সাবজেক্ট রিভিউ :
#জেনেটিক_ইঞ্জিনিয়ারিং_এন্ড_বায়োটেকনোলজি (জীব বিজ্ঞান অনুষদ)
.
” Smart people do BBA, intelligent people study IT,but the legend join biotech.” – Bill Gates
এই উক্তিটি যথেস্ট বর্তমান বিশ্বে বায়োটেকনোলজির জনপ্রিয়তার মাত্রা বুঝার জন্য।
.
আসুন জেনে নিই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিভাগ এর ইতিবৃত্তান্ত :
২০০৪ সালে প্রফেসর আল ফোরকান স্যারের হাত দিয়েই শুরু হয় এই বিভাগ এর যাত্রা। সময়ের পরিক্রমায় ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করে এই বিভাগ এর পরিধি। বর্তমানে এই বিভাগ এ রয়েছে ১ জন অধ্যাপক, ৫ জন সহযোগী অধ্যাপক, ৮ জন সহকারী অধ্যাপক, ৫ জন প্রভাষক।
রয়েছে প্রেক্টিকাল করার জন্য ল্যাব, রিচার্স ল্যাব, বায়োইনফরমেটিক্স ল্যাব, সেমিনার রুম, প্রজেক্টর সুবিধা ইত্যাদি।
সীমাবদ্ধতার মধ্যে রয়েছে ক্লাসরুম সংকট, যা নিরসনে বায়োলজি ফ্যাকাল্টির ৩য়,৪র্থ,৫ম তলায় বিভিন্ন রুমে ক্লাস হয়।( ৪র্থ তলায় নিজস্ব ফ্লোর এর কাজ শেষ হলে এই সংকট সম্পূর্ন সমাধান হবে।)
#কোর্স :
৪ বছরের অনার্স কোর্স এ আপনাকে যে বিষয় গুলো পড়তে হবে :
মলিকুলার বায়োলজি, মলিকুলার জেনেটিক্স, মাইক্রোবিয়াল জেনেটিক্স, মাইক্রোবায়োলজি, বায়োকেমেস্ট্রি, মেটাবলিজম, হিউম্যান ফিজিওলজি, সেল বায়োলজি,নিউরোলজি, ফার্মাসিটিকাল বায়োটেকনোলজি, ফিংগার ফ্রিন্টিং এন্ড মলিকুলার ডায়াগনোসিস, ডেভেলপমেন্টাল বায়োলজি, ইমিউনলজি, ক্লিনিক্যাল বায়োটেকনোলজি, প্লান্ট ব্রিডিং, ম্যাথ, আইটি , বায়োইনফরমেটিক্স ইত্যাদি বায়োলজি রিলেটেড এহেন কিছু নাই যা আপনাকে পড়তে হবে না।
আর প্রত্যেক কোর্স এর সাথে ল্যাব কোর্সও রয়েছে।
.
#রেজাল্ট :
বিগত ১২ বছরে ৩ টা প্রধানমন্ত্রী গোল্ড মেডেল (>৩.৯) এবং বর্তমানে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদের মানসম্মত সিজিপিএ ( অধিকাংশ >৩.৫) ডিপার্টমেন্ট এর পড়াশোনার মানকে রেখেছে সমুন্নত ।
.
#সেশনজট :
চবির হাতেগুনা কয়েকটি সেশনজটবিহীন ডিপার্টমেন্ট এর মধ্যে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি অন্যতম। যা বরাবরেই আমাদের গর্বের বিষয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে কিছুটা দিন অতিরিক্ত থাকার স্বপ্ন টা স্বপ্নই রয়ে যাবে।
.
#জব :
কিছু মানুষের ধারনা এই বিভাগের ছাত্রদের নাকি দেশে চাকরি নেই। পয়েন্ট টা পড়ে আশাকরি তারা কিছুটা আইডিয়া পাবে।
.
★রিসার্চ ভিত্তিক বিষয় এ পড়াশোনার পরে দেশের বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান যেমন : BCSIR (Bangladesh Center for Scientific & Industrial Research), NIB (National Institute Of Bio-technology), ICDDRB, বিভিন্ন কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, পরমানু শক্তি কমিশন ইত্যাদি তে গবেষনার সুযোগ।
.
★দেশের বিভিন্ন ফার্মাসিটিকাল কোম্পানিতে বায়োটিক ড্রাগ প্রস্তুতিতে কাজ করারও সুযোগ আছে।
.
★বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে যাওয়ার স্বপ্ন যাদের, তাদের জন্য রয়েছে ভাল স্কলারশিপ নিয়ে দেশের বাইরে পড়াশোনার সুবিধা। যা অন্য সাবজেক্ট এর তুলনায় একটু কম ঝামেলাপূর্ণ।
.
★শিক্ষকতা কে পেশা হিসেবে নিতে চাইলে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ(বায়োলজি) বিশ্ববিদ্যালয়ে যুক্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
.
★তাছাড়া বি সি এস, বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্টান, ব্যাংক, প্রাইভেট ফার্ম ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে চাকরীর সুযোগ তো রয়েছেই।
.
পরিশেষে,
আমাদের ডিপার্টমেন্ট আমাদের পরিবার। ছাত্র -শিক্ষক, সিনিয়র -জুনিয়র আন্তরিকতার সম্পর্কটা এই ডিপার্টমেন্ট কে করেছে অনন্য। শুধুমাত্র প্রথম সারির ৩৫ জনই পাবে এই ছোট পরিবারের সদস্য হওয়ার। তাই আগ্রহীদের অফুরন্ত বুদ্ধিদীপ্ত পরিশ্রম করে জিইবি পরিবারের অংশীদার হওয়ার জন্য শুভ কামনা রইল।
.
লিখছেন :
Miftah M. Tamim
Dept. Of Genetic Engineering & Bio-technology, ২০১৪-১৫ সেশন, চবি।