পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন রয়েছে, কিন্তু দরিদ্র দেশগুলোর এমনকি স্বাস্থ্যকর্মী এবং ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছানোর মতো পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন নেই।

করোনায় মানবজাতি ডুবে মরছে। এখন যখন উদ্ধারকারী জাহাজ এসেছে, তখন বলা হচ্ছে- কেবল সর্বোচ্চ নিলামদাতারাই তাতে চড়তে পারবে! তাদের অনেক আছে, সেটা সমস্যা নয়। কিন্তু তারা আমাদের বলুক, কীভাবে তারা সেগুলো বানাচ্ছে। আমরা তো বিনামূল্যে চাচ্ছি না।

আমরা বলছি, ভ্যাকসিনকে ‘গ্লোবাল কমন গুড’ ঘোষণা করা হোক, যাতে এর কোনো প্যাটেন্ট না থাকে।

যাতে এটা শুধু পৃথিবীর এক জায়গায় নয়, সব জায়গাতেই বানানো যায়।

উল্লেখ্য, করোনা মহামারির শুরু থেকেই এর ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে তাকে ‘গ্লোবাল কমন গুড ঘোষণার জন্য বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্যোগে একটি আবেদনে অনেক নোবেলবিজয়ী, রাষ্ট্রপ্রধান, রাজনৈতিক নেতা, শিল্পী, এনজিও সহ বহু প্রখ্যাত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই স্বাক্ষর করেছেন।

গ্লোবাল কমন গুডের অর্থ করোনার ভ্যাকসিনের উপর বিশ্বের সব মানুষের সমান অধিকার থাকতে হবে, যেমন আলো-বাতাসের উপর সবার সমঅধিকার রয়েছে।

এ নিয়ে কাজ করছে পিপলস ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স। ঢাকাস্থ ইউনূস সেন্টার যার অন্যতম সদস্য।

আর ড. মুহাম্মদ ইউনূস হলেন- ইউনূস সেন্টারের চেয়ারম্যান।