বাংলাদেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ১৯৯১ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি ২০৫ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হলেও পরিধি বেড়েছে এ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের।

বর্তমানে প্রায় ১১,০০০ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পযার্য়ে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত।

ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং এশিয়ার নামীদামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শাবিপ্রবির শিক্ষক ও সাবেক শিক্ষার্থীরা উচ্চতর গবেষণা লাভের সুযোগ পাচ্ছে এবং পোস্ট ডক্টরেল ফেলোশীপ করছে।

বর্তমানে দেশের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষা ও গবেষণায় অনন্য অবস্থানে রয়েছে। অবকাঠামো দিক দিয়েও এটি সমৃদ্ধ হচ্ছে। দুইটি বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।

আশা করা হচ্ছে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সমন্বয়ে সুশিক্ষিত, দক্ষ ও উন্নত মানবসম্পদ সৃষ্টিতে শাবিপ্রবি সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারবে।

গত দুইতিন বছরে বেশ দ্রুত ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। বর্তমান কোভিড-১৯-এর বিশেষ পরিস্থিতিতে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সচল রয়েছে।

অনলাইনে চলছে ক্লাস। প্রশাসনিক এবং বিভাগীয় অফিসেও কার্যক্রম সচল রয়েছে।

ডোপ টেস্ট করে ২০১৯-২০ সেশনে ছাত্রছাত্রী ভর্তি, তাৎক্ষণিকভাবে সার্টিফিকেট যাচাইয়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রথম ব্লক চেইন সিস্টেম চালু, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের লেখা ও গবেষণাকে চষধমধৎরংস মুক্ত রাখতে ঞঁৎহরঃরহ ংড়ভঃধিৎব এর ব্যবহার নিশ্চিত করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সনাক্ত করণের জন্য ঈড়ারফ-১৯ ঞবংঃরহম খধন প্রায় ১.১০ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপন, বিশ^বিদ্যালয় পর্যায়ে প্রথম সেমিষ্টার পদ্ধতি চালু ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু, নিজস্ব ডোমেইনে ই-মেইল চালু, প্রথম বাংলা সার্চ ইঞ্জিন “পিপীলিকা” উদ্ভাবন, যানবাহনের ট্র্যাকিং ডিভাইস উদ্ভাবন, বাংলায় কথা বলা সামাজিক রোবট “রিবো” তৈরী, হাটতে চলতে সক্ষম রোবট “লি” তৈরী, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কী-বোর্ড তৈরী ইত্যাদি চ্যালেঞ্জিং কাজ গ্রহণ করায় শাবিপ্রবি দেশবাসীর আস্থার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে যোগদান করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর দীর্ঘ একাডেমিক ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা, মেধা এবং প্রজ্ঞা সর্বোপরি চ্যালেঞ্জিং কাজে আগ্রহী হওয়ার কারণে শাবিপ্রবি আজ চূড়ান্ত লক্ষ্যপানে অগ্রসর হচ্ছে।

শাবিকে প্রথম সারির ও আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বিশ্ব দরবারে পরিচিতি লাভ করাতে এবং শিক্ষা, গবেষণা ও প্রযুক্তির দিক দিয়ে অনন্য উচ্চতায় অবস্থান করাতে বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর শাবি পরিবারের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকে নিয়ে দিন-রাত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

তাঁর সুদক্ষ ও গতিশীল নেতৃত্ব এবং কঠোর পরিশ্রমের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা খাতের বাজেট ৯০ লাখ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৪.২০ কোটি টাকা করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রক্ষা করে বাজেট প্রাপ্তিতে থাকেন সদা তৎপর।

যার ফলে প্রায় ১ কোটি টাকার উর্ধ্ব ব্যয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বিশাল দৃষ্টি নন্দন গেইট করার সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ, পরিবহন পুলে ১৪টি নতুন গাড়ি সংযোজন, দীর্ঘ ১৩ বছর পর ৩য় সমাবর্তনের আয়োজন, প্রায় ১কোটি টাকা ব্যয়ে ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের ওয়ার্কশপ নির্মাণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য ঢাকায় স্থায়ীভাবে গেস্ট হাউজ ক্রয়ের জন্য ৬০০০ বর্গফুট স্পেস ক্রয়ের চুক্তি সম্পাদন সফল হয়েছে।

১৯৮৬-২০১৫ সাল পর্যন্ত বিগত ২৯ বছরে নয়টি উন্নয়ন প্রকল্প ও দুইটি উন্নয়ন কর্মসূচীতে মোট ১৭৭ কোটি টাকার মতো ব্যয় হলেও বিগত ২১ মার্চ ২০১৭ সালে “ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন” শীর্ষক ২০০ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্প মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেকে পাশ হয়। এ প্রকল্পটির মেয়াদ ১ জানুয়ারী, ২০১৭ থেকে ৩০ জুন ২০২০ পর্যন্ত হলেও বর্তমানে এর মেয়াদ আরও ১ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ প্রকল্পের অধীনে বর্তমানে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্দিকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দৈর্ঘের গুরুত্বপূর্ণ সীমানা প্রাচীর নির্মাণ প্রায় সমাপ্তির পথে।

তাছাড়া প্রায় ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬২৫৭ বর্গমিটার আয়তনের সৈয়দ মুজতবা আলী হলের অবশিষ্টাংশ নিমার্ণ, প্রায় সাড়ে ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৫৮৪ বর্গমিটার আয়তনের ৪ তলা বিশিষ্ট সৈয়দ ফজিলতুন্নেছা মুজিব হল, প্রায় ২৩ কোটি টাকার উর্ধ্ব ব্যয়ে ৮৫০০ বর্গমিটার আয়তনের ৫ তলা বিশিষ্ট সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের ২য় ব্লক, প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৫০০ বর্গমিটার আয়তনের ৫ তলা বিশিষ্ট সেন্টার অব এক্সিলেন্স ভবন নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।

তাছাড়া শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য ১৪৯০ বর্গমিটার আয়তনের ৫ তলা বিশিষ্ট আবাসিক ভবন, দৃষ্টিনন্দন ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনের ১০ তলা পর্যন্ত সম্প্রসারণ এবং ৫৬০ বর্গমিটার আয়তনের ২তলা বিশিষ্ট সিভিল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জন্য ওয়ার্কসপ নির্মাণের কাজ প্রক্রিয়াধীন।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য ইতিমধ্যে প্রায় ১৪ কোটি টাকার বেশি গবেষণা সরঞ্জামাদি এবং ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা বিধানের জন্য প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার সিসিটিভি ক্রয় করা হয়েছে। চলমান ২০০.৩৮ কোটি টাকার প্রকল্প সমাপ্ত হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে গুনগত ও মানসম্পন্ন শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত জনবল তৈরি হবে।

তাছাড়া ২টি আবাসিক হল নির্মাণের মাধ্যমে ৮৭৬ ছাত্রছাত্রীর আবাসিক সুবিধা হবে। একাডেমিক ভবন নির্মাণের ফলে ১০৭৬৮ জন ছাত্রছাত্রীর শিক্ষার সুযোগ সুবিধা গড়ে উঠবে, ১১৫০ জন ছাত্রছাত্রীর উচ্চতর গবেষণার জন্য বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ক্রয় ও স্থাপন করা এবং বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনার অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা তৈরি হবে।

১০জন শিক্ষক-কর্মকর্তার জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণের মাধ্যমে আবাসিক সুবিধা প্রদান সম্ভব হবে এবং কেমিক্যালস, বই, জার্নাল ও আসবাবপত্র সংগ্রহের মাধ্যমে মানসম্পন্ন শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত হবে।

২০০.৩৮ কোটি টাকার অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প সরকার কর্তৃক অনুমোদনের পর আগস্ট ২০১৭ সালে বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর শাবিতে যোগদান করে হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের কর্মসূচি হাতে নেন।

উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে শাবিকে গড়ে তোলা এবং সরকারের ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রায় ১০০০ কোটি টাকার একটি প্রজেক্ট ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে জমা দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় এ বিশাল প্রকল্পের শিরোনাম ছিল “শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন (২য় পর্যায়)”।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী এবং সর্বোপরি সিলেট-১ আসনের সম্মানিত এমপি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্ত ইচ্ছায় এবং ভাইন্স চ্যান্সেলর প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ মহোদয়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১৯ সালের ৯ জুলাই অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (একনেক) এর সভায় “শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন (২য় পর্যায়)” শীর্ষক ৯৮৭.৭৯ কোটি টাকার বিশাল প্রজেক্ট অনুমোদিত হয়।

শাবিপ্রবির ইতিহাসে এটি একটি বৃহৎ প্রকল্প।

জুলাই ২০১৯ হতে ডিসেম্বর ২০২২ সাল মেয়াদী এ উন্নয়ন প্রকল্পে চারটি ১০তলা শিক্ষা ভবন, প্রতিটি ১০০০ সিটের একটি করে ছাত্র ও ছাত্রী হল, ১০০ সিটের একটি আন্তর্জাতিক ও স্নাতকোত্তর ছাত্র হল, সিনিয়র শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য ১১ তলা বিশিষ্ট ৮০ ইউনিটের ২টি আবাসিক ভবন, জুনিয়র শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য ১১তলা বিশিষ্ট আরো দুটি আবাসিক ভবন নির্মাণ, বিভিন্ন বিভাগের জন্য ২টি ১০তলা একাডেমিক ভবন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল ও কলেজের জন্য ১ টি ৬তলা ভবন, প্রশাসনিক দপ্তরসমূহের জন্য একটি ১০ তলা প্রশাসন ভবন, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য একটি ১০ তলা ক্লাব ভবন, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য ১০ তলা বিশিষ্ট ৪০ ইউনিটের একটি আবাসিক ভবন, ১টি ওয়ার্কসপ, কেন্দ্রীয় গ্যারেজ বর্ধিতকরণ, আবাসিক ছাত্রদের জন্য চারতলা মসজিদ নির্মাণ, প্রধান সড়কের দুই পাশের খালের উপর গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ, ১০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন নির্মাণসহ আরো কিছু উন্নয়ন কাজ রয়েছে প্রকল্পে।

একনেক কর্তৃক অনুমোদিত ২য় পর্যায়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পটির পরিচালক নিয়োগ চূড়ান্ত হলে আনুষ্ঠানিকভাবে এর কাজ শুরু হবে। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন (২য় পর্যায়) প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে উচ্চশিক্ষার জন্য সুপরিকল্পিত উন্নততর শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করে বিজ্ঞানমনস্ক, দক্ষ ও প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন মানবসম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ উন্নয়নের পাশাপাশি বিভিন্ন শিল্পকারখানার সাথে যৌথভাবে গবেষনা পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টি, পাঠক্রমের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি ও র‌্যাংকিংয়ের উন্নয়ন এবং বাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে অবদান রাখতে পারবে। তাছাড়া প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে অবকাঠামোগত দিক দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি পূর্ণাঙ্গ রূপ লাভ করবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয়ের যুগান্তকারী পদক্ষেপের ফলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে শাবিপ্রবির পুরো চেহারাই পাল্টে যাবে।

লেখক : আহমদ মাহবুব ফেরদৌস
ডেপুটি রেজিস্ট্রার, শাবিপ্রবি।