মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং হল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অন্যতম ‘মাদার সাব্জেক্ট’। বুয়েটে এ ডিপার্টমেন্টে সিট সংখ্যা ১৮০।
বিষয়বস্তু
শক্তি উৎপাদন, রূপান্তর ও পরিবহনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দক্ষতার সাথে ব্যবহার করে মানুষের জীবন যাত্রাকে আরো আরামদায়ক করার উদ্দেশ্য নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রাচীনতম, মৌলিক এবং সুবিস্তৃত যে শাখাটি কাজ করে তাই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। এর বিস্তৃতি মহাসাগরের তলদেশ থেকে সুদূর মহাশূন্য পর্যন্ত। রূপান্তর ও পরিবহনের মাধ্যমে শক্তির সবচেয়ে কার্যকর উপায়ে ব্যবহার ব্যতীত কোন কাজই করা সম্ভব না।
চাহিদা
যে সকল বিষয়ের ব্যাপক চাহিদা অতীতেও সব সময় ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে, তার মধ্যে Mechanical একটি। প্রতিটি শিল্প-কারখানাতেই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার প্রয়োজন হয়। এ কারনে এর চাহিদা ব্যাপক। মেকানিক্যাল পড়লে অনেকক্ষেত্রে EEE ও IPE রিলেটেড জবেও আবেদন করা যায়।
বিশ্বপ্রেক্ষাপটে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর পড়াশোনার ক্ষেত্র ও চাকরির ক্ষেত্র সুবৃহৎ। একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন, পরিচালনা, মান নিয়ন্ত্রণ, মান বৃদ্ধি, যন্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণ সব কিছুতেই থাকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের উপস্থিতি।
ভবিষ্যৎঃ
পৃথিবীর শিল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশসমূহে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্র ক্রমবর্ধমান। যান্ত্রিক সভ্যতার বিকাশের ফলে এর চাহিদা বাড়তেই থাকবে। এর বিভিন্ন বিভাগ যেমন মেকাট্রনিক্স, রোবোটিক্স, অ্যারোডিনামিক্স, রিনিউয়েবল এনার্জি, ন্যানো প্রযুক্তি ইত্যাদির বিকাশ খুবই সম্ভাবনাময়। সম্প্রতি রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশের পারমানবিক প্ল্যান্ট স্থাপনের চুক্তি হয়েছে, তা বাংলাদেশে যন্ত্রকৌশলের ক্ষেত্রকে আরো সম্প্রসারিত করবে।
জাহাজ শিল্প ও মোটরযান শিল্পের বিকাশ লাভেরও সম্ভাবনা আছে যা এর ক্ষেত্রকে আরো সমৃদ্ধ করবে। জ্বালানী ও শক্তি সংকট উত্তরনে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি গুরুত্ব দেয়ার ফলেও এই বিভাগের চাহিদা বাড়বে।
সহায়ক গুনাবলীঃ বলবিদ্যা ও পদার্থে দক্ষতা, ডিজাইন দক্ষতা, চ্যালেঞ্জ গ্রহনের মনোভাব, পরিশ্রমপ্রিয়তা, ফিল্ডওয়ার্ক প্রভৃতি।
কর্মক্ষেত্রঃ
১। BRTA, BRTC, Railway Sector সহ সকল যন্ত্রযান নির্ভর সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে।
২। সকল প্রকার শিল্প কারখানায় যন্ত্র ও মেশিনারিজ ডিপার্টমেন্টে।
৩। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনীসহ সকল সামরিক বাহিনীতে ট্যাংক, যুদ্ধজাহাজ, হেলিকপ্টার, নৌজাহাজ, অস্ত্র, গোলা-বারুদ ইত্যাদি তৈরী ও রক্ষনাবেক্ষনে যন্ত্রপ্রকৌশলী হিসেবে।
৪। বাংলাদেশ বিমানসহ সকল আকাশযান নির্ভর সরকারী ও বেসরকারী ক্ষেত্রগুলোতে।
৫। জাহাজসহ সকল নৌযান ক্ষেত্রগুলোতে।
৬। বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলায় নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে।
৭। সরকারী ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা।
৮। PWD, BIWTA, BIWTC, BRTC, WASA, BWDB
৯। পাওয়ার প্ল্যান্ট ও গ্যাসফিল্ড সমূহে (BPDB, BREB, EGCB, PGCB, NWPGCL, DESCO, DPDC, Titas Gas, BGDCL, SGFL etc.)
১০। বিভিন্ন গবেষনা ইন্সটিটিউটে।
স্কলারশীপ ও উচ্চশিক্ষাঃ
ক্ষেত্র বিস্তৃত হওয়ায় উচ্চ শিক্ষার সুযোগও মেকানিক্যালে বেশি। Oxford, Cambridge এর মত ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে শুরু করে MIT, Harvard, California ইত্যাদি আধুনিক সহ সকল খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্কলারশীপ নিয়ে Mechanical Engineering এ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও পোস্টগ্র্যাজুয়েট করার সুযোগ বিদ্যমান। ইন্টারন্যাশনাল রোবোটিক্স প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের অনেকেই এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশীপ নিয়ে পড়াশোনা করছে।
আরো জানতে পড়ুন Mechanical Engineering (ME) RUET
Mechanical কোর্স সম্পর্কে কিছু প্রাথমিক ধারণা +Higher Studies+চাকরি বাজার
SUST Mechanical Engineering : পৃথিবী বদলে দেয়ার প্রত্যয়ে যাত্রা যাদের