জার্মানির যেমন আছে ব্রান্ডেনবার্গ গেট, ভারতের যেমন আছে ইন্ডিয়া গেট, তেমনি আমাদের রয়েছে ঢাকা গেট।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থিত দোয়েল চত্বর থেকে বাংলা একাডেমি যাওয়ার পথেই এই ঢাকা গেটের অবস্থান।
এই পথ দিয়ে সচরাচর চলাফেরা করা প্রায় সবাই এই গেটটি একবার হলেও দেখেছেন।
তবে যারা কালেভদ্রে এই রাস্তার যাত্রী, গেটটি তাদের নজরে পড়েনি বললেও অবাক হবার কিছু নেই।
কারণ, ঢাকা গেট ব্রান্ডেনবার্গ এবং ইন্ডিয়া গেটের মতো অতিকায় নয়। তার উপর গেট বলতে আমরা যা বুঝি, তার কিছুই এখন বাকি নেই।
স্রেফ তিনটি স্তম্ভ দেখে বোঝা যায়, এককালে এখানে ঢাকা গেট বলতে কিছু একটা ছিল। এই ‘এককাল’ বলতে বোঝায় সপ্তদশ শতাব্দীর ঢাকাকে।
সেই সময় থেকে শুরু করে উনিশ শতক পর্যন্ত এই ধ্বংসপ্রায় ফটকটি ছিল ঢাকা মহানগরীর উত্তর প্রবেশদ্বার।
মোঘল আমলে বাগ-ই-বাদশাহী নামক সুসজ্জিত বাগানের পাশে নির্মিত এই দীর্ঘ ঢাকা গেট নির্মাণ করেছিলেন এক মহান সুবেদার, যাঁর নাম ছিল মীর জুমলা।
এককালে বাংলার সুবেদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই মহান ব্যক্তিত্ব ঢাকা, তথা সমগ্র বাংলার ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব।
ঢাকাসহ বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে মীর জুমলার স্মৃতিবিজড়িত নিদর্শন ছড়িয়ে আছে।
এমনকি, সম্রাট শাহজাহানকে কোহিনুর হীরক উপহার দেওয়া ব্যক্তি হিসেবেও অনেকে মীর জুমলাকে চিহ্নিত করেছেন।
কথিত আছে মীর জুমলার কোষাগারে রক্ষিত হীরা ছিল প্রায় ২০ মণ।