শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে মসজিদ কমিটি, হাসপাতাল থেকে শুরু করে থানা হাজত, আইন-আদালত, সংসদ, দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান নষ্ট। কমবেশি dysfunctional।

সবচেয়ে দরদী মানুষের দেখা বেশি পাওয়া উচিৎ এতিমখানায়, হাসপাতালে, কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে। সেখানে কোন ধরণের মানুষের রাজত্ব? খুব বড় বিপদে না পড়লে এই দেশে কেউ পুলিশের কাছে যায় না, থানা হাজতে একজন সাধারণ মানুষ অথবা সন্দেহভাজন অপরাধীর সাথে কী আচরণটা করা হয়?

আমি জেনারালাইজ করছি। কিছু ব্যতিক্রম সব সেক্টরে আছে তারা আলোচনার বিষয় নয়।

সম্প্রতি একটি হাসপাতালে একজন পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুর খবর ভাইরাল হয়েছে। ভিডিও ফুটেজে যেটুকু এসেছে তাতে বলা যায় অতিরিক্ত বলপ্রয়োগে তার মৃত্যু হয়েছে।

এর বাইরেও কাহিনী থাকতে পারে তবে তা ভিডিও ফুটেজ থেকে স্পষ্ট নয়। তাকে ‘পিটিয়ে’ মেরে ফেলা হয়েছে বলে যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে তা কতটুকু ঠিক বলা মুশকিল।

এই দুঃখজনক মৃত্যুর পেছনে আছে তথাকথিত ‘সেবাকর্মীদের’ অমানবিকতা ও প্রশিক্ষনের অভাব। অবশ্যই তাদের বিচার ও উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিৎ। সেই সাথে শাস্তি হওয়া উচিৎ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যারা প্রশিক্ষণহিন একদল অমানবিক মানুষের হাতে রোগীকে তুলে দিয়েছে।

একই সাথে আমাদের আরো কিছু বিষয় উপলব্ধি করা উচিৎ। অতরিক্ত এবং অমানবিক বল প্রয়োগের কোন অধিকার কারো নেই। অথচ এই ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে থানা-হাজতে। পুলিশ হেফাজতে, রাস্তাঘাটে নির্মম ও বেআইনি বল প্রয়োগের শিকার হয়েছে দেশের হাজার হাজার মানুষ। সম্প্রতি একজন পুলিশ সদস্য এই ধরণের অনিয়ন্ত্রিত বল প্রয়োগের শিকার হলেন।

ঘটনা নিয়ে আমরা মাতামাতি করতে পছন্দ করি। কিন্তু সার্বিক দিকটি আমাদের মাথায় আসে না। এই বিচ্ছিন্ন মাতামাতির তাই কোন সুদূরপ্রসারী ফলাফল দেখা যায় না। দেশটা প্রতিদিন পেছাতে থাকে।

Saleh Hasan Naqib

লেখকঃ Saleh Hasan Naqib

বললে সবই বলা উচিৎ। বলা উচিৎ বল প্রয়োগের নোংরা সংস্কৃতি বন্ধ হোক। থানায়, হাসপাতালে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে। সব থেকে আগে বন্ধ হোক পুলিশি অমানবিকতা। আইনের আশ্রয়ে বেআইনি বল প্রয়োগের থেকে জঘন্য আর কিছু হয় না।

সকল শ্রেণির শুভবুদ্ধির উদয় হোক।

– সালেহ হাসান নাকিব
অধ্যাপক
রাবি