ইদানীং আয়রন ডোম নিয়ে আমাদের বিজ্ঞান গ্রুপ গুলো খুব উতলা হয়ে উঠছে। বিশেষ করে হামাসের কাঁচা হাতের রকেট গুলো আটাকানোয় আমাদের বেশ কয়েকজন আবেগী বাঙালি এটিকে সৌরজগতের সেরা স্যাম সিস্টেম বানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু অনেকেই আয়রন ডোম কি তা না জেনেও মন্তব্য করছে
আয়রন ডোম কী?
আয়রন ডোম হলো ইজরায়েলের তৈরি একটি শর্ট রেন্জ সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম। যাকে সংক্ষেপে স্যাম-SAM বলা হয়। এর হিব্রু নাম כִּפַּת בַּרְזֶל -কিপাত বাজেল বা আয়রন ক্যাপ। আয়রন ডোম মূলত তৈরি করা হয়েছে স্পেশাল ভাবে হামাসের রকেট,আর্টিলারি শেল আটকানোর জন্য।
আমাদের বিজ্ঞানপ্রেমীরা যেভাবে বলে থাকেন বিজ্ঞান ইজরায়েলকে রক্ষা করছে। মানে এটি তৈরী করেছে ইজরায়েলের রাফায়েল এডভান্স সিস্টেম এবং ইজরায়েল এ্যারো স্পেস ইন্ডাস্ট্রি। আসলে এটির মূল শক্তি বা ইন্টারসেপ্টর মিসাইলের প্রযুক্তি কিন্তু আমেরিকার ।
এমনকি এটির প্রজেক্ট বাজেট এবং প্রযুক্তিগত দিক দিয়েও আমেরিকার ডিফেন্স জায়ান্ট লকলিড মার্টিন প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেছে। আয়রন ডোমের প্রতিটি ব্যাটারি তিন ভাগে ভাগ করা,যেমনঃ
- রাডার ডিটেকশন ইউনিট
- ব্যাটল ম্যানেজমেন্ট এবং কন্ট্রোল ইউনিট
- মিসাইল ফায়ারিং ইউনিট
আইরন ডোমের মিসাইলের নাম তামির। এটির প্রতিটি লঞ্চার সিস্টেমে ২০টি করে মিসাইল থাকে। যার রেঞ্জ ৭০-২৫০ কিলোমিটার।
ব্যায়বহুল মেশিন
আয়রন ডোমের প্রতিটি ব্যাটারির দাম ৫০ মিলিয়ন বলা হলেও আদৌতে ৬০-৭০ মিলিয়ন ডলার। এক ব্যাটারিতে ৩টি লঞ্চার সিস্টেম থাকে।
প্রতিটি লঞ্চারে ২০টি মিসাইল থাকে।
একেকটি ইন্টারসেপ্টর তামির মিসাইলের দাম ৪০০০০ ডলার বলা হলেও এগুলোর বর্তমান দাম ৭০০০০ ডলার। বলে রাখা ভালো প্রতিটি হামাসের ৮০০ ডলারের রকেটের বিপরীতে ইজরায়েলকে কমপক্ষে দুইটি তামির মিসাইল নিক্ষেপ করতে হয়। মানে প্রতিটি ৬৬ হাজার টাকার রকেট আটকাতে ইজরায়েলের ১১ কোটি ৬ লক্ষ টাকা খরচ করতে হয়।
হামাসের রকেট ধ্বংস হওয়ার কারণ এবং আয়রন ডোমের কার্যকারিতা।
শর্ট রেন্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম গুলোতে আয়রন ডোমকে আপনি অবশ্যই সেরা বলতে পারেন। বিশেষকরে লো অবজারবেল টার্গেট গুলোর জন্য এটি খুবই কার্যকর। তবে তা গাজা এবং ইজরায়েলের ভিতরের ক্ষেত্রে।
এটি ২০১১ সালে সার্ভিসে আসে। ২০১২ সালে আয়রন ডোম প্রায় ৪০০ রকেট ইন্টারসেপ্ট করে এবং ২০১২-২০১৪ সাল পর্যন্ত আইরন ডোম প্রায় ১২০০ হামাসের রকেটকে ইন্টারসেপ্ট করতে সক্ষম হয়। কিছুদিন আগেও হামাস ইজরায়েলে ১৫০০ রকেট নিক্ষেপ করে। তারমধ্যে ২০০+ মতো রকেট আইরন ডোম ইন্টারসেপ্ট করতে সক্ষম হয়।
কিভাবে কাজ করে তা ২-১ কথাই বলছিঃ
ডানে হামাসের রকেটগুলোকে নির্দিষ্ট এঙ্গেলে নির্দিষ্ট ভেলোসিটিতে ছুড়ে দেয়া হয়েছে। একবার ছুড়ে দেয়ার পর তাদের গতিপথ পরিবর্তন করার তেমন কোন মেকানিজম অর্থাৎ ট্র্যাকিং আর গাইডেন্স সিস্টেম নাই।
রকেটগুলোকে যেই এঙ্গেলে ছুড়ে দেয়া হয়েছে তারা সেই এঙ্গেলে গতি পথ অতিক্রম করে এসে মাটিতে আঘাত করে। এঙ্গেল নির্ধারণ সেই সাথে ভেলোসিটি ঠিক করে দেয় মোটামুটি কতদুরে যেয়ে পড়বে। বাতাসের জন্য, বা লঞ্চিং ম্যাকানিজমের সামান্য এদিকসেদিক রকেটের গতিপথের এঙ্গেলের সামান্য তারতম্য হয়ে গেলে, রকেট তার লক্ষ্যবস্তু থেকে অনেক দুরে গিয়ে পড়তে পারে। এগুলকে আমরা বলি ডাম্ব রকেট।
অপরদিকে বায়ে দেখা যাচ্ছে আয়রন ডোম হামাসের রকেটের গতিবিধি দেখে এক্টিভেটেড হওয়ার পর, গাউডেন্স সিস্টেম দিয়ে পরিচালিত হয়ে রকেট অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছে। যাত্রা পথে গেইডেন্স সিস্টেম কারেকশান সিগন্যাল দিয়ে তার গতিপথে কারেকশান এনে ফের এঙ্গেল চেইঞ্জ করে ছুটেছে। এই কারেকশান ফ্যাকটর ক্যাল্কুলেশান করা যত সহজ মনে হয় তত সহজ নয়।
কিন্তু যেহেতু হামাসের রকেট মোটামুটি এঙ্গেল-ভেলোসিটির উপর ভর করে চলে আর মাঝপথে তার এঙ্গেল পরিবর্তনের কোন সম্ভাবনা নাই, তাকে আয়রোণ ডোমের গাইডেন্স সিস্টেম ট্র্যাক করে মিড এয়ারে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম হয়।
ক্যালকুলেশান করে ফাইনাল টার্গেট হিটিং গতিপথ বের করা মারাত্মক জটিল। এর জন্য যেই পরিমান ট্র্যাকিং ম্যাকানিজম দরকার হয় তা অত্যন্ত ব্যায়বহুল।
ট্র্যাকিং ম্যাকানিজম দিনের আলোয় আর রাতের অন্ধকারে দুই ধরনের এপারাটাস দিয়ে রকেট বা মিসাইল ইনকামিং সিগন্যাল লোকেট করে স্থির করে, তারপর তাকে ট্র্যাক করে, এরপর টার্গেটেড রকেট বা মিসাইল বিধ্বংসী মিসাইল ছুড়ে দেয় ।
এরপর আয়রন ডোমের মিসাইল যখন উড়ন্ত অবস্থায় থাকে তখন তার ফাইনাল গতিপথ চেইঞ্জ করার সিগন্যাল গাইডেন্স সিস্টেম থেকে পেয়ে গতিপথে কারেকশান এনে অব্যর্থ লক্ষ্যে পৌছায়। সেই জন্য আমরা দেখি আয়রন ডোমের মিসাইলের আকাবাকা পথ।
আর যেসব ইঞ্জিনিয়ার এসব ক্যাল্কুলেশান সফলভাবে করতে পারে ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিতে তাদের ডিমান্ড অনেক থাকে।
হামাসের রকেট গুলো আটাকাতে পারার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। যেমন,
১) হামাস কোথায় থেকে রকেট গুলো উৎক্ষেপণ করবে অর্থাৎ লঞ্চ সাইট হতে পারে এরকম বেশ কয়েকটি স্থান আগে থেকেই আয়রন ডোমের ফায়ার কন্ট্রোল রাডারে সেট করে দেওয়া থাকে। যার কারণে রকেট ফায়ার করার সাথেসাথেই আয়রন ডোম একশন নিতে পারে।
২) আয়রন ডোমের রাডার রেন্জ অনেক বেশি। যার রকেট ফায়ার করার সাথে সাথেই আয়রন ডোমের রাডার খবর পেয়ে যায়। যেমন আমরা যদি আমাদের চট্টগ্রামে এস-৪০০ মোতায়েন করি ইন্ডিয়ার ভিতরে আরো ৪০০ কিলোমিটার এলাকায় মিসাইল লঞ্চ হলে আমরা জানতে পারবো।
৩ )হামাসের রকেট গুলো সেকেলে আমলের। এবং আল কাসাম রকেট গুলোতে কোন গাইডেন্স সিস্টেম নেই ও এটি একটি সাধারণ ধাতব পাইপ ফ্রেম দিয়ে তৈরি। এসব রকেট,অত্যাধুনিক তামির মিসাইলের প্রযুক্তির তুলনায় খুবই অনুন্নত, এবং রকেট গুলো ব্যয় কয়েকশো ডলার। এগুলি অত্যন্ত ত্রুটিযুক্ত, লঞ্চের পর কোথাও আঘাত করানো, হিসাবের বিচারের চেয়ে ভাগ্যের বিষয়।
৪) আধুনিক মিসাইল গুলোকে আয়রন ডোম কতটুকু প্রতিহত করতে পারবে তা প্রশ্নবিদ্ধ। কেননা হামাসের রকেট গুলো কোন মিসাইল নয়। আধুনিক ক্রুজ মিসাইল গুলোতে অত্যাধুনিক গাইডেন্স থাকে।
এগুলো স্যাম সিস্টেমকে ফাকি দিতে বিভিন্ন ম্যানুভার করতে পারে। এছাড়া এগুলো স্টিলেথ প্রযুক্তিও হয়ে থাকে। এবং এগুলো খুবই গতিশীল। অন্যদিকে হামাসের রকেট গুলো, গাইডেন্স কি তা চিনেই না।তাছাড়া এগুলো গতি খুবই কম। মানে লো সাবসনিক। যা তামির মিসাইলের গতির কাছে শিশু।
৫)গাজা সীমান্তে ইজরায়েল প্রয়োজনের তুলনায় বেশি আইরন ডোম ব্যাটারি মোতায়েন করেছে। যেমন যেখানে রকেট আসার সম্ভবনা ৫০টি,সেখানে ২ ব্যাটারি আইরন ডোম মোতায়ন করেছে। মানে ৫০টির বিপরীতে ১২০টি ইন্টারসেপ্টর মিসাইল রেডি রেখেছে।
৬) একটি ওয়েপনের কার্যকারিতা প্রমাণ করতে ওপেন ব্যাটল গ্রাউন্ডে আসতে হবে। যেমন আমি প্যাট্রিয়েট প্যাক ৩ এর কথা বলি। আপনি যদি আয়রন ডোমকে সেরা ডিফেন্স সিস্টেম বলে থাকেন তাহলে আপনাকে প্যাট্রিয়েট প্যাক ৩ কে তার বাপ বলতে হবে।
কেননা সম্প্রতি সৌদি আরব এই সিস্টেম দ্বারা হুতিদের প্রায় ৮৫% মিসাইল ইন্টারসেপ্ট করেছে। হুতিদের মিসাইল গুলো ছিলো উচ্চ গতির ও গাইডেন্স যুক্ত ট্যাকটিকেল ব্যালেষ্টিক মিসাইল। এবং প্যাট্রিয়েট প্যাক ৩ রাডার উক্ত মিসাইল গুলোর লাঞ্চ সাইট সম্পর্কে না জেনেও সফল ভাবে মিসাইল গুলোকে ইন্টারসেপ্ট করে ধব্বংস করেছে।
অন্যদিকে আইরন ডোম আগে থেকেই হামাসের রকেট লাঞ্চ সাইট সম্পর্কে জানে বা ধারণা করতে পারে। স্থান ভেদে এটা কয়েক কিলোমিটার নড়াচড়া হতে পারে।
৭) বেশ কিছুদিন আগে সিরিয়ার একটি এয়ার ডিফেন্স মিসাইল ভুলে ইজরায়েলে প্রবেশ করলে আইরন ডোম সেটিকে ইন্টারসেপ্ট করতে ব্যার্থ হয়। এটি কিন্তু কোন ক্রুজ বা ট্যাকটিকেল ব্যালেষ্টিক মিসাইল নয়।
সিরিয়ার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের এস-১২৫,বাক এসব সেকলে আমলের সোভিয়েত স্যাম সিস্টেম দিয়ে টমাহক, হারপুন এবং অনেক ইজরায়েলী AGM মিসাইল ধব্বংস করেছে।
যেগুলো কিনা হামাস রকেট থেকে হাজার গুন উন্নত। এসবের ভিত্তিতে আপনি এস-১২৫ ও বাক মিসাইল সিস্টেমকেও সেরা বলবেন??।
৮) হামাসের রকেট গুলোর গতিপথ আগে থেকেই বুঝা যায়।মানে এটি সরলরেখা বরাবর চলে।তাই আইরন ডোম আগে থেকেই এটির ব্যাপারে একশন নিতে পারে।
লেখা : SHOHEL ADNAN
হামাস কেন জেনে বুঝে রকেট হামলা করে যখন তারা জানে ইসরাইল এয়ার স্ট্রাইক এর মাধ্যমে জবাব দেবে…. এই প্রশ্ন অনেকের মনে।
উত্তরটা হচ্ছে যদি হামাস ইসরাইলে নিয়মিত রকেট হামলা না করে তাহলে ইসরাইল এর সার্বিক স্থিতিশীল হয়ে যাবে। যায় ফলে তারা দ্বিগুণ প্রতাপে আগ্রাসন চালাতে পারবে।
তাছাড়া হামাস এর রকেট হামলার ফলে ইহুদিবাদী দখলদারদের মনে আতংক বিরাজ করে। ইউটিউব ঘাটলে হামাস এর হামলায় বাড়ির বিভিন্ন অংশই ধসে পড়ার ভিডিও পেয়ে যেতেও পারেন।
হামাস যে সকল রকেট ব্যাবহার করে ইসরাইলের আগ্রাসনের জবাব দেয়……..
⚡হেভি মর্টার:হামাস বিভিন্ন ধরনের হেভি মর্টার ব্যাবহার করে থাকে। এগুলো সাধারণত ৬ মাইল বা ১০কিলোমিটার(প্রায়) রেঞ্জের হয়ে থাকে।
⚡Qassam rocket: তাদের সর্বাধিক ব্যাবহৃত রকেট হচ্ছে Qassam rocket। এর নির্মাণ ও ডিজাইন করেছে হামাস এর সামরিক উইং Izz ad-Din al-Qassam Brigade। ২০০১ সালে সার্ভিস এ আসা এই রকেট হয়ে উঠেছে হামাসের প্রথম পছন্দ। এর বিভিন্ন ভেরিয়েন্ট আছে যা ৫কিলোমিটার থেকে ১৬ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম। বেশিরভাগ Qassam rocket আয়রন ডোম এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দ্বারা ইন্টারসেপট হবার পরও ভালো হারে দখলদার ইসরাইলের ক্ষয়ক্ষতি করেছে।
⚡Grad রকেট:পুরোনো মডেলের সোভিয়েত মেড Grad রকেট ও হামাসকে ব্যাবহার করতে দেখা যায়। যা প্রধানত MRLS (মাল্টিপল রকেট লঞ্চার সিস্টেম) থেকে নিক্ষেপ করার জন্য তৈরি। যেগুলোর রেঞ্জ ৩০ মাইল বা ৪৮ কিলোমিটার এর মত হয়ে থাকে।
⚡Fajr 5 : Fajr 5 নামক ৩৩৩ মিলিমিটার লং রেঞ্জ রকেট ও রয়েছে হামাস এর অস্ত্র ভান্ডারে। এটিও একটি MRLS (মাল্টিপল রকেট লঞ্চার সিস্টেম এর জন্য তৈরি রকেট। যা অত্যন্ত কার্যকরী ভাবে ব্যাবহৃত হয়ে আসছে। এর রেঞ্জ ৪৫ মাইল বা ৬৮-৭৫ কিলোমিটার এর মত হয়ে থাকে।
⚡M 302: সিরিয়ান মেড ৩০২মিলিমিটার খাইবার ১ বা M 302 হামাস এর ব্যাবহৃত সবচেয়ে লং রেঞ্জ রকেট। যা চাইনিজ WS 1 এর কপি। এটি প্রধানত একটি আনগাইডেড রকেট। এর রেঞ্জ ১০০কিলোমিটার যা হামাসের সর্বোচ্চ রেঞ্জ।।২০০৬ সালে লেবানন যুদ্ধে হিজবুল্লাহ এর ব্যাবহার করে ইসরাইল এর ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।
বেশিরভাগ রকেট এর উৎস সিরিয়া, ইরান,হিজবুল্লাহ।Qassam Rocket তাদের নিজেদের প্রযুক্তি ও উৎপাদিত।
হামাস এর রকেট রেঞ্জ দেখতে পাচ্ছেন নিচের ছবিতে। ছবিটা ইহুদিবাদী একটি ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া।
(তারেক আজাদ)
অস্ত্রের বাণিজ্যিক লাভ
প্রতিটা Iron Dome মিসাইল ডিফেন্স ব্যাটারি’র দাম ৫০ মিলিয়ন ডলার ( ৪২৩ কোটি টাকা) প্রতিটিতে ৬০ টা করে ইন্টারসেপ্টর রকেট থাকে। এগুলোর দাম প্রতিটির ৪০ হাজার ডলার। (অর্থাৎ ৩৩ লাখ টাকা)
গাজা থেকে ছোড়া প্রতিটি রকেটের পেছনে খরচ ২০০ ডলারও হবার কথা না। 😛
তো ইসরাইল গত পাঁচদিন হাজারের উপরে রকেট হামলা থামিয়ে দিয়েছে এই আইরন ডোমের জন্য।
১০০০! রকেট থামাতে ২০০০ ইন্টারসেপটর…. প্রতিটির দাম ৪০ হাজার ডলার!
তো এই যে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হইতেছে, এটা অবশ্য উঠে আসবে।
কারণ এই যুদ্ধ শেষ হলে সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করবে ইসরাইলের Rafael Advanced Defense Systems
অর্থাৎ আইরন ডোমের ম্যানুফ্যাকচারার।
যে পরিমান টাকা এখন ব্যয় হচ্ছে, তার তিনগুণ তুলে আনবে। কারণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ লাইভ দেখতেছে আইরন ডোমের পারফর্মেন্স।
আজারবাইজান আর আর্মেনিয়ার যুদ্ধের পর তুরস্ক আর কানাডিয়ান ড্রোন কোম্পানি বেশ ভালোই ব্যবসা করেছে। ওই যুদ্ধটা ছিল ড্রোন ওয়ারফেয়ারের এক অভুতপূর্ব মার্কেটিং।
যুদ্ধে দিন শেষে লাভ হয় এসব অস্ত্র কোম্পানিগুলোর।
ইসরাইলের মারকাভা Tank, আর Tar-21 রাইফেল যে পরিমাণ ব্যবসা করতেছে গ্লোবালি, জাস্ট অবাক করা। এছাড়া Spyware, আড়িপেতে কথা শোনার সফটওয়ার, এসব তো হুমড়ি খেয়ে কিনতেছে দুনিয়ার বিভিন্ন দেশ।
ওদের কিন্তু মাটির তলে প্রকৃতির দেয়া তেল নাই। ওদের আছে এসব টেকনোলজি, এসব প্রোডাক্ট। মাথা খাটিয়ে কামিয়ে নিচ্ছে সারা দুনিয়া থেকে।
লেখাঃ ফয়সাল শোভন