RUET Connect: কৃত্রিম ভেন্টিলেটর ডিজাইন এবং উৎপাদনে কাজ করছে রুয়েটের এলামনাই সংগঠন টিম দুর্বার কান্ডারী (Durbar Kandari)।
পুরো পৃথিবী করোনা ভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে আছে। প্রতিদিন জ্যামিতিক হারে বাড়ছে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। বাংলাদেশে করোনা আউট-ব্রেক পর্যায়ে চলে গেলে হাসপাতাল গুলোতে দরকার হবে প্রচুর সংখ্যক নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (ICU) এবং কৃত্রিম ভেন্টিলেটর। কিন্তু আমাদের দেশে প্রয়োজনের তুলনায় ভেন্টিলেটরের সংখ্যা খুবই কম।
দেশের হাসপাতাল গুলোতে ভেন্টিলেটরের এই সংকট কালে পোর্টেবল ও স্বল্প খরচে দেশীয় প্রযুক্তি দ্বারা ভেন্টিলেটর ডিজাইন এবং উৎপাদনে কাজ করছে রুয়েটের ৫০ জনের অধিক দক্ষ এলামনাই ইঞ্জিনিয়ার, গবেষক এবং বর্তমান শিক্ষার্থীদের টিম “দুর্বার কান্ডারী (Durbar Kandari)”। যা দেশের এই ক্রান্তি-লগ্নে করোনা ভাইরা মোকাবিলায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং মৃত্যুহার কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বহুলাংশেই।
ভেন্টিলেটর হল একটি মেকানিকাল ডিভাইস যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস প্রদান করে। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত সংখ্যক ভেন্টিলেটর প্রয়োজন৷
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মারা যাওয়া বেশিরভাগ রোগীই শ্বাস-কষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগেন। ফলে যেসব রোগীর করোনা সংক্রমণ খুবই মারাত্মক তাদের ফুসফুস অকার্যকর হয়ে পরে বিধায় ফুসফুসের মাধ্যমে শ্বাস নিতে পারেনা।
তখন রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজটা কৃত্রিম ভেন্টিলেটর করে দেয়৷ করোনা আক্রান্ত রোগীর জীবন রক্ষায় কার্যকরী একটি যন্ত্র এই ভেন্টিলেটর৷ কিন্তু দুঃখের বিষয় বাংলাদেশের হাসপাতাল গুলোতে এর পর্যাপ্ত মজুত নেই।
রুয়েটের টিম দুর্বার কান্ডারী (Team Durbar Kandari) ইতোমধ্যেই একটি মেকানিক্যাল ভেন্টিলেটরের প্রোটোটাইপ মডেল তৈরি করেছে যা প্রথম পর্যায়ে মডেলটিতে সবচেয়ে দরকারি এবং জীবন রক্ষাকারী ফিচারগুলোর থাকবে।
দ্রুততর সময়ে প্রোটোটাইপটি প্রস্তুত করার লক্ষে, MIT EMERGENCY-VENT নামক একটি ওপেন সোর্স ডিজাইনের উপর ভিত্তি করে প্রাথমিক মডেলটি দাঁড় করানো হয়েছে। এছাড়াও মাস প্রডাকশনের কথা মাথায় রেখে, মডেলটি স্বল্প-খরচে এবং দেশীয় প্রযুক্তিতে বানানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্বল্প মূল্যের ভেন্টিলেটর বানানোর পাশাপাশি তারা আরো কিছু লাইফ সাপোর্টিং ডিভাইস নিয়ে কাজ করছে। CPAP, স্বল্প মূল্যের AMBU ব্যাগ বানানোর কাজও চলমান।
প্রোটোটাইপ শেষে পুরো ডিজাইনটি ওপেন সোর্স লাইসেন্স-এর আওতায় উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে যেন অন্য যেকেউ সহজেই যন্ত্রটি বানাতে পারেন। এই প্রজেক্টের আরেকটি লক্ষ্য হলও, গণ-অর্থায়ন (Crowdfunding) এর মাধ্যমে যন্ত্রটি মাস প্রডাকশন করে সারাদেশে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ফ্রি সরবরাহ করা।
এছাড়াও সরকার বা অন্য কোনও প্রতিষ্ঠান (অলাভজনক উদ্দেশ্যে) যন্ত্রটি উৎপাদন করতে চাইলে এই টিম সর্বোচ্চ কারিগরি সহায়তা প্রদানে সচেষ্ট থাকবে।
ইডি/ক্যাম্পাস কানেক্ট/মুহাম্মদ রবিউল হাসান