জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ আয়োজিত ‘উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকদের বিদেশে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান বলেন, ‘বিদেশে লেখাপড়া করে বসবাসের জন্য থেকে যাওয়াটাকে এখন আর মেধা পাচার হিসেবে গণ্য করার সুযোগ নেই।

পৃথিবীর যে কোনো দেশে সৃষ্ট জ্ঞান দ্রুতই অন্যান্য দেশেও চলে আসছে। আমাদের ছেলে মেয়েরা বিদেশে গেলে বরং রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারবে।’

উপাচার্য বলেন, ‘আমাদের উদ্ভিদবিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত উচ্চতর গবেষণা লব্ধ জ্ঞান কৃষি প্রধান এই দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে।

এ ক্ষেত্রে একটাই বাঁধা তা হলো ঝুঁকি নেওয়ার সক্ষমতা। ঝুঁকিটা হলো- থাকা, খাওয়া, টিউশন ফি সহ পূর্ণ স্কলারশিপের স্বল্পতা। তবে কোনোভাবে টিউশন ফি সম্পূর্ণ ছাড় পাওয়া গেলে, অনেক দেশেই নিজের খরচ চলানোর মতো পথ বের হয়েই যায়।

বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিয়ে দেশে এসে চাকরি পাওয়া অত্যন্ত কঠিন। বয়সসীমা পার হয়ে যাওয়ায় সরকারি চাকরি যেমন ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকে, তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চপদে অভ্যন্তরীণ প্রার্থী থাকায় বাইরের প্রার্থীদের কঠিন প্রতিযোগিতায় পরতে হয়।’

শনিবার (৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিভাগের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মেঘলা সাহা।

অনুষ্ঠানে চীন, নরওয়েতে, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্যে, নেদারল্যান্ডস সহ বিভিন্ন দেশে গবেষণায় যুক্ত থাকা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ওয়েবিনারের বিদেশে উচ্চ শিক্ষায় আগ্রহীদের নির্দেশনামূলক বক্তব্য রেখে বলেন, ‘বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে জন্য দৃঢ় ইচ্ছা শক্তি থাকতে হবে। নিজেকে সমৃদ্ধ করতে হবে। এর জন্য স্কলারশিপের অনেক সুযোগ আছে যে গুলো খুঁজে বের করতে হবে।

/সাঈদ