প্রকৌশলবিদ্যার সবচেয়ে পুরোনো শাখা Civil Engineering-এর প্রধানত পাঁচটি মেজর পার্ট বা ডিসিপ্লিন রয়েছে—
- ১. Structural Engineering
- ২. Transportation Engineering
- ৩. Environmental Engineering
- ৪. Geotechnical Engineering
- ৫. Water Resources Engineering
কিন্তু ক্রমবর্ধমান চাহিদার জন্য দেশে WRE স্পেশালিষ্টদের গুরুত্ব বাড়লো। এই পারস্পেক্টিভ থেকেই WRE ডিপার্টমেন্টটা খোলা। নদীমাতৃক এবং সাগরের তীরে অবস্থিত দেশ হিসেবে Water Resource গুলো আমাদের জন্য যেমন সম্পদ, তেমনি ক্ষেত্রবিশেষে বিপদের কারণ। আর যেখানে সমস্যা রয়েছে, সেখানেই সমস্যা সমাধানকারীর চাহিদা রয়েছে। বুয়েটের WRE-র একজন শিক্ষকের ভাষ্যমতে, “পানি এমন একটা জিনিস, যেটা বাড়লেও সমস্যা, কমলেও সমস্যা।“ :p
1st 3 years সিভিলের সাথে অলমোস্ট সব কোর্সই সিমিলার। 4th year এ গিয়ে আমরা WRE তে স্পেশালিষ্ট হই।
Water Resources Engineering হচ্ছে পাঁচটি ডিসিপ্লিনের অন্যতম একটি ডিসিপ্লিন। যদিও পূর্বে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে আলাদা করে এই সাবজেক্ট পড়ানো হত না, তথাপি দেশীয় প্রেক্ষাপটে ওয়াটার স্পেশালিস্টদের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষিতে এখন কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়ে পৃথক ডিপার্টমেন্ট খোলা হয়েছে। যদিও বুয়েটে কিছুটা আগে থেকেই সাবজেক্টটি পড়ানো হয়ে আসছে।
সাবজেক্টটির ইংরেজি নামের বাংলা করলে দাঁড়ায় ‘পানিসম্পদ কৌশল’। শুনেই বোঝা যাচ্ছে পানি ও এর উৎস সম্পর্কিত কিছু নিয়েই সাবজেক্টের আলোচ্য বিষয়। ঠিক তা-ই। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অন্যান্য শাখার পাশাপাশি পানিসম্পদ সম্পর্কিত প্রকৌশলের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করে বিষয়টির পাঠ্যসূচি আবর্তিত হয়ে থাকে। মূলত পানির সরবরাহ, দূষিত পানি নিয়ন্ত্রণ, পানিভিত্তিক কাঠামো এবং পানিকেন্দ্রিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ে পুরকৌশলের যে ডিসিপ্লিনটি আলোচনা করে থাকে, তা-ই Water Resources Engineering বা পানিসম্পদ কৌশল। এটি Water Engineering, Water Science and Technology প্রভৃতি নামেও পরিচিত।
সাধারণত আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অনেক ছাত্র চতুর্থ বর্ষে এসে তাদের থিসিসের বিষয় হিসেবে এই ডিসিপ্লিন সম্পর্কিত টপিক বেছে নেয়। পরবর্তীতে অনেকে এর উপর উচ্চশিক্ষাও নিয়ে থাকে।
কি কি পড়ানো হয় :
ম্যাথ, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ছাড়াও সিভিলের যেসব কোর্স পড়ানো হয়-
১. Structural Engineering
- Mechanics of solids
- Engineering Materials
- Structural Design and analysis
- Design of concrete structure
২. Environmental Engineering
৩. Transportation Engineering
৪. Geotechnical Engineering
ডিপার্টমেন্টাল কোর্সগুলোর মধ্যে আছে-
Analytical Mechanics :
ফোর্সের আন্ডারে এবং গতির সাথে বস্তু কিভাবে কাজ করে তা শিখানো হয়। যেকোন অবজেক্টকে আমরা ইঞ্জিনিয়ারের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে শিখি।
Surveying :
একজন ইঞ্জিনিয়ার যে সাইটে কাজ করবে সেই সাইট সম্পর্কে জানা যায়। যেমন : আমরা পানি,নদীর প্রবাহ বা যেকোন ওয়াটার বডির depth ও velocity বের করতে পারি।
Geology and Geomorphology :
এই কোর্সে আমরা জিওলজিক ফরমেশন স্টাডি করি। ওয়াটার বডি,সয়েল আর ক্লাইমেট কিভাবে ফাংশন করে তার বেসিক আইডিয়া পাই। এছাড়াও river,erosion বা deposition এর morphological characteristics জানা যায়।
Fluid Mechanics :
ফ্লুইড কেন এবং কিভাবে একটা স্পেসিফিক ওয়েতে বিহেভ করে সেটা এই কোর্সে শিখি। ফ্লুইডের সাথে energy,velocity,inertia আর pressure এর রিলেশন জানা যায়। রেসিডেন্সিয়াল বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ায় চাহিদামত ওয়াটার সাপ্লাইয়ের ডিজাইন করা যায়।
Physical Modeling :
ব্রীজ construction এর আগে নদীতে পানি প্রবাহের রেস্পন্স জানলে ব্রীজ ডিজাইন করতে সুবিধা হয়। যেমন: ব্রীজের piers গুলো circular হবে নাকি square। এক্ষেত্রে মডেলিং হেল্প করে। ল্যাবে একটা নদীর মডেল তৈরি করে আর্র্টিফিশিয়ালি পারিপার্শ্বিক সিচুয়েশন ক্রিয়েট করে অবজারভ করা যায় ব্রীজ construction এর পর কি হবে।
Open Channel Flow :
ফ্লুইড মেকানিক্স যেমন মডেলিং এ হেল্প করে, এই কোর্সটা তেমনি ওপেন চ্যানেলে পানির রেস্পন্স এনালাইসিস ও স্টাডি করতে হেল্প করে। আমরা শিখি কিভাবে পানির এনার্জি ইউজ করতে হয়।
Hydrology :
আমরা যদি কোন এরিয়ার লাস্ট ২০ বছরের rainfall এর এমাউন্ট জানি, তবে ওই এরিয়ার ফিউচার rainfall প্রেডিক্ট করতে পারবো। একইভাবে ব্রীজ কন্সট্রাক্ট করার জন্যও নদীর সর্বোচ্চ ওয়াটার লেভেল জানতে হয়। নাহলে ব্রীজ নিজেই পানির নিচে ডুবে যেতে পারে :p। সো আমরা যদি লাস্ট ৫০ বছরের precipitation rate জানি, তবে hydrology দিয়ে আপকামিং ১০০ বছরের maximum water level বের করতে পারবো। ফলে ব্রীজটা পারফেক্ট হেইটে কন্সট্রাক্ট করা পসিবল হবে। এছাড়াও rainfall আর infiltration (soil আর soil pore এ যে পানি যায়) থেকে কোন এরিয়ার soil moisture বের করা যায়।
Irrigation :
কোন ফিল্ড কনভে করতে কি পরিমাণ ওয়াটার দরকার এবং সেই পরিমানটা কিভাবে ক্যালকুলেট করতে হয় এবং ওয়াটার কনভেইং প্রোসেসে কতদিন লাগবে সেসব এই কোর্সে শিখানো হয়, যা চ্যানেল ডিজাইন করতে কাজে লাগে।
Remote Sensing and GIS : Satellite থেকে soil moisture, precipitation rate, infiltration rate, evaporation rate, solar energy এসব ইনফরমেশন নিয়ে ডিজাইনিং এর ইম্পরট্যান্ট ডিসিশন নেওয়া যায়।
Water Resources Planning and Construction Management :
যেকোন project এ কনট্রাকটর টিম লাগে, ডিজাইনার টিম লাগে। বাজেট ও টাইম লিমিট ঠিক করতে হয়। প্রোজেক্ট মোস্ট ইফিসিয়েন্টলি প্ল্যান করে কোয়ালিটি মেইনটেইন করতে এই কোর্স হেল্প করে। যারা ফিউচারে বিজনেসের দিকে pursue করতে চায় তাদের জন্য এটি খুব ইম্পরট্যান্ট।
Coastal Engineering :
Coast বা Coast এর আশেপাশে বিভিন্ন কন্সট্রাকশন, Coast development এর জন্য এই কোর্স দরকার। এছাড়াও waves, tide, storm surges, tsunami, sea level changes, sea water and marine ecosystem এর মত coastal challenge গুলোর সাথে ডিল করতে শিখায়।
River Engineering and Flood Mitigation :
এই কোর্সে আমরা different river pattern, morphological process, river training, bank protection আর flood management ডিল করতে শিখি।
Software Courses :
AUTOCAD(স্ট্রাকচার ড্রয়িং ও ডিজাইনিং)
C++ Programming and MATLAB (numerical methods এর সাথে related datasets process ও calculate করা।)
ArcGIS (remote sensing আর GIS related। ম্যাপ বানানো।)
HEC RAS (কিছু কন্সট্রাক্ট না করেই ল্যাবে মডেলিং করা)
WRE-এর আলোচ্য বিষয় কী?
Water Resources Engineering-এর আলোচ্য বিষয় মোটামুটিভাবে নিম্নোক্ত কয়েকটি ক্যাটাগরিতে তুলে ধরা যায়:
১. জলভিত্তিক কাঠামো তৈরি: যোগাযোগ, বিদ্যুৎ উৎপাদন, বন্যা রোধ, নদীভাঙন রোধ এবং স্রোতের গতি নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন উদ্দেশে বিভিন্ন ওয়াটার বডির (যেমন খাল, নদী, বিল, সমুদ্র প্রভৃতি) উপরে, পার্শবর্তী অঞ্চলে কিংবা তলদেশে প্রয়োজনীয় স্ট্রাকচার নির্মাণ এবং স্ট্রাকচারের স্থিতিশীলতা, রক্ষণাবেক্ষণ, ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি নিশ্চিতকরণ।
২. দুর্যোগ মোকাবেলা: পানিসম্পর্কিত বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ইতিহাসভিত্তিক ডিটেইল্ড স্টাডি, সার্ভে (জরিপ), স্যাটেলাইট ইমেজ হতে ও সরেজমিনে সংকলিত তথ্যের বিশ্লেষণ এবং বিশ্লেষণের ফলাফল হতে দুর্যোগের কারণ শনাক্তকরণ, দুর্যোগপ্রবণ এলাকা শনাক্তকরণ, দুর্যোগের পূর্বাভাস, প্রতিকার ও প্রতিরোধের জন্য বিজ্ঞানভিত্তিক সমাধান অনুসন্ধান এবং প্রয়োগ।
৩. পানিবণ্টন: সুপেয় পানির উৎসকে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা, যেখানে সুপেয় পানির অভাব সেখানে পানি সংশোধনাগারের মাধ্যমে পানযোগ্য পানি সংগ্রহ ও সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, কোনো জনপদে ব্যবহারযোগ্য পানির বণ্টন নিশ্চিকরণ, কৃষি, শিল্প এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানির সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, সর্বোপরি অপচয় বন্ধ করা।
৪. দূষিত পানি ব্যবস্থাপনা: কোনো শহরের সামগ্রিক ওয়াস্ট ওয়াটার বা দূষিত পানির সুষম নির্গমণ নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ পরিকল্পনা, উপযুক্ত নির্গমণ পথ তৈরি, সর্বোপরি ড্রেনেজ সিস্টেম উন্নতকরণ।
৫. সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট: প্রচুর পরিমাণে স্ট্রাকচার নির্মাণ মানেই মানবসভ্যতার উন্নয়ন। আর বর্তমান যুগ সেই উন্নয়নের যুগ। কিন্তু অবাধ উন্নয়ন যখন পরিবেশের জন্য গলার কাঁটা হয়ে হয়ে দাঁড়ায়, তখন তাতে লাগাম টেনে ধরার প্রয়োজনীয়তাও উপলব্ধ হয় বৈকি। Water Resources Engineering-এরই একটি ডিসিপ্লিন Water Resources Management আলোচনা করে কীভাবে পরিবেশের ক্ষতিকে মিনিমাইজ করে আমরা স্ট্রাকচারাল ডেভেলপমেন্টের কাজে অগ্রসর হতে পারি। একে বলা হয় Sustainable Development. বর্তমানে এই ডিসিপ্লিনটি বিশ্বব্যাপী বেশ আলোচিত এবং শুধুমাত্র এর উপরেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে হায়ার স্টাডিজ অফার করা হয়ে থাকে।
কেন পড়বে WRE?
১. তুমি সিভিল পড়া নিয়ে ভীষণভাবে প্যাশনেট ছিলে, কিন্তু তোমার পজিশনের কারণে তা আসবে না বা আসার সম্ভাবনা খুবই কম। WRE-তে তুমি বহুলাংশেই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার স্বাদ পাবে।
২. তুমি কম্পিউটার প্রোগ্রামিং করতে ভালোবাসো, সাথে সাথে পরিবেশ এবং মানবকল্যাণে তার প্রয়োগও ঘটাতে চাও। [বি.দ্র.: WRE-এর সিলেবাস CSE-এর সব ল্যাঙ্গুয়েজ কভার করে না। শুধুমাত্র যেগুলো দরকার, যেমন C++, MATLAB এগুলোই করে থাকে। তবে এর বাইরেও নিজস্ব তত্ত্বাবধানে ল্যাঙ্গুয়েজ শেখা সম্ভব।]
৩. তুমি বিভিন্ন স্ট্রাকচারের ২ডি কনসেপচুয়াল বা ৩ডি ভিজুয়্যাল ডিজাইন করতে ভালোবাসো। রিয়েলিস্টিক থ্রিডি গ্রাফিকসের কাজে আগ্রহী।
৪. পর্যাপ্ত সুপেয় পানির সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং পানি ও পানির উৎস সম্পর্কিত পরিবেশগত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবেলায় তুমি নিজের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগাতে আগ্রহী।
৫. Fluid Dynamics বিষয়টি নিয়েও তোমার আগ্রহ রয়েছে (I personally love this one )
গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তী ভাবনা
রিভিউর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ বোধহয় এটিই। কারণ সাবজেক্ট পছন্দের ক্ষেত্রে সাবজেক্টের ফিউচার সম্পর্কে জানাই ক্যান্ডিডেটদের প্রধান লক্ষ্য থাকে। যাই হোক, গ্র্যাজুয়েশনের পরে যেকোনো সাবজেক্টেই তোমাদের সামনে দুটি পথ খোলা থাকবে—
১. চাকরি
২. উচ্চশিক্ষা
Job Field :
কারেন্ট পারসেন্টেজ হিসেবে পাশ করার পর WRE গ্র্যাজুয়েটরা বসে থাকে না। কিছু কিছু সেক্টরে এই পারসেন্টেজ সিভিলের চেয়েও বেশি। আমরা এমন অনেক কোর্স করি যেগুলোর জব সেক্টরে অনেক ডিমান্ড কিন্তু সিভিলে পড়ানো হয় না। যেমন: GIS Course.
WRE থেকে পাশ করে অন্য যেকোন ডিপার্টমেন্টের সমান বা আরও বেশি শাইন করার সুযোগ থাকে। And to be honest, বাংলাদেশে WRE স্পেশালিষ্টদের অনেক ডিমান্ড। প্রচুর কাজ, বাট এক্সপার্ট লোকের অভাব। তাই যারা কাজ পারে তাদের কাছে কাজ আসতেই থাকে।
পাশ করার পর BUET, MIST, CUET, AUST, Daffodils সহ যেকোন ভার্সিটি, যেখানে সিভিল/WRE পড়ানো হয়, সেখানে academician হওয়া যায়। Sonargaon University, Presidency, UITS এও আমাদের অনেকেই আছে।
সরকারি জব সেক্টরের মধ্যে BWDB, BADC, PWD, WASA, PGCB, GTCL, RRI, LGED, WARPO, SOB, BMO সহ আরো অনেক জায়গা আছে।
বেসরকারি অর্গানাইজেশন এর মধ্যে আছে IWM, CEGIS, RPMC, DARD, Wateraid সহ আরো প্রচুর জায়গা। Mott Macdonald আর যান্ত্রিক নামের ২ টা অর্গানাইজেশনও অনেক পপুলার।
অনেক জায়গায় রিসার্চ এসিস্টেন্ট হিসেবেও কাজ করা যায়। IWFM, WRE Department এর প্রোজেক্ট, হাওর বোর্ডের প্রোজেক্ট, BRAC Universityর CCCR সহ আরো অনেক। বাংলাদেশে environment সেক্টরের কাজ বেশিরভাগই water রিলেটেড। ইন্টারন্যাশনাল ডোনার এজেন্সিগুলোর প্রচুর ফান্ডিং আসে এই খাতে।
UNESCO, IPCC, WMO, SOM, DOT এর মত international organization গুলোতেও WRE স্পেশালিষ্টদের সুযোগ আছে।
অনেকে আবার বিসিএস এ ফোকাস করে।
Higher Studies and Scholarship :
সিভিলের সব বেসিক কোর্সই পড়ানো হয় দেখে সিভিলের যেকোন সেকশনে pursue করা যায়।
Australia,Canada,Europe,Japan এ অনেক স্কোপ। WREর অনেক গ্র্যাজুয়েট ইউরোপের “Eramus Mundus” scholarship পায়। USA তেও অনেক স্কোপ। বাট USA masters এ funding দিতে চায় না। They are more interested for PhD students।
আর scholarship depends on lots of things! বাইরে যেতে CG একটা Key Factor। সো বেটার সিজি থাকলে পসিবিলিটি বাড়ে স্কলারশিপের। ভালো সিজি মানে এরাউন্ড ৩.৫। এর মানে এই না যে সিজি কম থাকলে স্কলারশিপ পাওয়া যাবে না।
Research Field :
কোন আইডিয়া না থাকলে রিসার্চ ফিল্ড সম্পর্কে বোঝানো টাফ। আর ইচ্ছা থাকলে you can research on anything। ৪ বছরে যেসব কোর্স পড়ানো হয় তার যেকোনটি নিয়েই রিসার্চ করা সম্ভব।
Finally,
আমরা ব্রীজ কন্সট্রাক্ট করতে পারি, সিভিল ইঞ্জিনিয়াররাও পারে। কিন্তু আমরা বলতে পারি কোথায় ব্রীজ কন্সট্রাক্ট করতে হবে। আমরা বলতে পারি কোথায় কি পরিমান erosion হবে।
If you still have doubts…..just google or talk to anyone abroad. You will be proud hearing what they say about us.
চুয়েটের WRE ডিপার্টমেন্ট সম্পর্কে
বর্তমানে বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট লেভেলে বিষয়টি পড়ানো হয়ে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে—BUET, CUET এবং MIST. যদিও MIST-এ বিষয়টি খানিক ভিন্ন নামে চালু আছে (EWCE)।
চুয়েটে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে Civil Engineering ফ্যাকাল্টির তত্ত্বাবধানে Civil and Water Resources Engineering (CWRE) নামে যাত্রা শুরু করে একটি নতুন ডিপার্টমেন্ট। পরবর্তীতে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ হতে ডিপার্টমেন্টের নাম পরিবর্তন করে Water Resources Engineering (WRE) রাখা হয়। বর্তমানে এ নামেই ডিপার্টমেন্টটি চলছে।
ডিপার্টমেন্ট সম্পর্কে কিছু কথা:
১. পানি সম্পদ সম্পর্কিত গবেষণার জন্য চুয়েটের কেন্দ্রীয় ওয়ার্কশপে ১.৬ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের সর্ববৃহৎ “মাল্টি পারপাস টিল্টিং ফ্লুম” স্থাপিত হয়। ফ্লুমটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীসহ গবেষকগণ বিভিন্ন ধরনের গবেষনামূলক কাজ যেমন- সমুদ্রের ঢেউয়ের গতিপ্রকৃতি, পানি প্রবাহের বৈশিষ্ট্য, নদীর পলি জমার হারসহ পানি সম্পর্কিত বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে পারবেন।
২. ল্যাব: অভিন্ন পাঠ্যসূচী থাকায় WRE এবং CE ডিপার্টমেন্ট কমন ল্যাবগুলো শেয়ার করে থাকে—
- 1) Strength of Materials Laboratory
- 2) Geotechnical Engineering Laboratory
- 3) Environmental Engineering Laboratory
- 4) Transportation Engineering Laboratory
- 5) Hydraulic Engineering Laboratory
- 6) Engineering Material Laboratory
- 7) Surveying Laboratory
সুতরাং ল্যাবের ফ্যাসিলিটিজ নিয়ে কাউকে দুশ্চিন্তা করতে হবে না। উপরন্তু, Surveying ল্যাবের ইনস্ট্রুমেন্টসের ক্ষেত্রে WRE ডিপার্টমেন্ট স্বয়ংসম্পূর্ণ।
৩. শিক্ষকমণ্ডলী: ডিপার্টমেন্টের ফ্যাকাল্টি লিস্টে রয়েছেন যথেষ্ট আন্তরিক একদল শিক্ষকমণ্ডলী, শিক্ষার্থীদের কল্যাণচিন্তায় সদামগ্ন যাঁরা নিজেদের সবটুকু ঢেলে দিয়ে পাঠদান এবং সহযোগিতা কার্যে কার্পণ্য করেন না। শিক্ষকদের উৎসর্গপ্রাণ মানসিকতার পরিণতিতে ডিপার্টমেন্ট দ্রুতই উন্নয়নের ছোঁয়া পাচ্ছে। সুতরাং একটি নতুন ডিপার্টমেন্ট হিসেবে স্বাভাবিকভাবে যে সীমাবদ্ধতাগুলো থাকতে পারে, সেগুলো এখন বলতে গেলে বিলুপ্তই। A fresher can always make himself at home in our department.
পরিশিষ্ট
ডিপার্টমেন্ট সম্পর্কে এই পর্যন্তই বলার ছিল। এর বাইরেও যেকোনো প্রশ্নকে স্বাগত জানাই।
এবার সিদ্ধান্ত নবীনদের হাতে। ভবিষ্যৎ নবীনদেরকে ডিপার্টমেন্টে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে শেষ করছি।
আসিফ বিন ফেরদৌস
পানিসম্পদ কৌশল বিভাগ (WRE), ‘১৮
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
Written by
Ananda Prodhan (WRE’15, BUET)
Sazid Bin Sabbir (WRE’16, BUET)
Special Thanks to
Khandakar Aurib (WRE’10, BUET)
Mustari Maliha (WRE’12, BUET)
মোঃ জহির উদ্দীন Thanks for the write up.
Read in our Website http://www.engineersdiarybd.com/wre/
All Review http://www.engineersdiarybd.com/review/
BUET WEB site http://www.buet.ac.bd/
Ask About Admission in this group