(আমি কোন সাব্জেক্ট রিভিউ লিখতে বসি নাই। এটা সাব্জেক্ট রিভিউ ভাবলে ভুল হবে।)
প্রিয় অনুজ,
তোমার লাইফ গোল হয় যদি নতুন কিছু করার, নিজেকে আরো কাছ থেকে বুঝার, দেশের জন্য কিছু করার, পড়ার প্রতি নিজেকে অনেক ডেডিকেটেড বলে জানো, নতুন কিছু জানার আগ্রহে ঘুম আসে না, তাহলে তোমাকে “DNA World” এ স্বাগতম।
এই এক মাত্র বিষয় যা তোমাকে মেডিকেল + ইঞ্জিনিয়ারিং( বায়োলজিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার) দুইটা বিষয়ের জানার সুযোগ করে দিবে।
আর যদি তোমার জানার আগ্রহ যদি হয় ইউকেরিওট, প্রোকেরিওট, ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস এর মোলিকুলার লেভেলে ঘুরাঘুরি করতে চাও যদি, তাহলে তোমার জন্য এই বিষয়ই ফাস্ট চয়েজ হওয়া উচিৎ।
কেন জেনেটিক্স??
তুৃমি, নিজের ৩ বিলিয়ন বেস পেয়ার(A,T,G,C) কিভাবে তোমার তোমাকে নিয়ন্ত্রন করছে( মাত্র ১.২% বেস পেয়ার অামাদের সবার বৈশিষট নিয়ন্ত্রন করছে! যাকে আমার জিন নামে জানি) তা ভালো ভাবে জানতে হলে তোমাকে এই বিষয়ের গভির নোলেজ থাকা লাগবে। যেখানে প্রায় ৮% ডিএনএ আমরা ভাইরাস থেকে পেয়েছি!!! মানে তুমি-আমি, আমরা সবাই ভাইরাসের সাগরে ডুবে আছি। কিন্তু তা খুব কমই আমাদের জন্য ক্ষতির কারন হয়ে থাকে।
বিলিভ-মি একটা মিউটেন্ট বেস(ভৌত/রসায়নিক কারনে স্বাভাবিক বেসের পরিবর্তন) পেয়ারের আবিষ্কারের জন্য হয়তো সায়েন্স এর ইতিহাস নতুন করে লিখতে হবে!! কারন এই অস্বাভাবিক পরিবর্তন কারনে, নাম না জানা অনেক রোগের কারন হতে পারে। যেমন, “Sikle Cell Anemia”!
আবার ইঞ্জিনিয়ার্ড প্লান্ট, ব্যাক্টেরিয়াম, ভাইরাস দিয়ে তুমি বিজ্ঞানকে অন্য ধাপে নিয়ে যেতে পারো।
হিউম্যান জিনোম প্রজেক্ট :
যা একবিংশ শতাব্দীর বায়োলজিক্যাল সেক্টররে অন্যতম অর্জন। যার মাধ্যমে আমাদের প্রায় ২৩০০০ জিনের সম্পর্কে জানতে পেরেছি। যার মাধ্যমে আমাদের রোগ(জেনেটিক্স ডিস-অর্ডার) সম্পর্ক এ জেনে তার চিকিৎসা অনেক সহজ করে দিচ্ছে।
ভবিষ্যৎ চিকিৎসা প্রক্রিয়া পরিবর্তনে জেনেটিক্স এর মানুষগুলা নেতৃত্ত দেয়ার দাবি রাখে। কারন জিনোম সিকোয়েন্সিং তা করতে গুরুত্বপুর্ন অবদান রাখবে।
বায়োটেকনোলজি সম্পর্ক এ পরে লিখার ইচছা অাছে।
এখন একটু হতাশার কথা বলি!!😖😖
১)
তুমি যদি পড়ার প্রতি ডেডিকেটেড না থাকো, তাহলে এই বিষয় তোমার লাইফকে বিষিয়ে তুলবে।
২)
ল্যাব ফেসিলিটি অাপ-টু-ডেট না।
৩)
জীবনে সেটেলমেন্ট করতে, ভালো সময় হাতে রাখতে হবে।(এই বিষয় পড়ে অন্য সেক্টরে চাকুরি করতে চাইলে তাহলে অন্য ব্যপার।)
আশার বানী:😍😍
১) বিদেশে Scholarship নিয়ে পড়তে যাওয়ার জন্য, সবচেয়ে বেশি স্কোপ পাবে এই বিষয় থেকে।(বায়োলজিক্যাল সায়েন্স)
২)ল্যাবের ল্যাকিন্স গুলো ওভারকাম করে, অনেক সাফল্য আছে এই বিষয়ে। কারন বিদেশে ডিগ্রি নেয়ার সময় তুমি তা পুষিয়ে নিতে পারবা আশা করি।
আর দেশে বিভিন্ন রিসার্চ ইন্সটিটিউট( যেমন, NIB, BCSIR) এর মাধ্যমে তা সহজে দেশে থেকেও করা যাবে।
৩) USA তে অন্যতম হায়েস্ট স্যালারির জবগুলোর একটি এটি। দেশে রিসার্চ ইন্সটিটিউট গুলোই জবে অনেক ক্ষেত্র আছে, ভবিষ্যৎ আরও
৪) ড. আবিদ স্যার এর মতো E.coli এর জিন, ড. মাকসুদুল স্যার এর মতো পাটের জিনোম সিকোয়েন্সিং করে ন্যাশনাল হিরো হতে চাও? বিদেশ বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করার জন্য তোমার মেধা ছাড়া আর বেটার অপশন কি হতে পারে?
**বিষয় নেয়ার ক্ষেত্রে নিজের ভালো-লাগাকে প্রাধান্য দিবে, না হয় যে কোন সহজ বিষয় লাইফকে হেইল করে দিবে।
**নিজের ভালো লাগা হয় যদি হয় বায়োলজি, কেমেস্ট্রি, আর তোমার থাকে যদি পড়ার প্রতি ডেডিকেটেশন তাহলে তুমি এই বিষয় নিতে পারো।
ধন্যবাদান্তে,
মো: নেয়ামতউল্লাহ
বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ,
নোয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।