Future 1904***

EEE ETE ECE এর মধ্যকার কনফিউশন নিয়ে নিয়ে এডমিশন হেল্প ডেস্কের বেশ কিছু পোস্ট চোখে পড়লো। খুব সংক্ষেপে উত্তর টা দিতে গেলে বলতে হয়,তোমরা অন্যান্য ভার্সিটিতে ECE (Electronics & Communication Engineering) বলতে যা বোঝ,রুয়েটে সেটা হলো ETE অর্থাৎ Electronics & Telecommunication Engineering.রুয়েটের ECE বলতে Electrical & Computer Engineering বোঝায়।

বিশ্বের অন্যতম পুরোনো ও র্যাঙ্কিং এ প্রথমদিকে ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের নাম বললেই চলে আসে EEE এর কথা।আর সেই ইইই থেকেই
ETE(Electronics & Telecommunication Engineering)।এই বিষয়ের Core course হলো ইলেক্ট্রনিকস আর টেলিকমিউনিকেশন।

ইলেক্ট্রনিক্স এর জ্ঞান ছাড়া টেলিকমিউনিকেশন ফিল্ড কে পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা যায় না এবং প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কমিউনিকেশন ফিল্ডের মানোন্নয়ন সবচেয়ে জরুরি এই দুটি বিষয় মাথায় রেখেই ২০০৫ সাল থেকে “০৪” কোড নিয়ে ECE(Electrical & Computer Engineering) ফ্যাকাল্টির অধীনে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(রুয়েট) চালু করা হয়েছে ইটিই ডিপার্টমেন্ট।২০০৫-১০ সাল পর্যন্ত ৩০ জন এবং পরবর্তিতে ২০১১ সাল থেকে আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ৬০ জন করা হয়েছে।

ফ্যাকাল্টি মেম্বার দের মধ্যে রয়েছে ডিন স্যার এবং প্রত্যেক সিরিজের জন্য আলাদা হেড ও কোর্স এডভাইসর ছাড়াও মোট ৯ জন ডিপার্টমেন্টাল প্রফেসর ও লেকচারার বর্তমান রয়েছেন।
ল্যাব ফ্যাসিলিটির মধ্যে রয়েছে

১.Electronics Lab
২.Computer Lab
৩.Network Lab
৪.Microwave,Antenna & Propagation Lab
৫.Digital System Design & Signal Process Lab (Proposed)
৬.Project Lab

এবার আসা যাক কোর্স ভিত্তিক আলোচনায়।
একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এর সাথে একজন কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারের পার্থক্যটা হল ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের Power Plant Engineering, Power Conversion, High Voltage Engineering, Power System Operation & Control এই কোর্সগুলো মেজর হিসেবে পড়তে হয়- যেটাকে CORE কোর্স বিবেচনা করা যেতে পারে । কিন্তু কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারদের CORE কোর্স হল Communication related Course.

যেমন:
1.Digital Electronics
2.Analog, Electronics
3.Network Analysis
4.Wireless & Mobile Communication
5.Telecommunication Engineering

6.Industrial Electronics
7.Design & Analysis of Signal & Systems using MATLAB,VLSI Design
8.Microwave Engineering
Microprocessor & Microcomputer
9.Fiber Optic Communication
10.Antennas & Propagation

11.Satellite Communication & Radar

এইসব গুলোই ডিপার্টমেন্টাল কোর্স, প্রত্যেক সেমিস্টারে ডিপার্টমেন্টাল কোর্সের পাশাপাশি কম্পুলসরি ইইই,সিএসই বেসড কোর্স,ম্যাথ ও হিউমেনিটিজ কোর্স থাকবে।
ডিপার্টমেন্টাল অনেকগুলো কোর্সের সাথেই দেখছো কমিউনিকেশন শব্দটা লেগেই আছে।এ বিষয়টা একটু ব্যাখা করা যাক।

কমিউনিকেশন বলতে আমরা যা সোজা বাংলায় বুঝি যোগাযোগ। কিন্তু যোগাযোগ কখন Electronically হবে সেটাকে ধরব ETE হিসেবে। ইটিই ডিপার্টমেন্ট এ মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন এবনং স্যাটেলাইট এর উপর ই বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। একজন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আমাদের কাজ হবে Data Loss/Attenuation কমানোর মাধ্যমে তথ্যের সঠিক প্রেরণ ।একসময় কার unwanted noise সম্বলিত মোবাইল কলরেট ছিল প্রতি মিনিটে ৮ টাকা,যা এখন টাকার হিসাব ছাড়িয়ে পয়সাতে এসে ঠেকেছে, সগর্বেই বলতে হয় টেলিকমিউনিকেশন এর উত্তোরত্তর উন্নয়ন না হলে এটা সম্ভব হত না।
এবার একটু চার বছর পরের দিকে তাকাই।

Masters/PhD in ETE
Topics
1.Microwave,Satellite Communication
2.Renewable Energy Technology
3.Nano electronics
4.MIMO communication

5.Digital Communication
6.Reliable Signal Processing
7.Wireless Sensor Network

সাব্জেক্ট চয়েজ দেয়ার সময় তোমার মাথায় যতই প্যাশন ওয়ার্ড টা ঘুরুক না কেন,সবশেষে ক্যারিয়ার স্যালারীর চিন্তাটা থেকেই যায়।
এবার আসা যাক ক্যারিয়ার আলোচনায়।

যোগ্যতা সিজিপিএ বিবেচনায় নয় বরং সিজিপিএর পাশাপাশি নিজের দক্ষতাকে বাড়ানো উচিত।ইটিই তে আসার তুমি অবশ্যই চাইবে চার বছর নিজেকে একজন যোগ্য টেলিকম ইঞ্জিনিয়ার/SAP এনালিস্ট অথবা সিস্টেম টেকনিশিয়ান এর জায়গায় দেখতে।

আমাদের মেইন জব ফিল্ড গুলো মূলত

1.Telecommunication and Mobile companies(বিটিসিএল,রবি,জিপি ইত্যাদি)
2.Wimax and Broadband Technology companies(as a system engineer/network engineer)
3.Bangladesh Radio (radio Engineer) 4.Software Companies
5.Site Engineer(Fiber Maintenance)
6.ICX,IGW(International Gateway)
7.BCS Telecom & economic Cadre।

রুয়েট ছাড়াও বাংলাদেশে কুয়েটে ECE, চুয়েটে ETE, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে APECE, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ECE, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে APECE, এ ছাড়াও বেশ কিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয়টি পড়ান হয় ।

আর কথা বাড়াচ্ছি না তাহলে, সার্কিট ডায়াগ্রাম দেখে দেখে ডি আই টি বোর্ডে একসাথে ২৫-৩০ টা তারের সমাহার করে পর্যায়ক্রমে 10100011 সবুজ সিগনালের হিসাব মেলানোর ধৈর্য থাকলে,
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র একগাদা ডায়োড,রেজিস্টেন্স,ট্রাঞ্জিস্টর নিয়ে প্রজেক্ট বোর্ডে বসিয়ে বসিয়ে কারেন্ট ভোল্টেজ মাপতে মাপতে হাঁপিয়ে না গেলে,অসিলোস্কোপ ভুলভাল ওয়েভশেপ দেখালে হাল ছেড়ে না দিয়ে শুরু থেকে পুরোটা আবার করার তাগিদ থাকলে,

স্যাটেলাইট,অপ্টিক্যাল ফাইবার আর মাইক্রোওয়েভের দুনিয়াটাকে খুব কাছ থেকে দেখার ইচ্ছা থাকলে ইটিই তে স্বাগতম।
Let’s connect people with less Resistance & more Frequency.

Selibis Sarker Testy
16 Series
Dept. of Electronics & Telecommunication Engineering.

2.

ইলেকট্রনিক্স ও কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ECE) / ইলেকট্রনিক্স ও টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং(ETE)

২ টা বিষয় সম্পর্কে একসাথে লিখলাম – কারণ এদের মাঝে মিল অনেক। মিলগুলো যেমন জানা জরুরি তেমনি কোন কোন জায়গায় অমিল সেটা তুলে ধরার চেষ্টা করব।
বিশ্বের অন্যতম পুরনো ও প্রথমদিকের ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের নাম বললে চলে আসে EEE- এর কথা। সেই EEE এর থেকেই ETE এর উৎপত্তি।

ETE বিষয় নিয়ে আগে বলি। এই বিষয়ের CORE COURSE হল ELECTRONICS AND TELECOMMUNICATION । ইলেকট্রনিক্স সম্পর্কে আমরা কম বেশি সবাই জানি । সমস্যা হয় কমিউনিকেশন এর বেপারটা মাথায় ঢুকে না। ETE এর কোর্স এ প্রথম দিকে থাকে ব্যপকভাবে ELECTRONICS এর কোর্স। এক সময় TELECOMMUNICATION এ প্রবেশ করবা। ELECTRONICS এর জ্ঞান ছাড়া TELECOMMUNICATION সম্ভব না। ELECTRONICS এর BASIC Clear না থাকলে ETE/ECE কোনটাতেই সুবিধা করা যায় না।

Communication part তুলনামূলক সহজ এবং Communication Sector এ কাজ করতে গেলেও দক্ষতা লাগবে সেই Electronics এর।
একজন ছাত্র ETE তে সাধারণত যে কোর্সগুলো পরে থাকে [ কোর্সগুলোর নাম এ সামান্য বিভিন্নতা থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে]

  • 1.ANALOG ELECTRONICS;
  • 2. DIGITAL ELECTRONICS;
  • 3.ELECTRICAL MACHINES AND MEASUREMENTS;
  • 4. ELECTRICAL CIRCUIT ANALYSIS;
  • 4. ENGINEERING ELECTROMAGNETIC AND ANTENNA THEORY
  • 5.INDUSTRIAL AND POWER ELECTRONICS ;
  • 6. RADIO AND TELEVISION ENGINEERING;
  • 7.ADVANCED ELECTRONIC CIRCUITS;
  • 8.ELECTRONIC DEVICES
  • 9.OPTICAL FIBER COMMUNICATION;
  • 10. MICROWAVE AND SATELLITE COMMUNICATION;
  • 11. DIGITAL SIGNAL PROCESSING;
  • 12. SCIENTIFIC, INDUSTRIAL AND BIO MEDICAL INSTRUMENTATION;
  • 13.SEMICONDUCTOR AND VLSI TECHNOLOGY;
  • 14. COMMUNICATION THEORY;
  • 15. ADVANCED COMMUNICATION THEORY;
  • 16. CONTROL ENGINEERING;
  • 17. MOBILE CELLULAR COMMUNICATION;
  • 18. TELECOMMUNICATION NETWORK
  • 19. MULTI MEDIA COMMUNICATIONS
  • 20. IMAGE PROCESSING

এছাড়াও

  1. PROGRAMMING C/C++,
  2. MICROPROCESSOR AND ASSEMBLY LANGUAGE,
  3. MICRO CONTROLLER,
  4. DATA COMMUNICATION AND COMPUTER NETWORK,
  5. COMPUTER PERIPHERAL AND INTERFACING,
  6. COMPUTER ORGANIZATION AND ARCHITECTURE,
  7. RENEWABLE ENERGY TECHNOLOGY,
  8. ENGINEERING DRAWING কোর্স গুলো করতে হয় ।

এছাড়া মাইনর কোর্সগুলোর কথা না বললাম।

তাহলে একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এর সাথে একজন কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারের পার্থক্যটা হল ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের POWER PLANT ENGINEERING, POWER CONVERSION, HIGH VOLTAGE ENGINEERING, POWER PLANT PROTECTION, POWER SYSTEM RELIABILITY, POWER SYSTEM OPERATION AND CONTROL এই কোর্সগুলো মেজর হিসেবে পড়তে হয়- যেটাকে CORE কোর্স বিবেচনা করা যেতে পারে । কিন্তু কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারদের CORE কোর্স হল Communication related Course গুলো।

Electronics একটি দীর্ঘ পথ। আমাদের চারপাশের এমন কিছু নেই যেখানে ইলেকট্রনিক্স নেই। আমাদের কমিউনিকেশনকেও ডেভেলপ করেছে সেই ইলেকট্রনিক্স- ই । কমিউনিকেশন বলতে আমরা যা সোজা বাংলায় বুঝি যোগাযোগ। কিন্তু যোগাযোগ কখন ELECTRONICALLY হবে সেটাকে ধরব ETE হিসেবে।

তোমার একটা তথ্য আছে সেটা আরেক জায়গায় TRANSFER করতে হবে। একজন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ হবে DATA LOSS/ATTENUATION কমানের মাধ্যমে তোমার তথ্যের সঠিক প্রেরণ । সেটার জন্য তোমাকে কখন কোথায় কি উপায় প্রয়োগ করতে হবে সেটা শিখান হবে ETE তে। একটা সময় ছিল মোবাইল এ কথা বলতে খরচ ছিল মিনিটে ১০ টাকা। এখন ১০ পয়সা। এটা সম্ভব হয়েছে টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের উন্নতির কারনে। একসময় ছিল ইন্টারনেট ব্যবহার ছিল কল্পনার ব্যপার। এটা এখন সবার কাছে সবচেয়ে সহজ ব্যাপার। কারণ FIBER OPTIC COMMUNICATION সহ কমিউনিকেশন এর উন্নতির কারণে।

তবে এর মানে এই না যে তাহলে সব তো হয়েই গেছে- আমি পড়ে কি করব? মনে রাখবা একজন কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারের কাজ কখনও শেষ হয় না। এখন পর্যন্ত BENDING LOSS, DISPERSION এগুলো কমানো সম্ভব হয়েছে তবে অনেক INFORMATION এখনও LOSS এখনো যথেষ্ট কম না। আর এসব নিয়ে কাজ এখনও হয়ে যাচ্ছে । ভবিষ্যতে আরও হবে।

EEE এর ছাত্র হিসেবে প্রথম লক্ষ্য থাকে কিভাবে বিদ্যতের উতপাদন বাড়ানো যায়? আবার Communication Engineer হিসেবে কাজ করলে লক্ষ্য থাকে কিভাবে বিদ্যতের অপচয় কমান যায় বিভিন্ন সিস্টেমের মাঝে কমিউনিকেশন এর সময়।

ETE বিষয়টা প্রকৃতপক্ষে MOBILE COMMUNICATION কে বোঝায় । এখানে এটার প্রতি ভালভাবে FOCUS করা হায়। তবে প্রায় সব কোর্সই এক। তবে যখন একজন SATELLITE এর উপর কাজ করবে, NASA/ কোন কম্পানির RADAR PROJECT এ কাজ করবে তখন ETE র ই কিন্তু প্রাধান্য বেশি ।

বাংলাদেশে KUET- ECE, RUET- ETE, CUET-ETE, PUST-ETE, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে APECE, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ECE, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে APECE, Daffodil Internation University -ETE ও NSU তে ETE ছাড়াও বেশ কিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয়টি পরানো হয় ।

এবার ফলিত পদার্থবিজ্ঞান( APPLIED PHYSICS)এর কথায় আসি। প্রায় সকল যায়গায় এখন এটাকে পরিবর্তন করে EEE/ETE/ECE করা হচ্ছে।

বর্তমানে বেশিরভাগ শিক্ষার্থিদের প্রথম লক্ষ্য থাকে গ্র্যাডুয়েশন শেষ করে উচ্চ শিক্ষার জন্য বাহিরে যাওয়া।উচ্চ শিক্ষার জন্য যেসব বিষয়/ বিভাগকে আমরা অনেকেই গুরুত্ব দেই তার বেশিরভাগই ECE/ETE এর সাথে related. Nano Technology/ Energy System Engineering/ Bio-Medical Engineering/ Communication Engineering/ Image Processing/ Control Engineering এ Switch করার জন্য বিষয়গুলো বেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ।উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে সব সময় থিসিস/ গবেষণা Compulsory হিসেবে থাকে।তাই, শুধু ৪ বছর থিওরি পড়ে পাশ করলেই হবে না, নিজের দক্ষতা তাদের কাছে প্রকাশের জন্য যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে। তাই স্নাতক পড়ার সময় উচিত হবে নিজেদের পছন্দের বিষয়গুলো ঠিক করে নেয়া সেভাবে প্রস্তুতি নেয়া।

এবার বেতন এর কথা একটু বলি। এটা আমার বলা লাগবেনা যে বাংলাদেশ এর যোগাযোগ সেক্টর কতটা পিছিয়ে। যখন এয়ারটেল থেকে বিটিসিএল এ ফোন করা হয় তখন ৫ বার নেটওয়ার্ক এরর হয়। এটা হবে না যদি ECE/ETE এর যথেষ্ট উন্নতি হয়। আর কিছু প্রকৌশলবিদ্যার মত ECE/ ETE ও সুবিধা থেকে যথেষ্ট বঞ্চিত। নিজেদের অর্জিত জ্ঞানকে এদেশে কাজে লাগানোর সুবিধা এদেশে কম, কিন্তু নেই- এই কথা কখনই সত্য না। কম এই জন্য, কারন জনশক্তি থেকে সুযোগ কম।

টেলিকম কোম্পানি ছাড়াও WIMAX COMPANY গুলো ECE/ETE GRADUATES দের জব অফার করে থাকে SYSTEM ENGINEER/ NETWORK ENGINEER হিসেবে। তবে যদি একটু বাহিরের দিক টাকাই তাহলে আমার না বললেও চলবে। ভারতেই এখন ECE এর চাহিদা কল্পনাতীত । সেখানে সরকারি ইঞ্জিনিয়ার কোটাতেও ECE ছাত্ররা কোটা পায়। UK তে একজন কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার এর বেতনের হিসাবটা দেখে আস এখান থেকে- [HTTP://WWW.PROSPECTS.AC.UK/]

ECE থেকে নিজেদের পছন্দমত বিভাগে চলে যাওয়া যায়, সেগুলোর প্রত্যেকটিই ওয়ার্ল্ড এর নতুন ও আকর্ষণীয় বিষয়।

এসব কিছুই তোমার সম্ভব- যদি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে সেখান থেকে একটা ভাল CGPA ও দক্ষতা (EXCELLENCE) নিয়ে বের হতে পার। মেধা আছে বলেই বাংলাদেশর শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পেড়েছ । এখন সেই মেধাকে ঝালাই করার সময়। যোগ্যতা দিয়েই সব অর্জন করতে হয়। চাকরিটাও করতে হবে। তাই নিজের মেধাকে কাজে লাগাও- তোমাকে বলতে হবেনা আমি পাশ করে বসে আছি। যদি নিজের লেভেলটাকে আরেকটু উপরে নেয়া যায় তাহলে হয়ত এমন জায়গায় পৌঁছে যাবে যেখানের কথা চিন্তাও করনাই। তাই প্রথম থেকেই ভাল করে চেষ্টা করে যাও।

ETE এর একটা কোর্স আরেকটার সাথে খুব RELATED. তাই প্রত্যেক কোর্সের সময় সেটা ভালমত আয়ত্তে নিবে। যেকোন শিক্ষক এর কাছ থেকেই যা বুঝনা শিখে নিবে। কারণ শিখার সময় কিন্তু মূলত ৪ বছরই। এর পর প্রয়োগ করার। আর যা শুধু নিজের দক্ষতা দিয়েই সম্ভব আর কিছু দিয়ে নয়। একটা কথা না বললেই নয়, কোন বিষয় ভাল/ খারাপ হয় না, সে বিষয়ে তোমার আগ্রহ/ দক্ষতা তোমার শেষ লক্ষে নিয়ে যেতে পারে, তোমার সাফল্য ব্যর্থতা সেটাও বেশরভাগই তোমার উপর বর্তাবে। সবার জন্য সাফল্যের কামনা রইল।