রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (ইংরেজী:-Research and Analysis Wing, শব্দ সংক্ষেপ:র বা RAW বা R&AW) ভারতের বহিঃগোয়েন্দা সংস্থা। ১৯৬৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই গোয়েন্দা সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠাকালিন পরিচালক ছিলেন রামেশ্বর নাথ কাও।

সংস্থাটির মূলমন্ত্র হল ‘ধর্ম রক্ষতি রক্ষিত’। যার বাংলা অর্থে হচ্ছে, যে ধর্ম রক্ষা করে সে সব সময় সুরক্ষিত থাকে

ইতিহাস

৫২ বছর আগে গঠিত হয়েছিল ভারতের গুপ্তবাহিনী রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং বা ‘র’৷১৯৬৮ সালের ২১ সেপ্টেম্বর৷ এই সংস্থার প্রথম অধিকর্তা ছিলেন রামেশ্বর নাথ কাও৷ ১৯৬২ সালের চিনা আগ্রাসন এবং

১৯৬৫ সালে পাক হানাদারির ফলস্বরূপ ভারতের একান্ত নিজস্ব একটি গুপ্তচর বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি করে অনুভূত হয়েছিল৷ বিশেষ করে, ১৯৬৫-র যুদ্ধের পর এই ধরনের গোয়েন্দা সংস্থা গড়ে তোলার উপর জোর দিয়েছিলেন ভারতের তদানীন্তন সেনাপ্রধান জেনারেল জয়ন্ত চৌধুরী৷

গঠনের সময় থেকেই এই সংস্থা কে একটি স্বাধীন সংস্থা হিসেবে মর্যাদা দেয়া হয় এবং তাদের সকল  কাজ-কর্মের জন্য শুধু প্রধানমন্ত্রীর নিকট দায়বদ্ধ থাকার বিধান প্রণয়ন করা হয়।

১৯৬৬ সালে ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হবার পর থেকেই ভারতে সামরিক ও পররাষ্ট্র খাতে বেশ কিছু পরিবর্তন সাধন করেন এবং এর অংশ হিসেবে গোয়েন্দা বাহিনী তে হাত দেন।

ফলে তারই পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৬৮ সালে গঠিত হয় “র”। পরবর্তী সময়ে এ সংস্থাটি তাদের দুর্দান্ত সব কার্যকলাপের মাধ্যমে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে বিশ্ব-ইতিহাসে

সাধারণভাবে এমন ধারণা প্রচলিত যে, ‘র’ গঠিত হওয়ার পিছনে আমেরিকার সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি অর্থাৎ সিআইএ এবং ব্রিটিশ গুপ্তচর সংস্থা এমআই-সিক্সের একটি বড় ভূমিকা ছিল৷

তা কিন্তু পুরোপুরি সত্য নয়৷ হতে পারে, কাঠামোগতভাবে এই দুই সংস্থার সঙ্গে ‘র’-এর অনেক মিল আছে৷ কিন্তু বাস্তবে ‘র’ গড়ে ওঠার পিছনে ভারতকে অনেক বেশি সহায়তা জুগিয়েছিল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের গোপন পুলিশ ও গুপ্তচর বাহিনী কেজিবি৷

নামটি কে দিয়েছিল?

বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা গঠনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পর আসে নাম খোঁজার পালা। ধারণা করা হয়, ক্যাবিনেট সচিবের দেওয়া নামের তালিকা থেকে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ‘র’ নামটি পছন্দ করেন।

শুরুতে এর নাম ছিল R&AW। পরে সাংবাদিকরা একে RAW বলে প্রচার করতে থাকে।

সাধারন পরিচয়

প্রতিষ্ঠাতাল:- ২১সেপ্টম্বর,১৯৬৮

সদর দপ্তর:-নয়াদিল্লি,ভারত

মূল সংস্থা:- কেন্দ্রীয় সচিবালয়, ভারত

সংস্থা নির্বাহীগন:-নরেন্দ্র মোদি,সামন্ত গায়েল (মন্ত্রি)

মিশন অফ : Raw।।

রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের প্রাথমিক কাজ হচ্ছে ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের তথ্য সরবরাহ করা।

বিদেশী সরকার, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গের তথ্য সরবরাহ করে রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং।কখনো কখোন বলা হয়, রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং হচ্ছে ভারতের জাতীয় শক্তির দক্ষ ব্যবহারের একটি মাধ্যম।র ভারতের পরমাণু কর্মসূচির নিরাপত্তাজনিত ক্ষেত্রতেও নিযুক্ত ছিলো।।

এর প্রধান কাজ হল বিদেশি গোপন গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, কাউন্টার টেরোরিজম এবং গোপন অপারেশন চালানো।

পার্শবর্তী দেশসমুহ যাদের সাথে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা জড়িত তাদের রাজনৈতিক ও সামরিক কার্যকলাপ পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে ওই সব দেশের বৈদেশিক নীতি নির্ধারনে ভুমিকা রাখাও র এর অন্যতম কাজ।

‘র’ বিদেশি সরকার, ব্যাবসায়ী, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করে থাকে এবং সে অনুযায়ী ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের পরামর্শ দিয়ে থাকে। এশিয়াসহ সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র রাশিয়া ও চীনের প্রতি তীক্ষ্ণ নজর রাখা।

পাকিস্তানের সকল প্রকার আমদানিকৃত ও নিজেদের তৈরি অস্ত্রের উপর নজর রাখা এবং তথ্য সরবরাহ করা, কারণ পাকিস্তানের সকল সামরিক তৎপরতা ভারতের জন্য উদ্বেগের বিষয়।

সর্বশেষ উদ্দেশ্য হল প্রবাসী ভারতীয়দের উপর নজর রাখা কারণ ভারতে বিভিন্ন গোত্রের লোকজন বসবাস করে তারা কখনো কখনো বিদেশী চক্রান্তে ভারতের অনিষ্ঠ সাধন করতে পারে।

নিয়োগ:-Raw।।

সংস্থাটিতে প্রথম দিকে ভারতের আইবি, ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিসেস, ইন্ডিয়ান মিলিটারি এবং রেভিনিউ ডিপার্টমেন্ট থেকে কর্মকর্তাদেরকে নিয়োগ করা হলেও এখন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রদের এখানে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে বলেও জানা গেছে।

এর বাহিরে অন্য দেশের এজেন্ট তৈরির জন্য ঐ দেশের নাগরিক,  ঐ দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত এবং কোন কোন ক্ষেত্রে অন্যদেশের গোয়েন্দাদেরও তথ্য সরবারের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়। আর একে ডাবল এজেন্ট হিসেবে ধরা হয়। অর্থাৎ এই সংস্থায় নিয়োগের ক্ষেত্র কোন গণ্ডীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।

জবাবদিহিতা:-Raw।।

‘র’ কোন বিষয়েই ভারতীয় সংসদকে জবাবদিহি করতে বাধ্য নয়। শুধু প্রধানমন্ত্রী এবং জয়েন্ট ইন্টেলিজেন্স কমিটিকেই জবাবদিহি করে থাকে সংস্থাটি।

প্রশিক্ষণ:-Raw।।

প্রথম ধাপ

নিয়োগকৃত নতুন এজেণ্টদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য প্রাথমিক ভাবে কিছু উৎসাহমূলক আলাপ-আলোচনার ব্যবস্থা করা হয়। এটি একটি দশ-দিন ব্যাপী কার্যক্রম যেখানে নতুন এজেণ্টরা গুপ্তচরবৃত্তি সংক্রান্ত বাস্তবতা, গোয়েন্দা জ্ঞান সংক্রান্ত বুদ্ধিমত্তা নিয়ে পরিচিতি লাভ করে।

এছাড়াও সাধারণ রীতিনীতি, বাণিজ্যিক কৌশল, এবং তথ্যের শ্রেণীবিন্যাস সম্পর্কেও তাদের অবহিত করা হয়।

পাশাপাশি স্পেস টেকনোলোজি, তথ্যগত নিরাপত্তা, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং বৈজ্ঞানিক জ্ঞান সম্পর্কিত নানান ধারণাও তাদের শেখানো হয়। নব নিযুক্ত এজেণ্টদের বিভিন্ন বৈদেশিক ভাষা ও ভৌগোলিক কৌশলগত বিশ্লেষণ নিয়েও তাদের পারদর্শী করে গড়ে তোলা হয়।

তাদের অধ্যয়নের তালিকায় সিআইএ,মোসাদ , এমআই৬ নিয়ে গবেষনা করা।।

তাদের এও শিক্ষা দেওয়া হয় যে

শত্রু-মিত্র নিরূপণ করা দেশের পররাষ্ট্র নীতির কাজ, গোয়েন্দা সংস্থার নয়।

২য় ধাপ:

প্রাথমিক প্রশিক্ষণের সমাপ্তির পর এজেণ্টরাএফআইবি)-এর অধীনে প্রশিক্ষিত হতে থাকে।

। এখানে একজন এজেণ্টের প্রশিক্ষণ সময়কাল ১-২ বছর অব্দি হয়ে থাকে।

প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কিভাবে অভিযান চালিয়ে যেতে হবে তা শেখানোর জন্য প্রতীকি প্রতিকূল অবস্থা সৃষ্টি করে এখানে এজেণ্টদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

রাতের আঁধারে কিভাবে অনুপ্রবেশ করতে হয় তা নিয়েও এজেণ্টদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।

তাছাড়া কিভাবে ধরা পড়ে যাওয়া থেকে এড়ানো যায় এবং ধরা পড়ে গেলেও কিভাবে জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হতে হয় তা নিয়েও বিস্তারিত মনস্তাত্ত্বিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে।

পাশাপাশি নিরীক্ষণ দক্ষতা, মনোযোগ আকর্ষণ এবং গোয়েন্দা অভিযান অপারেট করার মত নানা নৈপুণ্যও এজেণ্টরা এই প্রশিক্ষণে পেয়ে থাকে।

। অভিযানে নামার পূর্বে এজেণ্টদের আত্ম-রক্ষা সম্পর্কিত নানা দক্ষতা, বিশেষ করে ক্রেভ এবং গুপ্তচরবৃত্তি কাজে ব্যবহৃত নানান ধরনের প্রযুক্তিগত ডিভাইসের ব্যবহার শেখানো হয়।

এজেণ্টদের এমনভাবে প্রশাসনিক নিয়মানুবর্তীতা শেখানো হয় যাতে করে কোনরূপ সন্দেহের উদ্রেক না করে যেন এজেণ্টরা তাদের গোপন অভিযান লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

।।গোয়েন্দা অপারেশন :-Raw।।

পাঞ্জাবে খলিস্তান সন্ত্রাসবাদীদের দমন ।।

এই অপারেশনের জন্য ‘র’ নিজস্ব নেটওয়ার্ক আমেরিকাতেও মাটিতেও বিস্তার করেছিল৷তারা সেখানে এমন একটা ভেক ধরেছিল, যেন খলিস্তানি সন্ত্রাসবাদীদের রিক্রুট করতে কোনও গোপন ডেরা তৈরি করেছে পাক সামরিক গুপ্তচর বাহিনী আইএসআই৷

রুশ বিপ্লবের পর লেনিনের অনুগত গোয়েন্দা প্রধান ফেলিক্স দজেরঝিনস্কি-র কায়দা আর কি! রাশিয়ার বাইরে, বিশেষ করে ব্রিটেন ও ফ্রান্সে বসবাসকারী রাশিয়ানদের মধ্যে কারা জারের অনুগত, তা খুঁজে বের করার জন্য দজেরঝিনস্কিই প্রথম বিদেশের মাটিতে গড়েছিলেন জারপন্থী রুশ প্রবাসীদের একটি অ্যান্টি-বলশেভিক সংগঠন৷যদিও আসলে তা ছিল ফাঁদ৷ স্পাই-ক্যাচার৷

লেনিনের খোদ বলশেভিক সরকারেরই গোপন পুলিশ বাহিনী৷প্রায় সেই একই কৌশল খাটিয়ে ১৯৮০-র দশকে আমেরিকার মাটিতে ঘাঁটি গেড়ে খলিস্তানি চক্রান্তের একাধিক ব্লু-প্রিন্ট বানচাল করে দেয় ‘র’৷বিশেষ করে, পাকিস্তানি আইএসআইয়ের সঙ্গে খলিস্তানিদের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ তারা ছিন্ন করে দিতে সক্ষম হয়৷।

অপারেশন লাল ডোরা৷।

ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ মরিশাসের গণতন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী অনিরুদ্ধ জগন্নাথের সরকারকে সামরিক অভ্যুত্থানের হাত থেকে রক্ষা করতে ইন্দিরা গান্ধীর নির্দেশে এই অভিযান সফল হয়েছিল ‘র’-এরই নেতৃত্বে৷।

হিমালয় ELINT। ।।

এটি ছিল মূলত “সিআইএ” ও “র”এর যৌথ অভিযান। এই অভিযানের মাধ্যমে চীন যে পারমাণবিক পরীক্ষা করে তার মিসাইল ও বিস্ফোরণের স্থান চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়।

অপারেশন স্মাইলিং বুদ্ধা’।।

অপারেশন বাংলাদেশের পর যে কাজটি করে সেটি হল, ভারত পারমাণবিক প্রকল্প নিয়ে যাত্রা করলেও তাদের এই কাজ ছিল অত্যন্ত গোপন আর এই গোপনীয়তা রক্ষার দায়িত্ব ছিল “র”।

যা তারা খুব ভালভাবে করতে সক্ষম হয়েছে। কেননা তাদের সতর্ক নজর ও রক্ষণশীল নীতির জন্য তাদের প্রকল্প এলাকায় অন্য কোন গোয়েন্দা প্রবেশ করতে পারে নি এবং তার ফলস্বরূপ ১৯৭৪ সালে পরীক্ষা চালানোর আগ পর্যন্ত কেউ জানতে পারেনি। তাদের এই অপারেশনের নাম ছিল ‘

অপারেশন সিকিম’ ।।

। ১৯৪৭ সালে ভারত পাকিস্তান সৃষ্টি হবার পরও সিকিম প্রায় একটি আলাদা স্বায়ত্ত শাসিত অঞ্চলের মর্যাদা নিয়ে বীর-দর্পে টিকে ছিল। এবং সেখানে স্থানীয় গোত্রদের দ্বারা শাসনকার্য পরিচালিত হত। সিকিম কে অত্যন্ত নাজুক স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হত।

কারণ ভারত কে ভাগ করার জন্য সিকিম ছিল অন্যতম একটি সঠিক জায়গা। চীনের সজাগ দৃষ্টিও ছিল এদিকে। কিন্তু “র” কৌশলে ১৯৭৫ সালে সেখানকার স্বায়ত্ত শাসনকে উড়িয়ে দিয়ে ভারতের একটি স্থায়ী প্রদেশ হিসেবে সিকিম কে একীভূত করে নেয়।

কাহুটা ব্লু প্রিন্ট’ ফাঁস।।

এটা ছিল ভারত-পাকিস্তানের গোয়েন্দা ইতিহাসে অন্যতম একটি সফলতম অপারেশন। ১৯৭৮ সালে পাকিস্তানের রাওলপিণ্ডিতে কাহুটা এলাকার খান রিসার্চ ল্যাবরেটরি হতে পাকিস্তানের পারমাণবিক নথি ফাঁস করে “র” যা পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার উপর ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিপত্য প্রকাশ করে।

অপারেশন মেঘদূত’ ।।

যা ১৯৮২ সালে পরিচালিত হয়। যার মাধ্যমে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সাথে ট্যাক্কা দিয়ে সিয়াচল অঞ্চল দখল করে নেয়।

অপারেশন ক্যাকটাস’ ।।

এটি ১৯৮৮ সালে তামিল টাইগারদের কে মালদ্বীপ হতে বিতাড়িত করে।

এছাড়াও রয়েছে:-

অপারেশন চাণক্য’,।।

অপারেশন মেহেরান’ ।।

একটি কলঙ্ক।।

এলটিটিই ইস্যু।

এলটিটিই-র বিরুদ্ধে লড়ার সময় র-এরই ভারপ্রাপ্ত আঞ্চলিক কর্তা উন্নিকৃষ্ণন ভারত তথা তার নিজের সংস্থার নাম ডুবিয়ে দেন৷মধুচক্রের ফাঁদে পড়ে বহু গোপন তথ্য তিনি মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-কে জুগিয়ে দেন৷

সিআইএ-র কাছ থেকে সেইসব তথ্য পাচার হয়ে যায় এলটিটিই-র মদতদাতা ও প্রশিক্ষক ইজরায়েলি গুপ্তচর বাহিনী মোসাদের কাছে৷ যার ফলে প্রভাকরণের এলটিটিই-র যেমন সুবিধা হয়, ঠিক তেমনই উৎখাত হতে হয় জাফনা উপদ্বীপের তামিলবাসীর নির্বাচিত সরকার ইপিআরএলএফ।।

বাংলাদেশে আধিপত্য:- “র”

র ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ সৃষ্টির আগে থেকে মুক্তিযুদ্ধ থেকে জড়িত। পাকিস্তানি অনেক তথ্য আমাদের দিয়েছিলো যাতে আমাদের যুদ্ধে জিতে যেতে সহজ হয়।

মুক্তিযুদ্ধের কৌশলি উপায়।।

একবার পাকিস্তানি একটি বিমানকে ভুল পথ দেখিয়ে ভারতের উপর দিয়ে যাওয়ার জন্য বাধ্য করেন। পরে ভারত সরকার এই কারন দেখিয়ে পাকিস্তানে উপর আকাশ সীমানর জন্য নিষেদাজ্ঞা জারি করেন।

ফলে পাকিস্তানি আর সহজেই তাদের সৈন্য, যুদ্ধ অস্র ইত্যাদি সরবরাহ করতে ব্যার্থ হয়। যা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জয়ে বড় ভূমিকা পালন করেন।

মুক্তিযুদ্ধ পর তথা ১৯৭৫ সালের পর থেকে ভারতের চেহারা পাল্টে যেতে লাগলো। তারা মিশন নিয়ে নামল তা হলো প্রথমত বাংলাদেশে তাদের অনুগত সম্পন্ন সরকার বসানো ।

শেষ পদক্ষেপ হলো প্রথম পদক্ষেপ ব্যার্থ হলে সরকারকে তাদের অনুগত করতে বাধ্য করা বিভিন্ন করা। যার সাথে সম্পন্ন রয়ে র’ এর। স্বাধিনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ এর মধ্যে বাংলাদেশে র তাদের সক্রিয় এজেন্ট বাংলাদেশে সেট করে ফেলে। তারা বাংলাদেশের উপর নজর রাখেন।

স্বাধিনতার পর ভারতের আচরন ছিলো আগ্রাসী মনোভাব সম্পন্ন আমাদের প্রতি।যা সাধারন মানুষ ও আন্দাজ করতে পারেন।

।।কাদেরিয়া বাহিনী।।

শেখ মুজিব হত্যার পর আওয়ামী লীগ নেতা কাদের সিদ্দিকি তথা বাঘা সিদ্দিকি র’ এর তৎপরতায় জিয়া সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষনা করেন। উল্লেখ্য যে জিয়া ছিলো র’ এর বিরুদ্ধে। সে তাদের কাছে নিজেকে নত করতে চাননি।

।।শান্তিবাহিনী গঠন।।

শান্তিবাহিনী র’ এর তত্তাবধানে গঠন করা হয়েছে। এর কোনো দ্বিমত পোষন নাই।

।।সশস্রবাহিনীতে অভ্যুথান সংগঠন।।

৭ই নভেম্বর ৭৫ এর সিপাহী বিদ্রোহের পর যখন জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় বসেন তখন কোনো সেনাবাহিনী দল ছিলো না। তিনি আবার গুছানো শুরু করেন। খুব দ্রুত সশস্রবাহিনী গড়ে তুলেন। তিনি বাজেটের পরিমান ও বাড়িয়ে দিলেন ক্রমাগত।

এসব ছিলো বাংলাদেশকে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়াস কিন্তু তা ভারত পরিপন্থি ছিলো তাই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ইন্ধনে বিভিন্ন সমস্যা লাগানো শুরু করেন। যাতে সেনা অভ্যুথান ঘটে । তখন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এই সরকার নামিয়ে তাদের পছন্দ মতো বসানোই ছিলো টার্গেট।

।।প্রেসিডেন্ট জিয়া হত্যাকান্ড কে করলো?।।

জিয়া ছিলেন ভারত পরিপন্থি যার জন্য ভারত তার উদ্দেশ্য হাসিল করতে পারেনি। তাই সবসময় চেয়েছিলো তাকে নামিয়ে দিয়ে ক্ষমতা থেকে আওয়ামি লীগ সরকারকে ক্ষমতায় আনা যা তাদের ভীত গড়তে সহজ হবে।

এসব তথ্য ভারতীয় এক প্রতিরক্ষা বিভাগের গবেষকের লেখা থেকে প্রকাশ পায়। ভারত নিজেদের অবস্থান শক্ত করার জন্য গোপন কাজ করেন যার জন্য বলা যায় র’ গোয়েন্দা স্ংস্থার গোপন কাজ হলো জিয়া হত্যা।

মূলত ১৫ আগস্ট,৭৫ এর জাতিয়বাদি শক্তিকে বিতারিত করে বন্ধুভাবাপন্ন দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য র’ এই গুপ্ত হত্যার পরিকল্পনা করেন।

স্বাধীন বঙ্গভূমি আন্দোলন।।

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এ ইন্দিরা গান্ধীর ইন্ধনে এ আন্দোলন হয় বলে ধারনা করে নেওয়া হচ্ছে।

।।এরশাদের ক্ষমতা গ্রহনপতন।।

জিয়ার মৃত্যুর পর র’ চাইলেও আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় বসাতে পারেনি কেননা তারা লক্ষ করলো বাংলাদেশ তখনো জাতীয়বাদে বিশ্বাসী।

তাই র’ চিন্তা করলো এখন তাদের ইচ্ছার মর্জি অনুযায়ী লোকে ক্ষমতায় বসানো যাবে না।তাই আগে জাতীয়বাদী কে প্রতিষ্ঠা করা এবং তারপর তারা বিবেদ সৃষ্টি করবে।

ফলে যখন দেখবে রাজনীতিতে তারা দুদল মিলে ভালো অবস্তান নেই তখনই আওয়ামী লীগ নামিয়ে দিবে। প্রথমে এরশাদের ক্ষমতা গ্রহনে সময় র’ এর মদদে তারা তাকে সামর্থন করেন। কিন্তু র’ গ্রীন সিগনালে ৯০ এর দিকে আবার সরকার বিরোধিতা আন্দলোন করেন।

কবে কখনো বলা হয়ে থাকে এরশাদে র’ এর ইচ্ছাতে ক্ষমতায় আসে। কিন্তু তার কাজে তা কোনো ভাবেই প্রকাশ পান নি।

।।গোপন সফরনীতি নির্ধারনে সহায়তা।।

১৯৮৮ সালে ভারতের ফারাক্কা বাধ খুলে দেয়ায় অনেক বড় বন্যা হয়। তাই জনগন ভারতের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলো,  ছিলো যা অস্থিরতা তৈরী করে। তাই র’ এর এজেন্ট গোপনীয়তা অবলম্বন করে আসেন । লক্ষ্য ছিলো তাদের স্বার্থরক্ষাকারী দলকে নীতিমালা প্রদান ও প্রোয়োজনীয় সাহায্য প্রদান।

।।এরশাদের মন্ত্রীর সম্পৃক্তা।।

র’ এর সাথে সম্পৃক্তা পাওয়া গেছে এরশাদের কিছু মন্ত্রির । যারা অনেক দলিল পাচারে সহোযোগিতা করেছে।

।।এরশাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার গ্রিন সিগন্যাল।।

৯০ এর দিকে র’ বুঝে গেলো এরশাদের গৃহিত নীতিমালা ও পদক্ষেপ কোনোভাবেই ভারতের পুরোপুরি স্বার্থ রক্ষা করছে না । আবার তিনি ২৫ বছরের মৈএ চুক্তি ভেঙ্গে জাতিসংঘে সৈন্য পাঠিয়ে প্রমান করলো একটি সার্বভৌম দেশ।

কুয়েত দখলের বিরুদ্ধে ইরাক বিরোধি জোট প্রকাশ করেছে। যা বুঝিয়ে ভারতের চাপ কোনো প্রভাব ফেলে না।

এসব করার মাধ্যমে আন্তজার্তিক বিশ্বে অনেক মর্যাদা অর্জন করলো। কিন্তু র’ এর সহ্য হয়নি। তাই নিজেদের তথা ভারতে আধিপত্য বিস্তার করার জন্য এরশাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার সিগন্যাল দেন।

।।পারমানবিকসক্ষমতাঅর্জনের লক্ষে ও সামরিক সম্পর্ক।

বাংলাদেশের পারমানবিক সক্ষমতা অর্জনের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রের ছএছায়া যেতে থাকে ও তাদের সামরিক সম্পর্ক উন্নয়ের জন্য। কিন্তু এ দিকটাও এরশাদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলে যা পরবর্তীতে ক্ষমতা চ্যুত করতে কাজে লাগায়।

বাংলাদেশে র’ এজেন্ট।।

এরশাদ আমলে বিরোধী দলীয় এক নেতা সংসদে দাড়িয়ে বলেছিলো বাংলাদেশে প্রায় ৬০০০০ এজেন্ট রয়েছ। বাংলাদেশের প্রায় সকল স্তরের এদের এজেন্ট রয়েছে বলে ধারনা করা হয়।

সরকারি ও বেসরকারি অথবা এনজিও সংস্থা সহ সকল স্থানে তাদের এজেন্ট রয়েছে। এক বিগ্রেডিয়ার জেনারেলকে বলা হয়েছিলো র’ এর এজেন্ট বাংলাদেশের কোন কোন সেক্টরে আছে ।উনি উত্তরে বললেন কোথায় নেই সেটা প্রশ্ন করলে উত্তর দিতে সহজ হতো।

গারোল্যান্ড আন্দোলন।।

পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তবাহিনী ও দক্ষিন – পশ্চিমা এলাকায় বঙ্গভূমি আন্দলন এবং পূর্ব-উওর এলাকায় জাতীয়বাদিতা নষ্ট করে বাংলাকে খন্ড করতে চেয়েছিলো। নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করার জন্য বাংলাদেশকে চাপের তোপে ফেলা যা তাদের বাধ্য করবে ভারতের কাছে মাথা নত করা।

বাংলাদেশে র” এর প্রো ইন্ডিয়ান সরকার।

১৯৯০ সালের দিকে র তৎপর হয়ে উঠে প্রো ইন্ডিয়ান সরকার প্রতিষ্ঠায় যা ভারতকে মান্য করবে। যখন তারা কিছুটা এ লক্ষ্যে এগোতে পেরেছে তখন আত্নতৃপ্তির উপভোগ করেছে ও বটে।

র বিবিসি কানেকশন।।

বিবিসি ভারতীয় কোনো সংবাদ প্রতিষ্ঠান নয়। কিন্তু ভারতের কলকাতা অফিস উপমহাদেশের ওরা যে তথ্য ছড়াতো তা বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থার বিরুদ্ধে ছিলো এবং এমন পরামর্শের ইঙ্গিত ছিলো যে ভারতের সাথে মিশে যাবার। এ ব্যাপারে খুব জোরালো সন্দেহ করা যায় র কে যে ওরা বিবিসিকে প্রভাবিত করছে নাতো?

রাজীব গান্ধি হত্যায় বাংলাদেশকে জড়ানো।।

১৯৯১ এর দিকে বিএনপি যখন ক্ষমতায় আসে তখন মেনে নিতে পারেনি ভারত। তাই র বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অস্থিরতা ও গোপন ষড়যন্ত্র স্বরুপ রাজীব গান্ধী হত্যার মিথ্যা ষড়যন্ত্র চালায়।।

ভারতে পড়াশোনার করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা।।

নিজেদের দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে চাঙ্গা করার এক সুক্ষ্ন কৌশল অবলম্বন করেন ভারত। শিক্ষাঙ্গনে অরাজকতা সৃষ্টির মাধ্যমে।এছাড়াও র এর উদ্দেশ্য ছিলো বিদেশি শিক্ষার্থীদের স্কালারশীপ দিয়ে তাদের দেশে পড়তে এনে তাদের সংস্কৃতি ও মনোভাব এর সাথে মিলিয়ে ফেলা । বলা একজন ভারতীয় মনুষ্যত্বতের মানুষে পরিণত করা।

শিক্ষাঙ্গনে ১৯৯১ এর দিকে সন্ত্রাস।।

ধারনা করা হয় সন্ত্রাসী কার্যক্রমের যন্ত্র অস্ত্র র দিয়েছিলো তৎকালীন সময়ে, তাদের বিশেষ চ্যানেলের মাধ্যমে। তখনকার তাদের অনেক কার্যক্রম এসব বিষয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

বঙ্গভূমি।।

১৯৯১ সালের নির্বাচনের পর থেকে স্বাধীন বঙ্গভূমি প্রতিষ্ঠার জন্য তোরজোড় চালায়।যদি ৯১-৯৩ পর্যন্ত বিভিন্ন ইস্যু সৃষ্টি হওয়ায় এ বিষয়টি তেমন আলোচিত হয়নি। তবে ৯৩ এর সেপ্টম্বরে আবার শুরু করে গভীর ষড়যন্ত্র বঙ্গভূমি প্রতিষ্ঠার জন্য।

পুশইন-পুশব্যাক ইস্যু।।

ভারত সবচেয়ে বড় গনতান্ত্রিক দেশ হলে ও যখন বাংলদেশে ৯১ নির্বাচনে গনতান্ত্রিকতার প্রকাশ ঘটে কিন্তু ভারতের বন্ধুভাবাপন্ন সরকার আসে নাই ক্ষমতায় তখন প্রথমে পুশইন ও তারপর পুশব্যাক সমস্যার সৃষ্টি করে।

হিন্দু -বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ।।

১৯৮৮ সালের সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে তাদের কার্যক্রম সন্দেহজনক যে তারা র’ সহযোগিতা বা এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। যদিও ম্যাথ দিয়ে প্রমান করতে পারবো না।

দুর্গাপূজা ইস্যু।।

১৯৯৩ সালে র সারা বিশ্বে প্রচারের পথ করে দেয় যে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা নেই তাই পূজা উৎযাপন সম্ভব নয় ।এসব বিষয় নিয়ে টালবাহানার উদ্দশ্য ছিলো রাজনৈতিক অস্থরিতার সৃষ্টি।

জাপানি পুজিবিনিয়োগহরতাল তৈরী।।

৯১ নির্বাচনের পরে সরকার যখন অর্থনৈতিক অবস্থার নজর স্বরুপ কুটনৈতিক কৌশল কার্যক্রম চালানো শুরু করে তখন বাংলাদেশে অর্থনীতির চাকা সচল হওয়ার পথ খুজে পায়। কিন্তু র তা হতে দিবে না তাই বিভিন্ন কৌশল পন্থা অবলম্বন করেন যাতে পুজি বিনিয়োগ, কুটনৈতিক সম্পর্ক একথায় অর্থনীতি অগ্রগতি আটকে দেয়া যায়।

অসহোযোগী আন্দলনে র এর অবন্ধুসুলভ সরকারের পতন।।

র বরাবরই জলঘোলা করে মাছ শিকারে তৎপর থেকেছে তাই তাদের সরাসরি অভিযুক্ত করা মুশকিল। কিন্তু বিভিন্ন বার্তা সংস্থার রিপোর্টে আঁচ পাওয়া যায় যে র সেইসময় বিপুল অস্রের যোগান দিয়েছিলো রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি ও সরকারের পতন ঘটানোর জন্য।

টার্গেট আসন ২০০:-টাকা দিবে ‘র’।।

১৯৯৬ সালের ক্ষমতার মসনদে তার আনুগত্য করবে ও বন্ধুভাবাপন্ন সরকারকে বসানোর জন্য ঐ দলের সবাইকে এক করার জন্য পূর্ববর্তী সকল নেতাকে মিলিতকরন করেন।

এবং নির্বাচনের টার্গেট ২০০ আসনে জেতার জন্য তাদের পছন্দের সরকারকে ২০০ কোটি টাকা দেয়ার প্রস্তাব দেন। এর জন্য মানতে হবে ঐ দলকে র’ এর সকল শর্ত। ঐ রাজনৈতিক দল ও রাজি হয়।

ঋন দেওয়ার ক্ষেত্রে অপরাগতা।।

র’ উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ছিলো পৃথিবী ব্যাপি ছড়িয়ে পরা বিভিন্ন উচ্চ পদস্থ কর্মচারীর দ্বারা চাপ প্রয়োগ করে তাদের ইচ্ছামতো চালানো তথা তাদের পক্ষে দৃঢ় সমর্থন যোগানো।

এ থেকে বিবেচনায় বোঝা যায় এডিবি ব্যাংক ও বিশ্বব্যাংকের শীর্ষস্থানীয় কর্মচারীরা যমুনা সেতুর জন্য ঋন দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। কেননা তারা আমাদের দেশের উপর দিয়ে রেল ট্রান্জিট আদায়ের সুবিধা নিতে চাচ্ছিলো।

সাবেক কিছু গোয়েন্দা সংস্থার মহাপরিচালকদের সাক্ষাতকার তুলে ধরা হলো:-

•বাংলাদেশকে অন্য বন্ধু প্রতিম দেশগুলো থেকে সরিয়ে এনে ভারত নির্ভরশীল করে তোলা র’ এর অন্যতম কাজ।

•জাতীয় ঐক্যের সাথে দেশপ্রেমিক সশস্রবাহিনীর সচেতন সমর্থনকে দুর্বল করাই হচ্ছে র’ এর লক্ষ্য।

•র’ সর্বপ্রথম অনুপ্রবেশ করেছে সংস্কৃতির মায়াবি পথ ধরে,পরে শাখা-প্রশাখা বিস্তার করেছে শিক্ষাঙ্গন,রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অঙ্গনেও।

বর্তমানে পৃথিবীতে প্রত্যেকটি দেশেরই গোয়েন্দা বিভাগ বা সংস্থা রয়েছে।

আমেরিকার আছে সিআইএ, রাশিয়ার কেজিবি, ব্রিটিশদের এমআই-৬, ইসরাইলের মোসাদ, ভারতের র, পাকিস্তানের আইএসআই, ফ্রান্সের ডিজিএসই, অস্ট্রেলিয়ার এএসআইএস ইত্যাদি। সিআইএ এবং মোসাদকে বলা হয় সবচেয়ে শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা।

এদের অনেক গোপন মিশনের ব্যাপারে পৃথিবীবাসী এখন ওয়াকিবহাল।

সিআইএ ছাড়া আর যে সংস্থাটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি তাদের গোপন তৎপরতা চালিয়েছে, সেটি ‘র’। পুরো নাম রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং। শুধু মুক্তিযুদ্ধ নয়, মুক্তিযুদ্ধের পরেও বাংলাদেশের অনেক অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে ‘র’ এর সংশ্লিষ্টতা দেখা যায়।।

বহু ভাষা, ধর্ম-বর্ণ, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সহ বিপুল জনসংখ্যার দেশ এই ভারতে ‘র’-এর মতো বাহিনীর প্লাস পয়েন্টের পাল্লা এখনও পর্যন্ত মাইনাসের চাইতে অনেক বেশি ভারী৷

কাশ্মীরে পাক আইএসআইয়ের মদতপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বাড়বাড়ন্ত রুখতে ‘র’-এর ধারাবাহিক চোরাগোপ্তা অভিযান ‘অপারেশন চাণক্য’র সাফল্য যে কোনও দেশের সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা গুপ্তচর বাহিনীর কাছে ঈর্ষণীয়৷।

লেখকঃ মোঃ ইসমাইল হোসেন

শিক্ষার্থী

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

References:-1.Raw in Bangladesh pdf -Abu rushod
2.wikipedia/raw