সাবজেক্ট রিভিউ : #সিএসই
সিএসই-র পূর্ণরূপ কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং।এটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির অন্তর্গত। এর যাত্রা শুরু হয় ২০০০ সালে এবং ড. নুরুল মোস্তাফা ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং মূলত সফটওয়ার এবং হার্ডওয়ারের ডিজাইন, প্রয়োগ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করে থাকে।২০১৭-১৮ সেশন হবে সিএসই-র ১৮ তম ব্যাচ।
.
#শিক্ষাপদ্ধতি : আমাদের যদিও ১১-১২শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত ইয়ার বেসিস শিক্ষাপদ্বতি চালু ছিলো, পরে ১২-১৩ থেকে সেমিস্টা্র বেসিস শিক্ষা পদ্বতি চালু করা হয়। এইখানে ডাটাবেজ,বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যংগুয়েজ C, java ইত্যাদি ছাড়াও ইলেক্ট্রিক্যাল, অটোকেড ও হিসাববিজ্ঞানের উপরেও কোর্স পড়ানো হয়।
.
#সেশনজট : সিএসই মূলত ৪ বছরের অনার্স কোর্স।এই বিভাগের ইতোপূর্বের সেশন জট নিয়ে অনেক কথা শোনা গেলেও বর্তমান সময়ে এই বিভাগ সম্পূর্ণরূপে সেশনজট মুক্ত। বর্তমানে সকল ব্যাচের ক্লাস এবং পরীক্ষা নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হচ্ছে।
.
#রেজাল্ট : সিএসই বিভাগের রেজাল্ট ক্রমাগত সময়ের সাথে ভালোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।সর্বোচ্চ ৪ জিপিএ ও এই বিভাগ থেকে পেয়েছে।তবে এই বিভাগ থেকে ৩ .৫ এর উপরের জিপিএ কে স্ট্যান্ডার্ড ধরা হয়ে থাকে।
.
#স্কলারশিপ : অন্য অনেক সাবজেক্টের চাইতে সিএসইতে স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ বেশি। তবে তুমি যখন বাইরের দেশের ভার্সিটিতে এপ্লাই করবা তখন কম্পিটিশন হবে দুনিয়ার সব দেশের ভালো ভালো স্টুডেন্টদের সাথে। আর তাদের সাথে টেক্কা দিতে চাইলে জিপিএ ভালো থাকতে হবে। ৩.৭০ বা ৩.৮০ বা ৩.৯০ বা তারও বেশি। জিপিএ ভালো থাকার পাশাপাশি, ভালো প্রজেক্ট বা প্রোগ্রামিং কনটেস্টে ভালো করতে পারলে স্কলারশিপ পাওয়া সহজ হয়ে যাবে। আর পাশ করার পর জিআরই এবং টোফেল,আইএলটিএস নামে কিছু পরীক্ষা দিয়ে স্কলারশিপের জন্য এপ্লাই করতে হবে। আপাতত এসব নিয়ে চিন্তা করার কিছু নাই।
.
#জবসেক্টর : অন্যান্য অনেক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তুলনায় এই বিভাগে জবের সুযোগ অনেক বেশী।
.
একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার ডাটাবেজ ম্যানেজম্যান্ট, আইটি, এমবেডেড সিস্টেম, টেলিকমিনিকেশন, হার্ডওয়ার ও সফটওয়্যার ইমপ্লিমেন্টেশন, ওয়েব ডিজাইনিং, গেমিং সহ আরো অনেক সেক্টরে জব করতে পারেন।অর্থাৎ অনেক আইটি ফার্মে প্রচুর চাকরির সুযোগ রয়েছে।
.
তোমার যদি দক্ষতা থাকে তাহলে তুমি মাইক্রোসফট, গুগলের মতো বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠানেও জব করতে পারবে।
.
সরকার বর্তমানে সকল সরকারি অফিসে আইটি স্পেশালিষ্ট নিয়োগ দিচ্ছে। এটা একটা বিশাল ক্ষেত্র।
.
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আইটি কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
.
আইসিটির শিক্ষক হিসেবে বিসিএস এ এডুকেশন ক্যাডারে আবেদন করার সুযোগ আছে সিএসই স্টুডেন্টদের
.
এছাড়াও সর্বসাধারণ এর জন্য উন্মুক্ত বিসিএস,ব্যাংকিং সেক্টর তো আছেই।
.
.
সবশেষে বলা যায়,সিএসসি পড়তে সবচেয়ে বেশি যা প্রয়োজন তা হলো আগ্রহ, ক্রিয়েটিভিটি।যার ভিতর থেকে সৃষ্টিশীলতা নেই, শুধু চাকরিরবাজার দেখে বা কারো কাছ থেকে শুনে সিএসই না পড়াই উচিৎ! তবে, আগ্রহ নিয়ে পড়তে পারলে এটি অত্যন্ত মজাদার হয়ে উঠবে 
.
লিখেছেন : তাসনীম সামিয়া
২০১৪-১৫ সেশন, সিএসই, চবি।