ঘটনাটি সত্যি। একটু বেশী মাত্রায় সত্যি।

একজন সদ্য সাবেক উপাচার্য শুধুমাত্র প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হওয়ার কারনে bullying ও অপমান করার মাধ্যমে প্রায় আত্মহত্যার মুখোমুখি করে ফেলেছিলেন বিদেশ ফেরত একজন তরুন গবেষককে। দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানিয় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি পদোন্নতির ইন্টারভিউ হচ্ছে। যার ইন্টারভিউ হচ্ছে সে ইউরোপ এবং অস্ট্রেলিয়ার দুটি নামকরা স্কলারশিপ নিয়ে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রীধারী, গবেষনা কর্ম উপস্থাপনে পেয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কার।

ইন্টারভিউ বোর্ডে ছিলেন একজন উপচার্য (সদ্য সাবেক)। ধরে নিলাম তার নাম এবিসি উদ্দিন কিংবা এক্স ওয়াই জেড চৌধুরী। কেউ যখন পিএইচডি করে আসে তখন আমেরিকা কিংবা অস্ট্রেলিয়ায় খুব সুনির্দিষ্ট কিছু প্রশ্ন তাকে করা হয় যা দিয়ে যাচাই করা হয় তার জানার গভীরতা, গবেষণার মান, গবেষক হিসেবে কতদুর যেতে পারে তার আভাস এবং শিক্ষক হিসেবে কতটুকু মানসম্পন্ন। যেমন জিজ্ঞেস করা হয়- আপনি নিজেকে দশবছর পর কোথায় দেখতে চান, কি নিয়ে গবেষনা করেন সহজ কথায় বুঝিয়ে বলুন, গবেষণার জন্য আপনি এই ক্ষেত্র বেছে নিলেন কেন এবং তার ভবিষ্যৎ কি, শিক্ষকতার মূল দর্শন কি আপনার চোখে, ক্লাস নেয়ার সময় কোন বিষয়টিকে আপনি প্রাধান্য দেন? আর বাংলাদেশের প্রখ্যাত উপাচার্যের প্রথম মন্তব্য কি ছিল জানেন?

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তো মানহীন, প্রশ্নবিদ্ধ। এখান থেকে পাশ করা ছেলেরা আবার শিক্ষকতা করে কিভাবে? ওদের যোগ্যতা আছে নাকি? ওরা পড়াতে জানে নাকি? তোমাকে ইন্টারভিউ দিতে কে ডেকেছে? তুমি তো ফোরকানিয়া মাদ্রাসা থেকে এসেছ। তোমার বিশ্ববিদ্যালয়ের মত প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমি ফোরকানিয়া মাদ্রাসা পর্যায়ের মনে করি।

তুমি এখানে কিভাবে শিক্ষক হয়েছ? বাহ! সাবাশ! এইতো চাই! কালো হওয়া যেমন এক সময় আফ্রিকায় অপরাধ ছিল, আদিবাসী হওয়াটা যেমন একসময় ব্রিটিশদের কাছে অপরাধ ছিল, ভদ্রলোকের কথা অনুযায়ী সাম্প্রতিকতম অপরাধ হল কেউ যদি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট হয়। একদম যেন সে একটা অনাকাঙ্ক্ষিত সন্তান। সেই তরুন শিক্ষকটি সেদিন চোখে জল নিয়ে বাড়ী ফিরেছিল, বারবার তার মনে হচ্ছিল যোগ্যতার দিক থেকে কোনরকম পিছিয়ে না থেকেও এরকম অপমানিত হওয়ার চেয়ে আত্মহত্যা করাই ভালো।

কিন্তু তার বাবা তাকে একটা কথাই বলেই থামিয়েছিলেন, “অপেক্ষা করো। তুমি কে এবং কি করতে পারো সেটা সময়ই একদিন বলে দেবে”। আর অপমান হবে নাইবা কেন? একটা ফ্লোর ভাড়া নিয়ে কোন রকমে শুরু হয়ে যাচ্ছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। কোন কোন বিভাগে এমনও দেখেছি চার এর মধ্যে কারো সিজিপিএ ৩.৭ এর নীচে নেই। সবাই এক্সিলেন্ট ছাত্র। একটা ল্যাবরেটরিও নেই তার মাঝেই চার বছর শেষ করে একজন গ্র্যাজুয়েট হয়ে যাচ্ছে। যে জীবনে হয়তোবা দুই থেকে তিনবার মাত্র টেস্টটিউব ধরেছে হাতে সে ভাল ফল নিয়ে পাশ করছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকের শালা শালী, নাতি নাতনি, ভাই, বোন সবাই সেখানে কর্মচারি। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই কোন গবেষনার সুযোগ। নেই কোন জ্ঞান উৎপাদন, আছে স্লাইড মুখস্ত করিয়ে পাশ করানো আর কোনভাবে গ্র্যাজুয়েট তৈরি করা। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রধান নয় বরং মালিকের অর্থ উপার্জনই মূল উদ্দেশ্য। কোন অভিজ্ঞ সিনিয়র শিক্ষক কিংবা পুর্নকালীন শিক্ষক ছাড়াই অনেক বিভাগ চালিয়ে যাচ্ছে পড়াশোনা। আমরা কি এমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই? আমরা চাইনা। সেই উপাচার্য এবিসি উদ্দিনই মনে হয় ঠিক। কিন্তু এখানে একটা কিন্তু থেকেই যায়। এত এত অনিয়ম আর মানহীনতা বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে।

কিন্তু এটা কার দোষ? এর জন্য ছাত্ররা কিভাবে দায়ী হয়? এর জন্য ছাত্রকে কেন অপমানিত হতে হবে? এটা কি প্রশাসনের দোষ নয়? মালিকপক্ষের কি কিছু করার নেই? আর কত কত প্রশ্নের মুখোমুখি হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মালিক পক্ষকে মান নিয়ন্ত্রনে সচল করা যাবে আমার জানা নেই। গত ছয়মাস ধরে আমি গবেষনা করে বের করার চেষ্টা করেছি ফোরকানিয়া মাদ্রাসা উপাধিপ্রাপ্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা কোথায় কোথায় গেছে তা নিয়ে।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট ডক্টরেট গবেষক হিসেবে সম্প্রতি কাজ করেছেন ঢাকার ইউডার (ইউনিভার্সিটি অফ ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ) মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, জান্নাতুল ফেরদৌস, ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলোজি চিটাগাং (ইউএসটিসি)র রাসেল দাশ। আরও ছয়জন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজূয়েট সাম্প্রতিক সময়ে সেখানে গবেষক ও শিক্ষকতায় নিযুক্ত ছিলেন/আছেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্র পি এইচ ডি করছে এবং পাঁচজন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থি গত তিন বছরে সুযোগ পেয়েছে স্নাতকোত্তরে।

বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগলে অন্যতম প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন বাংলাদেশের এমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির তরুণ জাহিদ সবুর। মাত্র ২৫০ জন পুরো বিশ্বে গুগলে এই পদে আছেন। হ্যাঁ, মাত্র ২৫০ জন এবং তিনি একজন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের কাছে স্বপ্নের স্থান মাইক্রোসফট করপোরেশন। যুক্তরাষ্ট্রে মাইক্রোসফট করপোরেশনে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের দায়িত্ব পেয়েছিলেন চট্টগ্রামের ইউএটিসির স্নাতক আশরাফ ফারুক পলাশ।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসির একজন ছাত্র এখন ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছে। অস্ট্রেলিয়ায় কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স গবেষণার সেরা ছাত্র হয়ে “চ্যান্সেলরস রিকমেন্ডেশন” অর্জনের মত দুর্লভ কৃতিত্ব দেখিয়েছে বাংলাদেশের ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

যুক্তরাজ্যের দুই ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয় Swansea এবং ইউনিভার্সিটি অফ হাল এ শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত আছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গ্রাজুয়েট ফাহাদ ইব্রাহীম এবং তাপস কুমার রায়। যুক্তরাষ্ট্রে যাদের স্বপ্ন হিসেবে গণ্য করা হয় সেই আইভি লীগের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক বছর আগে একসাথে স্কলারশিপ পেয়েছিল ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ছাত্র রুবাইয়াত খান।

Morgan Stanley এর মত বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার তুখোড় মেধাবীদেরকে পেছনে ফেলে সুযোগ পেয়েছেন এবং কৃতিত্বের সাথে কাজ করছে আহসানঊল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট তানভীর আহমেদ চৌধুরী।

ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, জাতিসংঘ, মার্ক্স এন্ড স্পেন্সার- সব জায়গাতেই এখন আছে ডজনখানেক বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট। আরও প্রায় দুই শতাধিক উদাহরন আছে আমার কাছে। এরপরেও যদি এক্স ওয়াই জেড চৌধুরীর মত কেউ বলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সব গর্দভরা পড়ে বা তারা সবকিছু নষ্ট করে দিচ্ছে তাহলে এই তথ্যগুলো তাদের দেখানো উচিৎ। তাহলে কি বলা হচ্ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুবই ভালো? অবশ্যই না।

এখনও অনেক দূর যাওয়ার বাকি আছে। এখনও সত্তরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে ভাবতে হবে। কিন্তু একটা ব্যাপার, বৈষম্যের দেয়াল তুলে একটা দেশ কখনো এগিয়ে যেতে পারেনা। আপনি কালো কেন, প্রতিবন্ধী কেন, লম্বা না কেন, ইংরেজি মাধ্যমে পড়েন নি কেন, বিবাহিত কেন? এসব প্রশ্ন কখনই কাউকে করা যাবেনা। এটা কখনো কাউকে বিচারের মানদণ্ড হতে পারেনা। কেউ যদি আপনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন আপনি ভালো না এই প্রশ্ন করতে আসে, তাকেও কিন্তু উল্টো প্রশ্ন করা যায়- ভাই বিশ্ববিদ্যালয়ই একমাত্র ভালো খারাপ বিচারের মানদণ্ড?

তাহলে কি আপনাকেও জিজ্ঞেস করে দেখব আপনি এসএসসি কি ভিকারুননিসা, হলিক্রস বা সেন্ট জোসেফ থেকে করেছেন? এইচএসসি কি নটরডেম, রাজউক, বা চট্টগ্রাম কলেজ থেকে করেছেন? করেন নাই? কি বলেন? গ্রামের স্কুলে পড়েছেন? টিনের ক্লাস্রুম? আপনি তো তাহলে এখানে আসারই যোগ্য না। আপনি স্কলাস্টিকা, আইএসডি বা চিটাগাং গ্রামার স্কুলে পড়েন নাই? তাহলে তো ইংরেজি জানেন না। আপনি তো আন্সমার্ট।

— কথাগুলো কেমন অভদ্র শোনাচ্ছে না? কেমন বিভাজন সৃষ্টি কারী মনে হচ্ছে না? বৈষম্য ব্যাপারটা এজন্যই খুব খারাপ এবং অযৌক্তিক। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সবচেয়ে বেশী উদ্বিগ্ন আমরা শিক্ষকেরাই। অথচ আমরা সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাই সেখানে গিয়ে ক্লাস নিচ্ছি, পরীক্ষা নিচ্ছি। কই সবাই মিলে তো ক্লাস বর্জন করার আহবান করা হচ্ছেনা মান নিয়ন্ত্রনের দাবী জানিয়ে? কেন শিক্ষকেরা পরীক্ষা নেয়ার সময় সেই পর্যায়ের প্রশ্ন করছেন না যা আন্তর্জাতিক মানের?

এটা কি আমাদের হিপোক্রেসি নয়? সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল, পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে নিকটাত্মীয় সরকারের এক মন্ত্রীকে বলছিলাম সেই উপাচার্যের কাহিনী, সাথে সাথে তিনি বললেন সেই উপাচার্যই লক্ষ লক্ষ টাকা বেতন নিয়েছেন একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমরা আসলেই জাতি হিসেবে খুব অদ্ভুত। মানুষ যত বড় হয় তার মন ততো আকাশের মত বিশাল হয়। আকাশের মত সবকিছুকে ধারন করতে শেখে।

ছোটকে আবহেলা আর বড়কে নিয়ে মেতে থাকা নয়, সবাইকেই নিজের অস্তিত্বের অংশ মনে করে। আমাকে যদি এই প্রজন্মের আইকন কয়েকজন দেশের বাইরে সফল মানুষ বলতে বলা হয়, সবার আগে বলব বুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থি রাগিব হাসানের কথা। তার কোন লেখায় কখনো কোন বিভাজনের চিহ্ন খুঁজে পাইনি। বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অংগনে গর্বিত করে চলেছে বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটরা।

রাগিব হাসান, সেজান মাহমুদ, আবেদ চৌধুরী, আকতার হোসাইনদের মত অনেকেই এদেশ কে গর্বিত করে চলেছেন। কিন্তু তাদের নেই ইন্সটিটিউশনাল প্রাইড বা অহংকারের গরিমা। কারন তারা খুব ছোট প্রতিষ্ঠানের সাফল্যকেও অনেক বড় করে দেখেন। আমি কেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এত কথা বলছি? না কেউ আমাকে পয়সা দিতে আসেনি। আমি নিজেও একজন ভিক্টিম। আমি নিজে দুটি সরকারী প্রতিষ্ঠানের সুযোগ ছেড়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে পড়েছি এবং এখন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।

জীবনে কোন পরীক্ষায় আমি কারো করুনা বা ফেভার নেইনি। অন্য সবার সাথে প্রতিযোগিতা করেই সব জায়গায় সুযোগ করে নিতে হয়েছে, এমনকি দেশের বাইরে স্নাতকোত্তরে এবং পিএইচডিতে পড়ার প্রতিটি ধাপে প্রতিযোগিতা করেই সুযোগ পেয়েছি। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হওয়ার ক্ষেত্রেও কেউ কোন দুর্নিতির প্রমান দিতে পারবে না। তারপরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বাসে এমন দেখেছি- অনেকক্ষন কথা বলার পর আমাকে যখন একজন শিক্ষক জিজ্ঞেস করল আমি কোথায় আন্ডারগ্রেড করেছি, উত্তরে বললাম- ইউএসটিসি, সাথে সাথে ‘ওহ আচ্ছা প্রাইভেট থেকে?’

বলে একটু যেন ঢোক গিললেন। আর পুরোটা পথ কথাই বললেন না সেই শিক্ষক। বাংলাদেশের সংবিধান দাড়িয়ে আছে একটা কল্যাণ রাষ্ট্রের লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে। একটা কল্যাণ রাষ্ট্রে সব নাগরিক সমান। ধনী, গরীব, কালো, ফর্সা, প্রতিবন্ধী, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা, চট্টগ্রাম কিংবা নোয়াখালীর মানুষ- কারো পরিচয় নিয়ে ব্যবধান হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এই দেশ তৈরি হয়নি। যত বেশী ব্যবধান তৈরি হবে ততো বেশী হতাশা তৈরি হবে।

আর আপনার মন্তব্য থেকে তৈরি হওয়া সেই হতাশা যে আরেকটি আত্মহত্যার প্ররোচনা দেবেনা তা কি আপনি বলতে পারেন?সবেচেয়ে বড় কথা, মানুষের সম্ভাবনা অসীম। সেটা যেকোন সময়েই সে মেলে ধরতে পারেন। মানুষের সম্ভাবনা কে বিশ্বাস করতে শিখুন।

Adnan Mannan

Teacher

Dept. Of GEB

University of Chittagong