গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (¯্রডো) এবং লিডিং ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের যৌথ উদ্যোগে রবিবার (২৮ জুলাই ২০১৯) সকাল ১১টায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল ১০টায় ৭টি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও জ্বালানি সাশ্রয়ী স্কুলিং প্রোগ্রাম ব্যানারে একটি র‌্যালি লিডিং ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস থেকে হাজি রাশিদ আলী উচ্চবিদ্যালয় হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়।

সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় জ্বালানি সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে উল্লেখ করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, আমাদের উন্নয়নের জন্য যেমন বিদ্যুৎ উৎপাদন দরকার তেমনি এর ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। আমাদেরকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করতে হবে এবং অন্যকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, উন্নয়নের প্রধান চালিকা শক্তি হলো বিদ্যুৎ, আর নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে উৎপাদিত বিদ্যুৎ এবং বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহবান জানিয়েছেন সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি আরও বলেন, ২০৩০ সালে ৪০,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে প্রয়োজন আর ২০৪০ এর প্রয়োজন হবে ৬০,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। আর এ বিদ্যুতের ব্যবস্থাপনার জন্য দরকার দক্ষ জনশক্তি। আর এ দক্ষ জনশক্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রিনিওএবল এনার্জি বিষয়ে কোর্স চালু করা যেতে পারে বলেও তিনি মনে করেন। আজকের এ তরুন শিক্ষার্থীদেরকে জ্বালানি এ্যাম্বাসেডর উল্লেখ করে তিনি বলেন, জ্বালানি সাশ্রয়ে তাদেরকেই প্রথমে সচেতন হতে হবে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ভূমিকা পালন করতে হবে, তাহলেই টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির মাধ্যমে বাংলাদেশকে আরও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে।

সভাপতির বক্তব্যে লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, উন্নয়নের জন্য জ্বালানি সাশ্রয় প্রয়োজন এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন ও ব্যবহার পরিবেশের ভারসাম্যতা রক্ষা করে থাকে। আজকের কর্মশালা থেকে প্রাপ্ত দিকনির্দেশনাকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীরা জ্বালানি ব্যবহারে সচেতন হবে এবং সমাজে এই সচেতনতা সম্পসারণ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি এ কর্মশালার আয়োজন করার জন্য স্রেডা এবং লিডিং ইউনিভার্সিটির ইইই বিভাগকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

মো. মকন হাইস্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী মো. আলী আজগর এবং হাসিমি মর্ডান একাডেমির শিক্ষার্থী সানজিদা জান্নাত রুহির সঞ্চালনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও জ্বালানি সাশ্রয়ী স্কুলিং প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীদের উপস্থিত বক্তব্যে মো. মকন হাইস্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী মো. আলী আজগর ১ম, হাসিমি মর্ডান একাডেমির সাবিয়া আক্তার ২য় এবং আলহাজ তাহির আলী স্কুলের শিক্ষার্থী আবু সুফিয়ান ৩য় স্থান অর্জন করে। কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রথম জালালাবাদ কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী জাহির ইসলাম ওমর, ২য় বড়ই কান্দি ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আবিদা আক্তার এবং ৩য় হাজী রাশিদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সৌরব চন্দ্র জয়।

 

Abu Jafar Al Mahfuz

তথ্যঃ সিলেট লাইভ ২৪