বাংলাদেশের গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান অধ্যাপক ড. জাহিদ হাসান তাপস।

১৯৭০ সালের ২২ শে মে ঢাকার সেন্ট্রাল রোডের নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন ড. জাহিদ হাসান তাপস। ড. জাহিদ হাসান স্যারের বাবার নাম অ্যাডভোকেট মোঃ রহমত আলী।এবং মায়ের নাম নাদিয়া আলী তালুকদার।

মোঃ রহমত আলী ও নাদিয়া আলী তালুকদার দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে ড. জাহিদ হাসান তাপস প্রথম।দ্বিতীয় হলেন,অ্যাডভোকেট জামিল হাসান দুর্জয়।আর একমাত্র কন্যা অধ্যাপিকা রোমানা আলী তুসী।

ড.জাহিদ স্যারের বাবা অ্যাডভোকেট মোঃ রহমত আলী শ্রীপুর আসন থেকে ছয় বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য।

অ্যাডভোকেট রহমত আলী বলেন,দেশ স্বাধীন হওয়ার পর একদিন শিশু পুত্র তাপসকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর কাছে গিয়েছিলাম।বঙ্গবন্ধু তখন তাপসকে আদর করে কোলে নিয়ে বলেছিল, তোমার এই ছেলে একদিন অনেক বড় হবে।ওর জন্য আমার অন্তহীন আশীর্বাদ রইলো।

ড. জাহিদ হাসান তাপস ১৯৮৬সালে ধানমন্ডি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। এসএসসিতে জাহিদ স্যার চারটি শিক্ষা বোর্ডের সম্মিলিত মেধা তালিকায় দ্বিতীয় হয়েছিল। ১৯৮৮ সালে ঢাকা কলেজ থেকে চার শিক্ষা বোর্ডে সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করে এইচএসসি পাস করেন।এর পর গনিতে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

অনেক স্বপ্ন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও বেশিদিন ক্লাস করেন নি।কারন তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের হাতছানি দিয়েছিল ওই সময়ে।মাত্র চার দিন ক্লাস করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।ওই বছরই স্কলারশিপ নিয়ে চলে যান স্বপ্ন বাস্তবায়নের দেশ যুক্তরাষ্ট্রে।অস্টিনের টেক্সাস ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন পদার্থবিজ্ঞানে।

আর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার কারনে সুযোগ হয় নোবেল বিজয়ী তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন ভাইনভার্গের কাছে শিক্ষা গ্রহনের।

স্টিফেন ভাইনবার্গের কাছে শুরুর দিকে দুনিয়ায় জন্ম -মৃত্যুর তত্ত্ব নিয়ে কাজ শুরু করেন জাহিদ স্যার।তবে, বিজ্ঞানী স্টিফেন ভাইনবার্গ জাহিদ স্যারকে ব্যবহারিক পদার্থবিজ্ঞানে আগ্রহী করে তোলেন।তার কাছ থেকে জাহিদ জানতে পারে তত্ত্বীয় জগতে নতুন কিছুর সন্ধান যেমন আনন্দের। তেমনি বাস্তব জগতে সেই নতুন কে খুঁজে পাওয়ার আনন্দ কম নয়।

এর পর মাস্টার্স ও পিএইচডি করতে চলে যান স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে।মূলত তখন থেকেই ওনার নাম ছড়িয়ে পড়তে থাকে।আর ওই সময় থেকেই তার আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত জাহিদ স্যার স্ট্যানফোর্ড লিনিয়ার একসিলারেটর সেন্টার (SLAC) তে গবেষণা সহযোগী হিসাবে কাজ করেন।

কাজ করেন অসংখ্য খ্যাতিমান ও নোবেলজয়ী পদার্থবিজ্ঞানীদের সঙ্গে।এরই মধ্যে বিশেষ অতিথি হয়ে লেকচার দিতে যান প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে।তার লেকচার শুনে মুগ্ধ হোন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ উপস্থিত সব দর্শক।

সেদিনই প্রস্তাব আসে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষক হিসেবে যোগদানের। আর তিনি ওই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেন।প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে ২০০২ সালে যোগ দেন এইচডিকে ফেলো হিসেবে।এটি একটি স্বতন্ত্র ফেলোশীপ। পরে সেখানকার পদার্থ বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন।২০১১ সালেই জাহিদ স্যার বিভাগের পূনার্ঙ্গ প্রফেসর হয়ে যায়।

ড.জাহিদ হাসান স্যারের ইচ্ছে ছিল বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতেন সেই প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে পড়বে। কিন্তু প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে জাহিদ স্যার পড়তে পারে নাই ঠিকই, কিন্তু শেষ পর্যন্ত উনি সেই প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াচ্ছে।

আইনস্টাইনের মতো প্রিন্সটনের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে পড়াচ্ছে আমাদের অধ্যাপক জাহিদ হাসান স্যার।এছাড়াও তিনি ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়াতে কিছুদিন শিক্ষকতা করেন।১৯৯৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের অন্তত একশটি দেশে প্রায় তিনশত আন্তর্জাতিক সেমিনারে লেকচার দেন তিনি।

সুইডেন, ফ্রান্স, ভারত,ইতালি, জাপান,চীন,ইউরোপ, আমেরিকা সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক সেমিনারে নিয়মিত লেকচার দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।বিশ্ববিখ্যাত ল্যাবরেটরি সার্ন (সিইআরএন),লরেন্স বার্কলে, ব্রোক হেভেন ন্যাশনাল ল্যাবে কাজ করার সুযোগ ও হয়েছে ড.জাহিদ হাসান স্যারের।সৌদি আরবের কিং আবদুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে।

এছাড়াও শিকরের টানে যুক্ত আছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ডে।

আবিষ্কার
স্ট্যানফোর্ডে পিএইচডি করার সময় জাহিদ স্যার বের করেন কঠিন বস্তুর মধ্যে ইলেকট্রনের চারটি কোয়ান্টাম সংখ্যা বের করার কৌশল।

টপোলজিক্যাল ইনসুলেটর বা স্থানিক অন্তরক
কম্পিউটার, স্মার্টফোন সহ সকল ইলেকট্রনিকস সামগ্রীর প্রানভোমরা সাড়ে ছয় দশক আগে উদ্ভাবিত ট্রানজিস্টর

কিন্তু এরই মধ্যে ট্রানজিস্টর তার কর্মদক্ষতার প্রায় সর্বচ্চো সীমায় পৌছেছে।বিজ্ঞানী – প্রকৌশলীরা খুজছেন নতুন কোনো অবস্থা যা দ্রুতগতির কম্পিউটিং এর সহায়ক হবে এবং পাশাপাশি তাতে শক্তি ক্ষয়ও হবে কম।ঠিক এমনিই একটা কিছু খুজে পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র,তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, জার্মানি ও সুইডেনের একজন বিজ্ঞানী।

এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদের অধ্যাপক জাহিদ হাসান স্যার।ওনাদের আবিষ্কৃত নতুন এই বস্তু – দশার নাম দেওয়া হয়েছে টপোলজিক্যাল ইনসুলেটর বা স্থানিক অন্তরক।

১৯৯৭ সালের নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বিজ্ঞানী ফিলিপ এন্ডারসনের মতে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার। কেবল তত্ত্বের কারনে নয় বরং এর কারিগরি দিকটিও তাৎপর্যপূর্ন।এর মাধ্যমে অনেকদিন ধরে তত্ত্বীয় পর্যায়ে থাকা কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরি করা যাবে।

জাহিদ হাসান স্যার আরও বললেন, কেবল কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের নতুন জোয়ার নয় এর ফলে বস্তু জগতের ক্ষুদাতিক্ষুদ্র অংশে যেখানে কোয়ান্টাম বলবিদ্যা কাজ করে সেটির অধ্যায়নও আলাদা গতি পাবে।

সেহেতু কার্যকর তাপমাত্রার এটি বানানো যাবে।শুরু হবে এক নতুন ইলেকট্রনিকসের যুগের যার কেন্দ্রে থাকবে এই স্থানিক অন্তরক।

আমেরিকার দুটি প্রধান অংশ হলো ইস্ট কোস্ট এবং ওয়েস্ট কোস্ট। ইস্ট কোস্ট বলা হয় আটলান্টিকের তীরের অংশকে।ওয়েস্ট কোস্ট বলা হয় প্রশান্ত মহাসাগরের তীরবর্তী অংশকে।

এই দুই তীরে আমেরিকার সেরা সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।ইস্ট কোস্টে আছে এমআইটি,হার্ভাড, প্রিন্সটন,কর্ণেল,ইউপ্যান, কলোম্বিয়া। ওয়েস্ট কোস্টে আছে ক্যালটেক,স্ট্যানফোর্ড,ইউসি-বার্কলে ইত্যাদি।

যুক্তরাষ্ট্রের ইস্ট কোস্টের বিখ্যাত প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে জাহিদ হাসান স্যারের নেতৃত্বে একদল গবেষক ৮৫ বছর পর আবিষ্কার করেছে ভারহীন কনা – ভাইল ফার্মিয়ন।

১৯২৯ সালে হ্যারম্যান ভাইল নামক এক বিজ্ঞানী এমন একটি কনার অস্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলেন।এরপর পরীক্ষাগারে চলে ব্যাপক পর্যবেক্ষন ও গবেষণা।
৮৫ বছররের মাথায় বাংলাদেশি বিজ্ঞানী জাহিদ হাসান স্যারের প্রচেষ্টায় সেই কনা বাস্তবে পরীক্ষাগারে শনাক্ত করা হয়েছে।

এই পৃথিবীতে যাবতীয় গ্রহ- নক্ষত্র, নদীনালা, সমুদ্র, পর্বত,প্রানিজগৎ, গাছপালা, মানুষ সব ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কনার পিন্ড।মহাজগতের এসব বস্তু কনাকে বিজ্ঞানীরা দুই ভাগে ভাগ করেন।একটি ফার্মিয়ন, অন্যটি বোসন।যা আবিষ্কার করেছে আরেক বাঙালি বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু,তার নামেই বোসন কনা।ফার্মিয়ন কনার একটি উপদল হলো ভাইল ফার্মিয়ন।

জাহিদ স্যার জানালেন, মোট তিন ধরনের ফার্মিয়নের মধ্যে ডিরাক ও মায়োরানা নামে বাকি দুটি উপদলের ফার্মিয়ন বেশ আগেই আবিষ্কৃত হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে বিজ্ঞানীরা ভেবেছেন, নিউট্রিনোই সম্ভবত ভাইল ফার্মিয়ন। কিন্তু ১৯৯৮ সালে নিউট্রিনো ভরের ব্যাপারটা নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে আবার ভাইল ফার্মিয়নের খোজ শুরু হয়।এবং ৮৫ বছর পর জাহিদ স্যারের নেতৃত্বে ভাইল ফার্মিয়ন কনা আবিষ্কার করে।

দীর্ঘদিন ধরে ফার্মিয়ন নিয়ে কাজ করেছেন কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানী আন্তন ভার্খব। আন্তর্জাতিক জার্নাল আইইইই স্পেকট্রামকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উচ্ছ্বাসিত ভার্খব বলেন,তত্ত্বীয় জগতের জিনিসপত্র বাস্তব জগতে খুঁজে পাওয়ার মতো আনন্দের বিষয় আর কিছু নেই।

জাহিদ স্যার বলেন,ভাইল ফার্মিয়নের অস্তিত্বে প্রমানিত হওয়ায় দ্রুতগতির ও অধিকতর দক্ষ ইলেকট্রনিক যুগের সূচনা হবে।এই আবিষ্কার কাজে লাগিয়ে আরও কার্যকর নতুন প্রযুক্তির মোবাইল ফোন বাজারে এসে যাবে,যা ব্যবহারে তাপ সৃষ্টি হবে না।কারন ভাইল ফার্মিয়ন কনার ভর নেই। এটি ইলেকট্রনের মতো পথ চলতে গিয়ে ছড়িয়ে পড়ে না,তৈরি হবে নতুন প্রযুক্তির কম্পিউটার ও বৈদ্যুতিক সামগ্রী।

১৯৯০ সালে স্নাতক শ্রেনীতে কৃতিত্বের জন্য তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্সিয়াল অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।এছাড়া তিনি কোয়ান্টাম মেথডের ওপর ২০০৮ সালে ক্রিয়েটিভিটি এক্সটেনশন অ্যাওয়ার্ড, ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ডসহ বিভিন্ন সম্মানে ভূষিত হন।

বিজ্ঞানের প্রতি ভালোলাগা
তিনি বলেন,তার বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করার জন্য তার মায়ের প্রতি চিরঋণী। তার মাকে ওনাকে বিজ্ঞানের বই কিনে পড়ার জন্য টাকা দিতেন।

ওনার মা জানান,শিক্ষক ক্লাসে অংক শেখাতেন এক নিয়মে।সেই অংকই জাহিদ স্যার পরের দিন তিন-চার নিয়মের করে নিয়ে ক্লাসে দেখাতেন।এক নিয়মে অংক করে তিনি মজা পেতেন না।শিক্ষকরা শুধু অবাকই হতেন না, তার কাছ থেকে অংক করার নানান কৌশল জেনে নিতেন।তখন শিক্ষকরা বলতেন এই ছেলে একদিন বিশ্বজয় করবে।এবং সেটাই হলো।

ছোট বেলায় ঈদে জাহিদ স্যারের বাবা তাকে এবং ওনার ভাই ও বোনকে ঈদের কেনাকাটা করার জন্য ৫০০ করে টাকা দেয়।তো উনার ভাই -বোনের ওই টাকা দিয়ে ঈদের কেনাকাটা করে নিলো।কিন্তু জাহিদ কেনাকাটা না করে ওনার গৃহ শিক্ষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহমুদ হাসান স্যারের জন্য অপেক্ষা করতে থাকলেন।এবং স্যার সন্ধ্যায় বাসায় পড়াতে আসলেন।

আর জাহিদ স্যার ৫০০ টাকা ওনার স্যারকে দিয়ে দিলেন তার জন্য বিজ্ঞানের বই কিনে আনার জন্য। এবং তখন জাহিদ স্যারের বিজ্ঞানের বই পড়ার তালিকায় ছিল আবদুল্লাহ আল – মুতীর লেখা বিজ্ঞানের নানান বই।

জাহিদ স্যার নিজেই ১৬ বছর বয়সে ১৯৮৬ সালে এসো ধূমকেতুর রাজ্যে শিরোনামে বিজ্ঞানের বই বের করেন।

সেই সময় বইটি ব্যাপক সাড়া পায়।বইটি পড়ে বাংলা ভাষার বিজ্ঞান সাহ্যিতের পথিকৃৎ আবদুল্লাহ আল মুতি শরফুদ্দীন ভূয়সী প্রশংসা করেন।এবং আশীর্বাদ করেছিলেন তুমি অনেক বড় হবে।

জাহিদ স্যারের প্রকাশিত শতাধিক বৈজ্ঞানিক নিবন্ধনের দুই – তৃতীয়াংশ ছাপা হয়েছে নেচার, ফিজিক্স টুডে,সায়েন্স, ফিজিক্যাল রিভিউর মতো বনেদি, অভিজাত ও বিখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকীতে।

সম্প্রতি আমেরিকা একাডেমিক অব সায়েন্সে নিবার্চিত সদস্য হয়েছে ড. জাহিদ স্যার।

বর্তমানে মাইক্রোসফট করর্পোরেশনে কর্মরত স্ত্রী প্রকৌশলী সারাহ আহমেদ, ছেলে আরিফ ইব্রাহিম ও মেয়ে সারিনা মরিয়মকে নিয়ে জাহিদ স্যারের সংসার।

জাহিদ হাসান স্যার বলেন,শিক্ষা ও বিজ্ঞানের সঙ্গে মানবতা থাকতে হবে।মানবতাহীন শিক্ষা, বিজ্ঞান কল্যান বয়ে আনে না।আমি আমার বাবার কাছ থেকে এই শিক্ষা পেয়েছি। তিনি বলেন, একজন ব্যক্তির মধ্যে শিক্ষা এবং বিজ্ঞান থাকলে সে আবিষ্কার করতে পারে।

জাহিদ স্যার আরও বলেন, জাতি হিসেবে আমি সবাই কে চিন্তা করতে বলি।এই জাতির অনেক সম্ভাবনা আছে। তরুণদের সঠিক পরিচর্যা, প্রশিক্ষন ও সুবিধা দিলে একজন নয়,এরকম হাজার হাজার বিজ্ঞানীর জন্ম হবে।

সুযোগ পেলে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কাজ করার আগ্রহ রয়েছে জানিয়েছে।

জাহিদ স্যারের একটা কথা দিয়ে শেষ করি, স্যার বলেন তুমি পারবে নিজের ওপর এই বিশ্বাসটা স্থাপন করো।কিসে তুমি আনন্দ পাও,কোনটা তোমার ভাল লাগে সেটা খুজে বের করো।

নিজের একটা লক্ষ্য ঠিক করে সেটার জন্য এগিয়ে যাও।পদে পদে বাধা আসবে কিন্তু তোমার আশেপাশের লোকের জ্ঞান অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সামনে এগিয়ে যাও।তোমার মত যাদের লক্ষ্য তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি করো।কঠিন পরিশ্রম করো তবে সে সঙ্গে ভারসাম্যটা ঠিক রেখো যাতে তোমার জীবন অর্থপূর্ন হয়। তাহলে একদিন তুমি তোমার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে।

-Arman Hossain Joy