জানি বিষয়টা হাস্যকর, তবুও এখানেও আছে বিজ্ঞান।

আজ লিখবো ফ্লাশ ট্যাংক এর বিজ্ঞান নিয়ে ।

হ্যা আপনি আমি আমরা প্রতিদিন বাথরুমে যাই এবং ফ্লাশ ট্যাংক ব্যবহার করি ।

একবারো কি মনে হয়েছে এটা কীভাবে কাজ করে ? আমার হয়েছিল তাই ১০ম শ্রেনী থাকতেই ফ্ল্যাশ ট্যাংক খুলেছিলাম !

ফ্লাশ ট্যাংক মূলত একটি সরল যন্ত্র যা কী না কাজ করে মূলত অভির্কষজ বল এবং হালকা বস্তুর পানিতে ভাসার গুনের উপর র্নিভর করে বা পানির সাথে অন্য একটি কম ঘনত্ত্বের বস্তুর ঘনত্ত্বের ধর্মের উপর নির্ভর করে ।

ফ্ল্যাশ ট্যাংকে মূলত ২টি ভাল্ভ থাকে যার মধ্যে একটি কাজ করে অভির্কষজ বল কাজে লাগিয়ে অপরটি কাজ করে একটি হালকা বস্তুর ভাসার ক্ষমতার উপর ।

আপনি যখন ফ্ল্যাশ ট্যাংকে ফ্ল্যাশ সুইচে টিপ দেন বা কপি কল ধরে উপর দিকে টান দেন তখন ট্যাংকের নিচের দিকের ভাল্ভ টি খুলে যায় এবং 9.8 m/s^2 ত্বরন নিয় পানি টয়লেটের দিকে এগিয়ে যায় ফ্লাশ ট্যাংক এর নিচের দিকের পাইপ দিয়ে ।এই ভাল্ভটা দিয়ে ততক্ষনই পানি বের হবে যতক্ষন ফ্লাশের পানি একটি র্নিদিষ্ট উচ্চতায় নেমে যায় । নেমে যাবার পর ভাল্ভ টি বন্ধো হয়ে যায় আর ততক্ষন পর্যন্ত আর খুলবে না যতক্ষন আরেক বার কেউ ফ্লাশ বাটনে চাপ দেয় ।

এবার আসি অন্য ভাল্ভটায় । এই ভাল্ভটার সাথে যুক্ত থাকে একটি ফাঁপা প্লাস্টিকের দন্ডের দ্বারা একটি ফাঁপা বল । এবার যখন ফ্লাশের কারণে পানি একদম নিচে নেম যায় তখন বলটিও নেমে যায় । তখন ভাল্ভ খুলে ওখান থেকে পানি পরতে থাকে ফ্লাস ট্যাংক এ

যখন পানির উচ্চতা বাড়তে থাকে তখন ঐ বল এর উচ্চতাও বাড়তে থাকে আর যার ফলে দন্ডটির দ্বারা অপর প্রান্ত যেটি ভালভের সাথে যুক্ত তা ধীরে ধীরে ভাল্ভটি বন্ধো করে দেয় ।

বলটা যত উপরে ওঠে ভাল্ভটি বন্ধো তত হতে থাকে ।

বলটি যখন র্সব্বচ্চো উচ্চতায় তখন ভাল্ভটি একেবারে বন্ধো হয়ে যায় এবং ফ্লাশ ট্যাংকটি আবার ফ্লাশের জন্য প্রস্তুত হয় ।

©AbhiIDT