এই মাত্র খবরে দেখলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই বছর অন-লাইন ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে না। এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে ১০০ নম্বরে। যার ভেতর ২০ আসবে এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফল থেকে, এমসিকিউ ৩০, আর বাকি ৫০ লিখিত।

ভর্তি পরীক্ষায় একটি নম্বর বহু ছাত্রছাত্রীর ভাগ্য নির্ধারণ করে। এই অবস্থায় এ’বারে এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের উপর ২০টি নম্বর রেখে দেওয়া একটি অদ্ভুত সিদ্ধান্ত। বিশেষ পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে এইচএসসির ফলাফল যেভাবে দেওয়া হচ্ছে তা বিজ্ঞানসম্মত নয়। তবে এর বাইরে কিছু করার সামর্থ্য সরকারের ছিল না, তাও সত্য। এটা মেনে নিতে হয়েছে। এই সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে নির্ণীত এইচএসসির ফলাফলের উপর ১০টি নম্বর রেখে দেওয়া মোটেই ঠিক হয় নি।

আশঙ্কার কথা হচ্ছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই দেশে অনেক ক্ষেত্রেই ট্রেন্ড-সেটার। হয়ত অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই একই ধরণের সিদ্ধান্ত নিয়ে বসবে।

মনে রাখা দরকার, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সকল সিদ্ধান্ত হওয়া উচিৎ চুলচেরা। ভাল-মন্দ বিশ্লেষণ না করে সিদ্ধান্ত নেওয়া শিক্ষকের কাজ নয়।
যথাসাধ্য সুবিচার নিশ্চিত করা শিক্ষকদের একটা বড় দায়িত্ব।

একটা ইম্পার্ফেক্ট সিচুয়েশনের ভেতর এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ভর্তি করতে হচ্ছে। এই অবস্থায়, আমার মনে হয়, সুবিচারের স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উচিৎ এসএসসি এবং এইচএসসির ফলাফলের উপর কোন ধরণের নম্বর না রাখা।

ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নের মান বাড়ানো উচিৎ যাতে ছাত্রছাত্রীদের যোগ্যতার একটা ভালো যাচাইবাছাই সেখানেই হয়ে যায়। মানসম্মত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলই একমাত্র নিয়ামক হলে ভালো হয়।

জানি না অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কী করতে যাচ্ছে।

আমার ভাবনাটুকু প্রকাশ করে রাখলাম।

লেখকঃ সালেহ হাসান নাকিব

অধ্যাপক

পদার্থবিদ্যা বিভাগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

আপনার মতামত লিখুন আমাদের গ্রুপে