বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় একজন শিক্ষার্থীকে সবচেয়ে কঠিন বাঁধাটি অতিক্রম করতে হয় এইচএসসি পাশ করার পর উচ্চ শিক্ষার প্রবেশ মুখে। দীর্ঘ দশ/ বার বছরের লালিত স্বপ্ন বাস্তবে রূপ পাবে কি পাবে না, তা নির্ধারিত হয় এ পর্বে। তাছাড়া ভবিষ্যতের উজ্জ্বল ক্যরিয়ার এ সময়ের নির্ভুল সিদ্ধান্তের উপরেই নির্ভর করে। এসব কারণে বহু শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকগণ নানা দুশ্চিন্তায় পড়ে যান এইচএসসি উত্তর সময়টাতে। এ অধ্যায় সে দুশ্চিন্ত লাঘবে কিছুটা হলেও সাহায্য করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

ভর্তি পরীক্ষার কঠিন বৈতরণী পার হবার পরেও অনেকে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন উচ্চশিক্ষার বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে। কারণ সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে উচ্চশিক্ষার এক একটি বিষয়ের এক এক সকম মূল্য। সময়ের নিরন্তর ধেয়ে চলার ধারায়-এ মূল্যের উত্থান পতন হয়। এক সময় যে বিষয়টি শিক্ষার্থীদের পছন্দ তালিকার শীর্ষে থাকে সময়ের ব্যবধানে যুগের চাহিদায় সেটিই হয়তোবা নেমে যায় পছন্দ তালিকার একেবারে নিচে। বর্তমান সময়ে কোন বিষয়ের চাহিদা কেমন, কর্মসংস্থান ও দেশ- সেবার বিস্তৃতি কতদূর, ভবিষ্যত কেমন হতে পারে ইত্যাদি বিষয়ে মোটিামুটি একটি প্রারম্ভিক ধারণা পাওয়া যাবে এ পর্বে।

ক্যারিয়ার বিষয়ক সিদ্ধান্তের সিংহভাগ গৃহীত হয় ব্যক্তির উচ্চ শিক্ষার উপর ভিত্তি করে। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের অনেক পূর্বেই উচ্চশিক্ষা বিষয়ক ভাবনা শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবকের মনে জন্ম নেওয়া দরকার। এইচএসসি পাশের পূর্বেই অর্থাৎ স্কুল পূর্বেই যদি ‘ক্যারিয়ার: বিকশিত জীবনের দ্বার’ একজন অভিভাবক কিংবা শিক্ষার্থীর হাতে যায় তাহলে এইচএসসি উত্তর উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক যে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয় সেটিতে অনেক সুবিধা হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

ইলেকট্রিক্যাল এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং/

ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং/

টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং

বিষয়বস্তু

ইলেকট্রিসিটির পাওয়ার হাউস ডিজাইন ও তার রক্ষণবেক্ষণ, ইলেকট্রনিক্স সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়, Circuit design and application, টেলিকমিউনিকেশন, ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

চাহিদা এবং ভবিষ্যৎ

যেকোন দেশেই ইলেকট্রিক্যাল/ ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা অত্যন্ত ব্যাপক। এর ব্যাপক চাহিদা অতীতে সবসময় ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। বিশেষত আগামী ৫/৬ বছর ইলেকট্রিক্যালের চাহিদা ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি থাকবে বলে আশা করা যায়।

বিষয় রেটিং

বর্তমানে BUET এবং অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে EEE এর অবস্থান ১ম।

কোথায় পড়বেন

ক) দেশে:

– BUET, RUET, CUET, KUET,

-প্রায় সব প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় যেমন AIUB,East-West, Stamford ইত্যাদি।

-KUET-এ আছে Electrical & Communication Engineering (ECE) যা EEE এর কাছাকাছি, RUET এ আছে ETE

-কিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (TE) নামে যে বিভাগ আছে তা EEE এর কাছাকাছি।

-NSU, IUB সহ সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়টি আছে।

খ) বিদেশে:

প্রায় সব খ্যাতনামা এবং মাঝারি মানের বিশ্ববিদ্যালয়- EEE/ECE/TE আছে। এর মধ্যে MIT, Harvard University উল্লেখযোগ্য।

স্কলারশীপ

-Term final- এর Result- এর উপর ভিত্তি করে দেশে ও বিদেশে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগ থেকে বৃত্তি প্রদান করা হয়।

-বিভিন্ন Technical magazine এ থিসিস/ রিসার্চ পেপার জমা দিয়েও বৃত্তি পাওয়া যায়।

– বিভিন্ন Technical Foundation ও বৃত্তি প্রদান করে।

উচ্চশিক্ষা

ক) দেশে: BUET, RUET, CUET, KUET, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালসমূহ যেমন NSU, AIUB, Ahsan-ullah. ইত্যাদি।

খ) বিদেশে: প্রায় সব খ্যাতিনামা ও মাঝারি মানের বিশ্ববিদ্যালয়।

চাকুরির ক্ষেত্র

-B.C.S General

-B.C.S Technical (Electrical যেমন বিদ্যুৎ বিভাগ, T&T ইত্যাদি)

-PDB

-Mobile/ Land phone company

– BUET, KUET, RUET, CUET, DUET এবং অন্যান্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় যেমন AIUB, Ahsan-ullah, Stamtord, East-West প্রভৃতি জায়গায় শিক্ষকতা

-যেখানে সাধারণ ডিগ্রিধারীরা আবেদন করতে পারে।

-অন্যান্য কোম্পানী/ ফ্যাক্টরি

এই লেখাটা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করো