কাতারের বিশ্বকাপ উদ্বোধন হওয়ার পর থেকে জাহা হাদিদের নাম আবার আলোচনায় এসেছে। তিনিই সেই দৃষ্টিনন্দন আল-জানউব স্টেডিয়ামের আর্কিটেক্ট।
বাগদাদে জন্ম নেওয়া এই নারীর শৈশব কেটেছে আরব কালচারে। ফলে জীবনজুড়ে তার সকল নকশায় আরবরীতির ছাপ লক্ষ্য করা যায়।
নব্বই দশকে কাজে নামেন লন্ডনে। প্রায় একদশক বলতে গেলে কোনও কাজই পান নি। কারণটা অদ্ভূৎ—প্রকৌশলীরা বলেছেন, তার ডিজাইনে কাজ করা অসম্ভব, মানে ‘নির্মাণ-অযোগ্য’।
অথচ পুরো দশকজুড়ে তার বেশ কয়েকটি ডিজাইন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান জিতে নেয়, তবুও।
খোলা চোখে দেখলে যে-কোনও দর্শক বলবে— কিভাবে এটা সম্ভব করল তারা? এটাই ছিল জাহার চ্যালেঞ্জ। তিনি বলতেন— আমি অভিকর্ষকে স্রেফ ভুলে যেতে চাই।
আরেকটা অভিযোগ ছিল যে, তার নকশায় নির্মাণ কাজের খরচ বেশি। কিন্তু বিশ্বের প্রায় ৪৪টি দেশে প্রায় সাড়ে নয় শতাধিক কাজ সম্পন্ন করে তিনি প্রমাণ করেন—কাজ ভালো হলে ‘খরচ’ কোনও বিষয় নয়।
ব্রিজ থেকে বিমানবন্দর, লাইব্রেরি থেকে মিউজিয়াম, পোর্ট কিংবা স্টেডিয়াম—সবকিছুতেই তিনি সমান দক্ষতায় স্থাপত্য বিদ্যার স্ফূরণ দেখিয়েছেন।
জাহার একেকটা কাজ দেখছি, আর তাজ্জব বনে যাচ্ছি।
প্রথম মুসলিম ও একমাত্র নারী হিসেবে ২০০৪ আর্কিটেকচারের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘প্রিৎজকার’ পেয়েছেন। লন্ডনের ‘এভেলিন গ্রেস অ্যাকাডেমি’ ছবিটা দেখেন, ১৭০ বছরের ইতিহাসে প্রথম নারী হিসেবে ‘স্টার্লিং প্রাইজ’ পেয়েছেন এটার জন্য।
গার্ডিয়ান তাকে ‘কুইন অব কার্ভ’ উপাধিতে ভূষিতে করেছে।
তার কয়েকটা কাজের নমুনা দিলাম।
তাকে জানার জন্য আরও দেখুন
১। https://roar.media/bangla/main/biography/zaha-hadid-biography
২। আলজাজিরা : https://www.youtube.com/watch?v=JS_r7l_yRmI
৩। https://en.wikipedia.org/wiki/Zaha_Hadid
৪। https://www.britannica.com/biography/Zaha-Hadid
লেখক- মানজুরুল হক