বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদার সাথে সামন্জস্য রেখে কৃষি ও সামুদ্রিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যার উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০০০ সালের ৮ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালী কৃষি কলেজের অবকাঠামোর উপরে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল একাডেমিক কার্যক্রম হিসেবে কৃষি অনুষদের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়।

১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে পটুয়াখালী কৃষি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলেও মূলত ২০০০ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ সেপ্টেম্বর প্রথম ব্যাচের ছাত্র -ছাত্রী ভর্তির মাধ্যমে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। বিশ্বমানের সিলেবাস ও কারিকুলামে কৃষি অনুষদের ছাত্র- ছাত্রীদের পাঠদান করা হচ্ছে। কৃষি প্রযুক্তি উন্নয়নের সাথে সাথে কৃষি বিজ্ঞানের নতুন নতুন বিষয় সংযোজন করা হচ্ছে।

দক্ষ শিক্ষকমন্ডলী, বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি সম্বলিত ল্যাবরেটরি, শিক্ষা উপকরণ সম্বলিত শ্রেণি কক্ষ ও প্রায়োগিক জ্ঞান বিতরণের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সমৃদ্ধ কৃষিবিদ তৈরি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কৃষিতত্ত্ব, উদ্যানতত্ত্ব, কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব ও মৃত্তিকা বিজ্ঞান ও ত্রবং কৃষি সম্প্রসারণ ও গ্রামীণ উন্নয়ন বিভাগ থেকে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পিত্রইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের আর্থ – সামাজিক ও কৃষি উন্নয়নে পবিপ্রবির অগ্রনী ভূমিকা সকলের নিকট স্বীকৃত। কৃষি অনুষদের গ্রাজুয়েটবৃন্দ তাদের অর্জিত জ্ঞানের প্রয়োগিক দক্ষতায় ইতোমধ্যে দেশে – বিদেশে সুনামের সাথে সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলছেন।

এইবার ক্যাম্পাস এবং ফ্যাসিলিটি নিয়ে কথা বলি।

১.কোন সেশন জট নাই,আর আমাদের টিচাররা জট যাতে না পরে সে ব্যাপারে খুব সচেতন।
২.অনেক নামকরা & অভিজ্ঞ শিক্ষক আছেন।
৩. ল্যাব ফ্যাসিলিটি সন্তোষজনক।
৪. মোটামুটি প্রতি সেমিস্টারে ট্যুরের ব্যবস্থা আছে,তা ছোট হোক আর বড়।
৫. সপ্তম সেমিস্টারে পাবেন কান্ট্রি ট্যুর।
৬. অষ্টম সেমিস্টারে ইন্ডিয়া ট্যুর পাবেন ২০/২৫ দিনের।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কৃষি অনুষদ সর্বমোট ১৪ টি বিভাগ নিয়ে গঠিত ত্রবং ত্রই বিভাগুলোতে সর্বমোট ৮৭ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন।

বিদ্যমান বিভাগসমূহ হচ্ছে –

১. কৃষি উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ
২. কৃষি রসায়ন বিভাগ
৩. কৃষি প্রকৌশল বিভাগ
৪. কৃষি সম্প্রসারণ ও গ্রামীণ উন্নয়ন বিভাগ
৫. কৃষি বনায়ন বিভাগ
৬. কৃষিতত্ত্ব বিভাগ
৭.পশুবিজ্ঞান বিভাগ
৮.কীটতত্ত্ব বিভাগ
৯.কৌলিতত্ত্ব বিভাগ
১০.বায়োটেকনোলজি বিভাগ
১১.উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ
১২. উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগ
১৩. কৃষি পরিসংখ্যান বিভাগ
১৪. মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ

জব সেক্টর এবং কোথায় চাকরির সুবিধা তা নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করা যাক

এগ্রিকালচারে অনার্স শেষ করে বাংলাদেশ
কর্ম কমিশনের (বিসিএস) চাকরি করার সুযোগ তো আছেই।
পাশাপাশি কৃষি ক্যাডারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীনে

★কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা
★মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়নে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা
★কৃষি কর্মকর্তা পদ সহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সুবিধা রয়েছে।

এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষিবিদ নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে কৃষিবিদদের কর্মক্ষেত্র আরও বৃদ্ধি করেছে সরকার।
আরও রয়েছে

★বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন অধিদপ্তর
★কৃষি তথ্য সার্ভিস
★ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল
★বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট
★ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট
★পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট
★ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট
★ চা গবেষণা কেন্দ্র

★মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র
★বন গবেষণা কেন্দ্র
★ মসলা গবেষণা কেন্দ্র
★বন গবেষণা কেন্দ্র
★পশুসম্পদ অধিদপ্তর
★পানি উন্নয়ন বোর্ড
★রেশম উন্নয়ন বোর্ড এবং চিনিকল সংস্থায় প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের সুযোগ।

আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ

★ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকো
★ FAO
★ ইউএসএইড
★ডিএফআইডি
★ড্যানিডা

★সিডা
★উইনরক
★ইরি
★আইএফডিসি
★অক্সফাম জিবি

বেসরকারি সংস্থাসমূহ

★সিনজেনটা
★ব্র্যাক
★ স্কয়ার
★অ্যাগ্রোবেট
★ লালতীর
★ইনতেফা
★NAAFCO গ্রুপ
★ন্যাশনাল অ্যাগ্রোফেয়ার
★প্রাণ
★প্রশিকা
★ আশা
★Haychem
★এসিআই
★কৃষিবিদ গ্রুপ
★অ্যাকশন এইড

আর দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার সুযোগ তো রয়েছে-ই।

এছাড়া আরো বহু বহু সরকারি এবং প্রাইভেট সেক্টরে জবের সুযোগ আছে!
(যে সাবজেক্ট গুলো থেকে জব সেক্টরে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য থাকে এগ্রিকালচার তার মধ্যে উপরের কাতারেই আছে)।

Read More Agriculture Department , BAU

পেশা পরিচিতি : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ

সব বিষয়ের রিভিউ একসাথে

Information By: Jobaer Mahmud Toyon

ESDM, PSTU