এই বছর যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছ তাদের কয়েকটা বিষয় জানা বিশেষ প্রয়োজন।সেগুলো হল WGPA,CGPA,Credit ……আজকে এর

একটা স্পষ্ট ধারনা দেয়ার চেষ্টা করব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেডিং সিস্টেমঃ

  • ৮০%-৮০+% = এ+(৪.০০)
  • ৭৫%-৭৯% = এ(৩.৭৫)
  • ৭০%-৭৪% = এ-(৩.৫০)
  • ৬৫%-৬৯% = বি+(৩.২৫)
  • ৬০%-৬৪% = বি(৩.০০)
  • ৫৫%-৫৯% =বি-(২.৭৫)
  • ৫০%-৫৪% = সি+(২.৫০)
  • ৪৫%-৪৯% = সি(২.২৫)
  • ৪০%-৪৪% = ডি(২.০০)
  • ৪০% এর নিচে= এফ(০.০০)
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রেডিট সিস্টেমঃ
উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে (কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু বিষয় বাদে) দেখা যায়, সেখানকার প্রতিটা কোর্সের (বিষয়) একটা weight থাকে, যেটাকে ক্রেডিট (credit) বলা হয়। কোনো কোর্স 2 ক্রেডিটের, কোনোটা 3 ক্রেডিটের, কোনটা হয়তোবা 4 ক্রেডিটের।
ক্রেডিটের মান দিয়ে বুঝায়, বিষয়টি পড়তে সপ্তাহে কত ঘণ্টার ক্লাস করতে হয়। বেশি ঘণ্টা ক্লাস করা মানে বিষয়টির ব্যাপ্তি বেশি,
পড়তে/পড়াতে বেশি সময়ের প্রয়োজন। যেহেতু উচ্চশিক্ষার জগতে সব বিষয়কে সমান গুরুত্ব দেওয়া হয় না, তাই সাধারণ গড় করে রেজাল্ট তৈরি করা যায় না। এক্ষেত্রে যে পদ্ধতিতে
রেজাল্ট তৈরি করতে হয়, সেটাকে পরিসংখ্যানের ভাষায় Weighted Average বলে।
আমরা জানি, সাধারণ গড় = গ্রেড পয়েন্টগুলোর যোগফল/সাবজেক্টের সংখ্যা। এখন চলুন জেনে
নিই, Weighted Average কী!
Weighted Average বা গড়ঃ
প্রতিটা কোর্সের গ্রেড পয়েন্টকে তার ক্রেডিট দিয়ে গুণ দিতে হবে। তারপর সবগুলো গুণফলকে যোগ করতে হবে। এখন এই যোগফলকে
সর্বমোট ক্রেডিট দিয়ে ভাগ করলে যে ভাগফল
পাওয়া যাবে, সেটাই Weighted Average বা
গড়।
নিচে অনার্স ১ম বর্ষ ১ম সেমিস্টারের এক ছাত্রীর পাওয়া ৬ টা কোর্সের গ্রেড পয়েন্ট দেয়া হলো, যার WGPA (weighted grade
point average) বের করতে হবে।
English language (2 credit) — 4.0 (A +)
English language Lab (1 credit) — 3.75 (A)
Mechanics (3 credit) — 4.0 (A+)
Electromagnetism (3 credit) — 3.5 (A-)
Vector analysis (3 credit) — 4.0 (A+)
Basic Algebra (3 credit) — 3.5 (A-)
Physics Lab (4.5 credit)- 3.25 (B+)
সুতরাং WGPA = ( 2*4 + 1*3.75 + 3*4
+ 3*3.5 + 3*4 + 3*3.5 + 4.5*3.25) /
( 2+1+3+3+3+3+4.5)
= 71.375 / 19.5
= 3.66 (A-)
তাহলে, ঐ ছাত্রীর ১ম বর্ষ ১ম সেমিস্টারে সর্বমোট ক্রেডিট 19.5, আর রেজাল্ট 3.66। এখন ধরি, তার ১ম বর্ষ ২য় সেমিস্টারে
সর্বমোট ক্রেডিট ছিলো 19, রেজাল্ট ছিলো 3.75। স্বভাবতই সবাই এক বছরের রেজাল্ট একসাথে জানতে চাইবে। “একসাথে” কথাটাকে
ইংরেজীতে “Cumulative” দিয়ে বুঝানো যায়। এই এক বছরের রেজাল্টটিকে WGPA না বলে Cumulative GPA বা CGPA বলা হয়।
এভাবে একটি করে নতুন সেমিস্টার আসে, আর ঐ সেমিস্টার পর্যন্ত CGPA হিসাব করা হয়।
CGPA বের করার পদ্ধতিঃ
উপরের উদাহরণটিই আরেকবার দেখি। ঐ ছাত্রীর ১ম বর্ষ ১ম সেমিস্টারে সর্বমোট ক্রেডিট ছিলো 19.5, রেজাল্ট ছিলো 3.66।
১ম বর্ষ ২য় সেমিস্টারে সর্বমোট ক্রেডিট ছিলো 19, রেজাল্ট ছিলো 3.75।
তাহালে, CGPA = (3.66 * 19.5 + 3.75 *
19) / (19.5 + 19) = 3.70 ( A-)
এবার ধরি, ছাত্রীটির ২য় বর্ষ ১ম সেমিস্টারের ক্রেডিট 20, এবং রেজাল্ট 3.5।
তাহলে নতুন এই সেমিস্টার পর্যন্ত তার
রেজাল্ট হবে, CGPA = ( (3.70*38.5) +(3.5*20) ) / (38.5 + 20)
অর্থাৎ 3.63 (A-)CGPA =[(আগের সেমিস্টার পর্যন্ত
CGPA * আগের সেমিস্টার পর্যন্ত ক্রেডিট) +(নতুন সেমিস্টারের CGPA * নতুন সেমিস্টারেরক্রেডিট)] / (নতুন সেমিস্টার পর্যন্ত সর্বমোট
ক্রেডিট)
এভাবে একে একে অনার্স চার বছরের ৮ সেমিস্টারের রেজাল্ট একসাথে CGPA দিয়ে প্রকাশ করা হয়।♦(সংগৃহিত)♦
(পেজের লেখা বা সেবা যদি ভালো লাগে অথবা কোনভাবে আপ্নারা উপকৃত হন, তাহলে ৫* রিভিউ দিয়ে মতামত জানান। এটা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। পেজের লেখাগুলো সবার আগে পেতে ফলোয়িং অপশনে গিয়ে সী ফার্স্ট সেট করুন। নিয়মিত লাইক না দিলে লেখা আ[পনার সামনে যাবেনা। কমেন্ট এ লেখা সম্পর্কে আপনার মতামত জানান। গুরত্বপূর্ণ লেখাগুলো শেয়ার করে নিজের টাইমলাইনে রাখুন) Write Review here – https://www.facebook.com/pg/EngineersDiary16/reviews/?ref=page_internal join our Community group https://www.facebook.com/groups/CEESBD/ Science Study- https://www.facebook.com/groups/ScienceStudy.EngineersDiary/ Join for admission Query https://www.facebook.com/groups/EMV17/ visit our website- https://engineersdiarybd.blogspot.com/ )