শাবিতে ১৯৯৮ সালে এগ্রিকালচার এ্যান্ড মিনারেল সায়েন্স অনুষদের অধীনে ‘ফরেস্ট্রি’ নামে একটি বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। যুগের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বন এবং পরিবেশ রক্ষায় দক্ষ জনশক্তি যোগানের লক্ষ্যে ২০০১ সালে বিভাগটির নাম পরিবর্তন করে ‘ফরেস্ট্রি এ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স’ রাখা হয় এবং পাঠক্রমের পরীধি বিস্তৃত করা হয়।
কেন পড়েবেন? :
বর্তমান বিশ্বে, টেকনলজির পর সবচেয়ে আলোচিত বিশয় সন্দেহাতীত ভাবে পরিবেশ বা এনভায়রনমেন্ট। কোনো নতুন প্রযুক্তি পন্য মার্কেটিং এ “পরিবেশবান্ধব” লেখা থাকলেই সেটা হটকেকের মত করে বিক্রি হয়।
এটা তো গেলো টেকনিকাল বিষয়, সবাই হয়ত মনে করতে পারেন, যে ফরেস্ট্রি আবার কি জিনিশ… সুধু গাছ চেনা আর গাছ লাগানোই শেখানো হয় এখানে। কথাটা 101% ভুল! ফরেস্ট্রির পরীধি কেবল গাছ চেনা লাগানো আর কাটাকাটির মধ্যে না, ইকলোজি, এনভায়রনমেন্টাল ইমপেক্ট এ্যাসেসমেন্ট, উড স্ট্রাকচার, প্রপার্টিজ, সিজনং, প্রিজারভেশন , ট্রি ফিজিওলজি, সয়েল সাইন্স, এনভায়রনমেন্টাল ইকনমিকস, জেনেটিক্স এন্ড ট্রি ইম্প্রুভমেন্ট, এগ্রো ফরেস্ট্রি, ফরেস্ট্রি মেনসুরেসন এন্ড ইনভেন্টরি, ফরেস্ট্রি বেজড ইন্ডাস্ট্রি, সার্ভেইং, সহ পড়ানো হয় রিমোট সেন্সিং এন্ড জি আই এস, বন্যপ্রাণী সংরক্ষন, ফরেস্ট ইঞ্জিনিয়ারিং, এন্টমোলজি ইত্যাদি সহ 160 ক্রেডিটের মজার মজার সব বিষয়।
তিন বছর ধরে চতুর্থ বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারে চালু হয়েছে ইন্টার্নশিপ।
সুযোগ-সুবিধা:
বিভাগটিতে শিক্ষার্থীদের বন এবং পরিবেশবিষয়ক পড়াশোনার জন্য রয়েছে নিজস্ব সেমিনার লাইব্রেরি। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি এবং শিক্ষকদের নিজস্ব সংগ্রহে রয়েছে বিশাল বইয়ের সম্ভার।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের গবেষণার জন্য রয়েছে বিভাগটির নিজস্ব নার্সারি, এগ্রো- ফরেস্ট্রি ল্যাব, প্যান্ট গ্রোথ চেম্বার এবং আধুনিক যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে তৈরি জিআইএস ল্যাব। ইকোলজি সংক্রানত্ম উন্নত গবেষণা কাজের জন্য এ বিভাগে রয়েছে ক্যানোকো, আর, উইনটুইন এবং রিমোট সেন্সিংয়ের গবেষণার জন্য ইয়ারডিস ইমাজিন, ইএনভিআই, আর্কভিউ, আর্কইনফো, আর্ক জিআইএসসহ নানা সফটওয়্যারের সংগ্রহ।
ক্যারিয়ার সম্ভাবনা:
‘ফরেস্ট্রি এ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স’ বিভাগ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষেত্র অনেক প্রসারিত। সরকারী এবং বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা বর্তমানে কর্মরত রয়েছে। সরকারী পাবলিক সার্ভিস কমিশনসহ বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, স্পেস রিসার্চ এ্যান্ড রিমোট সেন্সিং অর্গানাইজেশন অব বাংলাদেশের ফরেস্ট্রি সেক্টর ও বাংলাদেশ ফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট এ সায়েন্টিফিক অফিসার হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে এ বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের। এছাড়া বাংলাদেশ ফরেস্ট ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনে ম্যানেজার পদে এবং বিভিন্ন পাল্প এ্যান্ড পেপার মিলসে কাজ করছে এ বিভাগ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা। বেসরকারী বিভিন্ন এনজিও সংস্থাতেও এ বিভাগ থেকে পাস করে খুব সহজেই কাজ করা যায়। উলেস্নখযোগ্য বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড ফান্ড, নিসর্গ সাপোর্ট প্রোজেক্ট, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজার্ভিং ন্যাচারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
আর স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চ শিক্ষায় বাইরে যাবার চিন্তা ভাবনা যাদের আছে, তাদের জন্য তেমন কিছু বলার নেই, কেবল ফরেস্ট্রি / এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স লিখে গুগলে সার্চ দিলেই পোস্ট গ্রাজুয়েশন এর অপশন দেখতে দেখতে মাথা খারাপ হবার দশা হবে।
আবু তাহের টোটন,
তৌহিদ- আন- নূর
ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স বিভাগ, শাবিপ্রবি

(Facebook পেজের লেখা বা সেবা যদি ভালো লাগে অথবা কোনভাবে আপ্নারা উপকৃত হন, তাহলে ৫* রিভিউ দিয়ে মতামত জানান। এটা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। পেজের লেখাগুলো সবার আগে পেতে ফলোয়িং অপশনে গিয়ে সী ফার্স্ট সেট করুন। নিয়মিত লাইক না দিলে লেখা আ[পনার সামনে যাবেনা। কমেন্ট এ লেখা সম্পর্কে আপনার মতামত জানান। গুরত্বপূর্ণ লেখাগুলো শেয়ার করে নিজের টাইমলাইনে রাখুন) Write Review here – https://www.facebook.com/pg/EngineersDiary16/reviews/?ref=page_internal) join our Community group https://www.facebook.com/groups/CEESBD/ Science Study= https://www.facebook.com/groups/ScienceStudy.EngineersDiary/ ) visit our website https://engineersdiarybd.blogspot.com/