সবাইকে আমার সালাম জানাচ্ছি।
আমার নাম: ওসমান সরওয়ার নাঈম।
বাসা কক্সবাজার।
Institution name এখনো হয়নি।
তবে ১ মাসের মধ্যেই হয়ে যাবে।
স্বপ্নের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেই নিজের নামের পেছনে এড করতে পারব ইনশাল্লাহ।
তবে স্যার/ভাইয়া/আপু,আজ আমার কোনো প্রশ্ন নাই শুধু ছোট্র একটা সফলতার গল্প আছে।আর আমি আমার গল্পটা সবার সাথে শেয়ার করতে চাই
HSC পরীক্ষা শেষের দিনই ঢাকায় আসলাম।হাজার জীবন স্বপ্ন বাদ দিয়ে শুধু একটিমাত্র জীবনস্বপ্ন সফল করার এক বড় প্রত্যয় নিয়ে।আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পছন্দের কোচিং এ ভর্তি হলাম।পরদিন থেকেই ক্লাস শুরু।
সপ্তাহে ৪ দিন ক্লাস।এখানে বলে রাখা উচিত,আমি বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলাম কিন্তু প্রস্তুতি নিছি বিভাগ পরিবর্তনের।স্বভাবতই প্রথম কয়েকদিন গেছে শুধু পশ্নের ধারণা নিতে।
ভালইই প্রস্তুতি নিচ্ছি।মাস দুয়েক পর HSC ‘র রেজাল্ট বের হলো।তারপর থেকে শুরু হলো লাইফের আরেক অধ্যায়…….
দুপুরে মামা ফোন করে রেজাল্ট জানালো।আমি 4.67 পেয়েছি।সাথে এইটাও জানানো হলো যে,আমার ছোটবেলার বন্ধু যার সাথে আমার জন্মের পর থেকে বিগত ১৭ বছর কেটেছে সে 5.00 পয়েছে।বিষয়টা আসলে এজন্যই বলা হয়েছে কারণ সে এর আগে কোনো পাবলিক পরীক্ষায় আমার চেয়ে ভাল রেজাল্ট বা আমার সমান রেজাল্ট ই করতে পারেনি।
তাই আমার ব্যাপারে সবার এক্সপেকটেশন একটু বেশিই ছিল।তারপর থেকে শুধু কথা আর কথা শুনছি।আমি পড়াশুনা করিনি,শুধু বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিছি,ঘুরাফেরা করছি ইত্যাদি ইত্যাদি।আমিও সব মেনে নিলাম।আসলে আমার করার কিছুই নাই।সত্যি কথা বলতে আমি খুব চেষ্টা করেছিলাম।কিন্তু ছোটবেলা থেকেই আমি ম্যাথ খুব কম বুঝতাম।তবে পড়তাম খুব বেশি।ম্যাথ ও প্রেকটিস করতাম।
তাই JSC,SSC এইসব পরীক্ষায় গোল্ডেন পাওয়া কোনো ব্যাপার ই ছিল না।কিন্তু HSC’ র পড়াশুনা টোটালি ভিন্ন।আমি কোনোভাবেই ম্যানেজ করতে পারছিলাম না।তবে চেষ্টা করছি খুব বেশি।তাই পরীক্ষার পর নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিছিলাম যে,সায়েন্সের সাবজেক্ট নিয়ে পড়াটা আমার জন্য ভাল হবে না।
তাছাড়া আমার ওসব ভালই লাগত না।বলতে গেলে বাধ্য হয়ে পড়তে হয়েছে।যার কারণে বিভাগ পরিবর্তনের প্রিপারেশন শুরু করেছিলাম।
আম্মু’র সাথে রেজাল্টের বিষয়ে কোনো কথা হয় নি।কারণ রেজাল্ট আম্মু আমার আগেই জানছে।তবে আমি বুঝে নিছি যে আম্মু খুব কষ্ট পাইছে।আম্মু বলল রেজাল্ট নিয়ে টেনশন করিস না এইটা কোনো ব্যপার না।কত্ত ভাল ভাল ছেলে ফেল করছে।
আর তাছাড়া তুই তো আগে ৩ টা গোল্ডেন পাইছস,বৃত্তি পাইছস কত্তগুলা,এখনো কি জিপিএ পাইভের মায়া ছাড়তে পারসনি গাধা।আমি বুঝলাম সান্ত্বনা শব্দটার ব্যাখ্যা আসলে এইভাবেই দিতে হয়।
দিন-রাত পড়তে লাগলাম।সত্যি বলতে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি।
ভর্তি পরীক্ষা চলে এলো।
ঢাবি,জবি,রাবি,কুবি,খুবি,চব, বিইউপি,জাককানইবি এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফর্ম উঠালাম।সর্বমোট ১৩টা ইউনিটে পরীক্ষা দিতে হবে।বাসায় কিন্তু জানাই নি যে আমি এত্তগুলা ফর্ম উঠাইছি।আসলে মনের মধ্যে কেমন জানি ভয় কাজ করছিল।
মানে চান্স পাব কি পাব না এই ধরনের।সত্যি বলতে কি যাদের চান্স হবে না তাদের এই ধরনের ভয় লাগবেই যেটা সেকেন্ড টাইমে বুঝছি।
যাইহোক,একের পর এক এক্সাম দেওয়া শুরু করলাম আর ওয়েটিং লিস্টে আমার নাম ও বাড়তে থাকলো।মজার ব্যাপার হলো আমি ১৩টা ইউনিটেই ওয়েটিং এ ছিলাম।যার জন্য আমার এক ফ্রেন্ড আমাকে দুষ্টামি করে বলতো ওয়েটিং নাঈম।দেখতে দেখতে সময় পেরিয়ে গেলো,আমিও ঝুলে রইলাম ওয়েটিং নামক দড়িতে।
ঢাবি এবং বিইউপি ছাড়া বাকি রাবি,জবি, খুবি,কুবি, চবি এবং জাককানইবি তে ভাইভা দিতে গেছি শুধু একটা সাবজেক্ট পাওয়ার আশায়। অন্তত পাবলিকের ছাত্র হওয়ার জন্য। আম্মু সাপোর্ট দিছে,গিয়ে দেখ,হয়তো পেতেও পারস।
এদিকে আম্মুকে সবাই বলতেছে তোমার ছেলে বেশি বুঝে।পাবলিক তো দূরের কথা,জাতীয়তেও ভর্তি হতে পারবে না সে। আম্মু ও যখন বুঝতে পারল আমার আর হবে না।আমিও খুব হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি তখন বলল জাতীয়তে ভর্তি হয়ে যা।আমি আবার রিলিজ স্লিপে আবেদন করে রাখছিলাম। জাতীয়ত
ে অর্থনীতিতে ভর্তি হলাম।
ভর্তি হলাম ঠিকইই।কিন্তু একটা দিনের জন্যও আমি আর ঔ কলেজে যাই নি ক্লাস করব বলে।একদিন গিয়ে ভর্তি হললাম আবার এই বছর এক দিন গিয়ে ভর্তি বাতিল করলাম। সত্যি বলতে আমাকে জাতীয়তে পড়তে হবে সেটা আমি কখনো ভাবতেও পারিনি।আমি কোনোভাবেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে ছোট করছি না।জাস্ট সবাই যে পাবলিকের আশা করে সেটাই বুঝাচ্ছি।অন্যভাবে নিবেন না আপনারা।
জানুয়ারি মাস আসল।এতদিনে আমি মনে মনে একটা কল্পনার জাল বুনে ফেলললাম যে আমি আবারো প্রস্তুতি নেব।আবারো পরীক্ষা দেব।কিন্তু বিভাগ পরিবর্ত্নের প্রিপারেশন নিয়ে এক্সা দেওয়ার সুযোগ ত খুব কম।যা আছে তাতেই আসন সংখ্যা সীমিত। ঢাবি,জবি, রাবি, চবি তে সেকেন্ড টাইম বন্ধ।বড় ভার্সিটির মধ্যে শুধু জাবি আছে।অনেকেই বলছে জাবি’র প্রিপারেশন টা একটু ভিন্ন।
তাছাড়া জাবি তে না হলে কি করবি।আমি আরও রিস্ক নিলাম।জাবি’র জন্য পড়ব না।অন্য গুলার জন্য পড়ব।জাবি’র জন্য পড়ব না বলতে ম্যাথ,আইকিউ বাদ দিলাম।লিস্ট করলাম একটা। প্রথমে রাখলাম খুবি, বশেমুরবিপ্রবি, নোবিপ্রবি, জাককানইবি,ইবি এই ৫টা।
২য়য় পছন্দক্রমে রাখলাম বেরোবি, পাবিপ্রবি, পবিপ্রবি, হাদাবিপ্রবি এই ৪টা।
কুবি এবং সাস্ট বাদ দিলাম কারণ আমি বিভাগ পরিবর্তননের প্রিপারেশন নিছি,আর ওখানে নিজ নিজ গ্রুপ সাবজেক্ট থেকেও প্রশ্ন হয়।আমার সব পরিকল্পনা কমপ্লিট।কিন্তু আম্মুকে বলার সাহস পাচ্ছি না।আম্মু বলল তুর ক্লাস তো শুরু হয়ে যাবে, তাইলে শহরে মেচ ঠিক কর একটা।আমি এই সুযোগে বললাম।
আম্মু আমি আবার পরীক্ষা দিব।আম্মু।কিছুক্ষণ চুপচাপ থাকার পর চলে গেল কিছুই না বলে।২ দিন পর আম্মু বলল কি জাতীয়তেও ক্লাস কর আর প্রিপারেশন ও নে,তাইলেত হচ্ছে।আমি বললাম না আম্মু এইভাবে হবে না।
আমাকে যে কোনো একটা ধরতে হবে।আম্মু কোনোভাবেই রাজি হয় নি।আসলে আমার চেয়ে আমার আম্মুই আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশি চিন্তিত। তাই।তিনি কখনো চান নি যে আমার ভবিষ্যৎ টা নষ্ট হয়ে যাক।
যাইহোক, আমি মেস ঠিক করলাম শহরে।৩ দিন পর চলে গেলাম।মেচে উঠে ১১/১২ দিন থকার পর কি একটা কারণ দেখিয়ে বাসায় চলে গেলাম।আসলে আমার মন বসছে না কোথাও।আম্মুকে বুঝালাম। আম্মু তারপর ও বলল জাতীয়তে পরীক্ষা দিতে হবে।আমি রাজি হলাম।কাপড়-চোপড় সব নিয়ে বাসায় একেবারেই চলে এলাম জানুয়ারীর শেষের দিকে।
এরপর থেকে লাইফের যে অধ্যায়টা শুরু হলো,সেটার সাথে যে পরিচিত হয় নি,আমার মনে হয় ছাত্রজীবনের নির্মম বাস্তবতা কি জিনিস সেটা সে বুঝবেও না কোনদিন।যতই সফলতার গল্প পড়ুক না কেন!!
নেট থেকে পুরোনো সার্কুলার দেখে নিয়ে ঠিক করলাম কোন কোন ইউনিটে এক্সাম দেওয়া যাবে।বই কিনলাম বেশ কয়েক টা সাথে প্রশ্নব্যাংক নিলাম প্রত্যেকটা ভার্সিটির।পড়ালেখা শুরু করলাম পুরোদমে।রাত নাই দিন নাই।
শুধু আমার আম্মু,আমি আর মহান আল্লাহ’তায়ালা জানেন আমি কিভাবে পড়েছি,কত রাত ঘুমাইনি। English for Competitive Exam,English বিচিত্রা, Compact,Mp3 GK,Mp3 বাংলা,বাংলা বিচিত্রা, S@ifur’s Vocabulary, S@ifur’s Analogy বইগুলা কতবার শেষ করছি আমি নিজেও জানিনা।আমার প্রস্তুতিতে বিন্দুমাত্র ঘাটতি হোক সেটা আমি কখনো চাই নি।
কারো কথা শুনিনি।কত জনে কত কথা বলছে।আমি নষ্ট হয়ে গেছি,পড়াশুনা ছেড়ে দিছি……ইত্যাদি ইত্যাদি।আমার আম্মু মানুষের কথা শুনতে শুনতে কোথাও দাওয়াত খাওয়া শুদ্ধ হারাম করে দিলেন।তারপর ও আমাকে কিছুই বলেনি।আমি নিরবে সব দেখতেছি আর সহ্য করে যাচ্ছি।তার মধ্যে কয়েকটা ঘটনা শেয়ার না করলে নয়….
আমার এক আত্নীয় আমার আম্মুকে ফোন করে বলতেছে তোমার ছেলে কি শহরে কাউকে খুন করে আসছে নাকি,নাইলে বাসায় গা ঢাকা দিল ক্যান!!কলেজেও যাই না।ছেলেটাকে যা ইচ্ছা করতে দিছ,এইবার বুঝো মজা।
আম্মু নির্বাক।আমার অজান্তেই শুধু কাঁদে।কিন্তু আমাকে একটি বারের জন্য ও বুঝতে দেয় নি ঘটনাটা।আমি যে আড়াল থেকে সব শুনললাম সেটা অবশ্যই আম্মু জানে না।
আরেকদিনের ঘটনা,আম্মু যেহেতু কোথাও যাচ্ছে না,তাই আমার বাসায় আম্মুকে দেখতে আসছেন আমার নানা বাড়ির লোকেরা। আমি আমার মামাতো ভাই-বোনদের সাথে বারান্দায় দুষ্টুমি করছি,আম্মু খালা,মামিদের সাথে রান্না ঘরে ছিল।হঠাৎ কি একটা কথায় আমার ৮ বছরের খালাতো ভাই বলে উঠল, এই জন্যই তো তুমি কোথাও চান্স পাওনি!!!!
আমি কিছুক্ষণের জন্য চুপচাপ হয়ে গেলাম।কিন্তু পরক্ষণেই বিষয়টা ম্যানেজ করে নিলাম।কিন্তু কথাটা যে রান্নাঘরে আম্মুর কানে গেছে সেটা আমি জনিনা।
রাতে সবাই যখন চলে গেল,আমি আর আম্মু খাইতে বসলাম।আম্মুর কত্ত খারাপ লাগছে জানিনা।আম্মু বলে উঠল সামান্য ৮ বছরের বাচ্চা তুর মুখের ভাষা কেড়ে নিল।আমি কিছুই বলতে পারলাম না।
সেইদিনের কথাটা আম্মুর কতটাই খারাপ লাগছে আমি কোনোদিন কল্পনাও করতে পারব না।আমি বুঝলাম সবাই আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করছে।বিভিন্ন কথা বলছে।নাইলে এই ছোট বাচ্চা ক্যামনে জানলো এইসব।আম্মুর চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলব সেই যোগ্যতা আমার ছিল না।নিজেকে নর্দমার মত লাগত।
এইসব ঘটনা আমার মনোবল আরো বাড়িয়ে দিল।আমি কিন্তু বিন্দুমাত্রই পড়াশুনা ছাড়লাম না।যা হোক, কপালে কি আছে আমি দেখবইই।এখানে অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, আমি বাসায় প্রিপারেশন নিলাম কেন?
প্রথমত,আমি যেহেতু কোচিং করব না সিদ্ধাত্ন নিছি,তাই বাইরে থাকাটা অনর্থক অপব্যয় মনে করছি আর দ্বিতীয়ত বাইরে থাকলে আম্মুর টেনশন বেড়া যাচ্ছে,মানে আমি কি করছি,কি করছি না,আবেগের তাড়নায় অন্য কিছু করে ফেললাম কি না।তাই বাসায় থাকলে আম্মু এইসব থেকে মুক্তি পাবে,এই ভাবনা থেকেই বার বার বাসাই চলে যেতে চাইছি।
দেখতে দেখতে আবারো এডমিশন টাইম চলে এলো।রাবি ও সেকেন্ড টাইম অন করে দিল।প্রথমে ৩টা থে ফর্ম উঠালাম।রাবি,পাবিপ্রবি এবং নোবিপ্রবি।
আলহামদুলিল্লাহ।ওয়েটং লিস্টে থকা ছেলেটি আজ যেখানেই এক্সাম দিচ্ছে সেখানেই মেরিট লিস্টে।ধৈর্য ও কৃতজ্ঞতার পুরস্কার হিসেবে মহান আল্লাহ আমাকে দিলেন ৩ টা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টা মেরিট পজিশন(রাবি’র E ইউনিটে ৯৮ তম,A ইউনিটে ৩৪০ তম।পাবিপ্রবি’র C ইউনিটে ১০ম।নোবিপ্রবি’র C ইউনিটে তে ১৯তম,D ইউনিটে তে ১০ম)।
যারা আমি নষ্ট না হওয়া সত্ত্বেও আমাকে নষ্ট হয়ে যেতে বাধ্য করতে চেয়েছিল তারাই আজ আমাকে congratulations দিচ্ছে।আমাকে নিয়ে গর্ব করছে।শুধু আমাকে ফোন করার সাহসটা পাচ্ছে না।রেজাল্টের ২ দিন পর আম্মুকে জিজ্ঞেস করলাম,আম্মু অমুক কি তোমায় ফোন দিয়েছিল,কিছু বলছে?
আম্মু বলে,না রেজাল্টের পর আর যোগাযোগ করে নি।লজ্জ্বায় আসলে ওদের কিছু বলার নাই।তবে বাইরে নাকি তুর খুব নাম করতেছে শুনলাম।
কিন্তু এরা ৩ দিন নিরব থাকার পর-ই আবার শুরু করছে।চান্স পাইছে ভাল কথা,কোন সাবজেক্ট পাচ্ছে সেইটা বড় কথা।এরা আবার আমার সাবজেক্ট ঠিক করার পিছনে লেগেছে।কয়েকদিন থেকে আম্মুকে ফোন করে নাকি বিরক্ত করতেছে।
এখানেই একটা গল্পের শেষ আবার এখানেই আরেকটা গল্পের শুরু। আমার জীবনের এই গল্পটা আমি শেয়ার করলাম শুধু একটা কারণে। যেটা আমি আমার জীবনে প্রতিফলন ঘটিয়েছি। পেইজে অনেকে গুলা সফলতার গল্প আমি পড়েছি।
এইসব গল্প বলতে গেলে আমার লাইফের টার্নিং পয়েন্ট। সবচেয়ে বেশি যে ভাইয়ের গল্প আমাকে টাচ করেছে, তিনি হচ্ছেন গত বছর বশেমুরবিপ্রবির আইন বিভাগে ১ম হওয়া এক ভাইয়ের গল্প।
তাই প্রচারণা কিংবা লাইক কমেন্টের জন্য নই আমি চাই এই গল্প পড়ে আমার মত হতাশা গ্রস্ত একজন ছাত্রও যদি অণুপ্রাণিত হয় তবে আমার লেখাটা সার্থক।
আমি হতাশাগ্রস্তদের মাঝে বেঁচে থাকতে চাই আশার আলো নিয়ে এই প্রত্যাশা রাখি।
সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
.
Writter: ওসমান সরওয়ার নাঈম
অর্থনীতি বিভাগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশঃ ২রা ডিসেম্বর, ২০১৭
আপনার স্মৃতি লিখে দিতে পারেন আমাদের গ্রুপে