Future 1900***

(Civil Faculty এর সবচে বড় department এবং অন্যতম আকর্ষণীয় subject civil engineering নিয়ে review দেওয়া হলো)

পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন প্রফেশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং হলেও আমাদের তরুন প্রজন্ম সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ও এর ক্যারিয়ার প্রস্পেক্ট নিয়ে অনেকটাই অজ্ঞাত।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রতি আমার আগ্রহ সৃষ্টি হয় মূলত ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলে “মেগাস্ট্রাকচার” প্রোগ্রামটা দেখার মাধ্যমে। একেকটা মেগাস্ট্রাকচার তৈরি করতে ইঞ্জিনিয়ারদের যে প্রব্লেম সল্ভিং স্কিল ও দক্ষ ম্যানেজমেন্ট স্কিল দেখাতে হয় তা সত্যিই অবাক করার মত।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কে সহজভাবে সংজ্ঞায়িত করতে গেলে যা বলতে হয় তা হল, এটি এমন একটি প্রকৌশল শাখা পরিবেশের প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট বিভিন্ন উপাদান বা স্থাপনা ডিজাইন, কন্সট্রাকশন ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে কাজ করে। তো বুঝতেই পারছো এর ব্যাপ্তি কত বিশাল! রাস্তাঘাট, দালানকোঠা, রেলওয়ে, এয়ারপোর্ট, ব্রিজ, বাঁধ থেকে শুরু করে স্টেডিয়াম, কৃত্তিম দ্বীপ ও আধুনিক যুগের বিস্ময়কর স্থাপনাগুলো ডিজাইন থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন পর্যন্ত পুরোটা কাজ একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর মেধার সাথে শ্রমিকদের পরিশ্রমের ফলাফল।

আগেই বলেছি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যাপ্তি অত্যন্ত বিশাল আর এই জন্যই একে “মাদার অফ ইঞ্জিনিয়ারিং” বলা হয়। বাংলায় “পুরকৌশল” বলে আর আসর করে “রয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রাঞ্চ” নামে ডাকা হয়।

সিভিল ইঞ্জিনিয়রিং এর আবার বিভিন্ন শাখা রয়েছে যেগুলো আবার অনেকসময় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স হিসেবে পড়ানো হয়।

যেমনঃ
> স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংঃ বিভিন্ন স্থাপনার গঠন ও এর শক্তিমত্তা, স্থায়িত্ব ইত্যাদি নিয়ে হিসেবনিকাশ করে ও পাশাপাশি কিভাবে ডিজাইন করলে সেটি আরো লোড নিতে পারবে কিংবা স্থায়ী হবে সেগুলো নিয়ে গবেষণা করে।

> আরকিটেকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংঃ এ শাখায় মূলত একটা স্থাপনার ডিজাইন , এস্থেটিকস নিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি কিভাবে পরিবেশবান্ধব ডিজাইন করা যায় সেগুলো নিয়ে গবেষণা করে।

> কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিংঃ কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়াররা মূলত একটা প্রজেক্ট ড্রয়িং পেপার থেকে বাস্তবে নিয়ে আসেন। অর্থাৎ একটা স্থাপনা যেমন ব্রিজ, বাঁধ, রাস্তা ইত্যাদি তৈরি করেন।

> জিওটেকনিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংঃ এ শাখাটিতে মূলত ভূমি বা মাটির গুনাগুণ যার উপর মূলত সকল কন্সট্রাকশন করা হয় সে বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা করে।
> ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিংঃ গুরুত্বপূর্ণ একটি ক্ষেত্র যাতে মূলত যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করা হয়, হোক সেটা স্থলে , জলে কিংবা আকাশপথে। এর মাঝে রয়েছে ব্যবস্থাটির প্ল্যানিং, ডিজাইন থেকে শুরু করে ম্যানেজমেন্ট পর্যন্ত।
> এনভাইরনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিংঃ এটা নিশ্চয়ই সবাই বুঝতে পারছো যে এ শাখায় মূলত পরিবেশ সংরক্ষণ অ ইঞ্জিনিয়ারিং জ্ঞান কাজে লাগিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশের সর্বোচ্চ ব্যবহার কিভাবে করা যায় তা নিয়েই আলোচনা করা হয়।
> আরবান ইঞ্জিনিয়ারিংঃ এ শাখায় একটি শহর বা নগর কিভাবে তৈরি করলে বসবাসকারীরা সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা পাবে এবং তা পরিবেশে কোন ক্ষতি করবে না সেসব বিষয় নিয়ে কাজ করে।
> ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিংঃ পরিবেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পানির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, নদীশাসন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ ব্যাবস্থার উন্নয়ন এসব বিশয় নিয়েই মূলত এ শাখার কাজ কারবার।

এছাড়াও মানুষের প্রয়োজনের কথা চিন্তা করে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর আরো অনেক শাখা তৈরি হয়েছে যেমনঃ কোস্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্থকোয়াক ইঞ্জিনিয়ারিং, সাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ গ্রাজুয়েশন করার সময় তুমি উপরের সবগুলো শাখাতেই জ্ঞানার্জন করতে পারবে এবং ইন্টারেস্ট অনুযায়ী শাখাতে ক্যারিয়ার গড়তে পারো। পাশাপাশি চাইলে ইচ্ছানুযায়ী যে কোন শাখাতে পোস্ট গ্রাজুয়েশন ও গবেষণা করতে পারো।
এজন্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর মতো বহুমুখী ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট পড়তে পারাটা একটা বিশাল সুযোগ যে কারো জন্য। একটা মজার ব্যাপার হলো অন্য সব ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য যে কর্মক্ষেত্রটা সৃষ্টি করা হয় সেটা সৃষ্টিই করে সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা।

তো বুঝতেই পারছো প্রত্যেকটা কর্মক্ষেত্রেই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজের সুযোগ আছে যে সুযোগটা অন্য বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা পায় না।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে কথা বলছি আর ডক্টর ফজলুর রহমান খান (১৯২৯-১৯৮২) এর কথা বলবো না তা কিভাবে হয়! হ্যাঁ, তার জন্ম আমাদের দেশেই। এবং তিনি তখনকার আহসানুল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ( বর্তমানে বুয়েট ) থেকেই লেখাপড়া করেন । বিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ইঞ্জিনিয়ারদের তালিকাগুলোতে তার নাম প্রথম দিকেই থাকে।

আর হ্যাঁ, তিনি একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার।
বিদেশীরা তাকে সম্মান করে “আইনস্টাইন অব স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং” এবং “ফাদার অব টিউবুলার ডিজাইন” বলে ডাকে। কারণ আধুনিক সভ্যতা এবং ভবিষ্যতের পৃথিবীর মূল স্থাপনা হবে আকাশচুম্বী অট্টালিকাগুলো। আর আধুনিক এই স্কাইস্ক্র্যাপারগুলো তার উদ্ভাবিত টিউবুলার ডিজাইন দিয়েই তৈরি। ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন ও এনালাইসিসে কম্পিউটার প্রযুক্তির ব্যবহারে তিনি ছিলেন অন্যতম পুরোধা।

পৃথিবীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনেক স্থাপনা তিনিই করেছেন। সিয়ার্স টাওয়ার এর নাম তো সবাই জানো! ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত এটিই ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং। এর ডিজাইনও কিন্তু আমাদের ফজলুর রহমান খান এরই করা।
সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা তাদের ইঞ্জিনিয়ারিং জ্ঞান দিয়ে নিরলসভাবে আধুনিক সভ্যতার উন্নয়নে কতটা ভূমিকা রাখছেন আর এর ব্যাপ্তি যে কত বিশাল তা বুঝতে আর বাকি নেই নিশ্চয়ই।

কর্মক্ষেত্রঃ
ভার্সেটাইল একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স হওয়াতে কর্মক্ষেত্রে ইচ্ছানুযায়ী পজিশনে কাজ করা যায়। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ কাজকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ অফসাইট এবং অনসাইট। অর্থাৎ, একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারকে অফিসে বসে কাজ করার পাশাপাশি কন্স্যট্রাকশন সাইটে গিয়েও কাজের অগ্রগতি দেখতে হয়। এবং কাজের এই বৈচিত্র্য সত্যিই মজাদার।

বাংলাদেশে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজের সুযোগকে ২ ভাগে ভাগ করা যেতে পারে।
যথাঃ
সরকারিঃ ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে বাংলাদেশে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্যই রয়েছে সবচেয়ে বেশি সরকারি চাকরির সুযোগ। সরকারি চাকরির মাঝে প্রথমেই আসবে বিসিএস এর কথা। বিসিএসে অন্য সবার মত সাধারণ ক্যাডারে প্রতিযোগিতা করার পাশাপাশি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য রয়েছে টেকনিক্যাল ক্যাডারে কিছু বরাদ্দকৃত পোস্ট।

যার মাধ্যমে সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা গ্যাজেটেড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে কাজ করতে পারবেন। এছাড়া সড়ক ও জনপথ, সেতু কতৃপক্ষ, এলজিইডি, রেলওয়ে, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, গণপূর্ত বিভাগ, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ পল্লী বিদুৎতায়ন বোর্ড, ওয়াসা ইত্যাদিতেও কাজের বহূমুখী সুযোগ রয়েছে।

মজার ব্যাপার হল আমাদের দেশে এমন সরকারি বিভাগ খুব কমই আছে জেকাহ্নে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য কোন পোস্ট নেই।
বিভিন্ন পাওয়ারপ্লান্ট, সমুদ্রবন্দর, ইপিজেড, বিমানবন্দর সহ অনেক সরকারি অধিদপ্তরে চাকরির সুযোগ আছে। সরকারি বিভিন্ন ব্যাঙ্কে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের আলাদা পোস্ট আছে। তাছাড়া বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষক ও সরকারি পলিটেকনিক গুলোতে শিক্ষক হওয়ার সুযোগ তো থাকছেই।

এমনকি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতেও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য রয়েছে বিশেষ ইঞ্জিনিয়ারিং কোর যার আসনগুলো শুধুমাত্র সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্যই বরাদ্দ।

বেসরকারিঃ সরকারি চাকরির পাশাপাশি বাংলাদেশে বেসরকারি বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানি, কন্সট্রাকশন কোম্পানি ও বিভিন্ন এনজিও তে রয়েছে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকুরীর সুযোগ। বিভিন্ন প্রাইভেট ব্যাঙ্ক, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক, জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রোজেক্টে উচ্চ বেতনে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার নেওয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন প্রাইভেট ইন্সটিটিউট ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার অগণিত সুযোগ আছে।

সরকারি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং পোস্টে চাকরির পাশাপাশি বিদেশে উচ্চশিক্ষার অগণিত সুযোগ ও নিজের ইঞ্জিনিয়ারিং ও কনসালটেন্সি ফার্ম গঠন করে উদ্যোক্তা হতেও পারবে। সাথে অন্য সবার মত সব ধরনের নন টেকনিক্যাল চাকরি করার সুযোগ তো থাকছেই।

বাংলাদেশে চারটি পাব্লিক ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটির পাশাপাশি অন্যান্য খুব কম সংখ্যক ভার্সিটিতেই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিটি দেওয়া হয়। আর একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছেই। তেমনি সভ্যতার উন্নয়নের পাশাপাশি পৃথিবীতেও এর চাহিদা প্রচুর বাড়ছে। তাই, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ আগ্রহ সৃষ্টি হলে এটা পড়ার সুযোগটি অন্য কিছু না ভেবে লুফে নিতেই পারো।

তো তোমার যদি এনালাইসিস, প্রব্লেম সল্ভিং, ডিজাইন , মেকানিক্স আর ম্যানেজমেন্ট স্কিলে আগ্রহ থাকে তবে তোমাকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্বাগত জানাচ্ছি।

কেন রুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বেঃ

রুয়েট বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রাচীন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান এবং রুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ সেই রুয়েট সৃষ্টির প্রাক্কাল থেকেই আছে। রুয়েটে শুধুমাত্র সিভিল ডিপার্টমেন্টেই ১৬ জন অধ্যাপক পদমর্যাদার শিক্ষক আছেন যা রুয়েটের বিভাগগুলোর মাঝে সর্বোচ্চ। এমনকি এতজন প্রফেসর বাংলাদশের হাতেগোনা কয়েকটি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টেই আছেন।

এছাড়া ১৫ জন পিএইচডি করা শিক্ষক আছেন। এছাড়া আর অনেক যোগ্য ও মেধাবী শিক্ষক আছেন যাদের প্রায় সবাইই বিদেশের বড় বড় বিশ্ববিদ্যাশ্বথেকে উচ্চশিক্ষা নিয়ে এসেছেন। এখানে ১৬১ ক্রেডিটের কোর্স করানো হয় জা রুয়েটের অন্য সব ডিপার্টমেন্টের মতই আইইবি স্বীকৃত।

স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই এখানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টটি চলমান এবং এই কারণে ইতিমধ্যে আমাদের সিভিল প্রাক্তন স্টুডেন্টরা দেশের বিভিন্ন গুরুত্ত্বপূর্ন পদে আসীন। তাই তুমি এখানে পাচ্ছো ক্যারিয়ার গাইডলাইনের জন্য বিশাল একটি নেটওয়ার্ক। এত কিছুর পাশাপাশি পর্যাপ্ত ক্লাস, ল্যাব ফ্যাসিলিটি তো পাচ্ছোই। তাই, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর মতো রয়াল ব্রাঞ্চে পরার আগ্রহ থাকলে আর এই দেবদারু ঘেরা রুয়েটে বিচরণের সুযোগ নিতে চাইলে রুয়েট সিভিলে তোমাকে স্বাগতম।

লিখেছেন
Faisal Faruque Rafat
CE’16

(ছবিতে RUET CIVIL Building. ছবি তুলেছেন Shahriar Kabir CE’16)

RUET Architecture

RUET Review

Civil Review