ঢাবি প্রযুক্তি ইউনিটের পরিচয়, কলেজের নাম ও বিষয় তোমরা ইতিমধ্যে জেনে গেছো। যেহেতু পরীক্ষা দিয়েছ, তাই ধরে নিচ্ছি এসব নিয়ে আর বলা লাগবেনা। তবুও কেউ যদি এখনো না জানো তাহলে এই লিংকে গিয়ে পরিচিতি পড়ে আসতে পারো। ঢাবি প্রযুক্তি ইউনিট অধিভুক্ত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজসমূহে ভর্তির বিস্তারিত
ইতিমধ্যে জেনে গেছো এবার ১৬২৫ টি আসনে ভর্তি নেয়া হবে। অনেকেই কাঙ্খিত ফল পাওনি। ফলাফল যেমনই হোক, তোমাকে সেটাই মেনে নিতে হবে, এটাই বাস্তবতা।
ফলাফল পাওয়ার পর তোমাকে কলেজ ও বিষয় চয়েজ দিতে হবে। ২৬ মে থেকে ওয়েবসাইটে ঢুকলে “বিস্তারিত ফর্ম” নামে একটা অপশন দেখা যাবে। এই অপশনে ক্লিক করার পর ব্যাক্তিগত তথ্য ও সাবজেক্ট চয়েজ এর অপশন আসবে।
“বিস্তারিত ফর্ম” এ ক্লিক করার আগে হাতের কাছে যা যা নিয়ে বসতে হবে –
১। বাংলালিংক অথবা টেলিটক সিম
২। নিজের জন্ম নিবন্ধন নাম্বার
৩। পিতার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার
৪। মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার
৫। অবিভাবক ঢাকায় না থাকলে একজন ঢাকার অবিভাবকের বাসা নাম্বার, রোড নাম্বার, ওয়ার্ড নাম্বার, থানার নাম।
৬। কোন কোন বিষয় ও কলেজ কত তম অবস্থানে সিলেক্ট করবে তার খসড়া লিস্ট।
সাবজেক্ট চয়েজ দেয়ার ক্ষেত্রে পরামর্শঃ
প্রযুক্তি ইউনিটভুক্ত কলেজগুলোতে মোট সাবজেক্ট রয়েছে ৬ টি। সিভিল, ইইই, সিএসই, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ফ্যাশন ডিজাইন এন্ড এপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং, ও আই পি ই। বিষয়ের নামে ক্লিক করলে কোনটা কী কাজে লাগে- এ সম্পর্কে মোটামুটি কিছু ধারণা পাবে।
সাবজেক্ট চয়েস দেয়ার ক্ষেত্রে ডিপার্টমেন্ট এর বয়স খেয়াল রাখতে পারো। যে ডিপার্টমেন্ট এর বয়স বেশী, সেখানকার যন্ত্রপাতিগুলো একটিভ থাকার সম্ভাবনা ততবেশী, এবং শিক্ষকগণ বেশী অভিজ্ঞ হবেন।
তবে প্রতিটি কলেজেই ভালো শিক্ষক রয়েছেন। তাই প্রতিটি সাবজেক্ট এর রিভিউ পড়ে কোন বিষয় নিজের সাথে মানায়, সেটা প্রথমে দিয়ে লিস্ট তৈরি করো।
কলেজ অনুযায়ী বিভাগ ভিত্তিক আসন সংখ্যা
কলেজ চয়েজ দেয়ার ক্ষেত্রে পরামর্শঃ
প্রযুক্তি ইউনিটে কলেজ আছে ৭ টি। BEC, FEC, MEC সরকারী। অন্যদিকে NITER, STEC, KMHKEC, SIMT বেসরকারী। কলেজের নামে ক্লিক করলে বিস্তারিত সুবিধাবি ও খরচ সম্পর্কে জানতে পারবে।
সরকারিতে প্রতি সেমিস্টার ৯ হাজার করে খরচ পড়বে। এছাড়া বরিশালে প্রথম বছর হলে সীট পাওয়া যাবে। বাকি দুটাতে বাইরে থাকতে হবে।
এছাড়া চয়েজ দেয়ার আগেই ক্যাম্পাসগুলো ঘুরে এসে নিজের ভবিষ্যৎ গন্তব্য সিলেক্ট করে নাও।
এরপর বিষয় ও কলেজ মিলিয়ে কাকে কত অবস্থানে রাখবে তা খসড়া করো। মেরিট লিস্টে ১০০০ এর মধ্যে থাকলে সরকারিতে চান্স পাবে ধরে নেয়া যায়। ধীরেধীরে পেছন থেকেও অনেকে চান্স পায়, সেজন্য সবসময় ওয়েবসাইটে চোখ রাখতে হবে। তবে অনেকে হাল ছেড়ে দেয়।
যাদের পজিশন ১০০০ বা ১৫০০ এর উপরে,তোমরা হয়তো অনেকে মনে করতে পারো,আমাদের মেরিট পজিশন অনেক দূরে, আমাদের হয়তো হবে না, এই ভেবে সাবজেক্ট এর পছন্দক্রম বা ভাইভা-তে গেলে না। এমন কাজ কখনো করো না। তোমার হোক বা না হোক,তুমি ভাইভা অবশ্যই দিতে যাবে।
ধাপসমূহঃ
“বিস্তারিত ফর্ম” এ ক্লিক করার পর এরকম অপশন আসবে-
নতুন আবেদনের জন্য পাসওয়ার্ড সংগ্রহ
এখানে দুটো অপশন দেখাচ্ছে। প্রথমটি হলো একবার পূরণ করার পর সেটি এডিট করার জন্য। এটাতে এখন কোনো কাজ নেই। এ নিয়ে লেখার পরের অংশে জানতে পারবে।
২য়টি হল প্রথমবার চয়েজ দেয়ার জন্য। এখন এটা নিয়েই তোমার কাজ। “নতুন ফরম” এ ক্লিক করলে এরকম পেজ আসবে-
সিফ পাসওয়ার্ড সংগ্রহ
এখানে হলুদ রঙের কোডটি নিজের বাংলালিংক বা টেলিটক সিম থেকে ১৬৩২১ নাম্বারে মেসেজ পাঠাতে হবে। ফিরতি মেসেজে একটা পাসওয়ার্ড দিবে। সেটি এখানে দিয়ে দাখিল করুন এ ক্লিক করতে হবে এবং পাসওয়ার্ডটি ফর্ম আবার এডিট করার প্রয়োজন হলে সেখানে ব্যাবহারের জন্য নিজের কাছে সেভ করে রাখতে হবে।
পরের ধাপে এমন পেজ আসবে –
পিতা-মাতার জীবিতাবস্থা
এখানে পিতামাতা ঢাকায় থাকে সিলেক্ট করলে পরবর্তিতে স্থানীয় অবিভাবকের তথ্যের ফর্ম পূরণ করার দরকার হবেনা।
পরবর্তী ধাপ –
শিক্ষার্থীর বিস্তারিত তথ্য
ট্রিকসঃ নিবন্ধন নাম্বার, এন আই ডি নাম্বার- এগুলো না জানলে যেকোনো নাম্বার বসিয়ে দাও। যাচাই করা হবেনা।
পরবর্তী ধাপ-
পিতামাতার তথ্য
পরবর্তী ধাপ –
ঢাকার স্থানীয় অবিভাবকের তথ্য। পিতামাতা ঢাকায় থাকলে লাগবেনা
এতক্ষণ যেগুলো পূরণ করেছো, এগুলো সবগুলো নিয়েই SIF (Student Identification Form).
এই ফর্মে কি কি থাকেঃ এখানে তোমার নাম, বাবা-মা, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, অভিভাবকের আয়, স্থানীয় অভিভাবকের বিস্তারিত বিবরণ ও এরকম আরো কিছু তথ্য দিতে হবে। এখানে যোগাযোগের ঠিকানা- বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা এবং একজন ঢাকায় বসবাসরত অভিবাকের অথ্য দিয়ে ফর্ম পূরণ করতে হবে। যাদের বাবা মা ঢাকায় থাকেনা, তাদেরকে এটা পূরণ করতে হবে।
সাব্জেক্ট চয়েজ ফরম
এখানে কলেজ অনুযায়ী সাব্জেক্টের ২২ টা অপশন থাকবে। সাব্জেক্টের উপর ক্লিক করে মাঝখানের ডানমূখী চিহ্নে ক্লিক করলে তা সিলেক্টেড লিস্ট আকারে জমা হবে। এখানে যেটি আগে আসবে সেটি প্রথম চয়েজ হিসেবে বিবেচিত হবে।
ডান দিকে নেয়ার পর
সিলেক্টেড লিস্টেও যেকোনো সাব্জেক্ট এ ক্লিক করে উপরে নিচের চিহ্নতে ক্লিক করে সেগুলোর ক্রম পরিবর্তন করা যাবে।
যারা সরকারিতে পড়তে চাও, তারা প্রথমে সরকারি ৮টা চয়েজ দিয়ে এরপর প্রাইভেটের গুলো দিবে। এখানে ২২টি অপশনই সিলেক্ট করতে হবে। সিলেকশন দেয়া শেষে একটি পিডিএফ ফাইল আসবে। সেটি ডাউনলোড করে নির্ধারিত জায়গায় স্বাক্ষর করে সাক্ষাৎকারের দিন নিয়ে যেতে হবে। এই ফাইলের প্রথম পৃষ্ঠা SIF আর পরের পৃষ্ঠা বিষয় পছন্দক্রম।
সেখান থেকে সাক্ষাৎকার এর সময় তোমার পছন্দের কলেজে আসন থাকা সাপেক্ষে মনোনয়ন দেয়া হবে।
পিডিএফ এ এরকম দেখা যাবে
চয়েজ নিয়ে আরো কথাঃ
ঢাবি প্রযুক্তি ইউনিটে রেজাল্ট দেয়ার পর অনেকেই অনেক বিষয় নিয়ে চিন্তিত। তোমাদের অনেক অসুবিধার বিষয় আমরা লক্ষ্য করেছি। এর মধ্যে একটি অসুবিধা “Subject Choice” ।
প্রশ্ন থেকেই থাকে কোন কলেজের কোন Subject দিবো আগে। মনে করো তোমার পজিশন ৪০০ এর উপরে কিন্তু তুমি MEC এ পড়তে চাও, তাহলে তোমার করণীয় হচ্ছে MEC এর তিন department কে ১ম, ২য়, ৩য় Choice এ রেখে এর পর FEC, BEC কে রাখা। কিন্তু তুমি যদি FEC এ পড়তে চাও, তাহলে ১ম,২য়,৩য় তে FEC এ রাখো।
আবার যদি textile/IPE/FAD তোমার passion হয়, তাহলে NITER/STEC কে প্রথম দিকে রেখে বাকি choice দাও। ঠিক এরকম করেই তোমার যেই প্রতিষ্ঠানে, যেই Department এ পড়তে ইচ্ছুক শুধু সেটি Choice এর প্রথম এ রেখে বাকি গুলো সাজাও। যাদের “Subject/Department” উপরে priority তারা MEC, FEC, BEC এর শুধু সেই department টাই ১ম, ২য়, ৩য় তে রাখো।
একটা ব্যাপার মাথায় রাখবে, চয়েজ দেয়ার উপর চান্স নির্ভর করেনা। চান্স পাবে মেরিট অনুযায়ী। আগেরজঙ্কে বাদ দিয়ে তোমাকে সীট দিবেনা।
যেমনঃ তোমার পজিশন ২০০০ এবং তোমার চয়েজ লিস্ট উপরেরটার মতো। তখন তারা ১৯৯৯ জনের সাব্জেক্ট দেয়ার পর তোমার দেয়া সাব্জেক্ট লিস্ট প্রথম থেকে দেখে আসবে যে কোনটায় এক সিট খালি আছে। মেক ইইই থেকে শুরু করে যেখানে গিয়ে এক সীট ফাঁকা পাবে সেখানে তোমাকে সীট দিবে।
পরর্তিতে উপরের দিকের সীট খালি থাকলে তোমাকে উপরের মাইগ্রেশন করে নিয়ে যাবে। তাই পজিশন যাই হোক, চয়েজ লিস্ট একইরকম দিবে। পেছনের সাব্জেক্ট আগে দিলে সহজে চান্স পাবে এরকম কিছু নেই।
লিস্ট দেয়ার অর্থ হলো সামনে সীট খালি হলে তুমি এগিয়ে যাবে। এটা অটো মাইগ্রেশন। যদি কোনো একটা সাবজেক্ট পেয়ে সেটাতেই পড়তে চাও, তখন ডীন অফিসে লিখিত আবেদন করে জানাতে হবে মাইগ্রেশন অফ করার জন্য।
যারা একবার আবেদনে ভুল করেছ বা আবার নতুন চয়েস দিতে চাও
এক্ষেত্রে আবার “বিস্তারিত ফরম” এ ক্লিক করে পরের পেজে আসা নিচের ছবির মতো জায়গায় পূরণকৃত অপশনে যেতে হবে। এরপর নতুন করে সবগুলো অপশন ঠিকভাবে পূরণ করে সেটা প্রিন্ট করে নিজে ডীন অফিসে গিয়ে জমা দিতে হবে সাক্ষাতকারের আগে। অথবা নতুন পিডিএফ ফাইলটা ইমেইল করো [email protected] এড্রেসে।
ইমেইল করলে আলাদাভাবে অফিসে গিয়ে জমা দিতে হবেনা।
এব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ফোন দাও 01993992149 নাম্বারে।
চান্স পাওয়ার পর কোন সাবজেক্ট পড়বে সে সিদ্ধান্ত নিতে তোমাদের নানা ভাবে বিপর্যস্ত হতে হচ্ছে। পরিবার, প্রিয়জনের কথা মানতে গেলে নিজের ড্রিম সাবজেক্ট ছেড়ে দিতে হয় বা হবে — এ সমস্যা চান্সপ্রাপ্ত প্রায় প্রতিটি শিক্ষার্থীরই।
সাবজেক্ট চয়েসের সময় কী কী বিষয় ভাবতে হবে?
১. নিজের প্যাশন কিঃ তার মানে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পড়ার সময় কোন বিষয় গুলো তোমার কাছে আকর্ষণী মনে হতো, এবং কোন দিক গুলো তোমার কাছে সহজবোধ্য মনে হতো। আর নিজেকে কোন জায়গায় দেখতে ইচ্ছে করতো বা তার স্বপ্ন দেখতে মনে মনে।
২. ভবিষ্যতে তুমি সমাজে কী ধরণের ভূমিকা পালন করতে চাও?
চাকরি:
অধিকাংশের জন্যই পড়াশোনা শেষে চাকরিতে যোগদান, অর্থ উপার্জন, দ্রুত সংসার শুরু করা জীবনের প্রধান উদ্দেশ্য।
করণীয়: এটা তোমার উদ্দেশ্য হলে সাবজেক্ট চয়েসের সময় অবশ্যই দেশের চাকরির বাজারের কথা চিন্তা করতে হবে। কেউ বিদেশে গিয়ে চাকরি করতে ইচ্ছুক হলে তার জন্য যে কোন সাবজেক্টই সমান সুযোগ উন্মোচন করতে পারবে।
গবেষণা:
অতি সামান্য সংখ্যক শিক্ষার্থীরই গবেষণার প্রতি আগ্রহ থাকে। এদের পড়াশোনা করতে, জ্ঞান অর্জন ও বিতরণ করতে ভালো লাগে। এদের অর্থ-বিত্ত, সংসার, চাকরির মোহ কম। নিজের সাবজেক্টের প্রতি স্বীয় অবদান রাখাটাই এদের সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য। এরা ভবিষ্যতে বইয়ের পাতায় আবিষ্কারক হিসেবে নিজের নাম দেখতে চায়।
করণীয়:
তোমাদের জন্য সাবজেক্ট চয়েস একটি এসিড টেস্ট। একটি ভূল সিদ্ধান্ত অনেক বড় হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। নিজের প্যাশন ব্যতীত অন্য কোন ফিল্ডে গবেষণা করে সফল হওয়ার সম্ভাবনা খু্বই কম। তোমরা দয়া করে চাকরির বাজার, সিজিপিএ তোলা, পরিবারের ইচ্ছা নিয়ে মাথা ব্যথা করবে না। [©engineersdiarybd.com]
শিক্ষকতা: যারা শিক্ষকতা+গবেষণা করতে চাও: নিজের প্যাশনের দিকে যাও।
কোন ধরণের ভূমিকাটি সবচেয়ে ভালোঃ সবগুলোই সমান পরিমাণে মহত এবং ভালো। তুমি যে কোনটির দিকে গেলেই দেশের প্রতি অবদার রাখতে পারবে।
৩. পরিবারের সদস্যদের কি ইচ্ছাঃ বাংলাদেশের অধিকাংশ বাবা-মা চান ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার-চাকুরিজীবী সন্তান। তোমাদের পছন্দের সাথে তাদের পছন্দের মিল নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে তাদের সাথে রাগারাগি না করে নিজের প্যাশন ও উদ্দেশ্যের কথা বুঝাতে হবে। মনে রাখবে, তোমরা পিতা-মাতা তোমার জন্য একটি সহজ কন্টকহীন জীবন চান।
তারা চায় না তাদের সন্তান কষ্ট করুক। তাই, তাদের সাথে খোলামেলা কথা বলে নাও। তাদের মনে কষ্ট দিও না।যদি এরপরও বাবা মা তোমার প্যাশনের কথা বুঝতে না পারে সেক্ষেত্রে নিজের প্যাশনের দিকে যাও। তোমার ভবিষ্যত সাফল্য দেখে বাবা মা নিজেদের ভুল বুঝতে পারবেন বলে আশা করা যায় ।
আরেকটা সমস্যাঃ অন্য ভার্সিটি না ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ? এটা তোমার ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্ত। এদেশের সব ক্যাম্পাসের অবস্থা একইরকম। কলেজ না ভার্সিটি এসব কেউ দেখবেনা, দেখবে তুমি নিজের সাব্জেক্ট কতটা পারো। তাই সাব্জেক্ট দেখে ভর্তি হও, আর পারলে ক্যাম্পাস ঘুরে এসে পরিবেশ দেখে সিদ্ধান্ত নাও। অনেক ক্যাম্পাসে একই সাব্জেক্ট পেলে দেখো কোথায় হলে সীট পাবে, অথবা বাসা থেকে কোনটা কাছে।
খরচঃ
FEC- CIVIL(৬০) 2013 ভর্তিতে সাড়ে ৭ এবং অন্যান্য খরচ সরকার নির্ধারিত।
FEC- EEE(৬০) 2013
MEC- EEE(৬০) 2008
MEC-CIVIL(৬০) 2014
FEC- CSE (৬০) 2017
MEC-CSE(৬০) 2017
BEC-CIVIL(৬০) 2017
BEC- EEE(৬০) 2017
NITER Cost Purpose
NITER- TEXTILE (২৯০) 2010: ভর্তির সময় ভর্তি ফি আর একটা ইন্সটলমেন্ট এর টাকা সহ ৬৫৫০০ টাকা দিতে হয়। আর তিনমাস পর পর বাকি টাকা ইন্সটলমেন্ট এ দিতে হয়। প্রতি ইন্সটলমেন্ট ২৬০০০ টাকা। আর আট সেমিস্টার এ পরীক্ষার আগে ফর্ম ফিলাপ করতে হয় , টোটাল ৮*৪৬৫০= ৩৭২০০ টাকা এক্ষেত্রে খরচ হয়। আর ঢাকা ইউনিভার্সিটি রেজিস্ট্রেশন ফি একবার ই নেয় ৫০০০ এর মত। এই সব মিলিয়ে একাডেমীক খরচ পড়ে ৪৮৬০০০ টাকা।
থাকার জন্য নিটারে হল আছে। হল এর খরচ বছরে ৬৬০০ টাকা আর জামানত ২৫০০ টাকা যেটা চার বছর পর ফিরিয়ে দেয়া হবে। সব মিলিয়েই আমাদের ৪৫০০-৫০০০ এর ভেতর হয়ে যায়। বাকিটা তোমার উপর ডিপেন্ড করে। মোটামুটি ১৫০০-১৬০০ এর ভেতরে থাকলে ভাল সম্ভাবনা আছে। বাকিটা শিউরলি আমরা কেউই বলতে পারব না।
NITER-IPE(140) 2016 (4,75000 BDT)
NITER-FDAE (75) 2017 (4,55000 BDT)
NITER- CSE (120) 2019 (4,75000 BDT)
NITER – EEE (60) 2019 (4,75000 BDT)
Niter Cost
STEC-TEXTILE(120) 2010: পরীক্ষার ফি আর রেজিস্ট্রেশন ফি ছাড়া খরচ ৩৭৭০০০ টাকা
STEC – FDAE (30) 2020
STEC – CSE (50) 2020
STEC – EEE (50) 2020
STEC Cost Purpose
KM HK EC -CIVIL(50) 2019 (4,44, 000 BDT)
KM HK EC -CSE (30) 2021
SITM – CSE(40) 2021 (3,32,00 BDT)
SITM – CE(30) 2022
SITM – EEE(30) 2022
SITM – ME (30) 2022
Notice of Meeting 2020-21
সাক্ষাৎকারঃ
১। দুই দিন দুই ভাগে। বিস্তারিত নোটিশে দেখে নাও।
২। সাক্ষাৎকারে প্রত্যেক প্রার্থীকে যে ডকুমেন্ট সাথে আনতে হবে – ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র,
এস-এস-সি এবং এইস-এস-সি পরীক্ষার মূল নম্বরপত্র(গ্রেডশীট), ঢাবি অফিস এই কাগজগুলো রেখে দিবে। তাই যারা ভর্তি হবেনা, তারা সাক্ষাতকারে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
৩। SIF form (ভর্তির প্রাথমিক আবেদন পত্র – ইন্টারনেট হতে ডাউনলোডকৃত ), Subject Choice (বিষয় পছন্দক্রম) এর এক কপি। দুটোই মূলত চয়েজ দেয়ার পর ডাউনলোডকৃত পিডিএফ ফাইলটা। যেখানে দুই পেজ আছে।
ভর্তি প্রক্রিয়াঃ
সাক্ষাৎকার এর ভিত্তিতে কলেজ ও সাব্জেক্ট অনুযায়ী ভর্তির লিস্ট জানানো হবে। সে অনুযায়ী কলেজে গিয়ে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে ভর্তি হতে হবে। প্রাথমিকভাবে কলেজগুলোতে ১০০০/- (অফেরতযোগ্য) টাকা দিয়ে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে।
যারা প্রাথমিক ভর্তি নিশ্চিত করবেনা, তাদের ভর্তির সুযোগ শেষ হয়ে যাবে এবং পরবর্তি তালিকায় শূন্য আসনে অন্যদের চয়েজ অনুযায়ী মাইগ্রেট করা হবে।
প্রথমে ১০০০ দিয়ে প্রাইভেটে ভর্তি হলে এবং পরে মাইগ্রেট হয়ে সরকারিতে আসলে, সরকারিতে ভর্তি হওয়া যাবে। অর্থাৎ সরকারিতে ভর্তির আশা রাখতে হলেও প্রথমে ১০০০ দিয়ে বেসরকারিতে ভর্তি হতে হবে।
কোটার জন্যঃ
প্রযুক্তি ইউনিট এর জন্য মুক্তিযুদ্ধা কোটার ফরম কিভাবে তুলবে?
খুবই সহজ-
ধাপ ১. টাকা জমা দেওয়া
ধাপ ২. ফরম তোলা
ধাক ১- প্রথমে ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অফিসে যেতে হবে। ডিন অফিসটি CARS ভবন এর ১০ তলায়( লিফটের ৯ম)। CARS ভবনটি কার্জন হল এর কাছাকাছি, তিন মিনিট দূরত্বে। কার্জন হলে এসে কাউকে জিজ্ঞাসা করলে দেখিয়ে দিবে।
ডিন অফিস থেকে প্রযুক্তি ইউনিটের অগ্রণী ব্যাংক হিসাব নম্বর দিবে যেটাতে 500 টাকা ডিপোজিট করতে হবে। অগ্রণী ব্যাংকটি কার্জন হলের ভিতরে। কার্জন হলে এসে কাউকে জিজ্ঞাসা করবে।
কেউ ইচ্ছা করলে সরাসরি অগ্রণী ব্যাংকে গিয়ে টাকা ডিপোজিট করে তারপর ডিন অফিসে যেতে পারো। প্রযুক্তি ইউনিট এর অগ্রণী ব্যাংক হিসাব এর বিস্তারিত নিচে দিয়ে দিচ্ছি-
হিসাবের নাম – প্রযুক্তি ইউনিট
হিসাবের নাম্বার – ০২০০০০৫৮১৩৯১২
ব্যাংক – অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, কার্জন হল শাখা।
ধাপ ২. টাকা জমা দেওয়ার পর জম রিসিট নিয়ে ডিন অফিসে যাবে। জমা রিসিটের পিছনে তোমার রোল ও মেধাক্রম লিখবে। ডিন অফিসে এটা দেখালে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আবেদন ফরম দিবে ।
***ফরম দেওয়া জমা দেওয়ার সময় যে কাগজপত্রগুলো প্রয়োজন হবে
শর্ত ও সংযুক্তি:
১. ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র এর ফটোকপি।
২. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইস্যুকৃত/তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ইস্যুকৃত সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি ( মুক্তিযোদ্ধার তথ্য অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে থাকতে হবে এবং সাক্ষাৎকারের সময় মূলকপি দেখাতে হবে )
৩. নাতি অথবা নাতনির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সাথে সম্পর্ক প্রত্যায়নকারী কাগজপত্রের সত্যায়িত কপি ( শিক্ষার্থীর দাদা মুক্তিযোদ্ধা হলে শিক্ষার্থীর পিতার ভোটার আইডি কার্ড, এসএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট/কাবিননামা এবং শিক্ষার্থীর নানা মুক্তিযোদ্ধা হলে শিক্ষার্থীর মাতার ভোটার আইডি কার্ড ,এসএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট/কাবিননামা )
৪. ইউনিয়ন/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র ( মুক্তিযোদ্ধার সাথে শিক্ষার্থীর সম্পর্কের )
কোটার ফরম
আবেদনের সময় যারা কোটা সিলেক্ট করেছ, তাদেরকে রেজাল্ট দেয়ার সাত দিন মানে ১১ নভেম্বর তারিখের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ ঢাবিতে লিখিত আবেদন করতে হবে। তখন মূল কাগজগুলো জমা নেয়া হবে। এরপর সাক্ষাতে গিয়ে মার্কশিট জমা দিতে হবে। এটা নোটিশে উল্লেখ ছিলো। যারা ১১ তারিখের মধ্যে আবেদন করেননি তারা অফিসে ফোন দিয়ে কথা বলুন। সাক্ষাতকারে কাগজপত্র দেখাতে হবে।
ইঞ্জিনিয়ারিং কঠিনঃ
পুরো লেখায় কোন সাব্জেক্ট উপযোগী, কোন কলেজ ভালো – এসব নিয়ে আলোচনা করেছি। এখন আসল কথা, তুমি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার উপযোগী তো?
ইঞ্জিনিয়ারিং মানে কঠিন কঠিন অংক, সূত্র, সমীকরণ। সাথে রাত জেগে এসাইনমেন্ট, ল্যাব রিপোর্ট, দিনভর ক্লাস, ল্যাব এসবের প্যারা। তুমি যদি কঠোর পরিশ্রমী না হও এবং এইচ এসি তে ইন্টিগ্রেশনে ফাঁকি দিয়ে আসা ছাত্র হও, তাহলে ইঞ্জিনিয়ারিং তোমার জন্য না।
তুমি কোনো পিউর সাব্জেক্ট বা সমাজবিজ্ঞান এর বিষয়ে ভর্তি হও। টাকা সবাই ইনকাম করবে, কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে স্পেশাল কিছু করবো – এরকম চিন্তা না থাকলে এত কষ্টের জীবনে পা না দেয়াই ভালো!
কলেজের সার্টিফিকেট এর সাথে ঢাবির কোনো পার্থক্য নেই
STEC এর শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট
গতবার MEC এ ৩১২ পজিশন পর্যন্ত টেনেছিলো। FEC এ ৫৩৫ পর্যন্ত টেনেছিলো। BEC এ ৭০০+ পর্যন্ত টেনেছিলো। Total 1900+
শেষনোটঃ
সবকিছুর জন্য ওয়েবসাইটে চোখ রাখবে, নতুন কী নোটিশ এলো দেখে সেগুলো ভালোভাবে পড়বে। তোমাদের সব উত্তর নোটিশে দেয়া থাকে, কিন্তু তোমরা নোটিশ পড়োনা। পড়াশোনার পাশাপাশি সেন্সটাকেও কাজে লাগাও। সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য ফেসবুকে ভাইদের না গুঁতিয়ে পরিবারের সাথে আলোচনা করো।
এমন কোনো সমস্যা যদি থাকে যার সমাধান ওয়েবসাইটের ডকুমেন্ট এবং প্রযুক্তি ইউনিটের অফিসে ফোন করে জানতে পারোনি, সেগুলো জিজ্ঞেস করো আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।
পুরো লেখাতে সবগুলো কলেজ এবং সাব্জেক্টের রিভিউ যুক্ত করে দেয়া আছে। হলুদ রঙে হাইলাইট হওয়া শব্দগুলোতে ক্লিক করলে সে সম্পর্কিত লেখা পেয়ে যাবে। সময় নিয়ে সবগুলো লেখা পড়বে। এরপর আমাদের জিজ্ঞেস করবে। তার আগে না।
আর অবশ্যই, এই লেখাটি শেয়ার করো। যাতে অন্যরাও সঠিক তথ্য পেতে পারে।
কিছু গুরত্বপূর্ণ লিংকঃ
ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রিভিউঃ
ময়মনসিং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রিভিউঃ
বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রিভিউঃ
কে এম হুমায়ুন কবীর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রিভিউ
সাইক ইন্সটিটিউট ওব ম্যানেজমেন্ট রিভিউ
DU Technology Unit Official Admission & Information Desk join us
[/fusion_text][/fusion_builder_column][/fusion_builder_row][/fusion_builder_container]