এক বড় ভাই দেখলাম সেদিন দুঃখ করে বলেছেন, “আমি সরকারের সকল অনিয়ম-অব্যাবস্থাপনা ভুলে যাবো যদি দেখি কোনো এক সকালে বুলডোজার দিয়ে রমনায় অবস্থিত আইইবি (IEB) ভবনটি গুড়িয়ে দিচ্ছে” !
আমি এই বক্তব্যের সাথে যুক্ত করতে চাই IDEB ভবনটিও গুড়িয়ে ফেলে সেখানে আলু-বেগুন-লালশাকের চাষ করা হোক। আমাদের অনেক বেশি দরকার আলু-বেগুন-শাকের। IDEB নামক বিকলাঙ্গ প্রতিষ্টানের কোনো দরকার নেই।
কীভাবে ২০১৯ সালে এসেও সাব এসিট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে প্রাইভেট কোম্পানিগুলো ৭-৮ হাজার টাকা স্যালারি অফার করার সাহস পায়? আমরা গলা উচু করেই বলতে চাই “আমরা ফোরম্যান বা সুপারভাইজার না” ! আমাদের যদি যোগ্যাতা না থাকে আমাদের না নেয়া হোক, আমরা না খেয়ে মরে যাই, এতে তাদের সমস্যা থাকার কথা না।
তবে একটা পদমর্যাদাকে অপমান করার সাহস তারা পায় কই থেকে। তারা ফোরম্যান-লেবার-সুপারভাইজার দিয়েই চালিয়ে নিক।
প্রাণ-আরএফএলের মত হারামি কোম্পানিগুলো পোলাপানগুলোকে ১২ ঘন্টা কামলা খাটুনি খাটিয়ে গার্মেন্টস শ্রমিকের সমান স্যালারি দেয়। কয়েক বছর সেই অবস্থাতেই রেখে সব চুষে নিয়ে ছেড়ে দেয়। অনেকেই ডিফেন্ড করতে আসবে “আরএফএল ফ্রেশারদের নেয়” এই যুক্তি দেখিয়ে ! লোল !
ভাইরে কথা হচ্ছে কোম্পানিগুলোকে সাব এসিট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার লাগবেই। এগুলোতে এলিয়েনরা এসে পোস্ট ফিলাপ করতে পারবে না। আরএফএল আমাদের করুণা করে ফ্রেশারদের চাকরিতে নিচ্ছে এমন ভাব ধরার কিছুই নেই।
যেটা দিয়ে শুরু করেছিলাম, আইডিইবি বা আইইবি নামক প্রতিষ্টানগুলোর এই সংকট নিরসনে কোন পদক্ষেপটা নিয়েছে? যদি তারা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের স্বার্থ সংরক্ষণই না করে তারা করছেটা কোন বা* !
তারা যদি বলে আমার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার বা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার নূন্যতম এত টাকার কম জয়েন করবে না। কোম্পানিগুলো মানতে বাধ্য।
দুনিয়ার সকল প্রাণী সুখী হোক। দুনিয়ার সকল উৎপাদনমুখী মানুষগুলোর উপর থেকে জুলুম হ্রাস পাক।
© জাহিদ বিন ইসলাম
European University of Bangladesh EUB