প্রিয় পাঠক,
প্রায় আড়াই বছর হতে চলল আমরা ফেসবুকে আছি। যখন যাত্রা শুরু হয়, তখন ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে লেখার মতো বাংলা ভাষায় কোনো প্ল্যাটফরম ছিলোনা। সব বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশন নিয়েও পুর্ণাঙ্গ কোনো সাইট ছিলোনা।
আমাদের কয়েকজনের লক্ষ্য ছিলো সব ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের একটা প্ল্যাটফরমে আনা। সাথে দেশের সব বিষয়গুলো নিয়ে বিশ্লেষণমূলক লেখা সবার মাঝে প্রচার করা, যাতে সাধারণ মানুষও উপকৃত হতে পারে।
যাত্রার শুরু থেকেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি তথ্য দিয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের বিশ্বস্ততা অর্জন করেছি। বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের প্রায় সবাইই কোন না কোনোভাবে আমাদের দ্বারা উপকৃত হয়েছে, এটা বলা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাড়াও স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা আমাদের থেকে পরামর্শ পেতো। বই পড়ুয়ারা পেয়েছে বই এর সাজেশন। উচ্চশিক্ষায় বিদেশ গমনেচ্ছুরা পেয়েছে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশন।
বলতে গেলে এদেশের টপ টু বটম প্রায় সবাই কোনোনা কোনোভাবে আমাদের পেজ থেকে উপকৃত হয়েছে।
কোটা আন্দোলন, রাস্তা অবরোধ সহ গুরত্বপূর্ন বড় সব আন্দোলনে আমরা সবসময় প্রয়োজনীয় তথ্য ও দিক নির্দেশনা দিয়ে সহায়তা করেছি।
আমাদের এডমিনরা সবসময় যেকারো প্রয়োজনে সাড়া দিয়েছে। মেসেজে প্রায় ৫০,০০০ মানুষ এর সাথে কথা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে পেজ ভিউ হত ২ মিলিয়ন।
এতবড় কাজগুলো করেও আমাদের এডমিনরা কখনো সম্মুখে আসেনি। কেউ আমাদের একজন এডমিন সম্পর্কেও জানতে পারেনি।
কারণ আমরা কাজ করতেই পছন্দ করি আর তা সবসময় নিঃস্বার্থে।
আমাদের ভালোবাসার মানুষের চেয়েও বেশী প্রিয় এই পেজ। এমনও হয়েছে জিএফ জিজ্ঞেস করেছে, আমি বড় না তোমার পেজ, আমি উত্তর দিয়েছি পেজ।
অথচ সেই ভালোবাসার পেজটা এখন আমরা হারি্যে ফেলেছি। এক পাকিস্তানি হ্যাকার ২৬ তারিখ রাতে আপনাদের প্রিয়ো ইঞ্জিনিয়ারস ডায়েরি পেজটি হ্যাক করে নিয়েছে।
আমরা অনেককিছু দিয়েছি আপনাদেরকে। এখন সময় আপনাদের আমাদের পাশে দাড়ানোর।
আমাদের দ্বারা যতজন মানুষ উপকৃত হয়েছেন, তারা সবাই যদি একবার করে শেয়ার করেন, তাহলেও আমাদের পেজ পূণরায় জীবন পেতে বেশী সময় লাগবেনা।
এজন্য প্রয়োজন আপনাদের সহযোগীতা। আপনারা এই পোস্ট শেয়ার করুন। বন্ধুদের ইনভাইট করুন পেজে। কিভাবে সামনে এগুনো যায়, তা কমেন্ট করুন।
আমরা নিশ্চিত বলতে পারি, এমন কেউই নেই, যে একবারের জন্য হলেও আমাদের পেজ দ্বারা উপকৃত হয়নি। বুকে হাত দিয়ে ভাবুন তো, পারবেন কি বলতে?
আমাদের অবসর, কিংবা ব্যস্ততা কাটানোর একমাত্র মাধ্যম হারিয়ে আমরা সবাই স্তব্ধ, নিষ্প্রাণ, হতবুদ্ধ হয়ে আছি।