জীবনের প্রতিটি মূহুর্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেউ বিশ্বাস করুক বা না করুক, মূহুর্তগুলো তার আপন সময় মেনে সামনের দিকে এগিয়ে চলে যাচ্ছে। এর মাঝে কেউ টিকে থাকে, আবার কেউ হারিয়ে যায়। তাই জীবনে এই বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে সামনের সময়গুলিকে কাজে লাগানোই হয়ত বুদ্ধিমানের কাজ হবে। ঠিক বুদ্ধিমানেরও না, একজন ভালো এবং সঠিক উদ্যোগ গ্রহণকারীর পরিচয় পাওয়া যাবে।

এখন আসি মূল কথায়। সমুদ্র সম্পর্কে তোমার ধারণা কতদূর? এটাই শেষ না। মহাসমুদ্র সম্পর্কে তোমার ধারণা কতদূর? বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, কিছু বিরল প্রজাতির প্রাণীর বসবাস, চিংড়ি চাষ, জেলেদের মাছ ধরতে যাওয়া অথবা জাহাজ নিয়ে সমুদ্রটা একটু ঘুরে দেখা। সত্যিই কি তাই? আর কিছু নেই বুঝি?

আমাদের সমুদ্র সীমা ১,১৮,৮১৩ বর্গ কি.মি. যা আমাদের স্থলভাগ থেকে শুধুমাত্র ২৮,৭৫৭ বর্গ কি.মি. ই কম। এই পুরো জায়গার কতটুকু সম্পর্কে আমরা আজ পর্যন্ত জানতে পেরেছি? নাহ, এখনো এর ধারে কাছেও আমরা যেতে পারিনি। সমুদ্রের এই অঞ্চলগুলো নিয়ে গবেষণা এবং পরবর্তীতে সম্পদ আহরণের জন্য যথোপযুক্ত দক্ষ কারিগর, হোক সে বিজ্ঞানী বা গবেষক অথবা অভিজ্ঞ শিক্ষক, তৈরি করতে আজকের এই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের আগমন।

তাহলে এমন কি আছে আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যা সমুদ্র বিষয় নিয়ে অন্যদের থেকে আমাদের সম্পূর্ণ আলাদা করে রেখেছে! চলো কিছুটা জেনে নিই।
সমুদ্রের সকল জানা-অজানা, তলদেশের প্রাণী জগৎ, এমনকি Swatch of No Ground এর মতো একটি গভীর সামুদ্রিক গিরিখাত সম্পর্ক ইত্যাদি নিয়ে গবেষণা, পড়াশোনা, আবিষ্কার, তথ্য সংগ্রহের দায়িত্ব একজন সমুদ্রবিজ্ঞানীর। এই জন্য আমাদের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের আবির্ভাব ঘটে। সমুদ্র এবং মহাসমুদ্রকে অনেকগুলো ভাগে ভাগ করে তা আমাদের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যাতে করে আমাদের প্রাথমিক জ্ঞানগুলো আহরণ করতে পারি।

সমুদ্র এবং মহাসমুদ্র এতো বিশাল যে সারাজীবন লেগে যাবে এর নূন্যতম জ্ঞান আহরণের জন্য। আর আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য নিজেদের সমুদ্র সীমার মধ্যে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সম্পদগুলো খুঁজে রেখে যেতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে খাদ্য সম্পদ, খনিজ সম্পদ, কিছু প্রাকৃতিক সম্পদ ( সমুদের স্রোত এবং ঢেউ ব্যবহার) ইত্যাদি। অর্থনীতির অগ্রগতির ক্ষেত্রে অবশ্যই এর ভূমিকা অনেক বেশি। তাই সব কিছু বিবেচনায় রেখে, সমুদ্রবিজ্ঞানকে অনেক রোমাঞ্চকর একটি অধ্যায় হিসেবে ধরা যায়।

➤ভাইয়া, আমি কেন সমুদ্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়তে যাবো?
= সত্যি বলতে এটা তোমার ইচ্ছা। আমার ইচ্ছায় বা অন্যকারোর ইচ্ছায় তুমি তোমার জীবনের সিদ্ধান্ত অবশ্যই নিবে না। চাইবো না এমন কিছু হোক। কিন্তু যেহেতু কেন পড়বা, তার একটু উদাহরণ দিচ্ছি। সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের ছায়া তলে যে বিষয় গুলি রয়েছে, প্রতিটি সেমিষ্টারের শেষে নতুন নতুন বিষয়ের প্রতি আগ্রহ জন্মাবে। যেমন, Physical Oceanography, Geological Oceanography, Marine Vertebrates, Bay of Bengal studies; Subject গুলো একেকটা একেকটার থেকে কম না। আরো জানতে হলে ক্লাস করা লাগবে 😌

➤এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগ কেন ভালো মনে হয়?
= I think facilities for learning is pretty good, not more or less.

➤Future কি?
= আল্লাহ যদি বাচিঁয়ে রাখেন তবে নিজের কাজ, পড়াশুনা আর দক্ষতার উপর ভবিষ্যৎ নির্ভ্র করবে।
➤ ভাইয়া, পড়াশুনা ছাড়া আর কি আছে?😯😕

= ভালো প্রশ্ন। তো কি আশা করো?😒
আচ্ছা বলেই দিই। প্রত্যেক বছরের ২য় সেমিষ্টারের মাঝে অথবা শেষে প্রায় ১০ দিনের একটা ভ্রমণের কার্যক্রম থাকবে। কিন্তু মূলত কাজের জন্যই বা এর উদ্দেশ্যেই এই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে যাকে আমরা বলে থাকি “Field trip”। এর থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। 😌

➤ ভাইয়া আর?
= পড়তে বসেন আর পরিক্ষা দেন। বিস্তারিত ভর্তির পর😷
তোমাদের সবার একটাই কাজ পড়াশুনা ঠিকভাবে চালিয়ে যাও আর ভালো কিছুর আশায় থাকো।

তাহলে, দেখা হবে ইনশাআল্লাহ এই ক্যাম্পাসে।
বিদায়ের আগে একটা উক্তি বলতেই পারি

“এগিয়ে যাবো, থাকবো নির্ভয়,
সবাই আমরা করবো, ঐ নীল সমুদ্র জয়”

Mohammad Azharul Islam
Oceanography & Hydrography Department
Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Maritime University

Qustion of Previous Year

OCEANOGRAPGY questions bsmrmu

OCEANOGRAPGY questions bsmrmu

Ask Your Questions 

Review