ভাইরে/ আপুরে! আজকাল পোলাপাইন Harvard/ Princeton/ Ivy League সম্বন্ধে বেশ জানতে চায়।

জানতে চাইতেই পারে General Knowledge পরীক্ষার জন্য! কোন অসুবিধা নাই।

কিন্তু সারাজীবন পাড়ার দোকানে বইসা ফ্রীতে চা খাইছি, মাইয়াগো দেখলে শীস মারছি, ফেসবুকে “আমিন না লিখে যাবেন না” মার্কা পোস্টে আমিন লেখতে লেখতে ভাবছি আমার বেহেশত কনফার্ম হইয়া গেলো, কোনমতে ডানে বামে তাকাইয়া চোথা মাইরা পাশ করছি আর ভাবছি আফ্রিকার রাজধানী বোধহয় টিমবাকতু – আর এখন সময় হইছে তাইএকটু Cool হইবার জন্য হার্ভার্ড/ ইয়েল গুঁতাগুঁতি করি! ভাইরে!

তাইলে আসেন ওইসব জায়গার কাহিনীটা সম্বন্ধে একটু জানি! Harvard এর কথাই ধরি! Harvard আমেরিকার সবচে পুরানা ইউনিভারসিটি!

ক্যালকুলাস এর চেয়েও পুরানা! মোট ৮ জন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট আগে অইখানে পড়ছে। অইখান থেকে আরো হইছে পুরা পৃথিবীর ৩২ জন Head of State.

পৃথিবীর যত ইউনিভারসিটি আছে তার মধ্যে সবচে বেশী Financial Endowment আছে Harvard এর – ৩৬.৫ বিলিয়ন ডলার!

১৪৭ নোবেল প্রাইজ পাওয়া Alumni/ Staff/Faculty আছে। পৃথিবীর যে কোন ইউনিভারসিটির মধ্যে highest!

Harvard Library পৃথিবীর সবচে বড় একাডেমিক লাইব্রেরী! শুধু বই ই আছে ১৯ মিলিয়ন!

Harvard ছাত্রদের মধ্যে ১২৫ জন বিলিয়নেয়ার আছেন যা পৃথিবীর যে কোন ইউনিভারসিটি থেকে বেশী। দ্বিতীয় স্থানে Stanford, যেখানে Harvard এর অর্ধেক ও নাই!

তার মানে বুঝছেন!? আপনি অইখানে ভর্তি হইলে আপনের বন্ধুদের মধ্যে কেউ না কেউ কোন দেশের প্রেসিডেন্ট / বিলিয়নেয়ার/ টপ CEO/ ইত্যাদি ইত্যাদি থাকবে!

আপনার প্রফেসারদের মতো বেশ কয়েকজন নোবেল প্রাইজ পাওয়া, যাদের সাথে সেলফি ও তুলতে পারেন ফ্রী তে! Harvard এ প্রশ্ন আউট হয় না, অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ থাকে না!

বলা হয় Harvard এর Mission হইলো To push the boundary of human knowledge!
ভাইরে ভাই! এখন অই খানে ভর্তি হইতে কি লাগে!?

High GPA/ High SAT, GRE, GMAT Score/ Extremely good recommendations, মাত্র ৬% acceptance rate! আর?

আর হইতেছে আপনার SOP – Statement of Purpose!

পড়ুনঃ SOP কিভাবে লিখবেন?

আপনার সারা জীবনের অর্জন, ইচ্ছা, স্বপ্ন, ফিলোসফি – মাত্র দুই পাতায়! সব কিছু মিলায়ে একজন Admission Officer দেখতে চায় আপনার ভবিষ্যৎ Potential. Can you push the boundary of human knowledge?

আপনি কি পারবেন মানব সমাজে কোন positive impact রাখতে?আপনার জীবনে এমন কি করছেন, কি বাধা ডিংগাইছেন, কি অদম্য সাহস দেখাইছেন, কি চরম sacrifice করছেন?

How greatly can you serve human society? আর এইটা কি একদিনে আসে?

HSC পাশ, আন্ডারগ্র‍্যাড পাশ করছেন – জীবন নিয়া ভাবেন নাই, শুধু চাকরীর জন্যই পড়ছেন, নিজের Self Worth জানেন নাই, স্বপ্ন দেখেন নাই, Failure থেকে শেখেন নাই, সময় নস্ট করছেন লজ্জাহীন ভাবে! ক্যামনে কি?

ভাইরে, অনেক খুঁইজা একটা বই পাইছি। এখুনি Google করেন। এক্ষুনি!

50 Successful Ivy League Application Essays. প্রথমেই একটা pdf এর লিংক পাইবেন। ২৪১ পৃষ্ঠার বইটা ডাউনলোড করেন আর নিজে বা নীলক্ষেত যাইয়া প্রিন্ট কইরা বাঁধাই কইরা নেন।

প্লিজ প্লিজ সফট কপি পইড়েন না। না না না না না! সফট কপি সবাই ডাউনলোড কইরা রাইখা দেয়। পড়া হয় না। প্লিজ! ২৫০-৩০০ টাকা লাগবে! একটা বার্গার এর দাম! বইটা প্রিন্ট কইরা পড়েন।

৫০ টা successful Esaay / Statement of Purpose তো আছেই তার সাথে তাদের Analysis ও আছে। আরো আছে এপ্লিকেশন কিভাবে লিখতে হয় তার বিশদ বর্ণনা।

আর Easay গুলা পড়লেই বুঝবেন জীবনে কি রকম চড়াই উৎড়াই পাড় করে মানুষ, ক্যামন Sacrifice করে, নিজেরে ক্যামনে গইড়া তোলে, চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে।

একেকটা Essay/ Statement of Purpose একেকটা জীবনের গল্প – যে গল্প আপনের বা আমার হইতে পারতো, যে গল্প আমরাও কইতে পারতাম, যে গল্পের নায়ক হইতে পারতাম আমরাও।

পুরা বইটা Harvard/ Ivy League এর উপর একটা Eye Opener. বইটা পড়েন। শেয়ার করেন। নিজের জীবন নিয়া ভাবেন আর গড়েন।

নিজের জীবন। একটাই! সকালে উইঠাতো নিজের দাঁত অন্যরে না দিয়া ঠিকই নিজে মাজেন! তাইলে নিজের জীবনরে অন্যের কথায় চালাইবেন ক্যান? সময় নস্ট কইরেন না।

সময় নস্ট করার মতো Luxury বিল গেটস ভাইজানেরও নাই আপুরে!

নোট ১।

এই পোস্টে Harvard একটা উপলক্ষ্য মাত্র। Harvard এ পড়তেই হবে তা necessary না। উদ্দেশ্য অন্যের সফলতা থেকে একটু আলো নেওয়া, একটু পথ দেখা।

জীবন কে নতুন কইরা দেখতে শেখা। পৃথিবীর সফল মানুষদের মিলনমেলায় কেমন মানুষরা থাকে তা জানা।

Take responsibility of your life and OWN it. YOUR life!Grow intellectually beyond any Ivy League standards. Be successful and be a great human. And touch others lives positively.

নোট ২।

On a lighter note – ভাইরে! যারা Harvard এ আসলেই পড়তে চান লেকিন রিজেক্ট হইছেন আমার মতো তাদের জন্য অনেক খুঁইজা একটা বাংগালী মার্কা দুই নাম্বারী উপায় বাইর করছি!!!!

মরার পর আপনের শরীর Harvard Medical School এ দান কইরা যাইতে পারেন!!! অন্তঃত নাতী নাতনী কইতে পারবো My granddad went to Harvard, PERMANENTLY! How cool is that???!!!

(Google: ANATOMICAL GIFT PROGRAM, HARVARD MEDICAL SCHOOL!)

To Your Successful Life!

শাব্বির আহসান Shabbir ahsan

Writer: Shabbir Ahsan,

Operations Advisor, World Bank,Bangladesh Section,

Former Major, Bangladesh Army.

MBA from IBA,DU,

BSc(eng) in CE, BUET

লেখকের আরো লেখা পড়ুনঃ

[শাব্বির আহসান। সোশ্যাল একটিভিস্ট।

জন্ম অক্টোবর ১৯৬৮। ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে বুয়েটে ভর্তি হন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে এমবিএ-ও করেন ম্যানেজম্যান্ট ও ফিনান্সে। শিক্ষাজীবন শেষে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।

শাব্বির আহসান Shabbir ahsan

সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট শাব্বির আহসান

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক এ মেজর অবসর গ্রহণের পূর্বে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘুরেছেন, অংশগ্রহণ করেছেন প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধে (গালফ ওয়্যার, ১৯৯০-১৯৯১)।

এছাড়াও তিনি দীর্ঘদিন সাফল্যের সাথে কঙ্গোতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষার মিশনে কাজ করেন। সেনাবাহিনী থেকে অবসরের পর শাব্বির আহসান লেখালেখিতে আগ্রহী হন।

অবশ্য এর পূর্বে কিছুকাল কর্পোরেট জগতেও পদচারণা ছিল তার। বিশ্বব্যাংকের একটি প্রকল্পে কাজ করেছেন পরামর্শক হিসেবে। এসময় তিনি প্রচুর বই পড়তেন। পাশাপাশি অব্যহত রেখেছিলেন দেশ-বিদেশে ভ্রমণ।

বাবা ছিলেন বুয়েটের প্রথম ব্যাচের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, মা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলায় মাস্টার্স।

স্ত্রী ফাহিমা রুশদী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মনােবিজ্ঞানে পড়াশােনা করেছেন আর কন্যা ফাইজা পড়াশােনা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই অর্থনীতিতে।

বই পড়তে অত্যন্ত ভালােবাসেন আর ভালােবাসেন দেশে-বিদেশে ঘুরতে। ফেসবুকে লেখালেখি করেন।

সোশ্যাল মিডিয়াতে হাজারো তরুনের মেন্টর। পড়তে, চিন্তা করতে ও লেখালেখি করতে ভালোবাসেন]