তোমরা যখন কোন আর্ন্তজাতিক মিটিং/কনফারেন্সে যাবে, তখন সাধারণত দুই ধরণের প্রেজেন্টেশন দেখতে পাবে। পোস্টার প্রেজেন্টেশন ও ওরাল প্রেজেন্টেশন (বা লেকচার/টক)। গবেষকরা দুই ধরণের প্রেজেন্টেশনই দিতে পারে। পোস্টার পেজেন্টেশনের জন্য একটি পোস্টার তৈরি করতে হয়। সে পোস্টারে থাকবে তোমার গবেষণা কর্ম। পাওয়ার পয়েন্ট বা অন্য কোন ফরমেটে সেটা তৈরি করে বড়ো কাগজে প্রিন্ট করা হয়। অনেকে কাপড়েও (ফেব্রিক) প্রিন্ট করে থাকে। মানুষকে তুমি সে পোস্টার দেখিয়ে তোমার কাজ ব্যাখ্যা করবে।
একটা সফল পোস্টার প্রেজেন্টেশনের জন্য দুইটা বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ০১. ভালো (সুন্দর) ও আকর্ষণীয় একটি পোস্টার তৈরি করা। ০২. অনুষ্ঠানের সময় (পোস্টার সেশন) নিজ থেকে লোকজনের কাছে এপ্রোচ করে, কনফিডেন্টলি প্রেজেন্ট করা।
পোস্টার যদি দেখতে ভালো না হয়, তাহলে লোকজন আগ্রহ কম দেখায়। তাহলে ভালো পোস্টারের জন্য কী করতে হবে?
- ০১. বিষয়বস্তুর ব্যাপারে খুব সিলেক্টিভ হতে হবে। বিষয়ের উপর ভিত্তি করে একটা নির্দিষ্ট টাইটেল তৈরি করা। (বহু লোকজন দুই/তিন লাইনের এক টাইটেল তৈরি করে। বড়ো শিরোনাম কখনোই সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয় না)
- ০২. টাইটেলের সাথে লগো, প্রতিষ্ঠানের নাম, উপস্থাপকের নাম ইত্যাদি থাকবে।
- ০২. যতো কম টেক্সট, ততো ভালো পোস্টার। মানুষজন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এতো লেখা পড়ে না।
- ০৩. বেশি ফিগার/ছবি/স্কিম। হতে হবে যুৎসই ও প্রাসঙ্গিক। ছবির মান যেনো ভালো হয়। ঘঁষা-মাজা অস্পষ্ট ছবির প্রতি কে-ই বা আগ্রহী!
- ০৪. যতো সুন্দর ও স্পষ্ট করে আঁকা যায়, ততই আকর্ষণীয়।
- ০৫. পোস্টারের ডাইমেনশনের (সাইজ) সাথে অনুপাত রেখে, ছবি/স্কিম/ফিগার এগুলোর সাইজ ঠিক করতে হবে। বেশি ছোট হলেও হবে না, বড়ো হলেও হবে না। (শিল্পীরা যেমন ক্যানভাসের অনুপাতে তাদের ছবি আঁকে)
- ০৬. বিভিন্ন রঙ ব্যবহার করা যেতে পারে। কালার কোডের মাধ্যমে বিষয়বস্তু বুঝানো সহজ। তবে অতিরিক্ত কালার পরিহার করতে হবে। রঙ বেশি হলে বহু মানুষ ঠিকমতো অনুসরন করতে পারে না—এটা নিশ্চয়ই জানো তোমরা। (বিষয়টা অনেকটা এমন যে, দোকানে গিয়ে অনেক রঙের জামা দেখলে আমরা কনফিউজড হয়ে যাই)
- ০৭. পোস্টারের শেষদিকে থাকবে কৃতজ্ঞতা। তোমার কোন মেন্টর বা সহকর্মীর নাম। অন্য কোন প্রতিষ্ঠান যদি সহযোগিতা করে তাদের নাম। ফান্ডিং উৎসের নাম।
https://drive.google.com/…/0B8gi6obfRlqoOWtsNlViVWdUQ2c/view
Rauful Alam
ফিলাডেলফিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।
(পেজের লেখা বা সেবা যদি ভালো লাগে অথবা কোনভাবে আপ্নারা উপকৃত হন, তাহলে ৫* রিভিউ দিয়ে মতামত জানান। এটা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। পেজের লেখাগুলো সবার আগে পেতে ফলোয়িং অপশনে গিয়ে সী ফার্স্ট সেট করুন। নিয়মিত লাইক না দিলে লেখা আ[পনার সামনে যাবেনা। কমেন্ট এ লেখা সম্পর্কে আপনার মতামত জানান। গুরত্বপূর্ণ লেখাগুলো শেয়ার করে নিজের টাইমলাইনে রাখুন) Write Review here – https://www.facebook.com/pg/EngineersDiary16/reviews/?ref=page_internal join our Community group https://www.facebook.com/groups/CEESBD/ Science Study- https://www.facebook.com/groups/ScienceStudy.EngineersDiary/ Join for admission Query https://www.facebook.com/groups/EMV17/ visit our website- https://engineersdiarybd.blogspot.com/ )