আচ্ছা, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ কী??? 
এরা আসলে কি করে?
কেনই বা এদের কে উচ্চ বেতনে চাকরি দেয় টেক্সটাইল শিল্পমালিকরা??
………..
অনেকেই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার নাম শুনলেই নাক সিটকান, বলেন এইটা কোন ইঞ্জিনিয়ারিং হইল!!! কাপড়-চোপরের আবার কিসের ইঞ্জিনিয়ারিং? 😕……. শতকরা ৮০ভাগ লোকই জানেন না যে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরি মানে কাপড়-চোপরের ইঞ্জিনিয়ারিং না।😑
→ এটি সম্পূর্ন ম্যানুফ্যাকচারিঙ বেসড একটি process যেখানে একজন ইঞ্জিনিয়ারকে মেশিন set up থেকে শুরু করে প্রসেস কন্ট্রোল, প্রোডাক্ট development , গিয়ার মেকানিসম এবং মেইন্টেনেন্স নিয়ে কাজ করতে হয়!!☺
→ স্পিনিং এর ইঞ্জিনিয়ার দের প্রোগ্রাম ইনপুট দেয়া জানতে হয়। 😊
→ওয়েট প্রসেসিং ইঞ্জিনিয়ার দের প্রথম সারির কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হতে হয়।😊
→ নাসার বিজ্ঞানিরা, যারা দীর্ঘদিন যাবত মহাকাশে মানুষ পাঠাতে কাজ করে যাচ্ছেন তারা অসংখ্য টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার দের গবেষনায় নিযুক্ত করে স্পেস স্যুট এবং ন্যানোফাইবার, কার্বন ফাইবারের শিল্ড তৈরীর জন্য।
😊
←→অতি সম্প্রতি বুয়েট নন-ওভেন জূট টেকনোলজী কে জিও টেক্সটাইল হিসেবে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজে ব্যবহার শুরু করেছে,আগামিতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়মিত বিষয় হিসেবে যখন জিও-টেক্সটাইল পড়ানো হবে তখন এই কোর্সের জন্য বাংলাদেশের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার দেরকেই শিক্ষক হিসেবে পাবে তারা।😊
→ সত্যি বলতে কী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টের সাথে সব চেয়েবেশি মিল রয়েছে আইপিই ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সাথে।😊
→যাই হোক, পেশা হিসেবে অনেকের অ্যালার্জি থাকলেও বাংলাদেশে একমাত্র টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররাই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে “ #Made_in_Bangladesh ” ট্যাগ এ ব্র্যান্ডিং শুরু করেছে।❤❤ আজকাল অনেক প্রতিষ্ঠান ( যেমন ওয়াল্টন ) দাবি করে তারা নাকি বাংলাদেশকে ব্যান্ডিং করছে, আন্তর্জাতিক হাজার হাজার ব্র্যান্ডের ভিড়ে কয়জন মানুষ ওয়াল্টন ব্যবহার করে কেউ জানে?
★★→ জেনে রাখুন বিশ্বের ২য় বৃহত্তম জিন্স ব্র্যান্ড : ‘ এইচ এন্ড এম ‘ শুধুমাত্র বাংলাদেশ থেকেই বছরে ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার মুল্যের পন্য নিয়ে থাকে😍, আজ আমরা যারা হলিউডের মুভি দেখে অভ্যস্ত তারা কয়জনে জানি এই সব নামীদামি সেলিব্রেটিরা বাংলাদেশ এর নাম কে এক্টি ব্র্যান্ড হিসেবে জানে?😍 ফুটবল বিশ্বকাপে গ্রেড ওয়ান জার্সি , ন্যাটোরক্যামোফ্ লেজ ড্রেস থেকে শুরু করে ডিজেল, রিবক, নাইকি, পুমা কারা নির্ভর করে না এই দেশের টেক্সটাইল প্রোডাক্ট এর উপর? আর যারা বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ কে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত করেছেন তারা এই দেশের ই টেক্সটইল ইঞ্জিনিয়ার রা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশ কে টেক্সটাইল সেক্টরের পরবর্তি চীন হিসেবে ঘোষনা করেছে।
…..😍😍
আরো একটি কথা’ 
“ভালো জব বা ৬/৭ ডিজিট স্যালারী যেখানে সেখানেই পড়বা এমন চিন্তা বাদ দিয়ে দাও। সেখানে পড়লেই যে লাইফ স্যাটেল তা সম্পূর্ণ ভুল। তোমার সেটাই প্রাপ্য যেটা তুমি ডিজার্ভ করো। দিনশেষে নিজের সেটিসফেকশন ই মুখ্য। অতএব, আলহামদুলিল্লাহ ফর এভ্রিথিং”😍😍
Feel proud to be a টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার
বুটেক্স ২০১৮-১৯ সেশনে চান্সপ্রাপ্তদের সবাইকে অভিনন্দন। দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র পাবলিক টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৫ তম ব্যাচকে স্বাগতম❤