দেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে!

আর অন্যদিকে টেকনোলজি সম্পর্কে দেশের মানুষদের জ্ঞানও দিন দিন বেশ উন্নতির দিকে আগাচ্ছে। আর এখন অনেকেই ডোমেইনের নাম দেখেই কোনো ওয়েবসাইট কোন দেশ থেকে অপারেট করা হচ্ছে সেটাও বলে দেয়া যায়।

যেমন পাকিস্তানের ডোমেইনযুক্ত সাইট গুলো com.pk দিয়ে শেষ হয়, ভারতের ডোমেইন যুক্ত সাইটগুলো .in দিয়ে শেষ হয়ে থাকে।

ঠিক তেমননি ভাবে বাংলাদেশের ডোমেইন দিয়ে খোলা সাইটগুলোর শেষে com.bd দেওয়া থাকে।

তবে একটি আজব ঘটনা ঘটেছে। জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত সোশাল মিডিয়া ফেসবুকের নামে দেশের একটি সফটওয়্যার কোম্পানি দেশের ডোমেইন দিয়ে একটি ওয়েবসাইট খুলে রেখেছে!

মজার ব্যাপার হলো ফেসবুকের নিজস্ব অনেকগুলো ডোমেইন রয়েছে। তবে দেশের ডোমেইন দিয়ে ফেসবুকের কোনো সাইট খোলা নেই।

ডোমেইন ফাঁকা থাকলে সেটা যে কেউ টাকা দিয়ে কিনে নিতে পারে কিন্তু আপনি যদি facebook.com.bd সাইটটিতে ভিজিট করেন তাহলে নিচের মতো দেখতে পাবেন:

Facebook.com.bd

Legal ভাবে বলতে গেলে বলা যায় যে, ফাঁকা থাকলে যে কেউই যেকোনো ডোমেইনকে রেজিস্টার করতে পারে।

কিন্তু এই ওয়েবসাইটে কোনো প্রতারণামূলক কার্যক্রম না করা হলেও খোদ ওয়েবসাইটকেই বিক্রির জন্য বলে রাখা হয়েছে। আর দাম হাঁকা হয়েছে ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ফেসবুকের জনপ্রিয়তা কে কাজে লাগিয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে এই কাজটি করা হয়েছে বিধায় ফেসবুক কতৃপক্ষ এই কোম্পানির বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে।

Facebook.com  ডোমেইন রেজিস্ট্রার করা হয় ১৯৯৭ সালের ২৯ মার্চ।

Facebook.com.bd ডোমেইন রেজিস্ট্রার করা হয় ২০০৮ সালের ৭ ডিসেম্বর

Facebook.com.bd Registration Info

এই বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য ইতিমধ্যেই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ দেশের একজন আইনজীবিকে নিয়োগ দিয়েছেন ।

A1 Software Limited নামের বাংলাদেশী একটি কোম্পানি ফেসবুকের একই নামে একটি নতুন ডোমেইল খুলেছে, যেটা সম্পূর্ণ বেআইনী বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি ব্যারিস্টার মোকসেদুল আলম।

তিনি আরো বলেন এর আগে একাধিক বার ফেসবুক কর্তৃপক্ষ A1 সফটওয়্যারকে ফেসবুকের সমজাতীয় নামের ডোমেইন ব্যবহার না করার জন্য নোটিশ দিলেও এখন পর্যন্ত ডোমেইনটি সচল রয়েছে।

আর এছাড়াও প্রায় ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে সাইটটি বিক্রি করার বিষয়টিও আইনে বৈধ্যতার মধ্যে পড়ে কিনা সে বিষয়েও আইনী লড়ায়ে নামবে ফেসবুক।

সর্বশেষ তথ্য মতে তিনি জানান আগামী রোববার কিংবা সোমবার (২২ / ২৩ নভেম্বর, ২০২০) নাগাদ ফেসবুক ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি কেইস করবে।

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ চাইবে বলে জানা গিয়েছে।

তথ্যঃ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড

ঢাকা ট্রিবিউন